ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w16 ডিসেম্বর পৃষ্ঠা ৩-৭
  • “সর্ব্বজনের কাছে সর্ব্ববিধ” হওয়া

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “সর্ব্বজনের কাছে সর্ব্ববিধ” হওয়া
  • প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যিহোবার সেবা করতে শুরু করি
  • বিদেশে কার্যভার
  • যে-সমস্ত কার্যভারের জন্য আরও মানিয়ে নেওয়া প্রয়োজন ছিল
  • এখনও মানিয়ে নিচ্ছি
  • আমি খ্রিস্টকে অনুসরণ করার জন্য বিভিন্ন বিষয় ত্যাগ করেছি
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
  • আমি যিহোবা সম্বন্ধে শিখতে ও শেখাতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছি
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
  • যিহোবা আমাকে তাঁর ইচ্ছা পালন করার জন্য শিক্ষা দিয়েছেন
    ২০১২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আমরা অনেক উপায়ে ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেছি
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
আরও দেখুন
প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
w16 ডিসেম্বর পৃষ্ঠা ৩-৭

জীবনকাহিনি

“সর্ব্বজনের কাছে সর্ব্ববিধ” হওয়া

বলেছেন ডেন্টন হপকিনসন

যুবক বয়সে ডেন্টন হপকিনসন

“তুমি যদি বাপ্তিস্ম নাও, তা হলে আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাব!” আমার বাবা ১৯৪১ সালে মাকে হুমকি দিয়ে এই কথাগুলো বলেন। বাবার হুমকি সত্ত্বেও, মা এগিয়ে চলার ও যিহোবা ঈশ্বরের কাছে তার উৎসর্গীকরণের প্রতীক হিসেবে বাপ্তিস্ম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর বাবা নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আমাদের ছেড়ে চলে যান। আমার বয়স তখন মাত্র আট বছর।

এই ঘটনার আরও আগেই বাইবেলের সত্যের প্রতি আমার আগ্রহ গড়ে উঠেছিল। মায়ের কাছে বাইবেলভিত্তিক কিছু প্রকাশনা ছিল আর আমি সেইসমস্ত প্রকাশনার বিষয়বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলাম, বিশেষভাবে ছবিগুলোর প্রতি। মা তার শেখা বিষয়গুলো নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলুক, সেটা বাবা চাইতেন না। কিন্তু, আমিই কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলাম আর মাকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতাম। তাই, বাবা যখন ঘরে থাকতেন না, তখন মা আমার সঙ্গে অধ্যয়ন করতেন। এর ফলে আমিও যিহোবার কাছে নিজের জীবন উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি ১৯৪৩ সালে দশ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের ব্ল্যাকপুলে বাপ্তিস্ম নিই।

যিহোবার সেবা করতে শুরু করি

সেই সময় থেকে, মা ও আমি একসঙ্গে নিয়মিতভাবে ক্ষেত্রের পরিচর্যায় অংশ নিতাম। আমরা ফোনোগ্রাফ ব্যবহার করে বাইবেলের বার্তা জানাতাম। এগুলো বেশ বড়ো ছিল আর এগুলোর ওজন ছিল প্রায় সাড়ে চার কিলোগ্রাম (দশ পাউন্ড)। একটু কল্পনা করুন, আমার মতো একটা ছোটো ছেলে সেটা বহন করার চেষ্টা করছে!

চোদ্দো বছর বয়সে, আমি অগ্রগামী হতে চেয়েছিলাম। মা আমাকে বলেছিলেন, ভাইদের দাস—যাকে এখন সীমা অধ্যক্ষ বলা হয়—তার সঙ্গে প্রথমে আমার কথা বলা উচিত। সেই ভাই আমাকে কোনো একটা কাজ শেখার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেন আমি অগ্রগামী সেবা করার সময় নিজের ভরণ-পোষণ করতে পারি। আমি সেটাই করেছিলাম। দু-বছর কাজ করার পর, আমি আরেকজন সীমা অধ্যক্ষের সঙ্গে অগ্রগামী সেবা সম্বন্ধে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, “তা হলে আর দেরি কেন, শুরু করে দাও!”

তাই ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে, মা আর আমি ম্যানচেস্টারের কাছাকাছি মিডেলটনে চলে গিয়েছিলাম। আমরা আমাদের কিছু আসবাবপত্র বিক্রি করেছিলাম আর বাকিগুলো অন্যদের দিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা দু-জন মিডেলটনে অগ্রগামী সেবা শুরু করেছিলাম। চার মাস পর, আমি ও আরেকজন ভাই একসঙ্গে অগ্রগামী সঙ্গী হিসেবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। শাখা অফিস আমাদের পরামর্শ দিয়েছিল, যেন আমরা ইরলামে একটা নতুন মণ্ডলীতে গিয়ে সেবা করি। মা তখন আরেকজন বোনের সঙ্গে অন্য একটা মণ্ডলীতে অগ্রগামী হিসেবে সেবা করেছিলেন।

যদিও আমার বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর, কিন্তু সেই নতুন মণ্ডলীতে যোগ্য ভাইয়ের সংখ্যা কম ছিল বলে আমাকে ও আমার সঙ্গীকে মণ্ডলীর সভা পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, আমাকে বাক্সটন মণ্ডলীতে চলে যেতে বলা হয়েছিল। সেই মণ্ডলীতে প্রকাশকদের সংখ্যা অনেক কম ছিল ও সেখানে সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। আমি সবসময়ই আমার সেই প্রাথমিক অভিজ্ঞতাগুলোকে আমার ভবিষ্যৎ কার্যভারের জন্য প্রশিক্ষণ হিসেবে দেখেছি।

১৯৫৩ সালে ডেন্টন হপকিনসন ও অন্যেরা জনসাধারণের বক্তৃতার বিজ্ঞাপন দিচ্ছন

১৯৫৩ সালে নিউ ইয়র্কের রচেস্টারে অন্যান্য ভাই-বোনের সঙ্গে জনসাধারণের বক্তৃতার বিজ্ঞাপন দিচ্ছি

আমি ১৯৫১ সালে ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অভ্‌ গিলিয়েড-এ যোগ দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র পূরণ করেছিলাম। কিন্তু ১৯৫২ সালের ডিসেম্বর মাসে, আমাকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। আমি একজন পূর্ণসময়ের পরিচারক হিসেবে সামরিক বাহিনী থেকে অব্যাহতি লাভের চেষ্টা করেছিলাম। তবে, আমি যে একজন পরিচারক তা আদালত মেনে নেয়নি আর আমাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কারাগারে থাকার সময় আমি গিলিয়েড স্কুলের ২২তম ক্লাসে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তাই, ১৯৫৩ সালের জুলাই মাসে আমি জর্জিক নামের একটা জাহাজে চড়ে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলাম।

নিউ ইয়র্কে পৌঁছে আমি ১৯৫৩ সালে অনুষ্ঠিত নতুন জগৎ সমাজ সম্মেলন-এ যোগদান করতে পেরেছিলাম। এরপর, আমি ট্রেনে করে নিউ ইয়র্কের সাউথ ল্যানসিংয়ে যাত্রা করেছিলাম, যেখানে সেই স্কুল ছিল। সবেমাত্র কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ায় আমার কাছে সামান্যই অর্থ ছিল। ট্রেন থেকে নেমে, বাসে করে সাউথ ল্যানসিংয়ে যাওয়ার সময় আমাকে একজন সহযাত্রীর কাছ থেকে ২৫ সেন্ট ধার নিতে হয়েছিল।

বিদেশে কার্যভার

গিলিয়েড স্কুলে আমাদের চমৎকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল আর তা আমাদেরকে মিশনারি সেবায় ‘সর্ব্বজনের কাছে সর্ব্ববিধ হইতে’ সাহায্য করেছিল। (১ করি. ৯:২২) পল ব্রুন, রেমন্ড লিচ ও আমাকে ফিলিপিনসে কার্যভার দেওয়া হয়েছিল। ভিসা নেওয়ার জন্য আমাদের কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল; এরপর, আমরা জাহাজে করে রটার্ডেম, ভূমধ্যসাগর, সুয়েজ খাল, ভারত মহাসাগর, মালয়েশিয়া ও হংকং হয়ে ৪৭ দিনের সমুদ্রযাত্রা করেছিলাম! অবশেষে, ১৯৫৪ সালের ১৯ নভেম্বর আমরা ম্যানিলায় পৌঁছেছিলাম।

১৯৫৪ সালে ডেন্টন হপকিনসন ও রেমড লিচ একটা জাহাজের উপর

আমার মিশনারি সঙ্গী রেমন্ড লিচ ও আমি ফিলিপিনসে যাওয়ার জন্য একটা জাহাজে করে ৪৭ দিন ধরে যাত্রা করেছি

এরপর আমরা নতুন লোক, নতুন দেশ আর এমনকী নতুন এক ভাষার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু, আমাদের তিন জনকে প্রথমে কেইসন সিটির একটা মণ্ডলীতে কার্যভার দেওয়া হয়েছিল, যে-এলাকার অনেক অধিবাসী ইংরেজি ভাষায় কথা বলত। তাই, ছয় মাস পরও আমরা টাগালগ ভাষায় শুধু অল্প কিছু শব্দ শিখতে পেরেছিলাম। আমাদের পরের কার্যভার সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আমাদের সাহায্য করেছিল।

১৯৫৫ সালের মে মাসের কোনো একদিন, ক্ষেত্রের পরিচর্যা থেকে ঘরে ফিরে এসে ভাই লিচ ও আমি কয়েকটা চিঠি দেখতে পেয়েছিলাম। আমরা জানতে পেরেছিলাম, আমাদের সীমা অধ্যক্ষ হিসেবে কার্যভার দেওয়া হয়েছে। আমার বয়স তখন মাত্র ২২ বছর কিন্তু এই কার্যভার আমাকে নতুন নতুন উপায়ে ‘সর্ব্বজনের কাছে সর্ব্ববিধ হইবার’ সুযোগ এনে দিয়েছিল।

ডেন্টন হপকিনসন জনসাধারণের উদশে একটা বক্তৃতা দিচ্ছন

বাইকোল ভাষার একটা সীমা সম্মেলনে জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছি

উদাহরণ স্বরূপ, আমি সীমা অধ্যক্ষ হিসেবে গ্রামের একটা দোকানের সামনে খোলা জায়গায় আমার প্রথম বক্তৃতা দিয়েছিলাম। শীঘ্রই আমি জানতে পেরেছিলাম, সেই সময়ে ফিলিপিনসের প্রথা ছিল, জনসাধারণের বক্তৃতা জনসাধারণের সামনেই দিতে হবে! সেই সীমার বিভিন্ন মণ্ডলীতে পরিদর্শন করার সময় আমি দর্শনীয় স্থানে তৈরি করা ছাউনিতে, বাজারে, পৌরসভার কার্যালয়ের সামনে, বাস্কেট বল খেলার কোর্টে, পার্কে এবং প্রায়ই শহরের রাস্তার কোণে বক্তৃতা দিয়েছিলাম। একবার, সান পাবলো সিটিতে প্রবল বৃষ্টির কারণে আমি একটা বাজারের সামনে বক্তৃতা দিতে পারিনি। তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইদের আমি বলেছিলাম, কিংডম হলে সেই বক্তৃতা দেওয়া যায়। সেই বক্তৃতা দেওয়ার পর ভাইয়েরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, যেহেতু এই সভা জনসাধারণের স্থানে অনুষ্ঠিত হয়নি, তাই এটাকে জনসাধারণের সভা হিসেবে রিপোর্ট করা যাবে কি না!

সবসময় ভাই-বোনদের ঘরে আমার থাকার ব্যবস্থা করা হতো। ঘরগুলো খুব সাধারণ ছিল, কিন্তু সেগুলো সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকত। প্রায়ই কাঠের মেঝেতে একটা মাদুর পেতে আমার বিছানা দেওয়া হতো। যেহেতু খোলামেলা জায়গায় স্নান করতে হতো, তাই আমি খোলা জায়গায় মার্জিতভাবে স্নান করতে শিখেছিলাম। আমি জিপনি (ফিলিপিনসের স্থানীয় পরিবহন) ও বাসে করে ভ্রমণ করতাম আর মাঝে মাঝে অন্যান্য দ্বীপে যাওয়ার জন্য নৌকা ব্যবহার করতাম। এত বছর ধরে এখানে সেবা করার সময় আমি কখনো গাড়ি কিনিনি।

ক্ষেত্রের পরিচর্যায় কাজ করার ও বিভিন্ন মণ্ডলী পরিদর্শন করার মাধ্যমে আমি টাগালগ ভাষা শিখতে পেরেছি। আমি কখনো ভাষা শেখার কোনো কোর্স করিনি, বরং ক্ষেত্রের পরিচর্যায় ও সভাতে ভাই-বোনদের কথাবার্তা শুনে আমি এই ভাষা শিখেছি। ভাইয়েরা আমাকে শিখতে সাহায্য করেছে আর তাদের ধৈর্য ও অকপট মন্তব্যের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, নতুন নতুন কার্যভার আমাকে আরও বেশি মানিয়ে নিতে শিখিয়েছে। ১৯৫৬ সালে ভাই নেথেন নর যখন পরিদর্শন করতে এসেছিলেন, তখন আমাকে সম্মেলনের সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করার কার্যভার দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যাপারে আমার কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না, তাই অন্যেরা স্বেচ্ছায় আমাকে তা শিখতে সাহায্য করেছিল। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আরেকটা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল আর সেই সময়ে বিশ্বপ্রধান কার্যালয় থেকে ভাই ফ্রেডরিক ফ্রাঞ্জ পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। আমি সম্মেলনের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেছিলাম আর লোকেদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ভাই ফ্রাঞ্জের ইচ্ছুক মনোভাব থেকে আমি শিক্ষা গ্রহণ করেছিলাম। ভাই ফ্রাঞ্জ জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ফিলিপনসের ঐতিহ্যবাহী পোশাক বারং টাগালগ পরেছিলেন আর তা দেখে স্থানীয় ভাই-বোনেরা খুব খুশি হয়েছিল।

আমাকে যখন একজন জেলা অধ্যক্ষ হিসেবে কার্যভার দেওয়া হয়েছিল, তখন আমাকে আরও বেশি মানিয়ে নিতে হয়েছিল। সেই সময়ে, আমরা লোকেদেরকে নতুন জগৎ সমাজের সুখ (ইংরেজি) নামক সিনেমা দেখাতাম আর তা প্রায় সময়ই খোলা জায়গায় দেখাতে হতো। কখনো কখনো, আমাদের পোকামাকড়ের উপদ্রব সহ্য করতে হতো। প্রোজেক্টরের আলোর কারণে পোকামাকড় আকৃষ্ট হতো আর সেগুলো সেখানেই আটকে থাকত। সিনেমা দেখানোর পর প্রোজেক্টর পরিষ্কার করাটাও কম ঝামেলার ছিল না! এসব প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা সহজ কাজ ছিল না, কিন্তু যিহোবার সংগঠন যে একটা আন্তর্জাতিক সংগঠন, সেটা বুঝতে পেরে লোকেরা যখন চমৎকার প্রতিক্রিয়া দেখাত, তখন তা দেখে আমরা পরিতৃপ্তি লাভ করতাম।

ক্যাথলিক যাজকরা স্থানীয় কিছু কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়েছিল, যেন তারা আমাদের সম্মেলন করার অনুমতি না দেয়। এ ছাড়া, যখন গির্জার কাছাকাছি এলাকায় বক্তৃতা তুলে ধরা হতো, তখন তারা গির্জার ঘণ্টা বাজাতে থাকত, যাতে লোকেরা আমাদের কার্যক্রম শুনতে না পারে। তা সত্ত্বেও, আমাদের কাজ এগিয়ে চলেছিল আর সেইসমস্ত এলাকার অনেকে এখন যিহোবার উপাসক।

যে-সমস্ত কার্যভারের জন্য আরও মানিয়ে নেওয়া প্রয়োজন ছিল

১৯৫৯ সালে আমি একটা চিঠি পাই, যেটাতে জানানো হয়েছিল, আমাকে শাখা অফিসে সেবা করার কার্যভার দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আমি আরও বেশি শিখতে পেরেছিলাম। পরবর্তী সময়ে, আমাকে আঞ্চলিক অধ্যক্ষ হিসেবে অন্যান্য দেশে পরিদর্শন করতে বলা হয়। এইরকম এক পরিদর্শনের সময়, জ্যানেট ডুমন্ডের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সে থাইল্যান্ডে একজন মিশনারি হিসেবে সেবা করছিল। কিছুটা সময় ধরে আমরা চিঠির মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করি আর এরপর আমরা বিয়ে করি। বিবাহিত দম্পতি হিসেবে আমরা ইতিমধ্যে ৫১ বছর ধরে পরিতৃপ্তিদায়ক সেবা উপভোগ করেছি।

ফিলিপিনসে ডেন্টন ও জ্যানেট হপকিনসন

জ্যানেটের সঙ্গে ফিলিপিনসের একটা দ্বীপে

সর্বমোট তেত্রিশটা দেশের যিহোবার লোকেদের সঙ্গে আমার দেখা করার সুযোগ হয়েছে। আমার আগের কার্যভারগুলো আমাকে এক স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা অর্থাৎ বৈচিত্র্যময় লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করেছে বলে আমি কতই-না কৃতজ্ঞ! এসব পরিদর্শন আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও বেশি প্রসারিত করতে এবং যিহোবা কীভাবে প্রেমের সঙ্গে সমস্ত ধরনের লোকেদের গ্রহণ করে নেন, তা বুঝতে সাহায্য করেছে।—প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫.

ডেন্টন ও জ্যানেট হপকিনসন একজন মহিলার কাছ পচার করছন

আমরা নিয়মিতভাবে ক্ষেত্রের পরিচর্যায় অংশগ্রহণ করি

এখনও মানিয়ে নিচ্ছি

আমরা এখন আনন্দিত হৃদয়ে ফিলিপিনসে আমাদের ভাই-বোনদের সঙ্গে সেবা করছি! আমি যখন এখানে সেবা করতে শুরু করেছিলাম, তখন থেকে এখন প্রকাশকের সংখ্যা প্রায় দশ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্যানেট ও আমি কেইসন সিটিতে অবস্থিত ফিলিপিনসের শাখা অফিসে একসঙ্গে সেবা করছি। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদেশি কার্যভারে থাকার পর, এখনও আমাকে যিহোবার নির্দেশনার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করতে হয়। সম্প্রতি সংগঠনে যে-সমস্ত পরিবর্তন হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হয়েছে, যাতে আমরা ঈশ্বর ও আমাদের ভাই-বোনদের সেবা করে যেতে পারি।

ডেন্টন ও জ্যানেট হপকিনসন একজন কিশোরী সাক্ষির সগ কথা বলছন

সাক্ষিদের বৃদ্ধি ক্রমাগত আমাদের হৃদয়কে আনন্দিত করছে

আমরা যিহোবার ইচ্ছা পালন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি আর এর ফলে সবচেয়ে পরিতৃপ্তিদায়ক জীবন উপভোগ করতে পেরেছি। এ ছাড়া, আমরা প্রয়োজনীয় রদবদল করার ও আমাদের ভাই-বোনদের ভালোভাবে সেবা করার চেষ্টা করেছি। যতদিন যিহোবার ইচ্ছা হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা ‘সর্ব্বজনের কাছে সর্ব্ববিধ হইবার’ জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।

ডেন্টন হপকিনসন ফিলিপিনসের শাখা অফিসে একজন যুবক বেথেলাইটর সগ কথা বলছন

আমরা এখনও কেইসন সিটির শাখা অফিসে সেবা করছি

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার