ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ১২/১ পৃষ্ঠা ৩-৫
  • কেন জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • কেন জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়?
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয় কোথা থেকে এসেছে
  • জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে ভেবে ভয় পাওয়া কি ঠিক?
  • প্রকাশিত বাক্যের বার্তা—ভয়ের না সুখবর?
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • প্রকাশিত বাক্যের বার্তা থেকে “সুসমাচার”
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ভূমিকা
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০১৭
  • তৃতীয় সহস্রাব্দের শুরু আসলে কখন?
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ১২/১ পৃষ্ঠা ৩-৫

কেন জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়?

“বেশ কিছু বছর ধরে খ্রীষ্টান মৌলবাদীরা বলে আসছেন যে খুব শীঘ্রই সারা পৃথিবীর সমাজ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, সমস্তকিছু একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে,” টাইম পত্রিকায় ধর্মবিষয়ক লেখক ড্যামিয়েন থম্পসন বলেন। “কিন্তু মৌলবাদীরা এখন এই বিষয়টা দেখে অবাক হয়ে যান যে সাধারণ লোকেরা তাদের কথা সত্যি বলে মেনে নিচ্ছে আর শুধু তারাই নয় কিন্তু কমপিউটার প্রোগ্রামার, বড় বড় ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতারা, যারা একসময় তাদের উপহাস করতেন তারাও এখন তাদের কথায় বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন ও প্রচার করছেন।” থম্পসন বলেন, লোকেরা ভয়ে ভয়ে আছে যে ২০০০ সালে সারা পৃথিবীর সমস্ত কমপিউটার অচল হয়ে যাবে আর এইজন্য “ধর্মের ধার ধারেন না এমন লোকেরাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে” আর তারা আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে পৃথিবীতে বেশ বড় বড় কিছু দুর্যোগ নেমে আসবে যেমন “লোকেদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে, সরকারগুলো ভেঙে পড়বে, খাবারের অভাবে লোকেরা দাঙ্গাহাঙ্গামা শুরু করে দেবে, বড় বড় অট্টালিকায় ধাক্কা লেগে বিমান দুর্ঘটনা হবে।”

শুধু এটুকুই নয়, “জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে” বলে ভয় দেখায় এমন ছোট ছোট ধর্মীয় দলগুলো এমন কিছু ভয়াবহ কাজকর্মও করে যা দেখে লোকেদের আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে, ফ্রেঞ্চ লে ফিগারো খবরের কাগজে “যিরূশালেম ও জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিপদসংকেত” নামে প্রবন্ধটা বলেছিল: “[ইস্রায়েলি] পুলিশ বাহিনী অনুমান করে যে ‘খ্রীষ্টের সহস্র বৎসরের রাজত্বে বিশ্বাস করেন’ এমন প্রায় একশ জনেরও বেশি লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে জৈতুন পর্বত বা এর আশেপাশের অঞ্চলে চলে গিয়েছেন ও খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন অথবা জগৎ ধ্বংসের জন্য অপেক্ষা করছেন।”

১৯৯৮ ব্রিটানিকা বুক অফ দ্যা ইয়ার, “বিচারের দিন ঘোষণাকারী উগ্রপন্থী দল” এর ওপর একটা বিশেষ রিপোর্ট দিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটা দলের নাম বলা হয়েছিল যারা দল বেঁধে আত্মহত্যা করেছিল, যেমন হেভেনস্‌ গেইট, পিপলস্‌ টেম্পল এবং অর্ডার অফ দ্যা সোলার টেম্পল। এছাড়াও ওম্‌ সিনরিকিও (পরম সত্য) দলের বিষয়েও বলা হয়েছিল যারা ১৯৯৫ সালে টোকিও সাবওয়েতে বিষাক্ত গ্যাস ছেড়েছিল আর এতে ১২ জন লোক প্রাণ হারিয়েছিল এবং হাজার হাজার লোক আহত হয়েছিল। এই রিপোর্টের কথা বলতে গিয়ে সিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মের অধ্যাপক, মার্টিন ই. মার্টি লিখেছিলেন: “২০০০ সালের শুরু খুবই রোমাঞ্চকর—এর সম্বন্ধে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করা হবে আর অনেক হইচইও হবে। কিছু লোকেরা হয়তো বিপদজনক কাজও করতে পারেন। তাই এটা খুব একটা আনন্দের সময় হবে না।”

জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয় কোথা থেকে এসেছে

প্রকাশিত বাক্য হল বাইবেলের শেষ বই যেখানে জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা বলা রয়েছে। আর এই বইকে ইংরেজিতে অ্যাপোক্যালিপস বলা হয়। এটা প্রথম শতাব্দীর শেষ দিকে লেখা হয়েছিল। এই বই ভবিষ্যদ্বাণীতে ভরা আর এতে বেশির ভাগই রূপক ভাষা ব্যবহার করে কিছু ভয়ানক ঘটনার কথা বলা হয়েছে, যা পৃথিবীতে ঘটবে। এইজন্য পরে ইংরেজি বিশেষণ “অ্যাপোক্যালিপটিক” বাইবেল ছাড়া অন্য এমন সাহিত্যের জন্যও ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে রূপক ভাষা ব্যবহার করে ভবিষ্যতে ঘটবে এমন ভয়ানক ঘটনা ও জগতের ধ্বংস সম্বন্ধে বলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বই প্রকাশিত বাক্য লেখার অনেক আগেই লেখা হয়েছিল। এইরকম সাহিত্যে পাওয়া রূপক ভাষা ও পৌরাণিক কাহিনী প্রাচীন পারস্যে বা তারও আগে লেখা হয়েছিল। এইজন্য যিহূদী এনসাইক্লোপিডিয়া বলে যে “এই [যিহূদী অ্যাপোক্যালিপটিক বইগুলোতে] বিশেষ করে বাবিলনের পৌরাণিক কাহিনীর প্রভাব চোখে পড়ে।”

যিহূদী অ্যাপোক্যালিপটিক বইগুলো সা.কা.পূ. দ্বিতীয় শতাব্দীর শুরু থেকে সা.কা. দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যে লেখা হয়েছিল। কেন এগুলো লেখা হয়েছিল তার কারণ হিসেবে একজন বাইবেল পণ্ডিত লিখেছিলেন: “যিহূদীরা সময়কে সবসময় দুই যুগে ভাগ করে নিয়েছিল। একটা ছিল আজকের যুগ, যা একেবারেই খারাপ . . . তাই যিহূদীরা মনে করত যে এই বিধিব্যবস্থা শেষ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় যুগটা ছিল আগামী যুগ যা খুবই ভাল এক সময় হবে, যা হবে স্বর্ণযুগ আর ঈশ্বর এই স্বর্ণযুগ নিয়ে আসবেন যেখানে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ধার্মিকতা থাকবে . . . কিন্তু, কীভাবে এই স্বর্ণযুগ আসবে? যিহূদীরা বিশ্বাস করত যে মানুষের কোন সংগঠন এই পরিবর্তন আনতে পারবে না, তাই তারা নির্ভর করত যে পরিস্থিতিকে বদলে দেওয়ার জন্য ঈশ্বর সরাসরি কাজ করবেন। . . . ঈশ্বরের আগমনের দিনকে বলা হতো প্রভুর দিন যা খুবই ভয়ানক এক সময়, যখন সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে ও ঈশ্বর বিচার করবেন। আর এটাই হবে নবযুগ জন্ম নেওয়ার আগে প্রসব যন্ত্রণা। সমস্ত অ্যাপোক্যালিপটিক বইগুলোই এই ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করে।”

জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে ভেবে ভয় পাওয়া কি ঠিক?

বাইবেলের প্রকাশিত বাক্যের বই ‘সর্ব্বশক্তিমান্‌ ঈশ্বরের সেই মহাদিনের যুদ্ধ’ অথবা হর্‌মাগিদোনের কথা বলে যখন দুষ্টদের ধ্বংস করা হবে আর তারপর সহস্র বৎসরের রাজত্ব (কেউ কেউ যাকে স্বর্ণযুগ বলেন) আসবে, তখন শয়তানকে অগাধলোকে ফেলে দেওয়া হবে এবং খ্রীষ্ট মানবজাতির বিচার করবেন। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬; ২০:১-৪) মধ্যযুগে, এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে কেউ কেউ ভুল বুঝেছিলেন কারণ ক্যাথলিক “সাধু” আগস্টিন (সা.কা. ৩৫৪-৪৩০ সাল) বলেছিলেন যে খ্রীষ্টের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সহস্র বৎসরের শুরু হয়েছে এবং শেষ বিচার পর্যন্ত তা চলবে। সময় গণনার ব্যাপারে আগস্টিন একটু কমই নজর দিয়েছিলেন বলে মনে হয় কিন্তু ১০০০ সাল যতই এগিয়ে আসতে থাকে প্রতীক্ষা আরও বেড়ে চলে। মধ্যযুগের সেই সময় কতজন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে ভেবে ভয় পেয়েছিল তা নিয়ে ইতিহাসবেত্তাদের মধ্যে মতভেদ আছে। তবে যত জনই আগস্টিনের কথা বিশ্বাস করুক না কেন, এটা একেবারেই ভুল ছিল।

একইভাবে আজকেও, যারা ধর্মমনা ও ধর্ম মানেন না তারা আশঙ্কা করেন যে ২০০০ অথবা ২০০১ সালেই জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু এই ভয় কি ঠিক? আর বাইবেলের প্রকাশিত বাক্যের বইয়ে জগৎ ধ্বংস সম্বন্ধে যে বার্তা আছে তা কি ভয় পাওয়ার মতো কিছু নাকি এটা আমাদের কোন সুখবর দেয়? দয়া করে পরের প্রবন্ধটা পড়ুন।

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

মধ্যযুগে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে ভেবে ভয় পাওয়া ভুল ছিল

[সজন্যে]

© Cliché Bibliotheque Nationale de France, Paris

[৩ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

Maya/Sipa Press

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার