ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৬ ১/৮ পৃষ্ঠা ৩-৪
  • বিজ্ঞান কাহিনী—এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বিজ্ঞান কাহিনী—এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
  • ১৯৯৬ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কাহিনী বাস্তবে পরিণত হয়
  • বর্তমান কালের বিজ্ঞান কাহিনীর প্রতি দৃষ্টিপাত
    ১৯৯৬ সচেতন থাক!
  • প্রকৃতপক্ষে ভবিষ্যতে কী আছে
    ১৯৯৬ সচেতন থাক!
  • বাইবেলের উপর আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
  • বাইবেলের উপর আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখতে শুরু করুন
আরও দেখুন
১৯৯৬ সচেতন থাক!
g৯৬ ১/৮ পৃষ্ঠা ৩-৪

বিজ্ঞান কাহিনী—এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি

আমেরিকার চলচ্চিত্র শিল্পে, ১৯৮২ সালে প্রথম এর প্রকাশ ঘটে। ১৯৮২/৮৩-র মরশুমে, সবচাইতে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র “অভিনেতা” মোটেই কোন ব্যক্তি ছিল না। চলচ্চিত্রের এক বৈচিত্রময় ইতিহাস (ইংরাজি) অনুসারে, এটি ছিল ইটি, বহিঃস্থ মহাকাশ থেকে আসা এক অদ্ভুত অথচ এক আকর্ষণীয় এই চরিত্র, ইটি: দি এক্সট্রাটেরেসট্রিয়েল! নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে।

এই উল্লেখযোগ্য পরিস্থিতিটি হল একটি প্রমাণ যা দেখায় যে বিজ্ঞান কাহিনী (এসএফ) সম্প্রতি বছরগুলিতে এক অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এক সময় যেটি কেবলমাত্র নিম্নমানের পত্রিকাগুলির মধ্যে স্থান পেত এবং নিঃসঙ্গ ও ভাবুকেরা পয়সা দিয়ে কিনত, সেই বিজ্ঞান কাহিনী আজ প্রধান চিত্তবিনোদনের এক প্রতিষ্ঠিত অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এর এই নাটকীয়ভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পিছনে কী আছে?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে, প্রথমে আমাদের বিজ্ঞান কাহিনীর ইতিহাস বিবেচনা করতে হবে। অনির্দিষ্ট কাল ধরে হতবাক, রেখাপাত করতে অথবা শুধুমাত্র চিত্তবিনোদনের জন্য মানুষেরা অপূর্ব কাহিনী বলে এসেছে। কিন্তু, সপ্তদশ এবং অষ্টাদশ শতাব্দীতে, ইউরোপ এক বৈজ্ঞানিক ও বস্তুগত প্রগতির যুগে প্রবেশ করে। অনেকে প্রথাগত ধারণা ও কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে। এইধরনের পরিবেশে কয়েকজন চিন্তা করতে আরম্ভ করে যে এই বৈজ্ঞানিক প্রগতি মানবজাতির ভবিষ্যৎকে কিভাবে প্রভাবিত করবে।

আসলে বিজ্ঞান কাহিনীর আবিষ্কারক কে, এবিষয়ে বিতর্ক আছে। সপ্তদশ-শতাব্দীর লেখক, ফ্রান্সিস গুডউইন ও সির্‌যানো বারগির্‌যাক, মহাকাশ অভিযানকে কেন্দ্র করে কিছু কাহিনীমূলক গ্রন্থ লেখেন। ১৮১৮ সালে, মেরী শেলির দ্বারা লিখিত বই ফ্র্যান্কেনস্টাইন, অথবা আধুনিক প্রমিথিউস (ইংরাজি), একজন বিজ্ঞানীর কথা বলে যার জীবন সৃষ্টি করার ক্ষমতা ছিল এবং এটি এক ভয়ঙ্কর পরিণতিরও বর্ণনা দেয়।

কিছু লেখক মানব সমাজের দুর্বলতাকে আলোকপাত করার জন্য এইধরনের কাহিনী ব্যবহার করেছিলেন। সুতরাং যখন যোনাথান সুইফ্ট অষ্টাদশ-শতাব্দীর ইংরেজ সমাজকে উপহাস করেছিলেন, তখন তিনি তার বিদ্রূপাত্মক সাহিত্যের মধ্যে কিছু ধারাবাহিক অলীক ভ্রমণকাহিনী যুক্ত করেন। এর ফল হয়েছিল গালিভার্স ট্র্যাভেলস, একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রূপকথা, যাকে বিজ্ঞান কাহিনীর ক্ষেত্রে “প্রথম উৎকৃষ্ট সাহিত্যকর্ম” বলা হয়ে থাকে।

কিন্তু বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক উপন্যাসকে তার আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্য, লেখক জুলস ভার্ন ও এইচ. জি. ওয়েলসকেই সাধারণত কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ১৮৬৫ সালে, ভার্ন লেখেন পৃথিবী থেকে চাঁদে (ইংরাজি)—যা ছিল ধারাবাহিক সফল উপন্যাসগুলির মধ্যে একটি। ১৮৯৫ সালে, এইচ. জি. ওয়েলসের জনপ্রিয় বই সময় যন্ত্র (ইংরাজি) এর আবির্ভাব ঘটে।

কাহিনী বাস্তবে পরিণত হয়

১৯০০ দশকের প্রথম দিকে, বিজ্ঞানীরা এইধরনের কিছু দূরদর্শীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আরম্ভ করেন। ডি গ্রোসেন (মহান ব্যক্তিসমূহ) নামক বইটির মন্তব্য অনুসারে, জার্মান পদার্থবিৎ হারমান ওবার্ত মনুষ্য পরিচালিত মহাকাশ অভিযান সম্বন্ধীয় জুলস ভার্নের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে অনেক বছর ব্যয় করেন। ওবার্তের গণনা মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি স্থাপন করতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু, তিনিই একমাত্র বিজ্ঞানী ছিলেন না যিনি বিজ্ঞান কাহিনীর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। এক জনপ্রিয় বিজ্ঞান-কাহিনী লেখক রে ব্র্যাডবিউরি বলেন: “ওয়ার্নার ফন ব্রাউন ও জার্মানিতে তার সহকর্মীরা এবং হিউস্টন ও কেপ কেনেডীর সকলে তাদের শৈশবাবস্থায় এইচ. জি. ওয়েলস ও জুলস ভার্নের বই পড়েছেন। তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে যখন তারা বড় হবেন, তখন এগুলিকে তারা বাস্তবে পরিণত করবেন।”

বস্তুতপক্ষে, বহু ক্ষেত্রে বিজ্ঞান কাহিনী নতুন কিছু প্রবর্তনের এক মূল কেন্দ্রস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। লেখক রেনে ওট দাবি করেন যে খুব কমই এমন “আবিষ্কার অথবা উদ্‌ঘাটন আছে যা বিজ্ঞান কাহিনী আগে থেকে অনুমান করেনি।” সাবমেরিন, রোবোট এবং মনুষ্য পরিচালিত রকেটগুলি বাস্তব সত্যে পরিণত হওয়ার অনেক আগে থেকেই এগুলি বিজ্ঞান কাহিনীর অন্তর্ভুক্ত প্রধান উপাদানস্বরূপ ছিল। তাই বিজ্ঞান-কাহিনী লেখক ফেডরিক পোল বলেন যে “বিজ্ঞান কাহিনী পড়ার অর্থ হল মনকে প্রসারিত করা।”

অবশ্য, বাস্তবিকরূপে সমস্ত বিজ্ঞান কাহিনীই বিজ্ঞান কেন্দ্রিক নয়। কয়েকটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক বই ও চলচ্চিত্র হল প্রকৃতপক্ষে যা অনেকে বলে থাকে বিজ্ঞান রূপকথা (ইংরাজি)। আপাতদৃষ্টিতে বৈজ্ঞানিকভাবে ন্যায়সঙ্গত বিষয়বস্তু প্রায়ই বিজ্ঞান কাহিনীর এক বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকে, কিন্তু রূপকথার গল্পগুলি কেবলমাত্র তাদের লেখকদের কল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এমনকি জাদু ও মায়াবিদ্যারও ভূমিকা এর মধ্যে থাকতে পারে।

কিন্তু, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বিজ্ঞান কাহিনীর মতবাদ কতদূর সঠিক? সব রকমের বিজ্ঞান কাহিনী পড়া বা দেখা কি যুক্তিযুক্ত? পরবর্তী প্রবন্ধগুলি এইসব প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবে।

[৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

জুলস ভার্নের উপন্যাস “পৃথিবী থেকে চাঁদে” মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এক আগ্রহের স্ফুলিঙ্গ জাগিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল

[৩ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

Rocket Ship: General Research Division/The New York Public Library/Astor, Lenox and Tilden Foundations

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার