ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৯ ১০/৮ পৃষ্ঠা ১৮-১৯
  • জীবন সাথিকে বেছে নেওয়া

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন সাথিকে বেছে নেওয়া
  • ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • শুধু বাইরের চেহারাই দেখবেন না
  • ‘কেবল প্রভুতেই বিয়ে করা’
  • বাবামায়ের ঠিক করা বিয়ে
  • আপনার বিবাহের এক উত্তমভিত্তি স্থাপন করা
    আপনার পারিবারিক জীবন সুখী করা
  • জীবনসাথি বাছাই করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের নির্দেশনা
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বিয়ে—প্রেমময় ঈশ্বরের কাছ থেকে এক উপহার
    “ঈশ্বরের প্রেমে আপনাদিগকে রক্ষা কর”
  • আজকের জগতে বিবাহ সফল হতে পারে
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৯ সচেতন থাক!
g৯৯ ১০/৮ পৃষ্ঠা ১৮-১৯

বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি

জীবন সাথিকে বেছে নেওয়া

একজন অবিবাহিত মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “তুমি কি কখনও বিয়ের কথা চিন্তা করেছ?” “চিন্তা করা?” সে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়েছিল। “আমি তো রীতিমতো দুশ্চিন্তা করি।”

এই মেয়ের এইরকম স্পষ্ট ভাষায় বলা অল্প কথাই কিছু লোক ভালবাসা ও সাথি পাওয়ার জন্য কতখানি আকাঙ্ক্ষী সে বিষয়ে অনেক কিছু বলে দেয়। অনেকেই জীবন সাথি বেছে নেওয়াকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন। আর সেইজন্য সারা পৃথিবীতে সেইসমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে যেগুলো পাত্র-পাত্রী খুঁজে পেতে সাহায্য করে। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশেই বিয়ে সফল হওয়ার চেয়ে বিফলই বেশি হয়।

পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে লোকেরা সাধারণত নিজেরাই নিজেদের জীবন সাথি বেছে নেয়। অন্যদিকে এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু দেশে বাবামায়েরাই দেখেশুনে বিয়ে ঠিক করেন। দুটো ক্ষেত্রেই সাথি বেছে নেওয়ার ব্যাপারটাকে কখনও হালকা করে দেখা উচিত নয়। কারণ এই সিদ্ধান্তই ভবিষ্যতে একজনের জীবনকে সুখের করবে অথবা দুঃখে ভরিয়ে দেবে। ভালবাসায় ভরা বিয়ে সবচেয়ে বেশি আনন্দ ও তৃপ্তি দিতে পারে। অন্যদিকে দুজনের মধ্যে মনমালিন্য, ঝগড়াঝাঁটি শুধু ব্যথা এবং চাপই নিয়ে আসে।—হিতোপদেশ ২১:১৯; ২৬:২১.

অন্যদের মতো সত্য খ্রীষ্টানেরা চান যেন তাদের বিবাহ বন্ধন আনন্দ এবং পরিতৃপ্তি নিয়ে আসে। কিন্তু তারা ঈশ্বরকেও খুশি এবং সম্মান করতে চান। (কলসীয় ৩:২৩) যিহোবাই বিয়ের উদ্যোক্তা আর তিনি খুব ভাল করে জানেন যে আমাদের আসল প্রয়োজনগুলো কী এবং আমাদের জন্য সবচেয়ে ভাল কোন্‌টা। (আদিপুস্তক ২:২২-২৪; যিশাইয় ৪৮:১৭-১৯) এছাড়াও মানুষকে সৃষ্টি করার পর হাজার হাজার বছর ধরে তিনি মানুষের সফল ও বিফল দুরকম বিয়েই দেখে আসছেন। তিনি জানেন যে কী আমাদের বিয়েকে সফল করতে পারে আর কী পারে না। (গীতসংহিতা ৩২:৮) তিনি তাঁর বাক্য বাইবেলের মাধ্যমে স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট করে বিভিন্ন নীতিগুলো দিয়েছেন যা যে কোন খ্রীষ্টানকেই বুঝেশুনে তার সাথি বেছে নিতে সাহায্য করতে পারে। এই নীতিগুলোর কয়েকটা কী?

শুধু বাইরের চেহারাই দেখবেন না

যে সব জায়গায় লোকেরা নিজেই নিজের জীবন সাথিকে বেছে নেন তারা হয়তো তাদের সম্ভাব্য সাথিকে হঠাৎই কোথাও দেখেন অথবা বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে পরিচিত হন। প্রায়ই বাইরের চেহারা দেখেই একজন ব্যক্তি প্রেমে পড়ে যান। যদিও বাইরের চেহারা দেখে ভাল লেগে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক কিন্তু বাইবেল আমাদেরকে উৎসাহ দেয় যে যখন আমরা আমাদের জীবন সাথিকে বেছে নেই তখন শুধু বাইরের চেহারা দেখাই যথেষ্ট নয়।

হিতোপদেশ ৩১:৩০ পদ বলে “লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন, তিনিই প্রশংসনীয়া।” প্রেরিত পৌল বলেছেন “মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।” (১ পিতর ৩:৪) হ্যাঁ, আপনার ভাবী সাথির দৈহিক সৌন্দর্য্যের চেয়ে বরং তার আধ্যাত্মিক গুণ অর্থাৎ ঈশ্বরের প্রতি তার ভক্তি, প্রেম এবং তার খ্রীষ্টীয় ব্যক্তিত্ব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় নিয়ে দেখেশুনে এমন একজন সাথিকে বেছে নেওয়া জরুরি, যার আধ্যাত্মিক লক্ষ্য আপনারই মতো এবং যিনি আত্মার ফল দেখানোর জন্য চেষ্টা করেন। তাহলে আপনার বিবাহিত জীবন আরও সুখের হয়ে উঠবে।—হিতোপদেশ ১৯:২; গালাতীয় ৫:২২, ২৩.

‘কেবল প্রভুতেই বিয়ে করা’

আপনি যাকে বিয়ে করার কথা ভাবছেন তার ও আপনার লক্ষ্য এবং বিশ্বাস এক হওয়া খুবই জরুরি। বিয়ে একটা বড় পরীক্ষা যেখানে দুপক্ষকেই তাদের আচরণ এবং স্বভাবকে মানিয়ে নিতে হয়। এই জন্য আপনাদের দুজনের লক্ষ্য ও স্বভাব যত বেশি একরকম হবে আপনাদের জন্য মানিয়ে নেওয়া তত সহজ হবে।

এটা আমাদের দেখতে সাহায্য করে যে কেন প্রেরিত পৌল খ্রীষ্টানদেরকে “অসমভাবে যোঁয়ালিতে বদ্ধ” হওয়াকে এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। (২ করিন্থীয় ৬:১৪) পৌল জানতেন যে একই বিশ্বাসে বিশ্বাসী নন এবং বাইবেলের নীতিকে জানেন না এমন কাউকে বিয়ে করলে বিরোধ এবং মতভেদ হতে পারে। তাই ‘কেবল প্রভুতেই বিয়ে করার’ পরামর্শ ঠিক। (১ করিন্থীয় ৭:৩৯) আর ঈশ্বরও তাই চান। যারা বুদ্ধিপূর্বক এটাকে মেনে চলেন তারা ভবিষ্যতে অনেক গুরুতর জটিলতা এবং সমস্যা এড়াতে পারবেন।—হিতোপদেশ ২:১, ৯.

বাবামায়ের ঠিক করা বিয়ে

যে বিয়েগুলো বাবামায়েরা ঠিক করেন সেগুলো সম্বন্ধে কী বলা যায়? উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কেউ কেউ হিসাব করে দেখেছেন যে দক্ষিণ ভারতের সব বিয়ের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ বিয়েই বাবামায়েরা ঠিক করেন। খ্রীষ্টান বাবামায়েরা এই রীতি মানবেন কী মানবেন না এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যাই হোক না কেন, যদি আধ্যাত্মিক বিষয়কে প্রাধ্যন্য দেওয়া হয়, তাহলে এইধরনের বিয়েগুলোও সফল হবে।

যারা বাবামায়ের ঠিক করা বিয়েকে মেনে নেন তারা মনে করেন যে তারা তাদের সিদ্ধান্ত একজন অভিজ্ঞ এবং পরিপক্ব ব্যক্তির হাতে দিয়েছেন। আফ্রিকার একজন খ্রীষ্টান প্রাচীন বলেন, “কোন কোন বাবামায়েরা মনে করেন যে তাদের ছেলেমেয়েরা এখনও ছোট এবং জীবন সম্বন্ধে খুব বেশি জানে না তাই তাদের ভাবী সাথির আধ্যাত্মিক পরিপক্বতা কতখানি তা বিচার করার ভার তাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় না।” এছাড়াও ভারতের একজন ভ্রমণ অধ্যক্ষ বলেছিলেন যে “যুবক-যুবতীরা জীবন সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ আর তাই তারা আবেগের বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারে।” যেহেতু অন্য কারও চেয়ে বাবামায়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্বভাব সম্বন্ধে সবচেয়ে ভাল জানেন তাই তারা মনে করেন যে তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য তারাই সবচেয়ে ভাল সাথি বেছে দিতে পারেন। এছাড়াও তারা একজন ছেলে এবং মেয়ের কাছ থেকে তাদের পছন্দ অপছন্দের কথা জিজ্ঞেস করলেও ভাল করবেন।

কিন্তু যখন বাবামায়েরা বাইবেলের নীতিগুলোকে উপেক্ষা করেন এবং তার ফলে বিয়ের পরে সমস্যা আসে তখন তাদেরকে এর ফল ভোগ করতে হয়। আর যেহেতু বিয়ের আগে বিবাহ সাথিরা একে অন্যকে জানার সুযোগ পায় না তাই সমস্যা দেখা দেয়। ভারতের একজন খ্রীষ্টান বাবা বলেন, যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন “খুব সহজেই তারা বাবামার ওপর দোষ চাপায়।”

খ্রীষ্টান বাবামায়েরা যখন বিয়ে ঠিক করে থাকেন তখন তারা ভেবে দেখবেন যে এই বিয়ের পিছনে তাদের উদ্দশ্য কী। যদি টাকা-পয়সা পাওয়া বা উঁচু পদ পাওয়ার লোভ মনে রেখে বিবাহ সাথি বেছে নেওয়া হয় তখন সমস্যা দেখা দেয়। (১ তীমথিয় ৬:৯) তাই যারা অন্যের বিয়ে ঠিক করেন তাদের নিজেদেরকে জিজ্ঞেস করা উচিত: ‘ছেলে ও মেয়েকে কি এই উদ্দেশ্য বেছে নেওয়া হচ্ছে যে তারা সুখী হবে ও আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ থাকবে? অথবা এটা কি পারিবারিক মর্যাদা অথবা সম্পদকে আরও বাড়ানোর জন্য বা কিছু আর্থিক লাভের জন্য করা হচ্ছে?’—হিতোপদেশ ২০:২১.

বাইবেলের পরামর্শ স্পষ্ট এবং উপকারী। জীবন সাথি বেছে নেওয়ার সময়, তা সে যেভাবেই হোক না কেন, তখন সম্ভাব্য সাথির গুণ ও আধ্যাত্মিক অবস্থা প্রথমে দেখা উচিত। আর যখন তা করা হয় তখন বিবাহের উদ্যোক্তা সম্মানিত হন এবং সেই বিয়েগুলো আধ্যাত্মিক ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠে। (মথি ৭:২৪, ২৫) আর এটা বিবাহ বন্ধনকে সুখে ভরিয়ে দেবে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার