ইতস্ততবোধ করবেন না!
১ ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার ঘোষণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার দ্বারা আমরা আমাদের নির্ধারিত এলাকার লোকেদের “মঙ্গল করিতে অস্বীকার” বা ইতস্ততবোধ করি না। (হিতো. ৩:২৭) ঈশ্বরের শাসনাধীনে যে-ভাল সময় আসবে, মানবজাতির কাছে বলার মতো এর চেয়ে ভাল বার্তা আর নেই। যদিও আপনি রীতিবহির্ভূতভাবে সাক্ষ্যদান করার অথবা সাহিত্যাদি অর্পণ করার দ্বারা উদারভাবে রাজ্যের আশা লোকেদের জানাচ্ছেন কিন্তু বর্তমানে যদি আপনি বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা না করে থাকেন, তা হলে একটা অধ্যয়ন পরিচালনা করার লক্ষ্য স্থাপন করুন না কেন?
২ মাঝে মাঝে একটা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর মধ্যে একটা হল, বিষয়টা সম্বন্ধে আমরা যেভাবে মনে করে থাকি। কেউ কেউ আস্থার অভাব অথবা তাদের ব্যস্ত তালিকা থাকার কারণে বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করতে ইতস্ততবোধ করে। নীচে দেওয়া পরামর্শগুলো হয়তো আপনার জন্য বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনার কাজে অংশগ্রহণ করতে ইতস্ততবোধ না করার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হতে পারে।—মথি ২৮:১৯; প্রেরিত ২০:২০.
৩ আস্থার অভাব: সম্ভবত আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সীমিত অথবা অন্য কিছু কারণে একটা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করার ক্ষমতা সম্বন্ধে আপনার আস্থার অভাব রয়েছে। প্রথম শতাব্দীর দক্ষ খ্রিস্টান পরিচারকরা “অশিক্ষিত সামান্য লোক” ছিল। কী তাদের অন্যদেরকে সত্য সম্বন্ধে শিক্ষা দিতে সক্ষম করেছিল? “ইহাঁরা যীশুর সঙ্গে ছিলেন।” (প্রেরিত ৪:১৩) তারা মহান শিক্ষক, যিশুর কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেছিল, যাঁর সমস্ত শিক্ষা ও পদ্ধতি আমাদের জন্য শাস্ত্রে সংরক্ষিত রয়েছে। এমনকি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সীমিত হলেও, আপনি আসলে আধ্যাত্মিক শিক্ষা লাভ করছেন, যেটা অতুলনীয়।—যিশা. ৫০:৪; ২ করি. ৩:৫.
৪ যিহোবা পথভ্রষ্ট শাসক অথবা উচ্চপদস্থিত ব্যক্তিদের সংশোধন করার জন্য মাঝে মাঝে ভাববাদীদের ব্যবহার করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যেমন আমোষ এক সাধারণ পরিবার থেকে এসেছিলেন। আমোষ স্বীকার করেছিলেন: “আমি নিজে ভাববাদী ছিলাম না, ভাববাদীর সন্তানও ছিলাম না, কেবল গোপালক ও ডুমুরফল সংগ্রাহক ছিলাম।” (আমোষ ৭:১৪) তা সত্ত্বেও, আমোষ বাছুর উপাসনাকারী যাজক অমৎসিয়ের কাছে যিহোবার বিচার সংক্রান্ত বার্তা ঘোষণা করতে ইতস্ততবোধ করেননি। (আমোষ ৭:১৬, ১৭) আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে, আমরা ঈশ্বরের কাজ করছি এবং তিনি সেই কাজ করার জন্য আমাদেরকে যথাযোগ্য করে তুলবেন।—২ তীম. ৩:১৭.
৫ ব্যস্ত তালিকা: এমনকি আপনার এক ব্যস্ত তালিকা থাকা সত্ত্বেও, আপনি সম্ভবত নিয়মিতভাবে পরিচর্যায় অংশগ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যেই সময় আলাদা করে নিয়েছেন। একটা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করা পরিচর্যার সবচেয়ে আনন্দময় দিকগুলোর মধ্যে একটা হতে পারে। একজন ব্যক্তির জীবনে যিহোবার বাক্যকে কার্যরত হতে দেখা হল এক অদ্বিতীয় সুযোগ। (ইব্রীয় ৪:১২) কাউকে “সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে” সাহায্য করার জন্য যখন আমরা ব্যক্তিগত ত্যাগস্বীকারগুলো করি, তখন যিহোবা তাতে খুশি হন। (১ তীম. ২:৪) যখন কেউ তার পুরনো জীবনধারা ত্যাগ করে অনুতপ্ত হয় এবং আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করে, তখন এমনকি দূতেরাও আনন্দ করে।—লূক ১৫:১০.
৬ ঈশ্বরের “ইচ্ছা এই, যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে।” (১ তীম. ২:৪) বাইবেল অধ্যয়নগুলো পরিচালনা করার জন্য ইতস্ততবোধ না করে, ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করার কী এক অদ্বিতীয় সুযোগই না আমাদের রয়েছে!
[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]
১. কোন উপায়ে আমরা ‘মঙ্গল করিতে অস্বীকার করি না’?
২. কী আমাদেরকে একটা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করার ক্ষেত্রে ইতস্ততবোধ করার দিকে পরিচালিত করতে পারে?
৩. কেন বাইবেল সম্বন্ধে শিক্ষা দিতে আমরা যোগ্য?
৪. আমোষের উদাহরণ থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
৫. এমনকি আমাদের এক ব্যস্ত তালিকা থাকা সত্ত্বেও, কেন আমাদের একটা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করার প্রচেষ্টা করা উচিত?
৬. ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার কোন অদ্বিতীয় সুযোগ আমাদের রয়েছে?