যখন প্রথার সাথ সত্যের মতবিরোধ ঘটে
বিপদ—পান করার জন্য জল উপযুক্ত নয়। আমরা হয়ত এইধরনের সতর্কবাণী দেখে থাকতে পারি। বহু এলাকায় তারা কী পান করে সেই সম্বন্ধে লোকেরা সতর্ক থাকে কারণ তারা জানে যে কিছু জল সরবরাহিত হয় বিষাক্ত হয়ে যেটিকে বলা হয় বিষজনিত সংক্রমণের “বিষময় মিশ্রণ।” আর এই দূষণের ফল হিসাবে, একটি গবেষণা বলে, “জীবনের পুষ্টক ও রক্ষক” হওয়ার পরিবর্তে জল “রোগজীবাণু ও . . . রাসায়নিক কলুষিতকরণের প্রেরক মাধ্যম” হতে পারে।—জল দূষণ (ইংরাজি)।
সত্যের জলকে দূষিত করা
সত্যের সাথে মতবিরোধ ঘটায় এমন প্রথাগুলি সরবরাহিত দূষিত জলের মত। আমরা হয়ত অজ্ঞানতাবশত প্রথাগুলিকে ধরে রাখি—তথ্য, মতামত, বিশ্বাস অথবা রীতিনীতিগুলি যা বংশ পরম্পরায় সমর্পিত হয়েছে—বাস্তবে, যেগুলি মিথ্যা, ভ্রান্ত ধারণা এবং দর্শনের “বিষময় মিশ্রণ” দ্বারা দূষিত। ঠিক দূষিত জলের মত, এগুলি অকথিত ক্ষতির—আধ্যাত্মিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এমনকি যদি আমরা মনে করি যে আমাদের প্রথাগত ধর্মীয় বিশ্বাসগুলি বাইবেল ভিত্তিক, তবুও আমাদের সকলের মনোযোগ সহকারে সেগুলিকে পরীক্ষা করার জন্য সময় করে নেওয়া উচিত। স্মরণ করুন, যখন মার্টিন লুথার তার দিনের প্রথাগত বিশ্বাসকে ধরে রেখেছিলেন এবং কোপারনিকাসের নিন্দা করেছিলেন, তখনও তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে তার প্রতি বাইবেলের সমর্থন আছে। কিন্তু লুথার, প্রাচীন বিরয়াবাসীদের উত্তম উদাহরণকে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যারা ‘এ সকল বাস্তবিকই এইরূপ কি না, তা জানবার জন্য মনোযোগসহকারে শাস্ত্র পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে মহানুভব ছিল।’—প্রেরিত ১৭:১০, ১১.
সেই প্রথাগত বিশ্বাসগুলি যা যীশুর দিনের কিছু যিহূদীদের ক্ষতির কারণ হয়েছিল তা বিবেচনা করুন। ঐকান্তিকভাবে তারা বিশ্বাস করত যে তাদের প্রথাগুলি ছিল সত্য। যীশুর শিষ্যেরা প্রথা মেনে চলেনি বলে যখন তারা প্রতিবাদ করেছিল, তখন এই প্রশ্নটির দ্বারা যীশু তাদের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন: “তোমরাও আপনাদের পরম্পরাগত বিধির জন্য ঈশ্বরের আজ্ঞা লঙ্ঘন কর কেন?” (মথি ১৫:১-৩) কী ভুল ছিল? যীশু সমস্যাটিকে শনাক্ত করেছিলেন যখন তিনি ভাববাদী যিশাইয়ের কথাগুলি উদ্ধৃত করেন: “ইহারা অনর্থক [ঈশ্বরের] আরাধনা করে, মনুষ্যদের আদেশ ধর্ম্মসূত্র বলিয়া শিক্ষা দয়।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)—মথি ১৫:৯; যিশাইয় ২৯:১৩.
হ্যাঁ, সত্য যার উৎস ঈশ্বর, সেটির জায়গায় তারা মানুষের ধরণাগুলি অথবা, যেগুলির উৎস ছিল মন্দ দূত যা আরও মন্দতর, সেগুলিকে স্থাপন করেছিল। উদাহরণস্বরূপ, শাস্ত্রের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি (ইংরাজি), খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৫০৬, ব্যাখ্যা করে: “সেই সময়ে ফরীশীরা শিক্ষা দিত যে একবার একজন ব্যক্তি তার সম্পত্তি ‘কোরবানি’ হতে অথবা ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গীকৃত দান রূপে ঘোষণা করলে সে সেগুলিকে তার পিতামাতার প্রয়োজনাদি মিটাতে ব্যবহার করতে পারত না, যতই তাদের প্রয়োজন থাকুক না কেন, কিন্তু সে নিজে তার আপন মৃত্যু পর্যন্ত এইধরনের সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারত যদি সে তা করতে চাইত।” মনুষ্যের প্রজ্ঞা যা সত্যের জলকে দূষিত করেছিল তা আধ্যাত্মিকভাবে যিহূদীদের উপর মন্দ প্রভাব ফেলেছিল। এমনকি অধিকাংশ তাদের দীর্ঘ-প্রত্যাশিত মশীহকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
খ্রীষ্টীয়জগৎ দূষণ বাড়িয়ে তালে
যীশুর মৃত্যুর পর একই ধরনের আধ্যাত্মিক ক্ষতিসাধন হয়েছিল। অনেকে যারা তাঁর অনুগামী বলে দাবি করেছিল তারা নতুন শিক্ষাগুলির কর্তৃত্ব হিসাবে মৌখিক প্রথাকে স্থাপন করেছিল। ম্যাক্লিন্টক এবং স্ট্রং এর সাইক্লোপিডিয়া অফ বিবলিক্যাল, থিয়োলজিক্যাল, অ্যান্ড ইকলিসিয়াসটিক্যাল লিটারেচার অনুসারে কিছু নামধারী খ্রীষ্টানেরা মনে করেছিলেন যে এইধরনের প্রথা ছিল “প্রেরিতদের মুখ থেকেই পাওয়া নির্দেশ যা প্রথম খ্রীষ্টীয় গির্জাগুলির দ্বারা, প্রেরিতদের যুগ থেকে হস্তান্তরিত হয়েছিল এবং তা তাদর নিজেদের দিন পর্যন্ত শুদ্ধতায় সংরক্ষিত হয়েছিল।”—বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।
বাস্তবে এই প্রথাগুলির অনেকটাই ছিল অপবিত্র, ভুল ধারণা। যেমন সাইক্লোপিডিয়া ব্যাখ্যা করে, এই নতুন দর্শনগুলি যে “কেবলমাত্র অন্যান্য প্রথাগুলির সাথে বৈসাদৃশ্য ছিল তা নয়, কিন্তু প্রেরিতদের লেখাগুলির সাথেও ছিল যেগুলি তাদের কাছে ছিল।” এটি যে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল তা নয়। কারণ প্রেরিত পৌল খ্রীষ্টানদের সাবধান করে দিয়েছিলেন: “দেখিও, দর্শনবিদ্যা ও অনর্থক প্রতারণার দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে বন্দি করিয়া লইয়া না যায়; তাহা মনুষ্যদের পরম্পরাগত শিক্ষার অনুরূপ, জগতের অক্ষরমালার [“প্রথার,” NW] অনুরূপ, খ্রীষ্টের অনুরূপ নয়।”—কলসীয় ২:৮.
আজকের দিনেও, বহু প্রথাগত বিশ্বাস ‘প্রেরিতদের লেখাগুলির সাথে বৈসাদৃশ্য।’ খ্রীষ্টীয়জগৎ অসংখ্য মন্দ দূত-অনুপ্রাণিত মতবাদগুলির যেমন ত্রিত্ব, নরকাগ্নি, মানব প্রাণের অমরত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং প্রতিমাপূজার দ্বারা সত্যের জলকে বিষাক্ত করেছে।a (১ তীমথিয় ৪:১-৩) ইতিহাস এই আধ্যাত্মিক অসুস্থতার সাক্ষ্য দেয় যা লোকেদের আক্রান্ত করেছে, যারা মন্দ দূতেদের শিক্ষাগুলির দ্বারা যেটি খ্রীষ্টীয়জগতের প্রথাগত শিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে প্রমত্ত হয়েছে।—তুলনা করুন যিশাইয় ১:৪-৭.
বস্তুত, সত্যের এইধরনের দূষিতকরণ মানুষের সূত্রপাত হওয়ার সময় থেকে চলে এসেছে। যে মিথ্যা ও প্রবঞ্চনা দিয়ে শয়তান এদনে লোকেদের মন বিষাক্ত করা শুরু করেছিল সেই পদ্ধতি সে চালিয়ে যাচ্ছে। (যোহন ৮:৪৪; ২ করিন্থীয় ১১:৩) নোহের দিনের জলপ্লাবনের পর সমগ্র পৃথিবীতে মানব পরিবার যেমন ছড়িয়ে পড়ে, তেমনি সমস্ত সংস্কৃতির লোকেরা মন্দ দূত অনুপ্রাণিত দর্শনবাদ ও ধারণার দ্বারা মানুষের বিষাক্ত জ্ঞানের ভাণ্ডারের দ্বারা স্বেচ্ছায় আক্রান্ত হয়।
আধ্যাত্মিক দূষণের প্রভাবগুলি
এইধরনের আধ্যাত্মিক দূষণ কী ক্ষতি করতে পারে? দূষিত জল আমাদের দৈহিক স্বাস্হ্যের উপর যে প্রভাব আনে তার সাথে আমরা এটিকে তুলনা করতে পারি। একজন কর্তৃপক্ষ বলেন: “প্রায় ২০ কোটি লোক শিস্টসোমাসিসের (বিলহারজিয়া) দ্বারা আক্রান্ত [স্নেল ফিভার, যেটি রক্তশূন্যতা, অস্বস্তি, সাধারণ শারীরিক অসুস্থতার এবং এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে], তা চামড়ার উপর দূষিত জলের কারণে হয়ে থাকে। পঞ্চাশ কোটি লোকেদের ট্র্যাকোমা আছে, যা অন্ধ হওয়ার একটি প্রধান কারণ, যেটি স্নান করার জল নোংরা হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। . . . মনুষ্য প্রজাতির প্রায় ২০০ কোটি সদস্য বিশুদ্ধ পানীয় জল পায় না।” (আমাদর দশ, আমাদর গ্রহ) (ইংরাজি) মিথ্যা, মন্দ দূতেদের শিক্ষাগুলির দূষিত প্রথাগুলিকে অনুসরণ করার দরুন কোটি কোটি লোকেরা আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল, অন্ধ এবং এমনকি হত হয়েছে।—১ করিন্থীয় ১০:২০, ২১; ২ করিন্থীয় ৪:৩, ৪.
উদাহরণস্বরূপ, অনেকেই যীশু খ্রীষ্ট ও তাঁর পিতা, যিহোবা ঈশ্বরের মধ্যে সম্পর্ক সম্বন্ধে বিভ্রান্ত অথবা অন্ধ। কিছুজনের কাছে যারা খ্রীষ্টান বলে দাবি করে, খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্র থেকে ঈশ্বরের পবিত্র নাম যিহোবা তুলে দেওয়া একটি রীতি হয়ে দাঁড়ায়। জার্নাল অফ বিব্লিক্যাল লিটারেচার-এ জজ্ হোয়ার্ড বলেন: “আমাদের মতে, টেট্রাগ্রাম[মটন] এর এই অপসারণ, ‘প্রভু ঈশ্বর’ ও ‘প্রভু খ্রীষ্ট’ এর মধ্যে সম্পর্ক সম্বন্ধে প্রাথমিক পরজাতীয় খ্রীষ্টানদের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিল।”
এছাড়া মানুষের প্রাণ অমর, এই অশাস্ত্রীয় রীতির দ্বারা সৃষ্ট বিভ্রান্তি, কুসংস্কার ও ভয়ের বিষয়টিও চিন্তা করুন। (তুলনা করুন উপদেশক ৯:৫; যিহিষ্কেল ১৮:৪.) কত জন পূর্বপুরুষদের উপাসনার বন্ধনে আবদ্ধ অথবা মৃত ব্যক্তিরা পুনরায় ফিরে এসে তাদের ক্ষতি করবে এইধরনের ক্রমাগত ভয় নিয়ে বেঁচে থাকে? এই বিশ্বাস এমনকি লোকেদের উৎসাহিত করেছে তাদের নিজেদের এবং অন্যদের হত্যা করতে।
বহু জাপানীরা মনে করে যে মৃত্যুতে তাদের পরিত্যাক্ত আত্মা নাগালের বাইরে কোন এক জগতে মিলিত হবে। সেইজন্য, কিছু পিতামাতারা যারা আত্মহত্যা করে, তারা মনে করে তাদের সন্তানদেরও মেরে ফেলা সবচেয়ে উত্তম। অ্যান ইংলিস ডিকসনারি অফ জাপানীজ ওয়েজ অফ থিঙ্কিং ব্যাখ্যা করে: “জাপানে আত্মহত্যাকে সবসময়ে নিন্দা করা হয় না, বরঞ্চ এটিকে প্রায়ই একজনের মারাত্মক ভুলের জন্য ওজর দেখানোর একটি গ্রহণযোগ্য উপায় হিসাবে দেখা হয় . . . এমনকি পারিবারিক আত্মহত্যাগুলিকে সম্ভবত সহানুভূতিজনক বাক্যগুলি দিয়ে বর্ণনা করা হয়।”
প্রথাগুলিকে পরীক্ষা করুন
অন্ধভাবে প্রথাগত বিশ্বাস ও রীতিনীতিগুলিকে অনুসরণ করার মধ্যে যে বিপদগুলি আছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের কী করা উচিত? প্রথম শতাব্দীর শেষের দিকে, প্রেরিত যোহন তার সহখ্রীষ্টানদের উদ্দেশ্যে এই উপদেশটি দেন: “প্রিয়তমেরা, তোমরা সকল আত্মাকে বিশ্বাস করিও না, বরং আত্মা সকলের পরীক্ষা করিয়া দেখ [ঠিক যেমন বিশুদ্ধ কি না তার জন্য আপনি জল পরীক্ষা করবেন] তাহারা ঈশ্বর হইতে কি না; কারণ অনেক ভাক্ত ভাববাদী জগতে বাহির হইয়াছে।” (১ যোহন ৪:১; এছাড়াও দেখুন ১ থিষলনীকীয় ৫:২১.) কিভাবে আপনি জানবেন কোন্ প্রথা ক্ষতিকর? আপনি যা বিশ্বাস করেন তা পরীক্ষা করার জন্য আপনার একধরনের কর্তৃত্বের, বিশুদ্ধতার কিছু মানের প্রয়োজন।
বাইবেল হল এইধরনের এক কর্তৃত্ব। যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন: “তাহাদিগকে সত্যে পবিত্র কর; তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ।” (যোহন ১৭:১৭) তিনি এও বলেছিলেন: “এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে।” (যোহন ৪:২৩) ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য ব্যবহার করার দ্বারা, মানুষের ও মন্দ দূতেদের দর্শনবাদের দূষিত জলের পরিবর্তে আপনি সত্যের বিশুদ্ধ জল পেতে পারেন।—যোহন ৮:৩১, ৩২; ২ তীমথিয় ৩:১৬.
মনে রাখবেন, এমনকি খুব সামান্য পরিমাণ দূষণেরও শোচনীয় পরিণাম হতে পারে। কখনও কখনও, এর ফলাফল প্রকাশ হতে কয়েক বছর সময় নেয়। “নোংরা জল,” বলেন বিশ্ব সংরক্ষণ পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শ্রীদাথ রামফল, “জগতের সবচেয়ে বিপদজনক হত্যাকারীতে পরিণত হয়েছে। অন্ততপক্ষে পঁচিশ হাজার লোক প্রতিদিন এই নোংরা জল ব্যবহারের ফলে মারা যায়।” আধ্যাত্মিকভাবে দূষিত প্রথাগুলি এমনকি আরও বেশি বিপদজনক।
যদি প্রথাগত বিশ্বাসগুলি যা আপনি হয়ত বহু বছর ধরে মেনে এসেছেন, সত্যের সাথে সংঘাত ঘটায় বলে প্রমাণিত হয় তাহলে কি সেই বিশ্বাসগুলিকে পরিত্যাগ করার সাহস আপনার আছে? সতর্কবাণীগুলির প্রতি মনোযোগ দিন। আপনার প্রথাগুলি ঈশ্বরের বিশুদ্ধ বাক্যের সত্যের সাথে সামঞ্জস্য রাখছে কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার দ্বারা নিজেকে ও আপনার পরিবারকে রক্ষা করুন।—গীতসংহিতা ১৯:৮-১১; হিতোপদেশ ১৪:১৫; প্রেরিত ১৭:১১.
[পাদটীকাগুলো]
a বাইবেলে এইধরনের শিক্ষার কোন ভিত্তি নেই তা প্রমাণের জন্য শাস্ত্র থকে যুক্তি করা (ইংরাজি) বইটি দেখুন। এই বইটি ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত।
[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের বাক্যের সত্য বিশুদ্ধ, স্বচ্ছ নদীর জলের মত