প্রকৃতপক্ষে ভবিষ্যতে কী আছে
বিজ্ঞান-কাহিনীর প্রতি কৌতূহলী বহু ব্যক্তিদের এক জিজ্ঞাস্যু মন থাকে, মানব সমাজকে পরিবর্তন করার এক ইচ্ছা এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে এক বিশেষ আগ্রহ। ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বাইবেলের অনেক কিছু বলার আছে, কিন্তু মানুষের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি, বিজ্ঞান-কাহিনী লেখকদের অনুমানের সাথে খুব কমই মিল রাখে।
ভবিষ্যৎ কিরকম হতে পারে এই বিষয়ের উপর বিজ্ঞান কাহিনী নানাধরনের মতবাদ প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু এগুলির মধ্যে একটির উপরে নির্ভর করে আপনি কি আপনার জীবনের ঝুঁকি নিতে চাইবেন? আপনি কিসের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় নেবেন? এই বর্ণিত দৃশ্য অথবা প্রকাশিত ঘটনাগুলির সবকিছুই সত্য হতে পারে না। বস্তুতপক্ষে, যেহেতু সবগুলিই হল অনুমান ভিত্তিক—কাহিনী—অতএব আপনি কি নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারেন যে এদের মধ্যে অন্তত একটি হল সত্য? খুব সম্ভবত একটিও নয়।
একটিও বাস্তবে ঘটছে না
ইতিমধ্যেই, বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক বহু ঘটনাই অঘটিত থেকে যাচ্ছে। কিভাবে? বিশেষকরে সেইসব বিষয়ের ক্ষেত্রে যেখানে আলোচনা করা হয় যে কিভাবে বিজ্ঞান এই পৃথিবীতে এক অধিকতর উত্তম সভ্যতার পথকে পরিচালনা করবে যা আদৌ বাস্তবে ঘটেনি। উন্নত সভ্যতার কথা দূরে থাক, আজকের বাস্তব ঠিক এর বিপরীত। জার্মান লেখক কার্ল মাইকেল আরমার মন্তব্য করেন: “ভবিষ্যৎ আমাদের হতবাক করে দিয়েছে।” তিনি বিশেষভাবে এই বিষয়গুলির কথা উল্লেখ করেন যেমন “পৃথিবীব্যাপী পারমাণবিক মৃত্যুর আশঙ্কা, পারিপার্শ্বিক দুর্দশা, ক্ষুধা, দরিদ্রতা, শক্তির অভাব [এবং] রাষ্ট্র-অনুমোদিত সন্ত্রাসবাদ।”
আরেক কথায় বলতে গেলে, পৃথিবী ও মানব পরিবারের ভবিষ্যৎ যা বহু বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক গল্পে বর্ণনা করা আছে তা বাস্তবের দিকে অগ্রসর হচ্ছে না। বরঞ্চ, যতই পৃথিবীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে, মানুষের পরিস্থিতিও বিপরীত দিকে এগিয়ে চলেছে। যে কোন বৈজ্ঞানিক বা প্রযুক্তির উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও, জগদ্ব্যাপী মানব সমাজ আরও অধিকমাত্রায় অপরাধ, দৌরাত্ম্য, দরিদ্রতা, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং পারিবারিক ভাঙনের সম্মুখীন হচ্ছে।
কয়েকটি বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা বৃহদাকারে মানুষের অমঙ্গল ডেকে এনেছে। মাত্র কয়েকটি উদাহরণের কথা বিবেচনা করুন: আমাদের বাতাস, জল ও খাদ্যের মধ্যে রাসায়নিক দূষণ; ভারতবর্ষে অবস্থিত ভূপালের বিপর্যয়, যেখানে একটি শিল্প প্রকল্পে দুর্ঘটনার ফলে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে যায়, আর তাতে ২,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে এবং ২,০০,০০০ ব্যক্তি আহত হয়; ইউক্রেনের, চারনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গলে যাওয়ার ফলে প্রচুর মৃত্যু ও ক্যানসারের বৃদ্ধি ঘটে এবং বিশাল এলাকা জুড়ে অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়।
বহিঃস্থ মহাকাশে স্থায়ী বসবাস?
ভবিষ্যৎ সম্বন্ধীয় এমন বহু বিজ্ঞান-কাহিনীমূলক গল্পগুলি, জীবনের দুঃখকষ্ট ও পৃথিবীতে মানব পরিকল্পনার ব্যর্থতার থেকে মুক্তি পাওয়ার আরও একটি উপায়ের কথা ব্যক্ত করে। তারা কৌতূহলী ব্যক্তিদের বহিঃস্থ মহাকাশের এক কাল্পনিক জগতে নিয়ে যায়। অন্যান্য গ্রহে ও বিশ্বের বিভিন্ন অংশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য মানুষেরা একটি ছায়াপথ থেকে আরেকটি ছায়াপথে মহাকাশযান ব্যবহার করছে, এগুলি এক সাধারণ বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি অনেকের মধ্যে এইধরনের অনুভূতি গড়ে তুলেছে যা একজন ব্যক্তি নিউ ইয়র্কের একটি সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে লিখেছিলেন: “মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মহাকাশ গবেষণার উপর।”
এটা সত্যি যে, পৃথিবীর কাছাকাছি স্পেস সাটল পাঠানো এবং মহাকাশকে আরও গভীরভাবে পরীক্ষা করার জন্য যন্ত্রগুলি স্থাপন করার মাধ্যমে মহাকাশ সম্বন্ধীয় গবেষণা ক্রমাগতভাবে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু বহিঃস্থ মহাকাশে বসবাস করা সম্বন্ধে কী বলা যায়? যদিও মানুষের দ্বারা পরিচালিত মহাকাশ অভিযান সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা চলছে, কিন্তু বর্তমানে চাঁদে বা অন্য কোন নিকটস্থ গ্রহে—অন্যান্য ছায়াপথগুলির কথা ত ছেড়েই দিন, এমনকি এইসব স্থানেও স্থায়ীভাবে বসতি করার কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। বস্তুতপক্ষে, অদূর ভবিষ্যতে মানবিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বহিঃস্থ মহাকাশকে বসবাস যোগ্য করে তোলার কোন সম্ভাবনা নেই। আর বর্তমানে বিভিন্ন দেশের পক্ষে মহাকাশ সম্বন্ধীয় কর্মসূচী এতই ব্যয় সাপেক্ষ হয়ে পড়ছে যে এগুলিকে না হয় স্থগিত রাখা হচ্ছে নয়ত বা একেবারেই পরিত্যাগ করা হচ্ছে।
বাস্তব বিষয়টি হল এই যে মানবজাতির ভবিষ্যৎ, আপনার ভবিষ্যৎ, মানুষের দ্বারা প্রণোদিত কোন মহাকাশ অভিযানের মধ্যে কেন্দ্রীভূত নয়। আপনার ভবিষ্যৎ রয়েছে এই পৃথিবীর মধ্যে। আর এই ভবিষ্যৎ কোন বিজ্ঞানী, কোন মানব সরকার অথবা কোন লেখকের দ্বারা নির্ধারিত হবে না। আমরা কেন এই বিষয় এত নিশ্চিত থাকতে পারি?
কারণ ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, যিহোবা ঈশ্বরের দ্বারা। আর বাইবেলের মধ্যে যে প্রতিজ্ঞা রয়েছে তার সাথে কোন বিজ্ঞান-কাহিনীর দেওয়া বর্ণনার তুলনা করা যায় না। সেই বইয়ের মধ্যে—যেটি হল ঈশ্বর অনুপ্রাণিত বাক্য, যা তিনি মানবজাতিকে দিয়েছেন—সেখানে তিনি আমাদের জানান যে কিধরনের ভবিষ্যৎ মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে। (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭; ২ পিতর ১:২০, ২১) এটি কী বলে?
মানব পরিবারের ভবিষ্যৎ
ঈশ্বরের বাক্য স্পষ্টভাবে জানায় যে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য হল যীশু খ্রীষ্টের অধীনস্থ এক নতুন সরকারের মাধ্যমে সমগ্র মানব সমাজকে পরিবর্তন করা। বাইবেলে সেই স্বর্গীয় সরকারকে বলা হয় ঈশ্বরের রাজ্য।—মথি ৬:৯, ১০.
সেই রাজ্য সম্বন্ধে দানিয়েল ২:৪৪ পদের অনুপ্রাণিত ভবিষ্যদ্বাণী ঘোষণা করে: “সেই রাজগণের সময়ে [যারা এখন অস্তিত্বে আছে] স্বর্গের ঈশ্বর এক রাজ্য স্থাপন করিবেন, তাহা কখনও বিনষ্ট হইবে না, এবং সেই রাজত্ব অন্য জাতির হস্তে সমর্পিত হইবে না; তাহা ঐ সকল রাজ্য [বর্তমান কালের] চূর্ণ ও বিনষ্ট করিয়া আপনি চিরস্থায়ী হইবে।”
ঈশ্বরের ক্ষমতাপূর্ণ কার্যকারী শক্তির অনুপ্রেরণায় প্রেরিত পিতরও ঈশ্বরের রাজ্যের অধীনে এই পৃথিবীতে ভবিষ্যৎ জীবন সম্বন্ধে লেখেন। তিনি বলেন: “[ঈশ্বরের] প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের [ঈশ্বরের স্বর্গীয় সরকার] ও নূতন পৃথিবীর [সেই রাজ্যের অধীনস্থ নতুন মানব সমাজ] অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসতি করে।”—২ পিতর ৩:১৩.
যারা ঈশ্বরের স্বর্গীয় সরকারের অধীনে এই পৃথিবীতে বসবাস করার সুযোগ পাবে তাদের জীবন কেমন হবে? সৃষ্টিকর্তার প্রতিজ্ঞা হল: “[ঈশ্বর] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল। আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তিনি কহিলেন, দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি। পরে তিনি কহিলেন, লিখ, কেননা এ সকল কথা বিশ্বসনীয় ও সত্য।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪, ৫.
যেধরনের ভবিষ্যৎ সৃষ্টিকর্তা প্রতিজ্ঞা করেছেন তা সত্যই অপূর্ব। এটি বিজ্ঞান-কাহিনী লেখক অথবা বিজ্ঞানীদের দ্বারা বর্ণিত যে কোন কাল্পনিক দৃশ্য, এমন দৃশ্যগুলি যা প্রায়ই অদ্ভুত, অবাস্তব বস্তু ও পরিবেশের দ্বারা বেষ্টিত, সেগুলির থেকে একেবারেই আলাদা। প্রকৃত খ্রীষ্টানেরা ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ঈশ্বরের নিশ্চিত প্রতিজ্ঞার উপর বিশ্বাস রাখে। এর থেকেও তারা আরও অতিরিক্ত কিছু করে। তারা এর জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত নেয়।
কেন তারা এত আত্ম-প্রত্যয়ের সাথে তা করতে পারে? কারণ তারা ঈশ্বরের বাক্য থেকে জানতে পেরেছে যে এই “প্রত্যাশা লজ্জাজনক হয় না,” যেহেতু “মিথ্যাকথনে অসমর্থ ঈশ্বর।” বস্তুত পক্ষে, “মিথ্যাকথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য।” (রোমীয় ৫:৫; তীত ১:২; ইব্রীয় ৬:১৮) ঈশ্বরের এক দাস, যিহোশূয়, যেমন অনেক আগে বলেছিলেন: “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে যত মঙ্গলবাক্য বলিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে একটীও বিফল হয় নাই; তোমাদের পক্ষে সকলই সফল হইয়াছে, তাহার একটীও বিফল হয় নাই।”—যিহোশূয়ের পুস্তক ২৩:১৪.
অধিকাংশ বিজ্ঞান কাহিনীগুলি এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থার মতবাদগুলি প্রতিফলিত করে। কিভাবে? বিজ্ঞান কাহিনীর সূত্রপাত ঘটে এমন এক সময় যেটি ছিল এক তথাকথিত নবজাগরণের যুগ, যখন অনেক ব্যক্তিবিশেষেরা প্রথাগত কর্তৃত্বকে পরিত্যাগ করেছিল এবং বিশ্বাস করত যে মানুষই তার নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবে। সামাজিক সমস্যার জন্য তারা যথার্থভাবে জাগতিক ধর্মকে দায়ী করেছিল, কিন্তু তারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব ও তাঁর উদ্দেশ্য সম্বন্ধীয় সত্যকে উপেক্ষা করেছিল। যেভাবে বিষয়গুলি অগ্রসর হচ্ছিল তা দেখে তারা আশাহত হয়েছিল এবং তাই তারা অন্য মতবাদগুলিকে গ্রহণ করার চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু, মনুষ্য মতবাদগুলি, তা যতই চিন্তাশীল মনের ফল হোক না কেন, সেগুলি ব্যাপকতার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ। আমাদের সৃষ্টিকর্তা বলেন: “ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।”—যিশাইয় ৫৫:৯.
প্রকৃত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার
ঈশ্বরের নতুন জগতে, জ্ঞানের প্রতি মানবজাতির যে স্বাভাবিক স্পৃহা তা বৈজ্ঞানিক খোঁজের দ্বারা অনেকাংশে তৃপ্ত হবে। সেখানে নতুন কোন দৃশ্য আবিষ্কার করার প্রয়োজন হবে না, কারণ বাস্তবতা, এক গঠনমূলক ও সত্যের আধারে মনকে আপ্লুত ও শিক্ষিত করে তুলবে।
অনেকে তখন উপলব্ধি করতে পারবে সেই বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইসাক নিউটনের কিধরনের অনুভূতি হয়েছিল যখন তিনি নিজেকে এইভাবে তুলনা করেন “সমুদ্রের ধারে খেলা করছে একটি ছোট বালক, . . . আর তার সামনে সত্যের এক বিশাল সমুদ্র অনাবিষ্কৃত অবস্থায় বয়ে চলেছে।” নিঃসন্দেহে, ঈশ্বরের নতুন জগতে, তিনি বিশ্বস্ত মানুষদের একটির পর একটি উত্তেজনামূলক আবিষ্কার করতে পরিচালনা করবেন।
হ্যাঁ, সেই সময় বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলি সম্পূর্ণরূপে সত্যের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে, যেহেতু যিহোবা হলেন “সত্যের ঈশ্বর।” মানুষের এই পার্থিব পরিবেশ ও পশু জগৎ থেকে কিছু শেখার জন্য তিনি আমাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। (গীতসংহিতা ৩১:৫; ইয়োব ১২:৭-৯) ঈশ্বরের সত্যের দ্বারা পরিচালিত আন্তরিক বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা অবশ্যই ঈশ্বরের নতুন বিধিব্যবস্থায় এক রোমাঞ্চকর দিক হিসাবে পরিগণিত হবে। তখন সমস্ত উদ্ঘাটন, আবিষ্কার এবং মানুষের জীবন ও তার জীবন ধারণের গুণগত মানের ক্ষেত্রে উত্তম প্রগতির জন্য কোন মানুষকে নয়, কিন্তু বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, যিহোবা ঈশ্বরকে প্রশংসা করা হবে।
দ্রুতাগত নতুন জগতে, সমস্ত বাধ্য মানুষেরা ঈশ্বরকে তাঁর প্রেমপূর্ণ যত্ন ও পরিচালনার জন্য মহিমান্বিত করবে। তারা মহানন্দের সাথে তাঁর পরিচর্যা করবে এবং প্রকাশিত বাক্য ৪:১১ পদে যা বর্ণনা করা আছে সেই অনুসারে বলবে: “হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলের সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।”
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
মানবজাতির ভবিষ্যৎ হল পৃথিবীতে