আপনি কি সন্ধ্যাবেলার সাক্ষ্যদানে অংশগ্রহণ করতে পারেন?
১. একজন পণ্ডিত ব্যক্তির মতানুসারে, কখন প্রেরিত পৌল ঘরে ঘরে প্রচার করতেন?
১ বাইবেলের সময়ে দৈনন্দিন জীবন (ইংরেজি) নামক বই অনুসারে, প্রেরিত পৌল সাধারণত “বিকেল ৪-টে থেকে অনেক রাত পর্যন্ত” ঘরে ঘরে পরিচর্যায় অংশ নিতেন। আমরা জানি না যে, আসলে এটাই পৌলের তালিকা ছিল কি না তবে আমরা এটা জানি যে, পৌল “সকলই সুসমাচারের জন্য” করতে ইচ্ছুক ছিলেন। (১ করি. ৯:১৯-২৩) হয়তো এর অন্তর্ভুক্ত ছিল, যখন ঘরে ঘরে যাওয়া সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ, সেই সময়ে যাওয়ার জন্য তার নিজের কাজগুলোকে রদবদল করা।
২. কেন সন্ধ্যাবেলাগুলো হল, পরিচর্যায় অংশগ্রহণ করার জন্য ভালো সময়?
২ অনেক জায়গায়, প্রকাশকরা রীতিগতভাবে সপ্তাহের সকালগুলোতেই ঘরে ঘরে প্রচারের কাজে গিয়েছে। কিন্তু, আপনার এলাকায় এখনও কি এটাই সবচেয়ে ভালো সময়? একজন অগ্রগামী তার এলাকা সম্বন্ধে বলেন: “দিনের বেলায় খুব কম লোককেই ঘরে পাওয়া যায়। কিন্তু বেশিরভাগ লোক সন্ধ্যাবেলাতেই ঘরে থাকে।” তাই বিশেষ করে পুরুষদের কাছে, সুসমাচার নিয়ে পৌঁছানোর জন্য সন্ধ্যাবেলায় অথবা বিকালবেলায় সাক্ষ্যদান করা সবচেয়ে ভালো সুযোগ প্রদান করতে পারে। এই সময়ে গৃহকর্তারা সাধারণত আরও বেশি হালকা মেজাজে থাকে আর কথা বলতে ইচ্ছুক হয়। এটা করা যদি উপকারজনক হয়, তাহলে প্রাচীনদের সন্ধ্যাবেলায় ক্ষেত্রের পরিচর্যার জন্য সভাগুলোর ব্যবস্থা করা উচিত।
৩. সন্ধ্যাবেলায় সাক্ষ্যদানে রত থাকার সময় কীভাবে আমরা হয়তো বিচক্ষণতা দেখাতে পারি?
৩ বিচক্ষণ হোন: সন্ধ্যাবেলায় সাক্ষ্যদান করার সময় বিচক্ষণ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি অসময়ে কারো কাছে গিয়ে পড়েছেন, যেমন তিনি হয়তো যখন রাতের খাবার খাচ্ছেন, তাহলে তার কাছে পরে ফিরে যাওয়ার কথা বলে চলে আসা সবচেয়ে ভালো হবে। আর যদি অন্ধকার হয়ে যায়, তাহলে গৃহকর্তা আপনাকে দেখতে পান এমন এক জায়গায় দাঁড়ান আর দেরি না করেই নিজের পরিচয় দিন ও আপনার আসার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলুন। এ ছাড়া, দুজন করে অথবা দলগতভাবে কাজ করা ও যথেষ্ট আলো রয়েছে এমন রাস্তাগুলোতে, যেখানে আপনি একা নন, সেখানে অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অনেক দেরি করে যাবেন না, যাতে আপনি গৃহকর্তাদের রাতে শুতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটান। (২ করি. ৬:৩) সন্ধ্যার পর কোনো একটা এলাকা যদি নিরাপদ না হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে দিনের আলো থাকতে থাকতেই প্রচার করুন।—হিতো. ২২:৩.
৪. সন্ধ্যাবেলায় সাক্ষ্যদান করার আশীর্বাদগুলো কী?
৪ আশীর্বাদগুলো: আমরা যখন সাক্ষ্যদান করতে সক্ষম হই, তখন পরিচর্যা অনেক বেশি আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। আর আমরা যত বেশি সাক্ষ্যদান করতে সক্ষম হব, আমাদের তত বেশি অন্যদেরকে ‘পরিত্রাণ পাইতে, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে’ সাহায্য করার সুযোগ থাকবে। (১ তীম. ২:৩, ৪) সন্ধ্যাবেলার সাক্ষ্যদানে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনি কি আপনার তালিকায় রদবদল করতে পারেন?