ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৯ ১০/৮ পৃষ্ঠা ২০-২৩
  • আপনার বাচ্চাকে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচান

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার বাচ্চাকে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচান
  • ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • চার দেওয়ালের মধ্যে
  • ঘরের বাইরে
  • রাস্তায়
  • শৈশবাবস্থা থেকে সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া
    আপনার পারিবারিক জীবন সুখী করা
  • একজন বাবা অথবা মা হিসেবে আপনার ভূমিকা
    ২০০৫ সচেতন থাক!
  • আপনার সন্তানকে শিশুকাল থেকেই প্রশিক্ষণ দিন
    পারিবারিক সুখের রহস্য
  • প্রেমে শাসন করার মূল্য
    আপনার পারিবারিক জীবন সুখী করা
আরও দেখুন
১৯৯৯ সচেতন থাক!
g৯৯ ১০/৮ পৃষ্ঠা ২০-২৩

আপনার বাচ্চাকে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচান

সুইডেনের সচেতন থাক! সংবাদদাতা কর্তৃক

কার্ল এরিক এবং বিরগিটা যখন এক মৃত প্রতিবেশীর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন তখন তাদের প্রায় তিন বছরের মেয়ে হান্নাও তাদের সঙ্গে ছিল। কিছুক্ষণ পর হান্না ঘর থেকে ওষুধের বোতল হাতে করে বাইরে আসে। সেটা থেকে কিছু ওষুধ সে খেয়ে ফেলেছিল। বোতলটা ভাল করে দেখার পর বিরগিটা আঁতকে ওঠেন। কারণ সেটা ছিল তার প্রতিবেশীর হৃদরোগের ওষুধের বোতল।

হান্নাকে তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সারারাত তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়। ওষুধগুলো খেয়ে ফেলায় তার গুরুতর ক্ষতি হতে পারত কিন্তু তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। কেন? কারণ সেগুলো খাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই সে সিরিয়েল খেয়েছিল। খাবারটা সেই বিষকে শুষে নিয়েছিল যার ফলে হান্না যখন বমি করেছিল তখন তার সঙ্গে বিষ বের হয়ে গিয়েছিল।

হান্নার এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতিদিন পৃথিবীতে হাজার হাজার শিশু এমন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় যার জন্য তাদেরকে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। প্রত্যেক বছর সুইডেনে প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জন শিশুকে দুর্ঘটনার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। তাই আপনারা যদি বাবামা হন, তাহলে আপনার বাচ্চারও এই একইধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে বাচ্চারা প্রায়ই তাদের ঘরে এবং ঘরের আশেপাশের চেনাজানা জায়গায় ব্যথা পায়। আর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ব্যথা পাওয়ার ধরনও বদলায়। একটা ছোট বাচ্চা খুব সহজেই খাট থেকে পড়ে যেতে পারে বা এক টুকরো খাবার অথবা অন্য কিছু খেয়ে গলায় আটকে ফেলতে পারে। ছোট বাচ্চারা কোন কিছু বেয়ে উঠতে গিয়ে প্রায়ই পড়ে যায় বা হাতের নাগালে তারা যা পায় তা ধরে হাত পা পুড়ে ফেলে অথবা বিষ মুখে দিয়ে ফেলে। যে সব ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায় তারা প্রায়ই রাস্তায় বা বাইরে খেলতে গিয়ে ব্যথা পায়।

এর মধ্যে অনেক দুর্ঘটনাকেই এড়ানো যায়। আগে থেকেই একটু চিন্তা করলে এবং আপনার বাচ্চা শান্ত না চঞ্চল তা খেয়াল রেখে একটু সাবধান হলেই আপনি তাদেরকে ব্যথা পাওয়া বা মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন। আর এই বিষয়টা ১৯৫৪ সাল থেকে সুইডেনের সংগঠিত শিশু-সুরক্ষা কার্যক্রম প্রমাণ করেছে। এর আগে প্রতি বছর দুর্ঘটনার কারণে ৪৫০ জনেরও বেশি শিশু মারা যেত। কিন্তু এখন দুর্ঘটনায় মারা যায় এমন শিশুদের সংখ্যা কমে প্রায় ৭০ জন হয়েছে।

চার দেওয়ালের মধ্যে

শিশু মনোবিজ্ঞানী কেশটিন বেকস্ট্রেম বলেন, “দুই, তিন বছরের বাচ্চাদেরকে আপনি কখনও শেখাতে পারবেন না যে কীভাবে বিপদকে এড়ানো যায় এবং তাদের কাছ থেকে আশাও করবেন না যে তারা তা মনে রাখবে।” তাই বাবামা হিসেবে বাচ্চাকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার অথবা অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের যারা মাঝে মাঝে বাচ্চাদের দেখাশোনা করেন।

প্রথমে আপনার বাড়ির চারপাশটা দেখুন। এই প্রবন্ধে দেওয়া বাক্সের চেকলিস্টটা ব্যবহার করুন। কিছু কিছু সুরক্ষা কৌশল হয়তো সব দেশে বা সস্তায় পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে এবং চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়েই আপনি হয়তো এমন কিছু উপায় খুঁজে বের করতে পারবেন যা আপনার দরকারের সময় কাজে লাগবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনার রান্না ঘরের ড্রয়ারে যদি ফাঁসযুক্ত হাতল থাকে, তাহলে আপনি সেই হাতলের ভিতর একটা শক্ত কাঠি লাগিয়ে সেটা আটকে দিতে পারেন। ওভেনের দরজাতেও আপনি একইরকম কিছু করতে পারেন। প্লাস্টিকের ব্যাগে কিছু রেখে সেগুলোর মুখে গিঁট বেঁধে রাখলে বিপদ অনেক কমে যায়।

দুর্ঘটনাগুলো এড়ানোর জন্য আপনি হয়তো আরও কিছু সাধারণ উপায়ের কথা চিন্তা করতে পারেন যাতে আপনি ঘর ও ঘরের আশেপাশের দুর্ঘটনাগুলো এড়াতে পারেন আর আপনার পাড়াপড়শী ও বন্ধুবান্ধব যাদের ছোট বাচ্চা আছে তাদের সঙ্গেও আপনি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

ঘরের বাইরে

আপনার বাচ্চা যেখানে খেলাধুলো করে সেই জায়গাগুলো ভাল করে দেখে নিন। চার বছরের চেয়ে বেশি বয়সের বাচ্চারা বাইরে খেলার সময় বেশি ব্যথা পায়। তারা পড়ে গিয়ে বা হয়তো সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পায়। সাধারণত তিন থেকে সাত বছরের বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা হল রাস্তায় গাড়িঘোড়ার তলায় পড়ে দুর্ঘটনা এবং জলে ডুবে যাওয়া।

খেলার মাঠ ভাল করে পরীক্ষা করে দেখুন যে সেই মাঠে খেলাধুলোর জিনিসগুলো ভাল অবস্থায় আছে কি না যাতে আপনার বাচ্চা সেগুলোতে খেলার সময় ব্যথা না পায়। দোলনা, মাংকি বার বা এইধরনের খেলার সরঞ্জামগুলোর নিচে কি বালি বা নরম কোন জিনিস রাখা আছে যাতে বাচ্চারা পড়ে গেলেও ব্যথা না পায়?

আপনার বাড়ির কাছে কি কোন পুকুর বা খাল আছে? এক বা দুই বছরের বাচ্চাদের ডুবে যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার জলই যথেষ্ট। শিশু মনোবিজ্ঞানী বেকস্ট্রেম বলেন, “ছোট বাচ্চারা যখন পুকুরের মধ্যে উবুর হয়ে পড়ে তখন তারা বুঝতে পারে না যে কোন্‌টা উপরের দিক আর কোন্‌টা নিচের দিক। তাই তারা জল থেকে উঠতে পারে না।”

তাই সবচেয়ে জরুরি নিয়ম হল এই যে: বড়দের ছাড়া এক থেকে তিন বছরের বাচ্চাদেরকে কখনও একা বাইরে খেলতে যেতে দেবেন না। যদি আপনার বাড়ির আশেপাশে কোন পুকুর থাকে, তাহলে ছেলেমেয়েরা বড় না হওয়া পর্যন্ত খেলার জন্য একা একা ছেড়ে দেবেন না।

রাস্তায়

আপনার বাড়ির আশেপাশের রাস্তায় যদি গাড়িঘোড়া চলাচল করে তাহলেও আপনাকে এই কথাগুলো মেনে চলতে হবে। বেকস্ট্রেম বলেন, “যে সব বাচ্চারা স্কুলে যায় না বা সবে স্কুলে যেতে শুরু করেছে তাদেরকে কোনকিছু স্পষ্ট করে না বললে তারা তা বুঝতে পারে না এবং একবারে শুধু একটা বিষয়েই মন দিতে পারে। কিন্তু রাস্তায় গাড়ির জন্য দেওয়া সংকেতগুলো প্রায়ই বোঝা যায় না এবং দুরকম অর্থ দিতে পারে।” আপনার বাচ্চা যতদিন না স্কুলে যাওয়ার বয়স হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত একা একা রাস্তা পার হতে দেবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেন ১২ বছর বয়স না হলে বাচ্চারা ভীড় রাস্তায় একা একা সাইকেল চালাতে পারার মতো বড় হয় না।

সাইকেল চালানো, ঘোড়ায় চড়া, স্কেটিং অথবা স্লেজ গাড়িতে চড়ার সময় ছেলেমেয়েদের হেলমেট পড়তে শেখান। মাথায় আঘাত পাওয়া খুবই মারাত্মক এবং এর ফলে সারাজীবনের জন্য ক্ষতি হয়ে যেতে পারে অথবা এমনকি বাচ্চা মারাও যেতে পারে! একটা শিশু ক্লিনিকে দেখা গেছে যে সাইকেল দুর্ঘটনায় শতকরা ৬০ ভাগ বাচ্চাই সাইকেল দুর্ঘটনায় মাথায় এবং মুখে ব্যথা পেয়েছে কিন্তু যারা হেলমেট ব্যবহার করেছিল তারা মাথায় ব্যথা পাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

এছাড়াও গাড়িতে করে যাতায়াত করার সময়ও লক্ষ্য রাখুন যে আপনার বাচ্চা নিরাপদ কি না। অনেক দেশে আইন আছে যে ছোট বাচ্চাদের জন্য এমন নিরাপদ আসন বানাতে হবে যাতে তাদের বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখার ব্যবস্থা থাকে। আর এতে বাচ্চাদের সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে মারা যাওয়ার হার অনেক কমে গিয়েছে। আপনি যেখানে থাকেন সেখানে যদি এইধরনের নিরাপদ আসন পাওয়া যায়, তাহলে তা ব্যবহার করুন কারণ এতে প্রাণ হারানোর সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কিন্তু দেখে নিন যে এই নিরাপদ আসন কোন স্বীকৃত কোম্পানির কি না। এছাড়াও লক্ষ্য রাখুন যে শিশুদের আসন তিন বছরের ওপরের বাচ্চাদের আসনের চেয়ে আলাদা।

আমাদের ছেলেমেয়েরা হল যিহোবার কাছে থেকে মূল্যবান উপহার তাই আমাদের সব দিক দিয়ে তাদের যত্ন নেওয়া দরকার। (গীতসংহিতা ১২৭:৪) সব বাবামায়ের মতো কার্ল এরিক এবং বিরগিটা তাদের বাচ্চাদের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য চিন্তা করেন। আর তাদের এই চিন্তা শুরু থেকেই আছে, হান্নার ওই ঘটনার আগে এবং পরেও। কার্ল এরিক স্বীকার করেন, “কিন্তু ওই ঘটনার পর আমরা অবশ্যই আরও বেশি সতর্ক হয়ে গিয়েছি।” বিরগিটা এই বলে শেষ করেন যে “এখন আমাদের নাতি-নাতনি আছে তাই আমরা সবসময় আমাদের ওষুধপত্রগুলো নিরাপদ জায়গায় রাখি।”

[২২ পৃষ্ঠার বাক্স]

আপনার ঘরের সুরক্ষা

• ওষুধপত্র: বাচ্চাদের হাতের নাগালের বাইরে আলমারির মধ্যে তালা দিয়ে রাখুন। সাধারণ ওষুধপত্র যেমন ভিটামিন ট্যাবলেটও তাদের নাগালের বাইরে রাখুন। এছাড়াও আত্মীয়েরা বেড়াতে এসে যদি রাতে বাসায় থাকেন, তবে তাদেরকে বলুন যে তারা যেন তাদের ওষুধ বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখেন।

• ঘরে যে সব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়: এগুলোও শিশুদের নাগালের বাইরে তালা মেরে রাখুন। সেগুলোকে তাদের আসল পাত্রে রাখুন যেন বাচ্চারা সহজেই চিনতে পারে। সেগুলো সাবধানে ব্যবহার করুন এবং এমনকি আপনি যদি এক মুহূর্তের জন্যও ঘর থেকে বের হন, তাহলেও সেগুলোকে সবসময় তাদের জায়গায় রেখে দিন। বেসিনের মধ্যে গুড়ো সাবানের বাকি অংশ ফেলে রেখে আসবেন না।

• স্টোভ: স্টোভের ওপর কড়াইয়ের হাতল সবসময় ভেতরের দিক করে রাখুন। বাজারে পাওয়া গেলে একটা কড়াই গার্ড কিনে লাগিয়ে নিন। স্টোভের চারিদিকেও একটা গার্ড লাগিয়ে নিন যাতে বাচ্চা স্টোভের নাগাল না পায়। ক্যাবিনেটওয়ালা ওভেন তালা দিয়ে রাখা দরকার। ওভেনের দরজায় হাত দিলেই কি বাচ্চার হাত পুড়ে যেতে পারে? তাহলে একটা জালি বা গ্রিল লাগান যাতে বাচ্চা গরম দরজা ধরতে না পারে।

• ঘরের বিভিন্ন বিপদজনক জিনিসপত্র: ছুড়ি, কাঁচি এবং বিপদজনক যন্ত্রপাতিগুলো আলমারি, তালা দেওয়া ড্রয়ার বা যেখান থেকে বাচ্চারা টেনে বের করতে পারবে না এমন জায়গায় অথবা বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। আপনি যখন এইধরনের সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করবেন এবং অল্প সময়ের জন্য আশেপাশে রাখবেন তখন সেগুলোকে টেবিলের ধার থেকে দূরে রাখুন বা টেবিলের মাঝখানে রাখুন যেন বাচ্চারা সেগুলো ধরতে না পারে। দেয়াশলাই এবং পলিথিন ব্যাগও ছোট বাচ্চাদের জন্য বিপদজনক।

• সিঁড়ি: সিঁড়ির দুপাশেই কমপক্ষে ৭০-৭৫ সেন্টিমিটার উঁচু রেলিং দিন।

• জানালা এবং বারান্দার দরজা: এগুলোতে এমন ধরনের ছিটকিনি লাগান যাতে বাচ্চারা সেগুলো খুলতে না পারে অথবা বারান্দার দরজার ওপরে শেকল লাগান যাতে বাচ্চারা তার নাগাল না পায় আর দরজা খুলে বাইরে যেতে না পারে।

• বইয়ের শেলফ: যদি আপনার বাচ্চার কিছু বেয়ে ওপরে ওঠা বা কিছু ধরে ঝোলার স্বভাব থাকে, তাহলে বইয়ের শেলফ এবং লম্বা আসবাবপত্রগুলোকে দেওয়ালের গায়ে লাগিয়ে রাখুন যাতে সেগুলো বাচ্চার গায়ে না পড়ে।

• বৈদ্যুতিক সকেট এবং তার: যে সকেট ব্যবহার করা হচ্ছে না সেগুলোকে বন্ধ করে রাখা দরকার। টেবিল ল্যাম্প এবং এরকম অন্য জিনিসের তার দেয়াল অথবা আসবাবপত্রের সঙ্গে লাগিয়ে রাখা উচিত যেন বাচ্চারা ল্যাম্পের তার টানতে না পারে এবং সেটা গায়ে জড়িয়ে না ফেলে। নতুবা এইধরনের ল্যাম্প নাগালের বাইরে রাখুন। বৈদ্যুতিক ইস্ত্রির প্লাগ কখনও বোর্ডে লাগিয়ে রাখবেন না এবং এর তার নিচে ঝুলিয়ে রাখবেন না।

• গরম জল: যদি আপনার গরম জলের তাপমাত্রা কমানো বাড়ানোর ব্যবস্থা থাকে, তাহলে তা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা উচিত আর তাহলে বাচ্চারা কল খুলে ফেললেও তাদের হাত পুড়ে যাবে না।

• খেলনা: ভেঙে যাওয়া খেলনার ধারালো কোণা, ছোট ছোট খেলনা অথবা যেসব খেলনা ছোট ছোট টুকরো হয়ে যেতে পারে সেগুলোকে ফেলে দিন কারণ বাচ্চারা সেগুলো মুখে দিলে তা তাদের গলায় আটকে যেতে পারে। খেলনা ভল্লুক ও অন্য খেলনার চোখ এবং নাক শক্ত করে লাগানো আছে কি না তা দেখে নেওয়া উচিত। বড় ভাইবোনদের শিখিয়ে দিন যে যখন ছোট বাচ্চারা মেঝের মধ্যে খেলতে থাকে তখন তারা যেন তাদের ছোট খেলনাগুলো সরিয়ে রাখে।

• চকলেট এবং স্ন্যাকস: বাদাম বা চকলেট বাচ্চার নাগালের মধ্যে রাখা উচিত নয়। সেগুলো বাচ্চাদের গলায় আটকে যেতে পারে।

[সজন্যে]

উৎস: চিলড্রেন ওমবাডস্‌ম্যানের অফিস

[২২ পৃষ্ঠার বাক্স]

দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কী করবেন

• বিষ: বাচ্চারা যদি বিষ অথবা কোন বিপদজনক ওষুধ খেয়ে ফেলে, তাহলে জল দিয়ে তার মুখ ভালভাবে ধুইয়ে দিন এবং তাকে এক বা দুই গ্লাস জল অথবা দুধ খেতে দিন। তারপর কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান অথবা এমন কোন কেন্দ্রে নিয়ে যান যেখান থেকে বিষ সম্বন্ধে পরামর্শ পাবেন। বাচ্চাদের চোখে যদি কোন ক্ষার জাতীয় বস্তু ঢুকে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে অন্তত দশ মিনিট ধরে জল দিয়ে চোখ ধুইয়ে দিন।

• পুড়ে যাওয়া: যদি অল্পই পুড়ে যায় তাহলে কমপক্ষে ২০ মিনিট সেই পোড়া জায়গায় জল (খুব বেশি ঠান্ডা নয়) ঢালুন। ক্ষত যদি শিশুদের হাতের তালুর চেয়ে বড় হয় অথবা তাদের মুখ, গ্রন্থি, তলপেট বা যৌনাঙ্গ পুড়ে যায়, তাহলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। চামড়ায় গভীর ক্ষত হলে সবসময় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

• শ্বাসরোধ: শিশুদের শ্বাস-নালীতে যদি কোন কিছু আটকে যায়, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটাকে বের করে ফেলতে হবে। এর জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হল পিঠে জোরে জোরে মারা যাতে গলায় আটকে যাওয়া বস্তু বাইরে বেরিয়ে আসে। যদি আপনি এই পদ্ধতি সম্বন্ধে না জানেন তাহলে জানার জন্য ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা শিশু-দুর্ঘটনা বা তাৎক্ষণিক সাহায্য কেন্দ্র যেখানে এই পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয় সেখানে যান।

[সজন্যে]

উৎস: সুইডেনের রেড ক্রস

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

সাইকেল চালানোর সময় হেলমেট পরুন

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

গাড়ির আসনে সুরক্ষিত

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার