ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ১২/১ পৃষ্ঠা ৫-৮
  • প্রকাশিত বাক্যের বার্তা—ভয়ের না সুখবর?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • প্রকাশিত বাক্যের বার্তা—ভয়ের না সুখবর?
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • প্রকাশিত বাক্য সম্বন্ধে প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের দৃষ্টিভঙ্গি
  • প্রকাশিত বাক্যের বার্তাকে কেন বাতিল করা হয়েছিল
  • “গির্জা তাদের আশার বার্তা হারিয়ে ফেলেছে”
  • প্রকাশিত বাক্যের চমৎকার আশা এখনও আছে!
  • কেন জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়?
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • প্রকাশিত বাক্যের বার্তা থেকে “সুসমাচার”
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • পৃথিবীতে অনন্তজীবন —পুনরায় উন্মোচিত এক আশা
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ১২/১ পৃষ্ঠা ৫-৮

প্রকাশিত বাক্যের বার্তা—ভয়ের না সুখবর?

“জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা আজ শুধু বাইবেলে বলা কোন ঘটনা নয় কিন্তু তা বাস্তবে ঘটবে বলেই মনে হয়।”—রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব, জেভিয়ার পেরেজ ডি কোয়েয়ার।

বিশ্বের এই বিখ্যাত নেতা, “অ্যাপোক্যালিপস্‌” শব্দের মানে এভাবেই বোঝেন যে জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে। সাধারণ লোকেরাও এই শব্দটাকে এভাবে বোঝেন। সিনেমা, বই-পত্রিকা এবং খবরের কাগজেও এইরকমই ছবি তুলে ধরা হয় যে এক ভয়াবহ ধ্বংসে জগৎ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু, “অ্যাপোক্যালিপস্‌” শব্দের আসল মানে কী? তবে এর চেয়েও জরুরি প্রশ্নটা হল, বাইবেলের যে বইয়ে অ্যাপোক্যালিপস্‌ অথবা জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা আছে তা আসলে আমাদের কোন্‌ খবর দেয়?

“অ্যাপোক্যালিপস্‌” শব্দটা এসেছে একটা গ্রিক শব্দ থেকে যার মানে হল, “উন্মোচিত করা” অথবা “প্রকাশ করা।” তাহলে, বাইবেলের প্রকাশিত বাক্যের বইয়ে কী উদ্ঘাটন বা প্রকাশ করা হয়েছে? এটা কি শুধুই এই খবর দেয় যে শেষ বিচার হবে এবং জগৎ চিরকালের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে আর কেউই তার থেকে রক্ষা পাবে না? ইন্‌স্টিটিউট ডি ফ্রান্সের একজন সদস্য, ইতিহাসবেত্তা জিন ডেলুমোকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে অ্যাপোক্যালিপস্‌ বলতে তিনি কী বোঝেন, তিনি বলেছিলেন: “এটা আমাদের সান্ত্বনা দেয় আর এতে ভবিষ্যতের জন্য আশা রয়েছে। কিন্তু লোকেরা এর ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো নিয়েই বেশি চিন্তা করে বলে তারা এর বিষয়বস্তুকে নাটকীয় করে তুলেছে।”

প্রকাশিত বাক্য সম্বন্ধে প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের দৃষ্টিভঙ্গি

প্রাথমিক “খ্রীষ্টানেরা,” প্রকাশিত বাক্যের বই এবং এতে দেওয়া পৃথিবীতে খ্রীষ্টের সহস্র বৎসর রাজত্বের (সহস্রাব্দের) ভবিষ্যদ্বাণীকে কীভাবে দেখতেন? ওই ইতিহাসবেত্তাই বলেছিলেন: “আমার মনে হয় প্রথম কয়েক শতাব্দীর সব খ্রীষ্টানই সহস্র বৎসরের শিক্ষাকে বিশ্বাস করতেন। . . . প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানেরা যারা সহস্র বৎসরের রাজত্বে বিশ্বাস করতেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন এশিয়া মাইনরের হিয়ারোপলির বিশপ প্যাপিয়াস, . . . প্যালেস্টাইনের সাধু জাস্টিন যিনি ১৬৫ সালে রোমে শহীদ হন, সাধু আইরেনিয়াস, লায়ন্সের বিশপ যিনি ২০২ সালে মারা যান, টারটুলিয়ান যিনি ২২২ সালে মারা যান এবং . . . মহান লেখক লেকট্যানশাস।”

বিশপ প্যাপিয়াস, যিনি পর্গামে সা.কা. ১৬১ অথবা ১৬৫ সালে শহীদ হন তার সম্বন্ধে দ্যা ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে: “প্যাপিয়াস সাধু যোহনের শিষ্য এবং হিয়ারোপলিসের বিশপ ছিলেন। তিনি খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের রাজত্বে বিশ্বাস করতেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি প্রেরিতদের সময়কার লোকেদের কাছ থেকে এই বিষয়ে শিখেছিলেন আর আইরেনিয়াস বলেন যে ‘প্রেসবিটারিয়ান চার্চের নির্বাহি পরিষদের’ অন্যান্য সদস্যরা, যারা শিষ্য যোহনকে দেখেছিলেন ও তার কথা শুনেছিলেন তার কাছ থেকেই প্রভুর দেওয়া শিক্ষা হিসেবে সহস্র বৎসরের রাজত্বে বিশ্বাস করতে শিখেছিলেন। ইউসেবিয়াসের মতে, . . . প্যাপিয়াস তার বইয়ে জোর দিয়ে লিখেছিলেন যে প্রথমে মৃতেরা পুনরুত্থিত হবে এবং তারপর পৃথিবীতে যীশু খ্রীষ্ট তাঁর সহস্র বৎসরের রাজত্ব করবেন।”

তাহলে প্রকাশিত বাক্যের বই সম্বন্ধে প্রাথমিক খ্রীষ্টানেরা কী বিশ্বাস করতেন? এই বই পড়ে কি তারা ভয় পেয়েছিলেন নাকি এটা তাদের কোন উজ্জ্বল আশা দিয়েছিল? আগ্রহের বিষয় হল, প্রাথমিক খ্রীষ্টানদেরকে ইতিহাসবেত্তারা কিলিয়াস্ট বলতেন, যা গ্রিক খিলিয়ায়েট (সহস্র বৎসর) শব্দ থেকে এসেছে। হ্যাঁ, প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের অনেকেই বিশ্বাস করতেন যে খ্রীষ্ট সহস্র বৎসর রাজত্ব করবেন ও তা পৃথিবীতে পরমদেশ নিয়ে আসবে। বাইবেলে একমাত্র প্রকাশিত বাক্যের বই-ই (২০:১-৭) বিশেষভাবে খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের আশার কথা বলে। তাই, প্রকাশিত বাক্যের বই লোকেদের ভয় দেখায় না বরং এক চমৎকার আশা জোগায়। প্রাথমিক গির্জা এবং জগৎ (ইংরেজি) বইয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গির্জার ইতিহাসের অধ্যাপক, সিসিল কেডৌ লেখেন: “বেশ অনেক সময় ধরে গির্জায় কিলিয়াস্টদের এই বিশ্বাসকে শেখানো হতো। আর অনেক বড় বড় লোকেরাও তা-ই শিখেছিলেন। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকেরা এই বিশ্বাস থেকে সরে পড়েছেন।”

প্রকাশিত বাক্যের বার্তাকে কেন বাতিল করা হয়েছিল

এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে প্রথম থেকেই অনেক খ্রীষ্টানেরা বিশ্বাস করতেন যে খ্রীষ্ট পৃথিবীর ওপর সহস্র বৎসর রাজত্ব করবেন। কিন্তু এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এমন কী হয়েছিল যে “খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের রাজত্বের এই বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত বাতিল” হয়ে গিয়েছিল? কারণ প্রকৃতই সমালোচনা করার মতো কিছু ঘটেছিল, যেমন পণ্ডিত রবার্ট মাউন্স বলেছিলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্যি যে খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের রাজত্বে বিশ্বাসী অনেক ব্যক্তি রং চড়িয়ে বিষয়টাকে শেখাতে শুরু করেছিলেন, তারা তাদের মনগড়া ধারণা তৈরি করে বোঝাতে শুরু করেছিলেন যে খ্রীষ্টের সহস্র বৎসর রাজত্বের সময়ে সমস্ত রকম আরাম-আয়েশ করা যাবে ও তা আনন্দফূর্তির সময় হবে।” তবে, খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের রাজত্বের বিশ্বাসকে বাতিল না করে এই ভুল শিক্ষাকে সংশোধন করা যেত।

সহস্র বৎসরের শিক্ষার বিরোধীরা এটাকে দমন করার জন্য অদ্ভুত সব উপায় ব্যবহার করেছিলেন। ডিকশনেয়ার ডি থিওলজি ক্যাথলিক রোমান ক্যাথলিক গির্জার পাদ্রি কোয়েস (দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষে, তৃতীয় শতাব্দীর শুরুতে) সম্বন্ধে বলে যে তিনি “সহস্র বৎসরের রাজত্বের শিক্ষাকে একেবারে বাতিল করে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন যে অ্যাপোক্যালিপস্‌ [প্রকাশিত বাক্য] এবং সাধু যোহনের সুসমাচার ঈশ্বরের অনুপ্রেরণায় লেখা হয়নি।” এই ডিকশনেয়ার আরও বলে যে আলেকজান্দ্রিয়ার তৃতীয় শতাব্দীর বিশপ দিয়োনিসিয়াস সহস্র বৎসরের রাজত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা লিখেছিলেন আর তিনি এটা লিখতে একটুও দ্বিধা করেননি যে “সাধু যোহনের লেখা প্রকাশিত বাক্যের বই ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত নয়। সহস্র বৎসরের রাজত্বে বিশ্বাসীরা তাদের বিশ্বাসের প্রমাণ যেন প্রকাশিত বাক্যের বই থেকে না খোঁজে সেইজন্য তিনি এই কথা বলেছিলেন।” পৃথিবীতে সহস্র বৎসর রাজত্বের সময় যে আশীর্বাদ আসবে সেই আশার প্রতি এতখানি বিরোধিতা দেখে বোঝা যায় যে সেই সময়ের ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে অন্য কোন প্রভাব কাজ করেছিল।

অধ্যাপক নরম্যান কন তার দ্যা পারসুয়েট অফ দ্যা মিলেনিয়াম বইয়ে লেখেন: “সবচেয়ে প্রথমে তৃতীয় শতাব্দীতে সহস্র বৎসরের শিক্ষাকে অস্বীকার করা হয়েছিল, যখন প্রাচীন গির্জার সবচেয়ে প্রভাবশালী পাদ্রি ওরিগেন বলেছিলেন যে খ্রীষ্টের রাজ্য এমন এক ঘটনা যা কোন নির্দিষ্ট জায়গায় বা সময়ে আসবে না বরং এটা বিশ্বাসীদের মনে হবে।” বাইবেলে বিশ্বাস না করে, ওরিগেন গ্রিক দর্শনের ওপর বেশি নির্ভর করেছিলেন আর মশীহ রাজ্যের অধীনে পৃথিবীর জন্য চমৎকার আশাকে “বিশ্বাসীদের মনের . . . এক ঘটনা” বলেছিলেন যা বোঝা খুবই মুশকিল। ক্যাথলিক গ্রন্থকার লিয়ন গ্রায় লিখেছিলেন: “খ্রীষ্টানদের ওপর গ্রিক দর্শনের এত বেশি প্রভাব ছিল যে . . . ধীরে ধীরে খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের রাজত্বের বিশ্বাসকে একেবারে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল।”

“গির্জা তাদের আশার বার্তা হারিয়ে ফেলেছে”

আগস্টিনের সময়ের মধ্যে যদিও খ্রীষ্টধর্ম অন্তঃসারশূন্য হয়েই পড়েছিল, তবুও আগস্টিনই ছিলেন সেই পাদ্রি যিনি গ্রিক দর্শনকে খ্রীষ্টতত্ত্বের সঙ্গে পুরোপুরি মিশিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম প্রথম তিনি সহস্র বৎসরের রাজত্ব সম্বন্ধে শিক্ষা দিতেন কিন্তু পরে তিনি পৃথিবীতে খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের রাজত্বের ধারণাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন। তিনি প্রকাশিত বাক্য ২০ অধ্যায়ের প্রকৃত অর্থকে বিকৃতভাবে বোঝাতে শুরু করেছিলেন।

দ্যা ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে: “আগস্টিন শেষ পর্যন্ত এই বিশ্বাসকে ধরে রেখেছিলেন যে সহস্র বৎসরের রাজত্ব বলে কিছু নেই। . . . তিনি বলেছিলেন প্রকাশিত বাক্যের ২০ অধ্যায়ে যে প্রথম পুনরুত্থানের কথা বলা হয়েছে তা বাপ্তিস্ম নেওয়ার পর আধ্যাত্মিক পুনর্জন্মকে বোঝায়; ইতিহাসের ছয় হাজার বছর পুরো হওয়ার পর এক হাজার বছরের বিশ্রামবারই হল অনন্ত জীবন।” দ্যা নিউ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বলে: “সহস্র বৎসরের রাজত্ব সম্বন্ধে সাধু আগস্টিন যে বিকৃত শিক্ষা দিয়েছিলেন গির্জা তা মেনে নিয়েছিল . . . আগস্টিনের শিক্ষাকে প্রটেস্টান্ট, ক্যালভিনিস্ট এবং অ্যাংলিকান গির্জাও মেনে নিয়েছিল।” এভাবেই খ্রীষ্টীয় জগতের গির্জার সদস্যরা খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের আশাকে হারিয়ে ফেলেছিল।

এছাড়াও, সুইস ঈশ্বরতত্ত্ববিদ ফ্রেডেরিক ডি রোজেমন্ট বলেন, “[আগস্টিন] যখন সহস্র বৎসর রাজত্বে বিশ্বাস করা ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন গির্জার অনেক ক্ষতি হয়েছিল। তিনি তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে গির্জাকে এক ভুল শিক্ষা দিয়েছিলেন আর [গির্জার লোকেদের] পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আশা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন।” জার্মান ঈশ্বরতত্ত্ববিদ এডল্ফ হারনেকও স্বীকার করেছিলেন যে সহস্র বৎসর রাজত্বের শিক্ষাকে লোকেরা যখন অস্বীকার করেছিল তখন ‘তারা পুরনো যুগ থেকে শিখে আসা সরল সত্যকে অস্বীকার করে এমন এক বিশ্বাসকে মানতে শুরু করেছিল যা বোঝাও তাদের ক্ষমতার বাইরে ছিল।’ আজকে অনেক দেশের ফাঁকা গির্জাগুলো প্রমাণ দেয় যে লোকেদের এমন এক ধর্মের দরকার যা তারা বুঝতে পারবে আর তাদের ভবিষ্যতের জন্য আশারও দরকার।

বাইবেল পণ্ডিত জর্জ বিসলে-মুরে তার প্রকাশিত বাক্য বইয়ের মূল বিষয়গুলো (ইংরেজি) বইয়ে লিখেছিলেন: “একদিকে যখন আগস্টিন সহস্র বৎসর রাজত্বের শিক্ষাকে একেবারে মূল থেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, অন্যদিকে কিছু সম্প্রদায় এটাকে বিশ্বাস করেছেন। ফলে ক্যাথলিক ও প্রটেস্টান্ট উভয় দলই এই বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে এই পৃথিবীর লোকেদের ভবিষ্যতের জন্য কী আশা আছে তখন গির্জা এই উত্তর দিয়েছিল: কোন আশাই নয়। খ্রীষ্ট যখন আবার আসবেন তখন এই জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে আর কিছু লোকেদের স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হবে ও বাকিরা নরকে যাবে, এভাবে পুরনো কথা আর মনে থাকবে না। . . . সত্যিই, গির্জা তাদের আশার বার্তা হারিয়ে ফেলেছে।”

প্রকাশিত বাক্যের চমৎকার আশা এখনও আছে!

যিহোবার সাক্ষিরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে সহস্র বৎসর রাজত্বের চমৎকার প্রতিজ্ঞাগুলো পূর্ণ হবেই। যখন ফ্রেঞ্চ টেলিভিশনে “২০০০ সাল: জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়,” সম্বন্ধে এক অনুষ্ঠানে ফ্রেঞ্চ ইতিহাসবেত্তা জিন ডেলুমোর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন: “যিহোবার সাক্ষিরা সহস্র বৎসরের রাজত্বে পুরোপুরি বিশ্বাস করেন, কারণ তারা বলেন যে শীঘ্রই . . . আমরা এক ধ্বংস পার হয়ে ১০০০ বছরের রাজত্বে পৌঁছাব, যা হবে আনন্দের এক সময়।”

ঠিক এই বিষয়টাই প্রেরিত যোহন এক দর্শনে দেখেছিলেন ও অ্যাপোক্যালিপস্‌ অথবা প্রকাশিত বাক্যে এই বিষয়টাই তিনি লিখেছেন। তিনি লিখেছিলেন: “আমি ‘এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী’ দেখিলাম; . . . পরে আমি সিংহাসন হইতে এই উচ্চ বাণী শুনিলাম, দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন। আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:১, ৩, ৪.

যিহোবার সাক্ষিরা যত বেশি লোকেদের কাছে সম্ভব এই আশা সম্বন্ধে জানানোর জন্য সারা পৃথিবীতে শিক্ষা দেওয়ার কাজ করে চলেছেন। আপনাকে এই বিষয়ে জানাতে তারা খুবই খুশি হবেন।

[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

প্যাপিয়াস দাবি করেছিলেন যে সহস্র বৎসর রাজত্বের বিষয়ে তিনি প্রেরিতদের সময়কার লোকেদের কাছ থেকে শিখেছিলেন

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

টারটুলিয়ান বিশ্বাস করতেন যে খ্রীষ্ট সহস্র বৎসর রাজত্ব করবেন

[সজন্যে]

© Cliché Bibliotheque Nationale de France, Paris

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

“[আগস্টিন] যখন সহস্র বৎসর রাজত্বে বিশ্বাস করা ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন গির্জার অনেক ক্ষতি হয়েছিল”

[৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

প্রকাশিত বাক্যে বলা পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্ত জীবন পাওয়ার যে আশার কথা বলা হয়েছে তার জন্য অধীর অপেক্ষা করা উচিত

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার