আপনার সময়ের সদ্ব্যবহার করুন
১ যিহোবা সময় সম্বন্ধে সচেতন। তিনি চান যে আমরাও যেন সময় সম্বন্ধে সচেতন থাকি। তাঁর সংগঠনের মাধ্যমে তিনি আমাদের সাহায্য করেন সময় সম্বন্ধে সচেতন থাকতে। আমাদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে সবসময়ে “প্রভুর কার্য্যে . . . উপচিয়া” পড়তে। (১ করি. ১৫:৫৮) এইভাবে আমরা যিহোবার কাজে অনেক সক্রিয় হতে পারি।
২ প্রতি সপ্তাহে আমাদের প্রত্যেকের কাছে ঠিক একই পরিমাণ সময় আছে—১৬৮ ঘন্টা। আমরা কতখানি এই সময়ের সদ্ব্যবহার করি? আমরা কি প্রদর্শন করি যে আমরা প্রকৃতই জানি যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে আমরা কোন্ সময় বাস করছি? অপ্রয়োজনীয় কাজের দ্বারা আমরা কি বিঘ্নিত হচ্ছি?
৩ আমাদের সংগঠিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে প্রাধান্যতার একটা তালিকা রাখার চেষ্টা করে। গুরুত্ব অনুসারে এক একটি বিষয়কে সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সম্বন্ধে কিভাবে নির্ণয় নেওয়া যায়? বাইবেল জানায় যে মানুষ যাতে “সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে।” (উপ. ৩:১৩) কিছু কাজের ফল অন্যদের চাইতে উৎকৃষ্ট হয়। প্রতিটি কাজ কিধরনের ফল আনবে তা বিবেচনা করুন। কাজটি শেষ করার পর তা কি কোন তাৎপর্যমূলক উপকার আনবে? আপনি কি আপনার পরিশ্রমের “সুখভোগ” করতে পারবেন? তা যদি না হয়, তাহলে এটা হয়ত সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কাজ নয়।
৪ আমাদের পরিচর্যায়: আমরা উপলব্ধি করি যখন অন্যেরা সময় মত পরিচর্যার জন্য সভায় আসে, মনোযোগ সহকারে নির্দেশগুলি শোনে এবং তাড়াতাড়ি ক্ষেত্রের কাজে বের হয়ে পড়ে। অপেক্ষা করার চাইতে আমরা বরঞ্চ প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকব। অবশ্যই পৌল উত্তম সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করেছিলেন যখন তিনি লেখেন: “সকলই শিষ্ট ও সুনিয়মিতরূপে করা হউক।”—১ করি. ১৪:৪০.
৫ যখন আমরা ক্ষেত্রের পরিচর্যায় যাই তখন চা খাবার সময়ে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করতে পারি। যাইহোক, আবহাওয়া যখন খারাপ থাকে তখন এইধরনের বিরতি আমাদের সতেজ করবে এবং কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি দেবে। কিন্তু, অনেকে আবার লোকেদের কাছে প্রচার করতেই ব্যস্ত থাকে এবং ভাইদের সাথে চায়ের বিরতিতে মেলামেশার সুযোগকে ছেড়ে দেয় এবং পরিচর্যার জন্য যে সময়টি নির্ধারিত তার সদ্ব্যবহার করে। ভারসাম্য রাখার প্রয়োজন আছে।
৬ “হাড়গিলাও আপনার সময় জানে” যে কখন তাকে চলে যেতে হবে এবং পিপীলিকাও “গ্রীষ্মকালে আপন খাদ্য প্রস্তুত করে” যাতে করে সে শীতের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে, বাইবেল জানায়। (যির. ৮:৭; হিতো. ৬:৬-৮) এখানেই রয়েছে সময়ের সদ্ব্যবহার করার গোপন রহস্য। আমাদেরও উচিত ‘নিজস্ব সময় জানা।’ এই বিষয় অতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন না করে, আমাদের উচিত সময় সম্বন্ধে সচেতন থাকা। কী করতে হবে সেটাই শুধু জানা নয় আমাদের উচিত, এটাও জানা যে কখন তা করতে হবে। আমাদের উচিত আগে থেকে চিন্তা করার অভ্যাসকে গড়ে তোলা এবং সম্ভাব্য বিলম্ব সম্বন্ধে সচেতন থাকা। এছাড়াও কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন সভার জন্য প্রস্তুতি, ক্ষেত্রের পরিচর্যা এবং অন্যান্য ঐশিক কাজগুলি করার জন্য কিছু কাজকে সংক্ষিপ্ত করতে আমাদের ইচ্ছুক থাকা উচিত।
৭ আমরা আমাদের স্বর্গীয় পিতা, যিহোবার ঈশ্বরের মত হতে চাই যিনি আমাদের শিক্ষা দেন যে “সকল বিষয়েরই সময় আছে।” (উপ. ৩:১) আমাদের সময়ের সদ্ব্যহার করার দ্বারা, আমরা ‘পরিচর্যার কাজ পূর্ণরূপে সম্পন্ন করতে পারি।’—২ তীম. ৪:৫.