পূর্ণতা লাভ করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন
“তিনি সতত প্রার্থনায় তোমাদের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছেন, যেন তোমরা ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে সিদ্ধ ও কৃতনিশ্চয় হইয়া দাঁড়াইয়া থাক [“শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক,” NW]।”—কলসীয় ৪:১২.
১, ২. (ক) বাইরের লোকেরা প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের কোন্ বিষয়টা লক্ষ্য করেছিলেন? (খ) কলসীয় বইতে কীভাবে ভালবাসা ও অন্যদের জন্য চিন্তা করার বিষয়টা দেখা যায়?
যীশুর শিষ্যরা তাদের খ্রীষ্টান ভাইবোনদের প্রতি অনেক আগ্রহী ছিলেন। অনাথ, গরিব ও বয়স্ক লোকেদের জন্য তারা যে দয়া দেখাতেন সেই বিষয়ে (সা.কা. দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতাব্দীর লেখক) টারটুলিয়ান লিখেছিলেন। তাদের এই ভালবাসা অবিশ্বাসীদের মনে এতটাই ছাপ ফেলেছিল যে খ্রীষ্টানদের সম্বন্ধে কেউ কেউ বলেছিলেন, ‘দেখুন তারা একে অন্যকে কত ভালবাসেন।’
২ কলসীয় বইতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, পৌল ও তার সঙ্গী ইপাফ্রা কলসীর খ্রীষ্টান ভাইবোনদেরকে এমনভাবেই ভালবাসতেন ও তাদের জন্য চিন্তা করতেন। পৌল তাদেরকে লিখেছিলেন, ইপাফ্রা “সতত প্রার্থনায় তোমাদের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছেন, যেন তোমরা ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে সিদ্ধ ও কৃতনিশ্চয় হইয়া দাঁড়াইয়া থাক [শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) ২০০১ সালে যিহোবার সাক্ষিদের বার্ষিক শাস্ত্রপদ হবে কলসীয় ৪:১২ পদ: “পূর্ণতা লাভ করে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক।”
৩. কোন্ দুটো কারণে ইপাফ্রা প্রার্থনা করেছিলেন?
৩ আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে ইপাফ্রা তার প্রিয় ভাইবোনদের জন্য দুটো কারণে প্রার্থনা করেছিলেন: (১) যাতে তারা ‘শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে . . . দাঁড়িয়ে থাকেন’ এবং (২) “ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে” দাঁড়িয়ে থাকেন। বাইবেলে এই বিষয়টা আমাদের উপকারের জন্যই দেওয়া হয়েছে। তাই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করতে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে ব্যক্তিগতভাবে আমার কী করা দরকার? আর আমি যদি তা করি, তাহলে এর ফল কী হবে?’ আসুন দেখা যাক।
‘পূর্ণতা লাভ করে . . . দাঁড়িয়ে থাকার’ চেষ্টা করুন
৪. কোন্ অর্থে কলসীর খ্রীষ্টানদের “পূর্ণতা লাভ” করার দরকার ছিল?
৪ ইপাফ্রা মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন যাতে কলসীতে তার আত্মিক ভাইবোনেরা ‘শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে . . . দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন।’ এখানে যে শব্দটাকে “পূর্ণতা লাভ” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে তার জন্য পৌল যে শব্দ ব্যবহার করেছিলেন তার মানে হতে পারে সিদ্ধ, পূর্ণবয়স্ক অথবা পরিপক্ব। (মথি ১৯:২১; ইব্রীয় ৫:১৪; যাকোব ১:৪, ২৫) আপনি জানেন যে, বাপ্তিস্ম নিয়ে কেউ যিহোবার সাক্ষি হলেই তা বোঝায় না যে তিনি একজন পূর্ণবয়স্ক খ্রীষ্টান। কলসীর পশ্চিম দিকে অবস্থিত ইফিষের খ্রীষ্টানদের পৌল লিখেছিলেন যে সমস্ত পালক ও শিক্ষকরা অন্যদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন যাতে ‘সকলে ঈশ্বরের পুত্ত্র বিষয়ক বিশ্বাসের ও তত্ত্বজ্ঞানের ঐক্য পর্য্যন্ত, সিদ্ধ পুরুষের [“পূর্ণবয়স্ক,” NW] অবস্থা পর্য্যন্ত, খ্রীষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমাণ পর্য্যন্ত, অগ্রসর হন।’ আরেকটা চিঠিতেও পৌল খ্রীষ্টানদেরকে ‘বুদ্ধিতে পরিপক্ব হতে’ পরামর্শ দিয়েছিলেন।—ইফিষীয় ৪:৮-১৩; ১ করিন্থীয় ১৪:২০.
৫. পূর্ণতা লাভ করাকে কীভাবে আমরা আমাদের মূল লক্ষ্য করে তুলতে পারি?
৫ কলসীর কেউ কেউ যদি আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে পূর্ণবয়স্ক বা পরিপক্ব না হয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরকে সেই লক্ষ্য নেওয়ার দরকার ছিল। আজকেও কি একই কথা সত্য নয়? আমরা অনেক বছর আগে বা মাত্র কয়েক বছর আগে যখনই বাপ্তিস্ম নিই না কেন, আমাদের যুক্তি করার ক্ষমতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে কি আমরা উন্নতি করেছি? কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা কি বাইবেলের নীতিগুলো বিবেচনা করি? ঈশ্বর এবং মণ্ডলীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলো কি আমাদের জীবনে বড় ভূমিকা রাখে, নাকি সেগুলোকে আমরা হালকা করে দেখি? কোন্ কোন্ দিক দিয়ে আমরা পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যেতে পারি তার সমস্ত উদাহরণ এখানে দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু এই দুটো উদাহরণ দেখুন।
৬. কোন্ একটা বিষয়ে আমরা যিহোবার মতো নিখুঁত হয়ে ওঠার জন্য চেষ্টা করতে পারি?
৬ প্রথম উদাহরণ: ধরুন আমরা এমন এক পরিবেশে মানুষ হয়ে উঠেছি যেখানে অন্য একটা জাতি, জাতিয়তা বা অঞ্চলের লোকেদের সম্বন্ধে ভুল ধারণা অথবা তাদের সঙ্গে শত্রুতা আছে। এখন আমরা জানি যে ঈশ্বর পক্ষপাত করেন না আর তাই আমাদেরও তা করা উচিত নয়। (প্রেরিত ১০:১৪, ১৫, ৩৪, ৩৫) আমাদের মণ্ডলীতে বা আমাদের সীমায় হয়তো এমন লোকেরা আছেন যারা অন্য জায়গা থেকে এসেছেন। এই সমস্ত লোকেদের প্রতি আমরা মনে মনে কি কোন খারাপ ধারণা অথবা সন্দেহ পোষণ করি? আমরা কি ‘তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব রাখি?’ এদের মধ্যে কেউ যদি ভুল অথবা ছোটখাটো অন্যায় করেন, তাহলে কি আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্বন্ধে খারাপ চিন্তা করতে আরম্ভ করে দিই? নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘ঈশ্বরের মতো পক্ষপাতহীন মনোভাব গড়ে তোলার জন্য আমার কি আরও উন্নতি করার দরকার আছে?’
৭. খ্রীষ্টান হিসেবে পূর্ণতা লাভ করার সঙ্গে অন্যদের প্রতি কেমন দৃষ্টিভঙ্গি রাখা জড়িত?
৭ দ্বিতীয় উদাহরণ: ফিলিপীয় ২:৩ পদ অনুসারে আমরা ‘প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিব না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করিব।’ এই ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু উন্নতি করছি? প্রত্যেক ব্যক্তিরই কিছু না কিছু দুর্বলতা ও ভাল গুণ আছে। আমাদের মধ্যে কারও কারও যদি অন্যদের ভুল ধরার স্বভাব থেকেও থাকে, এখন কি আমরা তাতে উন্নতি করেছি এবং এমন চিন্তা করা বাদ দিয়েছি যে তারা একেবারে “সিদ্ধ?” (যাকোব ৩:২) আগের চেয়ে এখন কি আমরা আরও বেশি করে দেখার বা খোঁজার চেষ্টা করি যে, অন্যরা আমাদের চেয়ে কোন্ কোন্ দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ? ‘আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে আমার চেয়ে এই বোনের অনেক বেশি ধৈর্য আছে।’ ‘এই ব্যক্তির বিশ্বাস অনেক অটল।’ ‘সত্যিই, তিনি আমার চেয়ে অনেক ভাল শিক্ষক।’ ‘ওই বোন খুব সহজেই তার রাগ দমন করতে পারেন।’ কলসীর কিছু খ্রীষ্টানদের হয়তো এই ক্ষেত্রে উন্নতি করার দরকার ছিল। আমাদেরও কি তা করার দরকার আছে?
৮, ৯. (ক) কোন্ অর্থে ইপাফ্রা কলসীর খ্রীষ্টানদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন যাতে তারা পূর্ণতা লাভ করে ‘দাঁড়িয়ে থাকতে’ পারেন? (খ) ‘পূর্ণতা লাভ করে দাঁড়িয়ে থাকা’ বলতে ভবিষ্যতের জন্য কী বোঝায়?
৮ ইপাফ্রা প্রার্থনা করেছিলেন যাতে কলসীর খ্রীষ্টানরা ‘পূর্ণতা লাভ করে . . . দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন।’ এখান থেকে এটা পরিষ্কার যে, ইপাফ্রা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলেন যেন কলসীর খ্রীষ্টানরা যতখানি পূর্ণতা লাভ করেছিলেন, যতখানি পরিপক্ব, পূর্ণবয়স্ক খ্রীষ্টান হয়েছিলেন সেইভাবে ‘দাঁড়িয়ে থাকতে’ পারেন।
৯ তাই বলে আমরা ধরে নেব না যে প্রত্যেক খ্রীষ্টান এমনকি যিনি পরিপক্ব, তারা সবসময় দৃঢ় থাকতে পারবেন। যীশু বলেছিলেন যে একজন স্বর্গদূত যে কিনা ঈশ্বরের পুত্র ছিল, সে-ও “সত্যে থাকে নাই।” (যোহন ৮:৪৪) আর পৌল করিন্থের এমন কয়েকজন খ্রীষ্টানের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, যারা কিছু সময়ের জন্য যিহোবাকে সেবা করেছিল কিন্তু পরে সরে গেছে। আত্মায় অভিষিক্ত ভাইদের পৌল মনে করিয়ে দিয়েছিলেন: “যে মনে করে, আমি দাঁড়াইয়া আছি, সে সাবধান হউক, পাছে পড়িয়া যায়।” (১ করিন্থীয় ১০:১২) এই বিষয়টা ওই প্রার্থনাকে আরও জোরালো করেছিল যেন কলসীর খ্রীষ্টানরা ‘শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে . . . দাঁড়িয়ে থাকেন।’ একবার পূর্ণতা লাভ করে পূর্ণবয়স্ক হয়ে ওঠার পর তাদের আর পিছিয়ে না গিয়ে, ক্লান্ত না হয়ে অথবা সরে না পড়ে তাতে দৃঢ়ভাবে লেগে থাকার দরকার ছিল। (ইব্রীয় ২:১; ৩:১২; ৬:৬; ১০:৩৯; ১২:২৫) এর ফলে তারা বিচারের দিনে এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় “পূর্ণতা লাভ করে” দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন।—২ করিন্থীয় ৫:১০; ১ পিতর ২:১২.
১০, ১১. (ক) প্রার্থনার বিষয়ে ইপাফ্রা আমাদের জন্য কোন্ উদাহরণ রেখেছেন? (খ) ইপাফ্রা যা করেছিলেন তার সঙ্গে মিল রেখে আপনি কোন্ সংকল্প নিতে চান?
১০ আগের প্রবন্ধে আমরা অন্যদের নাম উল্লেখ করে প্রার্থনা করার, যিহোবা যেন তাদেরকে নির্দিষ্ট বিষয়ে সাহায্য করেন, সান্ত্বনা দেন, আশীর্বাদ করেন এবং পবিত্র আত্মা দিয়ে সাহায্য করেন তার গুরুত্ব সম্বন্ধে আলোচনা করেছি। কলসীর খ্রীষ্টানদের জন্য ইপাফ্রাও ঠিক সেই কারণেই প্রার্থনা করেছিলেন। ইপাফ্রার এই উদাহরণ থেকে আমরা এক মূল্যবান শিক্ষা পাই যে, প্রার্থনায় আমরা নিজেদের বিষয়ে যিহোবাকে কী কী জানাতে পারি। কোন সন্দেহ নেই যে, যিহোবার কাছে আমাদের সাহায্য চাওয়া উচিত যাতে আমরা প্রত্যেকে ‘শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি।’ আপনি কি সেই জন্য তাঁর কাছে সাহায্য চান?
১১ প্রার্থনায় আপনার পরিস্থিতির কথা যিহোবাকে বলুন না কেন? “পূর্ণতা লাভ করে,” পূর্ণবয়স্ক, পরিপক্ব খ্রীষ্টান হয়ে ওঠার জন্য আপনি কোন্ কোন্ দিক দিয়ে উন্নতি করেছেন সেই বিষয়ে যিহোবাকে বলুন। কোন্ কোন্ ক্ষেত্রগুলোতে এখনও আপনার আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে বেড়ে ওঠা দরকার তা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য যিহোবাকে অনুরোধ করুন। (গীতসংহিতা ১৭:৩; ১৩৯:২৩, ২৪) এমন কিছু ক্ষেত্র নিশ্চয়ই আছে যেখানে আপনার উন্নতি করা দরকার। যদি থাকে, তাহলে নিরুৎসাহিত না হয়ে স্পষ্টভাবে যিহোবার কাছে বিনতি জানান, ঠিক যে বিষয়ে উন্নতি করা দরকার সেই বিষয়ে তাঁকে সাহায্য করতে বলুন। বার বার তা জানান। এখনই সংকল্প নিন যে আসছে সপ্তায় আপনি যিহোবার কাছে আরেকটু বেশি প্রার্থনা করবেন যেন আপনি ‘শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন।’ আর বার্ষিক শাস্ত্রপদ আলোচনা করার সময় আপনি আরও বেশি করে প্রার্থনা করার পরিকল্পনা করুন। প্রার্থনা করার সময় আপনার সেই প্রবণতাগুলোকে চিনিয়ে দিতে বলুন যেগুলোর জন্য আপনি হয়তো ঈশ্বরের সেবা থেকে পিছিয়ে পড়তে পারেন, ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন অথবা সরে পড়তে পারেন। সেইসঙ্গে আপনি কীভাবে তা করা এড়িয়ে চলতে পারেন তার জন্যও প্রার্থনা করুন।—ইফিষীয় ৬:১১, ১৩, ১৪, ১৮.
দৃঢ় প্রত্যয়ের জন্য প্রার্থনা করুন
১২. কলসীর খ্রীষ্টানদের কেন বিশেষ করে ‘দৃঢ় প্রত্যয়ের’ দরকার ছিল?
১২ এছাড়াও ইপাফ্রা আরেকটা বিষয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, যা ঈশ্বরের সন্তোষজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে কলসীর খ্রীষ্টানদের জন্য খুবই জরুরি ছিল। এটা আমাদের জন্যও সমানভাবে দরকার। সেটা কী ছিল? তিনি প্রার্থনা করেছিলেন যাতে তারা “ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে” দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। তাদের চারিদিকে ধর্মবিরুদ্ধ এবং ক্ষতিকর দর্শনবিদ্যা ছিল, যেগুলোর কিছু কিছু সত্য উপাসনা সম্বন্ধে ভুল ধারণা ছড়াত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যিহুদি ধর্মের মতো উপবাস অথবা মহাভোজের ব্যবস্থা করে বিশেষ বিশেষ দিন উদ্যাপন করার জন্য কলসীর খ্রীষ্টানদেরকে চাপ দেওয়া হতো। অন্যান্য মিথ্যা শিক্ষকরা সেই স্বর্গদূতেদের পূজা করত, যারা মোশির ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন। ওই ধরনের চাপগুলোর কথা চিন্তা করুন! আসলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর ধারণা ছিল।—গালাতীয় ৩:১৯; কলসীয় ২:৮, ১৬-১৮.
১৩. কলসীর খ্রীষ্টানরা কোন্ বিষয়টা বুঝে সাহায্য পেতে পারত এবং কীভাবে তা আমাদেরও সাহায্য করতে পারে?
১৩ এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যীশু খ্রীষ্টের ভূমিকার বিষয়ে পৌল তুলে ধরেছিলেন। “খ্রীষ্ট যীশুকে, প্রভুকে, যেমন গ্রহণ করিয়াছ, তেমনি তাঁহাতেই চল; তাঁহাতেই বদ্ধমূল ও সংগ্রথিত হইয়া প্রাপ্ত শিক্ষানুসারে বিশ্বাসে দৃঢ়ীভূত হও।” হ্যাঁ, ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে এবং আমাদের জীবনে খ্রীষ্টের ভূমিকা সম্বন্ধে (কলসীর খ্রীষ্টানদের ও সেইসঙ্গে আমাদের) দৃঢ় প্রত্যয়ের দরকার। পৌল বলেছিলেন: “তাঁহাতেই ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা দৈহিকরূপে বাস করে, এবং তোমরা তাঁহাতে পূর্ণীকৃত হইয়াছ, যিনি সমস্ত আধিপত্যের ও কর্ত্তৃত্বের মস্তক।”—কলসীয় ২:৬-১০.
১৪. কলসীর খ্রীষ্টানদের জন্য আশা কেন বাস্তব বিষয় ছিল?
১৪ কলসীর ভাইবোনেরা ছিলেন আত্মায় অভিষিক্ত খ্রীষ্টান। তাদের স্বর্গে যাবার নিশ্চিত আশা ছিল আর তাই তাদের এই আশাকে ধরে রাখার সমস্ত কারণ তাদের ছিল। (কলসীয় ১:৫) তাদের আশা সম্বন্ধে তারা যে দৃঢ় প্রত্যয়ী হবেন, তা ‘ঈশ্বরেরই ইচ্ছা’ ছিল। তাদের কারও কি সেই আশা সম্বন্ধে সন্দেহ করা উচিত ছিল? নিশ্চয়ই না! আজকে পরমদেশ পৃথিবীতে বাস করার জন্য ঈশ্বর যাদেরকে আশা দিয়েছেন তাদের মনোভাব কি এর চেয়ে ভিন্ন হওয়া উচিত? কখনোই না! এই জোরালো আশাও ‘ঈশ্বরের ইচ্ছারই’ একটা অংশ। এখন এই প্রশ্নগুলো বিবেচনা করুন: “মহাক্লেশ” পার হয়ে ‘বিস্তর লোকের’ অংশ হওয়ার জন্য আপনি যদি এখন প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তাহলে আপনার আশা কতটা বাস্তব? (প্রকাশিত বাক্য ৭:৯, ১৪) আপনি কি এই বিষয়েও “ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয়” রেখেছেন?
১৫. কোন্ ধারাবাহিক আলোচনায় পৌল প্রত্যাশাকে যুক্ত করেছিলেন?
১৫ “প্রত্যাশা” বলতে আমরা এখানে অস্পষ্ট কোন আকাঙ্ক্ষা অথবা দিবাস্বপ্নকে বোঝাচ্ছি না। রোমীয় খ্রীষ্টানদেরকে পৌল আগে ধারাবাহিকভাবে যে বিষয়গুলো বলেছিলেন, তার থেকে আমরা এটা দেখতে পারি। ওই ধারাবাহিক বিষয়গুলোতে, প্রতিটা বিষয় কোন না কোনভাবে একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এখানে পৌল কোথায় ‘প্রত্যাশার’ কথা উল্লেখ করেছেন, তা মন দিয়ে লক্ষ্য করুন: “নানাবিধ ক্লেশেও শ্লাঘা করিতেছি, কারণ আমরা জানি, ক্লেশ ধৈর্য্যকে, ধৈর্য্য পরীক্ষাসিদ্ধতাকে এবং পরীক্ষাসিদ্ধতা প্রত্যাশাকে উৎপন্ন করে; আর প্রত্যাশা লজ্জাজনক হয় না, যেহেতুক আমাদিগকে দত্ত পবিত্র আত্মা দ্বারা ঈশ্বরের প্রেম আমাদের হৃদয়ে সেচিত হইয়াছে।”—রোমীয় ৫:৩-৫.
১৬. বাইবেলের সত্য শেখার সময় আপনি কোন্ আশা লাভ করেছিলেন?
১৬ যিহোবার সাক্ষিরা প্রথম যখন আপনাকে বাইবেলের বিষয়ে জানিয়েছিলেন তখন কোন একটা সত্যের প্রতি আপনি হয়তো বেশি মন দিয়েছিলেন, সেটা হতে পারে মৃত ব্যক্তিদের অবস্থা বা পুনরুত্থানের বিষয়। অনেকের কাছে পরমদেশ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার বিষয়ে বাইবেলের আশা ছিল একেবারে নতুন বিষয়। আপনি প্রথম যখন এই বিষয়ে শুনেছিলেন তখন আপনার কেমন লেগেছিল, তা একটু মনে করে দেখুন। অসুস্থতা এবং বার্ধক্য আর থাকবে না, আপনার কাজের ফল আপনি চিরকাল ভোগ করতে পারবেন এবং পশুপাখিদের সঙ্গেও শান্তিতে বাস করতে পারবেন। কত চমৎকার এক আশা! (উপদেশক ৯:৫, ১০; যিশাইয় ৬৫:১৭-২৫; যোহন ৫:২৮, ২৯; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) সত্যিই, আপনি এক অপূর্ব আশা লাভ করেছিলেন!
১৭, ১৮. (ক) রোমীয়দের কাছে পৌল ধারাবাহিকভাবে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছিলেন, তা কীভাবে “প্রত্যাশা” উৎপন্ন করে? (খ) রোমীয় ৫:৪, ৫ পদে কোন্ ধরনের প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছে আর আপনার কি সেইরকম প্রত্যাশা আছে?
১৭ কখনও কখনও আপনি হয়তো বিরোধিতা অথবা তাড়নার মুখোমুখি হয়েছিলেন। (মথি ১০:৩৪-৩৯; ২৪:৯) কিছুদিন আগে বিভিন্ন দেশের সাক্ষিদের ঘরে লুটপাট হয়েছে অথবা তাদেরকে জোর করে দেশ ছাড়া করা হয়েছে। কিছু সাক্ষিদের মারধর করা হয়েছে, বাইবেলের বইপত্রিকাগুলোকে বাজেয়াপ্ত অথবা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে তাদের বিষয়ে মিথ্যে কথা বলা হয়েছে। আপনি যে ধরনের তাড়নাই ভোগ করে থাকুন না কেন, রোমীয় ৫:৩ পদের কথা মতো ক্লেশের সময় আনন্দ করায় তা ভাল ফল নিয়ে এসেছিল। পৌল যেমন লিখেছিলেন তাড়না বা ক্লেশ আপনাকে ধৈর্য গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। ধৈর্য পরীক্ষাসিদ্ধতা নিয়ে এসেছিল। আপনি জানতেন যে আপনি সঠিক কাজ করছিলেন, ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করছিলেন আর তাই নিশ্চিত ছিলেন যে আপনার সমস্ত কাজেই ঈশ্বরের অনুমোদন ছিল। পৌলের কথাগুলো থেকে আপনি বুঝতে পেরেছিলেন যে আপনি ‘পরীক্ষাসিদ্ধ’ অবস্থায় আছেন। পৌল বলেছিলেন, “পরীক্ষাসিদ্ধতা প্রত্যাশা উৎপন্ন করে।” সেটা শুনতে হয়তো কিছুটা অস্বাভাবিক লাগতে পারে। ‘প্রত্যাশাকে’ পৌল কেন তালিকার এত পরে রেখেছিলেন? আপনি প্রথম যখন সত্য শুনেছিলেন তখন থেকেই কি আপনার আশা ছিল না?
১৮ এটা স্পষ্ট যে, সিদ্ধ জীবন সম্বন্ধে প্রথম শোনার পর আমাদের মধ্যে যে আশা জেগেছিল পৌল এখানে সেই কথা বলছেন না। এখানে তিনি যে বিষয়ে বলছেন তা এই আশাকেও ছাড়িয়ে যায়; এটা আরও গভীর, আরও জোরালো। আমরা যখন ধৈর্য ধরে বিশ্বস্ত থাকি এবং বুঝতে পারি যে আমাদের কাজে ঈশ্বরের অনুমোদন আছে, তখন তা আমাদের প্রথম আশাকে আরও মজবুত করে ও আরও গভীরভাবে ছাপ ফেলে। প্রথমে আমাদের যে আশা ছিল তখন তা আরও বাস্তব, আরও অটল এবং একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে ওঠে। এই গভীর আশা আরও উজ্জ্বল হতে থাকে। আমাদের সত্তায়, আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ে। “আর প্রত্যাশা লজ্জাজনক হয় না, যেহেতুক আমাদিগকে দত্ত পবিত্র আত্মা দ্বারা ঈশ্বরের প্রেম আমাদের হৃদয়ে সেচিত হইয়াছে।”
১৯. আপনার রোজকার প্রার্থনায় কীভাবে আশার কথা বলবেন?
১৯ ইপাফ্রা মনেপ্রাণে প্রার্থনা করেছিলেন যাতে কলসীর ভাইবোনদের সামনে যে আশা ছিল, তা তারা ধরে রাখেন ও নিশ্চিত থাকেন অর্থাৎ তারা যেন ‘ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয়ী হন।’ একইভাবে আসুন আমরা সবাই আমাদের আশা সম্বন্ধে নিয়মিত ঈশ্বরের কাছে বিনতি জানাই। ব্যক্তিগত প্রার্থনায় নতুন জগৎ সম্বন্ধে আপনার আশার কথা বলুন। এর জন্য আপনি কত অধীরভাবে অপেক্ষা করে আছেন এবং তা আসবে বলে যে আপনি একেবারে নিশ্চিত তা-ও যিহোবাকে বলুন। আপনার প্রত্যয়কে আরও মজবুত ও গভীর করার জন্য যিহোবার কাছে বিনতি জানান। ইপাফ্রা যেমন প্রার্থনা করেছিলেন যে কলসীর খ্রীষ্টানরা যাতে ‘ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয়ী’ হন তেমনই আপনিও প্রার্থনা করুন। একবার নয়, বার বার তা করুন।
২০. যদি তুলনামূলকভাবে অল্প সংখ্যক ব্যক্তিরা খ্রীষ্টীয় পথ থেকে সরেও পড়ে, তারপরও হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই কেন?
২০ সবাই-ই পূর্ণতা লাভ করে ও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়াতে পারে না শুনে, সরে দাঁড়াবেন না কিংবা নিরাশ হবেন না। কেউ কেউ হয়তো দুর্বল হতে ও সরে পড়তে বা হাল ছেড়ে দিতে পারে। যীশুর ঘনিষ্ঠ প্রেরিতদের বেলায়ও তেমন হয়েছিল। কিন্তু যিহূদা যখন বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তখন অন্যান্য প্রেরিতরা কি মন্থর হয়ে পড়েছিলেন বা তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন? কখনোই না! যিহূদার জায়গা যে অন্য আরেকজন ব্যক্তি নেবেন, তা দেখাতে পিতর গীতসংহিতা ১০৯:৮ পদের কথাগুলো বলেছিলেন। যিহূদার বদলে আরেকজনকে মনোনীত করা হয়েছিল এবং ঈশ্বরের বিশ্বস্ত ব্যক্তিরা উদ্যোগের সঙ্গে তাদের প্রচার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। (প্রেরিত ১:১৫-২৬) তারা পূর্ণতা লাভ করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য সংকল্প নিয়েছিলেন।
২১, ২২. কোন্ অর্থে আপনার পূর্ণতা লাভ করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাকে দেখা যাবে?
২১ আপনি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেন যে পূর্ণতা লাভ করে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে, ঈশ্বর অবশ্যই তা দেখবেন। অন্যরাও তা দেখবেন এবং আপনার প্রতি উপলব্ধিও দেখাবেন। কিন্তু কারা তা করবেন?
২২ আপনার খ্রীষ্টান ভাইবোনেরা যারা আপনাকে চেনেন ও আপনাকে ভালবাসেন। এমনকি কেউ কেউ মুখে কিছু না বললেও তাদের চিন্তাভাবনা ১ থিষলনীকীয় ১:২-৬ পদের মতোই হবে। সেখানে আমরা পড়ি: “আমরা প্রার্থনাকালে তোমাদের নাম উল্লেখ করিয়া তোমাদের সকলের নিমিত্ত সতত ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া থাকি; আমরা তোমাদের বিশ্বাসের কার্য্য, প্রেমের পরিশ্রম ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বিষয়ক প্রত্যাশার ধৈর্য্য আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে অবিরত স্মরণ করিয়া থাকি; কারণ, . . . আমাদের সুসমাচার তোমাদের কাছে কেবল বাক্যে নয়, কিন্তু শক্তিতে ও পবিত্র আত্মায় ও অতিশয় নিশ্চয়তায় উপস্থিত হইয়াছিল; . . . আর তোমরা . . . আমাদের এবং প্রভুরও অনুকারী হইয়াছ।” আপনার আশেপাশে যে বিশ্বস্ত খ্রীষ্টানরা আছেন তারা একইরকম অনুভব করবেন যখন তারা দেখবেন যে আপনি “পূর্ণতা লাভ করে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে” আছেন।—কলসীয় ১:২৩.
২৩. সামনের বছর আপনার কোন্ সংকল্প নেওয়া উচিত?
২৩ নিশ্চিত থাকুন যে, স্বর্গীয় পিতা যিহোবা তা দেখবেনই দেখবেন এবং খুশি হবেন। কেন? কারণ আপনি পূর্ণতা লাভ করে এবং “ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে” দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কলসীর খ্রীষ্টানদের পৌল উৎসাহ দিয়ে লিখেছিলেন যে তারা “প্রভুর [“যিহোবার,” NW] যোগ্যরূপে সর্ব্বতোভাবে প্রীতিজনক আচরণ” করে চলছিলেন। (কলসীয় ১:১০) হ্যাঁ, অসিদ্ধ মানুষরা তাঁকে পুরোপুরি খুশি করতে পারেন। কলসীয় মণ্ডলীর ভাইবোনেরাও তাই করেছিলেন। আপনার আশেপাশের খ্রীষ্টান ভাইবোনেরাও এখন তা করছেন। আপনিও তা করতে পারেন! তাই সামনের বছর আপনার প্রতিদিনের প্রার্থনায় ও আপনার কাজে যেন প্রমাণ হয় যে, আপনি “শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ইচ্ছাতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে” থাকার জন্য সংকল্প নিয়েছেন।
আপনি কি মনে করতে পারেন?
• ‘পূর্ণতা লাভ করে দাঁড়িয়ে থাকার’ সঙ্গে কী জড়িত?
• আপনার প্রার্থনায় নিজের সম্বন্ধে কী কী বলতে পারেন?
• রোমীয় ৫:৪, ৫ পদ অনুসারে আপনি কোন্ ধরনের আশা রাখতে চান?
• এই প্রবন্ধ অধ্যয়ন করে সামনের বছর আপনি কোন্ লক্ষ্য রাখার প্রেরণা পেয়েছেন?
[২০ পৃষ্ঠার চিত্র]
ইপাফ্রা প্রার্থনা করেছিলেন যাতে তার খ্রীষ্টান ভাইবোনেরা খ্রীষ্ট ও তাদের আশা সম্বন্ধে পূর্ণতা লাভ করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
আপনার মতো অন্যান্য লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিদেরও নিশ্চিত আশা ও দৃঢ় প্রত্যয় আছে