ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৬ ১/৮ পৃষ্ঠা ৫-৮
  • বর্তমান কালের বিজ্ঞান কাহিনীর প্রতি দৃষ্টিপাত

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বর্তমান কালের বিজ্ঞান কাহিনীর প্রতি দৃষ্টিপাত
  • ১৯৯৬ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বিজ্ঞান কাহিনী—একটি বড় ব্যবসা
  • “বড় পর্দায়” বিজ্ঞান কাহিনীর প্রবেশ
  • ভারসাম্যতার প্রয়োজন
  • বিজ্ঞান কাহিনী—এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
    ১৯৯৬ সচেতন থাক!
  • প্রকৃতপক্ষে ভবিষ্যতে কী আছে
    ১৯৯৬ সচেতন থাক!
  • আপনি কি মনে করতে পারেন?
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাইবেলের উপর আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
আরও দেখুন
১৯৯৬ সচেতন থাক!
g৯৬ ১/৮ পৃষ্ঠা ৫-৮

বর্তমান কালের বিজ্ঞান কাহিনীর প্রতি দৃষ্টিপাত

মোটর গাড়ি, টেলিফোন, কম্পিউটার—১৩০ এরও বেশি বছর আগে কেউ কি সম্ভবত এগুলির আবিষ্কার সম্বন্ধে কল্পনা করতে পেরেছিল? বিজ্ঞান-কাহিনী (এসএফ) লেখক জুলস ভার্ন পেরেছিলেন! সম্প্রতি আবিষ্কৃত জুলস ভার্নের বিংশ শতাব্দীতে প্যারিস (ইংরাজি) নামক উপন্যাসের অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপির মধ্যে এইধরনের কিছু বৈজ্ঞানিক অন্তর্দৃষ্টির আভাস পাওয়া যায়। এই প্রাক্তন অমুদ্রিত উপন্যাসটিতে, ভার্ন এমনকি একটি অদ্ভুত যন্ত্রের বর্ণনা দেন যার সাথে আধুনিক কালের ফ্যাক্স মেশিনের এক আশ্চর্যরকম মিল রয়েছে!a

এমনকি সবচাইতে বিচক্ষণ বিজ্ঞান-কাহিনী লেখকেরাও সত্য ভাববাদী হওয়ার থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। উদাহরণস্বরূপ, জুলস ভার্নের পৃথিবীর মধ্যস্থলে যাত্রা (ইংরাজি) এটি পাঠ করা খুব রোমাঞ্চকর হতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন জানেন যে এই ধরনের যাত্রা করা সম্ভবপর নয়। তাছাড়া এও সম্ভব বলে মনে হয় না যে ২০০১ সালে মানুষের পরিচালনায় বৃহষ্পতি অথবা অন্য কোন গ্রহে যাওয়া সম্ভব হবে, যা পূর্বে কয়েকজন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

বহু চমকপ্রদ বৈজ্ঞানিক উন্নতি যা সাধিত হয়েছে সেই বিষয়ে বিজ্ঞান-কাহিনী লেখকেরা আগে থেকে অনুমান করতে ব্যর্থও হয়েছিলেন। দি অ্যাটলান্টিক মান্থলি-তে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে, বিজ্ঞান-কাহিনী লেখক থমাস এম. ডিশ স্বীকার করেন: “বিবেচনা করে দেখুন সমস্ত ক্ষেত্রগুলির কথা যা এসএফ কল্পনা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সাইবারনেটিক [কম্পিউটার] যুগ . . . ., গ্রীনহাউসের প্রভাব অথবা ওজোন স্তরের ধ্বংস অথবা এইডস। বিবেচনা করুন সদ্য আবির্ভূত ভৌগলিক সংক্রান্ত রাজনৈতিক শক্তির অসমতার কথা। এই সমস্ত কিছু বিবেচনা করুন আর এরপর জিজ্ঞাসা করুন যে এগুলির বিষয় এসএফ এর কী বলার আছে। বলতে গেলে কিছুই বলার নেই।”

বিজ্ঞান কাহিনী—একটি বড় ব্যবসা

অনুরাগীদের কাছে, অবশ্যই, বিজ্ঞান কাহিনী কোন জটিল বিজ্ঞান নয়, কিন্তু এটি একটি চিত্তবিনোদন। তবুও, সেই ক্ষেত্রেও এমন অনেকে আছে যারা এর মূল্য সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলে। এই শতাব্দীর শুরু থেকেই অশ্লীল সাহিত্য হিসাবে বিজ্ঞান কাহিনী পরিচিত হয়, যখন নিম্নমানের পত্রিকাগুলি যা বিজ্ঞান কাহিনীকে আলোকপাত করে সেগুলি প্রকাশ পেতে থাকে। এগুলির মধ্যে প্রথম ছিল, আশ্চর্য গল্প (ইংরাজি) নামক পত্রিকাটি, যা ১৯২৬ সালে বিক্রি হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা, হিউগো গার্ন্সব্যাককে একটি শব্দ উদ্ভাবন করার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয় যা কালক্রমে “বিজ্ঞান কাহিনী” বলে পরিচিতি লাভ করে। অনেকে মনে করেছিল যে এই উত্তেজনাপূর্ণ দুঃসাহসিক গল্পগুলির খুব কমই অথবা আদৌ কোন সাহিত্যগত মূল্য নেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিজ্ঞান কাহিনীকে আরও গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা শুরু হয়। সেই যুদ্ধে, বিজ্ঞান যেধরনের নাটকীয় ভূমিকা পালন করেছিল তা বিজ্ঞানকে এক নতুন মর্যাদার শিখরে নিয়ে যায়। বিজ্ঞান-কাহিনী লেখকদের ভবিষ্যৎ কথনকে অপেক্ষাকৃতরূপে অধিক নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয়। অতএব বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক কমিক, পত্রিকা এবং পেপারব্যাকগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিজ্ঞান-কাহিনীর বাঁধানো বইগুলি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে যায়। কিন্তু যতই এই বিজ্ঞান কাহিনী বাজারের চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করে ততই, এর সাহিত্যগত মান—ও বৈজ্ঞানিক সঠিকতা—প্রায়ই বর্জিত হতে থাকে। বিজ্ঞান-কাহিনী লেখক রবার্ট এ. হিনলিন দুঃখ প্রকাশ করেন এই বলে যে “যা কিছু পড়ার যোগ্য এবং সাধারণভাবে মনোরঞ্জনকর” তা এখন প্রকাশিত হচ্ছে আর এর অন্তর্ভুক্ত হল “অধিক সংখ্যার নিম্নমানের অনুমানমূলক উপন্যাসগুলি।” লেখিকা আরসুলা কে. লে গিন্‌ বলেন যে, এমনকি “সস্তা-দরের বইগুলিও,” ছাপা হচ্ছে।

এইধরনের সমালোচনা সত্ত্বেও, বিজ্ঞান কাহিনী জনপ্রিয়তার এক নতুন শিখরে পৌঁছেছে, এক তাৎপর্যপূর্ণ প্রগতির সাহায্য পেয়েছে, বিজ্ঞানীদের দ্বারা নয়, কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পের মাধ্যমে।

“বড় পর্দায়” বিজ্ঞান কাহিনীর প্রবেশ

জর্জেস মেলিস যখন ১৯০২ সালে এ ট্রিপ টু দ্যা মুন নামে ছবিটি তৈরি করেন তখন থেকে বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক ছবির প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তী বংশের চলচ্চিত্র অনুরাগীদের মধ্যে এক তরুণতরুণীর দল ফ্ল্যাস গর্ডন দেখে হতবাক হয়ে যায়। কিন্তু ১৯৬৮ সালে, চাঁদে মানুষ পদার্পণ করার ঠিক এক বছর আগে, ২০০১: এ স্পেস অডিসি নামক ছবিটি শিল্পদক্ষতার জন্য স্বীকৃতি লাভ করে এবং এটি ব্যবসার দিক দিয়েও সফল হয়। হলিউড সেই সময় বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক ছবিগুলির জন্য বিশাল অর্থ ধার্য করতে শুরু করে।

১৯৭০ এর দশকের শেষে এবং ১৯৮০-র দশকের প্রথম দিকে, এলিয়েন, স্টার ওয়ারস, ব্লেড রানার এবং ইটি: দি এক্সট্রাটেরেসট্রিয়েল নামক চলচ্চিত্রগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত বক্সঅফিসের উপার্জনের অর্ধাংশ আনে। অবশ্যই, বিজ্ঞান কাহিনী সর্বকালীন এক বিশাল সাফল্যমণ্ডিত ছবি দিয়েছে, জুরাসিক পার্ক। সেই ছবিটির সাথে সাথে জুরাসিক পার্ক এর সাথে সংযুক্ত প্রায় ১,০০০টি পণ্যদ্রব্যের সৃষ্টি হয়। আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, দূরদর্শনও এর মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জনপ্রিয় অনুষ্ঠান স্টার ট্রেক বহিঃস্থ মহাকাশ সম্বন্ধীয় আরও অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটায়

যদিও অনেকে মনে করেন যে সাধারণ চাহিদা মেটাতে গিয়ে, কিছু বিজ্ঞান-কাহিনী লেখকেরা মানের ক্ষেত্রে আপোশ করেছেন যা বিজ্ঞান কাহিনীকে কিছুটা মূল্য দিয়েছিল। জার্মান লেখক কার্ল মাইকেল আরমার দাবি করেন যে ‘বিজ্ঞান কাহিনী এখন কেবল মাত্র প্রচলিত ট্রেডমার্কের দ্বারা চিহ্নিত হয়ে থাকে এর বিষয়বস্তুর দ্বারা নয়, কিন্তু এর বিপণি কৌশলের দ্বারা।’ অন্যেরা দুঃখের সাথে মন্তব্য করেন যে আজকের বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক ছবিতে আসল “তারকারা” হল কোন ব্যক্তিবিশেষ নয়, কিন্তু চলচ্চিত্রের বিশেষ কারিগরি কৌশলতা। এমনকি একজন সমালোচক এও বলেন যে বিজ্ঞান-কাহিনী “প্রকাশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিদারুণ জঘন্য ও অত্যন্ত নিম্নমানের।”

উদাহরণস্বরূপ, তথাকথিত বহু বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক ছবি আদৌ বিজ্ঞান অথবা ভবিষ্যতের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। স্পষ্টভাবে দৌরাত্ম্যকে চিত্রায়িত করার জন্য এক এক সময় ভবিষ্যৎমূলক প্রেক্ষাপটকে ব্যবহার করা হয়। লেখক নর্মান স্পিনরাড লক্ষ্য করেন যে বর্তমান দিনের বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক গল্পগুলিতে, কোন একজন “গুলিবিদ্ধ, ছুরিকাঘাত, বাষ্পায়িত, রশ্মি বিকীর্ণ যন্ত্রের দ্বারা নিহত, তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়াঘাত, গ্রসিত অথবা বিষ্ফোরিত” হয়ে থাকে। অনেক চলচ্চিত্রে এই হানিকর বিষয়গুলিকে এক ভয়ঙ্কর পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বর্ণনা করা হয়!

আরেকটি বিবেচনার ক্ষেত্র হল অতিপ্রাকৃতিক বস্তুগুলি যা বহু কল্পনাপ্রধান-বিজ্ঞান বইগুলি ও চলচ্চিত্রে প্রকাশ পেয়ে থাকে। যদিও অনেকে এই গল্পগুলিকে এক নিছক ভাল ও মন্দের রূপক সংঘর্ষ বলে ধরে নেয়, কিন্তু এগুলির মধ্যে এমন কয়েকটি আছে যা রূপক-বর্ণনাকে অতিক্রম করে এবং ভুতুড়িয়া ক্রিয়াকলাপকে তুলে ধরে।

ভারসাম্যতার প্রয়োজন

অবশ্য, বাইবেল কাল্পনিক মনোরঞ্জনের নিন্দা করে না। যোথামের বৃক্ষের দৃষ্টান্তে দেখা যায় যে নির্জীব উদ্ভিদগুলি একে অপরের সাথে কথা বলছে—পরিকল্পনা ও সড়যন্ত্র করছে। (বিচারকর্ত্তগণের বিবরণ ৯:৭-১৫) ঠিক একই রকমভাবে ভাববাদী যিশাইয় এক কাল্পনিক মাধ্যমের ব্যবহার করেন যখন তিনি বহুদিন-পূর্বে মৃত জাতীয় শাসকদের কবরের মধ্যে কথোপকথন করছে বলে বর্ণনা দেন। (যিশাইয় ১৪:৯-১১) এমনকি যীশুর দৃষ্টান্তের মধ্যেও এমন কিছু উপাদান ছিল যা আক্ষরিকভাবে ঘটা সম্ভব নয়। (লূক ১৬:২৩-৩১) ঐধরনের কাল্পনিক মাধ্যমগুলি শুধুমাত্র চিত্তবিনোদন হিসাবেই নয়, কিন্তু নির্দেশনা ও শিক্ষা হিসাবেও সাহায্য করেছিল।

বর্তমান দিনের কয়েকজন লেখক হয়ত ন্যায়সঙ্গতভাবে নির্দেশ অথবা মনোরঞ্জনের জন্য ভবিষ্যৎ সম্পর্কীয় প্রেক্ষাপটগুলি ব্যবহার করে থাকবেন। পাঠকেরা যারা বিচক্ষণ খ্রীষ্টান, তারা কিন্তু মনে রাখেন যে বাইবেল আমাদের উপদেশ দেয় যে, যা কিছু ন্যায্য ও বিশুদ্ধ তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে। (ফিলিপীয় ৪:৮) এটি আমাদের এও মনে করিয়ে দেয়: “সমস্ত জগৎ সেই পাপাত্মার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে।” (১ যোহন ৫:১৯) কয়েকটি বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক ছবি ও বইগুলি এমন কিছু ধারণা ও দর্শনের প্রচারস্থল হয়ে ওঠে যা বাইবেলের সাথে সামঞ্জস্য রাখে না, যেমন ক্রমবিবর্তনবাদ, মানব অমরত্ব এবং পুনর্জন্ম। বাইবেল আমাদের সতর্ক করে দেয় যে আমরা যেন “দর্শনবিদ্যা ও অনর্থক প্রতারণা”-র শিকার না হই। (কলসীয় ২:৮) সুতরাং বিজ্ঞান কাহিনী এবং অন্য সমস্ত রকম আমোদপ্রমোদের ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা আছে। আমরা যা পড়ি ও দেখি সেই বিষয় আমাদের বাছাই করা উচিত।—ইফিষীয় ৫:১০.

আগে যেমন উল্লেখিত হয়েছে, অনেক জনপ্রিয় ছবিগুলি হল দৌরাত্ম্যমূলক। অকারণ রক্তপাতের রূপক খাদ্যতালিকাকে গ্রহণ করা কি যিহোবাকে খুশি করবে, যার সম্বন্ধে বলা হয়েছে: “দৌরাত্ম্যপ্রিয় লোক তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ”? (গীতসংহিতা ১১:৫) যেহেতু প্রেততত্বকে শাস্ত্রে নিন্দা করা হয়েছে, অতএব খ্রীষ্টানেরা সেইসব বই ও চলচ্চিত্রগুলি যেখানে ঐধরনের উপাদান ব্যবহৃত হয় যেমন, জাদু ও মায়াবিদ্যা সেগুলির ক্ষেত্রে উত্তম বিচক্ষণতা ব্যবহার করতে চাইবে। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১০) এটাও উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন যে যেখানে প্রাপ্তবয়স্কেরা সহজেই কল্পনার থেকে বাস্তবতাকে আলাদা করতে পারে, কিন্তু সব ছোটরা তা পারে না। সুতরাং, বাবামাকে আবার এই বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখতে হবে যে তাদের সন্তানেরা যা পড়ছে বা দেখছে তার দ্বারা তারা কিভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।b

অনেকে হয়ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে তারা অন্যধরনের বিষয় পড়তে ও অন্যরকম মনোরঞ্জন পছন্দ করে থাকে। কিন্তু তাদের এই বিষয়ের উপর কারও বিচার করা অথবা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়গুলিকে বড় করে তোলার কোন প্রয়োজন নেই।—রোমীয় ১৪:৪.

অপরদিকে আবার, খ্রীষ্টানেরা যারা এক এক সময় একঘেঁয়েমি কাটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাহিনী পড়া উপভোগ করে তারাও ভাল করবে যদি তারা শলোমনের সতর্কবাণী মনে রাখে: “বহুপুস্তক রচনার শেষ হয় না, এবং অধ্যয়নের আধিক্যে শরীরের ক্লান্তি হয়।” (উপদেশক ১২:১২) আজকের দিনে বহু লোকেরা বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক বই ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাদের আসক্তির ক্ষেত্রে স্পষ্টতই সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিজ্ঞান-কাহিনী ক্লাব ও সম্মেলনগুলির বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টাইম পত্রিকা অনুসারে, পাঁচটি মহাদেশের স্টার ট্রেক অনুরাগীরা কিছু অলীক ভাষা শিখতে নিজেদের সময় ব্যয় করেছে যেমন ক্লিনগন, যা স্টার ট্রেক টিভি অনুষ্ঠানে ও চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত হয়েছে। এইধরনের অমার্জিত আচরণ ১ পিতর ১:১৩ পদে উল্লেখিত বাইবেলের উপদেশের সাথে মিল রাখে না যা বলে: “মিতাচারী হও [“ভারসাম্য বজায় রাখ,” পাদটীকা, NW]।”

এমনকি সবচাইতে উৎকৃষ্ট, বিজ্ঞান কাহিনী ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে মানুষের কৌতূহলকে তৃপ্ত করতে পারে না। যারা প্রকৃতপক্ষে ভবিষ্যৎ জানতে চায় তাদের অবশ্যই সেই নিশ্চিত উৎসের প্রতি ফিরে তাকাতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রবন্ধে আমরা এই বিষয়টি আলোচনা করব।

[পাদটীকাগুলো]

a ভার্নের বাক্য অনুসারে একটি “ফোটোগ্রাফিক টেলিগ্রাফ [যা] দীর্ঘ দূরত্বে যে কোন লেখা, সই অথবা নকশার প্রতিলিপি পাঠাতে পারে।”—নিউজউইক, অক্টোবর ১০, ১৯৯৪.

b “আপনার সন্তানেরা কী পড়বে?” মার্চ ২২, ১৯৭৮, সচেতন থাক! (ইংরাজি) সংস্করণের প্রবন্ধটি দেখুন।

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

সন্তানদের আমোদপ্রমোদের প্রতি বাবামায়ের লক্ষ্য রাখা কর্তব্য

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

বিজ্ঞান কাহিনীর ক্ষেত্রে খ্রীষ্টানদের বাছাই করা উচিত

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার