ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৪ ৪/১ পৃষ্ঠা ৩০-৩১
  • লাইবেরিয়া যুদ্ধ সত্ত্বেও রাজ্যের কাজে বৃদ্ধি

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • লাইবেরিয়া যুদ্ধ সত্ত্বেও রাজ্যের কাজে বৃদ্ধি
  • ২০০৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অভাবগ্রস্তদের জন্য সাহায্য
  • সুসমাচারের প্রতি সাড়া
  • মনোভাবের পরিবর্তন
২০০৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৪ ৪/১ পৃষ্ঠা ৩০-৩১

লাইবেরিয়া যুদ্ধ সত্ত্বেও রাজ্যের কাজে বৃদ্ধি

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লাইবেরিয়াতে দুর্বার গতিতে গৃহযুদ্ধ হয়েছে। ২০০৩ সালের মাঝামাঝিতে, বিদ্রোহীরা রাজধানী শহর মনরোভিয়াতে ঢোকার জন্য যুদ্ধ করে চলেছিল। যিহোবার সাক্ষিদের অনেককে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল, কখনও কখনও বার বার। অনেক বার ধনসম্পত্তি লুট করা হয়েছিল।

দুঃখের বিষয় যে, রাজধানীতে যুদ্ধ চলাকালে হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিল দুজন সাক্ষি, একজন ভাই ও একজন বোন। অন্যান্য ভাইয়েরা কীভাবে এই কষ্টকর অবস্থার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিল আর তাদের সাহায্য করতে কী করা হয়েছিল?

অভাবগ্রস্তদের জন্য সাহায্য

সংকটময় সময়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যিহোবার সাক্ষিদের লাইবেরিয়া শাখা অফিস অভাবগ্রস্তদের জন্য ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছিল। খাদ্য, অপরিহার্য গৃহস্থালী সামগ্রী এবং চিকিৎসা সামগ্রী জোগানো হয়েছিল। বিদ্রোহীরা যখন বন্দর অঞ্চল দখল করেছিল, সেই সময়ে খাদ্য দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছিল। শাখা অফিস এই ঘটনাগুলোর বিষয় আগেই অনুমান করেছিল আর তাই দুহাজার সাক্ষি যারা সারা শহরে কিংডম হলগুলোতে পালিয়ে এসেছিল, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগাড় করে রেখেছিল। ভাইয়েরা খাদ্য বরাদ্দ করেছিল, যাতে বন্দর পুনরায় না খোলা পর্যন্ত সরবরাহ অব্যাহত থাকে। বেলজিয়াম এবং সিয়েরা লিয়ন শাখা বিমানে করে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছিল আর ব্রিটেন ও ফ্রান্স শাখা কাপড়চোপড় পাঠিয়েছিল।

হতাশাপূর্ণ পরিস্থিতি সত্ত্বেও, আমাদের ভাইয়েরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছিল এবং আনন্দিত ছিল। তিন বার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল এমন একজনের মন্তব্য অনেকের মতোই ছিল। তিনি বলেছিলেন: “আমরা যে-পরিস্থিতিগুলোর বিষয়ে প্রচার করি, এগুলো সেই পরিস্থিতি; আমরা শেষকালে বাস করছি।”

সুসমাচারের প্রতি সাড়া

দেশ জুড়ে বিশৃঙ্খলা থাকা সত্ত্বেও, সাক্ষিরা ক্ষেত্র থেকে চমৎকার ফলাফল লাভ করে চলে। ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে রাজ্য প্রকাশকের সর্বকালের শীর্ষ সংখ্যা ছিল ৩,৮৭৯ জন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে তারা ১৫,২২৭টা গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করেছিল।

লোকেরা সুসমাচারের প্রতি দ্রুত সাড়া দেয়। এর একটা উদাহরণ পাওয়া যায় দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের একটা গ্রাম থেকে। একটা মণ্ডলী পরিকল্পনা করেছিল যে, খ্রিস্টের মৃত্যুর স্মরণার্থ সভা বোয়ানের বড় গ্রামে উদ্‌যাপন করবে, যে-জায়গাটা তারা সাধারণত যেখানে মিলিত হয়ে থাকে, সেখান থেকে পাঁচ ঘন্টা হাঁটার পথ। স্মরণার্থ সভার জন্য লোকেদের আমন্ত্রণ জানাতে ভাইদের গ্রামে যাওয়ার আগে বোয়ানের মেয়রকে একটা আমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হয়েছিল। তিনি যখন তা পেয়েছিলেন, তখন তিনি তার বাইবেলটি সঙ্গে করে নিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে গিয়েছিলেন এবং আমন্ত্রণপত্রে দেওয়া শাস্ত্রপদটি পড়েছিলেন ও স্মরণার্থ সভায় যাওয়ার জন্য তাদের উৎসাহ দিয়েছিলেন। তাই, প্রকাশকরা যখন এসে পৌঁছায়, তখন তারা দেখতে পায় যে ইতিমধ্যেই তাদের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে! সেই মেয়র, তার সন্তান ও দুই স্ত্রীকে নিয়ে স্মরণার্থ সভায় এসেছিলেন। মোট ২৭ জন লোক উপস্থিত ছিল। তখন থেকে, মেয়র মেথডিস্ট গির্জায় যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন, সাক্ষিদের সঙ্গে অধ্যয়ন করা শুরু করেছিলেন এবং কিংডম হল নির্মাণের জন্য জমি দিয়েছিলেন।

মনোভাবের পরিবর্তন

এ ছাড়া, আমাদের ভাইদের আচরণ সত্য সম্বন্ধে কিছু বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করায় কার্যকর হয়েছিল। ওপোকু নামে একজন ব্যক্তির কথা বিবেচনা করুন। ক্ষেত্রের পরিচর্যায় একজন বিশেষ অগ্রগামী পরিচারক তার দেখা পান এবং তাকে একটা প্রহরীদুর্গ পত্রিকা দেন। ওপোকু পত্রিকার একটা প্রবন্ধের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলেন কিন্তু তার কাছে পয়সা ছিল না। এর জন্য কোনো মূল্য নেওয়া হয় না তা ব্যাখ্যা করে সেই অগ্রগামী তার কাছে সেই পত্রিকাটি ছেড়ে এসেছিলেন এবং পুনর্সাক্ষাৎ করার ব্যবস্থা করেছিলেন। পুনর্সাক্ষাতের সময় ওপোকু সেই অগ্রগামীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন: “আপনি কি আমাকে চেনেন? হারপার শহরে আপনাদের অধিকাংশ লোকই আমাকে চেনে। আমি আপনাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করতাম!” এরপর তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, তিনি শহরের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং যিহোবার সাক্ষিদের ছেলেমেয়েরা পতাকাকে অভিবাদন করত না বলে তাদের তিনি তাড়না করতেন।

তবে, যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রদর্শিত খ্রিস্টীয় প্রেমের তিনটে উদাহরণ ওপোকুকে তার মনোভাব আবার পরীক্ষা করে দেখতে সাহায্য করেছিল। প্রথমত, তিনি দেখেছিলেন যে, সাক্ষিরা গুরুতরভাবে অসুস্থ একজন আধ্যাত্মিক ভাইয়ের যত্ন নিয়েছিল। তারা এমনকি কাছাকাছি একটা দেশে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করেছিল। ওপোকু ভেবেছিলেন যে, অসুস্থ ভাই সাক্ষিদের মধ্যে কোনো “বিশিষ্ট ব্যক্তি” ছিলেন কিন্তু পরে জানতে পারেন যে, তিনি একজন সাধারণ সাক্ষি ছিলেন। দ্বিতীয়ত, ১৯৯০ এর দশকে ওপোকু কোট ডিভোরে একজন শরণার্থী ছিলেন। একদিন তার যখন পিপাসা পেয়েছিল, তিনি একজন যুবকের কাছ থেকে জল কেনার জন্য গিয়েছিলেন। ওপোকুর কাছে কেবল বড় নোট ছিল আর সেই যুবকের কাছে কোনো খুচরো ছিল না, তাই তিনি ওপোকুকে বিনামূল্যে জল খেতে দিয়েছিলেন। তিনি যখন ওপোকুকে জল দিচ্ছিলেন, তখন যুবক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেছিলেন: “আপনি কি মনে করেন যে, আমরা কখনও এমন এক সময় দেখতে পাব যখন আমার আপনার মতো লোকেরা একে অন্যকে বিনামূল্যে জিনিস দেব?” ওপোকু অনুমান করেছিলেন যে, তিনি যিহোবার সাক্ষিদের একজন ছিলেন এবং যুবক ব্যক্তি বলেছিলেন যে তিনি একজন সাক্ষি। এই ভাইয়ের উদারতা এবং দয়া তার ওপর ছাপ ফেলেছিল। সবশেষে, বিনামূল্যে তাকে একটা পত্রিকা দেওয়ার জন্য বিশেষ অগ্রগামীর ইচ্ছুক মনোভাব ওপোকুকে দৃঢ়প্রত্যয়ী করেছিল যে, সাক্ষিদের সম্বন্ধে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভুল ছিল এবং তার মনোভাবকে পরিবর্তন করার দরকার আছে। তিনি আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করেছিলেন এবং এখন একজন অবাপ্তাইজিত প্রকাশক।

যদিও লাইবেরিয়াতে ভাইয়েরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিগুলোর মুখোমুখি হয়ে চলেছে, তবুও তারা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে এবং ঈশ্বরের রাজ্যের ধার্মিক শাসনাধীনে আরও ভাল পরিস্থিতি সম্বন্ধীয় সুসমাচার বিশ্বস্তভাবে ঘোষণা করে। যিহোবা তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং তাঁর নামের জন্য তারা যে-প্রেম দেখায়, তা কখনও ভুলে যাবেন না।—ইব্রীয় ৬:১০.

[৩০ পৃষ্ঠার মানচিত্রগুলো]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

মনরোভিয়া

[৩১ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

সংকটপূর্ণ সময়গুলোতে, যিহোবার লোকেরা অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের আধ্যাত্মিক ও বস্তুগত সাহায্য জোগায়

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার