ধর্ষণের বাস্তবতা
য তক্ষণে আপনার এই পৃষ্ঠাটি পড়া শেষ হবে, ততক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও না কোথাও একটি নারী ধর্ষিতা হবে। সে একা থাকার সময়, তার হয়ত পরিচিত কোন ব্যক্তির হিংস্র আচরণের জন্য প্রচন্ড ভীত হবে এবং অসম্মানিত হবে। তাকে হয়ত প্রহার করা হবে। সে হয়ত প্রতিরোধ করবে। কোন সন্দেহ নেই সে তার জীবনের জন্য ভীত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ হল দ্রুত বর্দ্ধক হিংস্রতামূলক অপরাধ, যেখানে ইতিমধ্যেই জগতের সবচেয়ে বেশী ধর্ষণের হার দেখা যায়। পুলিশের রিপোর্ট অনুসারে প্রতি ঘন্টায় ১৬টি ধর্ষণের প্রচেষ্টা করা হয় ও দশটি নারী ধর্ষিতা হয়। তার সাথে রিপোর্ট না করা ঘটনাগুলি এর থেকেও হয়ত দশ গুণ বেশী!
এই ভয়ানক সমীক্ষাগুলি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই দেখা যায় না। ফ্রান্সে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ধর্ষণের শিকারের সংখ্যা বেড়ে যায় ৬২ শতাংশ। কানাডায় ১৯৯০ সালের মধ্যে মাত্র ছয় বছরে যৌন আক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২৭,০০০ রিপোর্ট করা হয়েছে। জার্মানীতে প্রতি সাত মিনিটে নারীর উপর যৌন আক্রমণের একটি ঘটনার রিপোর্ট করা হয়।
ধর্ষণ নিরপরাধী পুরুষদেরও আঘাত করে।a পুরুষেরা “এমন এক সমাজে বাস করে দুঃখকষ্ট ভোগ করে, যেখানে অর্দ্ধেক জনসমাজের ক্ষুব্ধ, সন্দেহপ্রবণ ও ভীত হওয়ার কারণ আছে,” বলেন মনোবিজ্ঞানী এলিজাবেথ পাওয়েল। তারাও হয়ত অপরাধের শিকার হয় তাদের স্ত্রী, মা, বোন, মেয়ে ও পরিচিতাদের সম্বন্ধে সবসময় চিন্তা করার জন্য অথবা যখন তাদের কোন প্রিয়জন ধর্ষণের শিকার হয় তখন সেই অপরাধ বোধ ও দুঃখের সাথে তাদের মানিয়ে নিতে হয়।
a ১০টি ধর্ষণের শিকারের মধ্যে প্রায় ১টি হল পুরুষ।
কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে?
যে সমাজ হিংস্রতা ও নারীজাতির উপর অন্যায় নিয়ন্ত্রণকে সহ্য করে সেই সমাজে ধর্ষণ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। বহু দেশে স্ত্রী ও পুরুষেরা শিশুবস্থা থেকেই মাধ্যম, পরিবার ও তাদের বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে যৌন সংক্রান্ত বিষয়ে মন্দ সংবাদ ও ভুল ধারণা দ্বারা জর্জরিত হয়। তারা এই ধ্বংসাত্মক ধারণাটি শেখে, যে যৌন বিষয় ও হিংস্রতা একে অপরের সঙ্গে জড়িত এবং নারীর ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক, পুরুষের যৌন কামনাকে তৃপ্ত করার জন্যই নারীর অস্তিত্ব হয়েছে।
জে, ২৩ বছরের এক ফাইল ক্লার্কের মনোভাবটি লক্ষ্য করুন। সে বলে “সমাজ বলে যে প্রকৃত পুরুষ হতে গেলে বহু নারীর সাথে বহুবার দেহসম্ভোগ করতে হবে।” “আপনি যদি তা না করেন তাহলে? আপনি কি তাহলে প্রকৃত পুরুষ?” যদি এক নারী তাকে ক্রুদ্ধ বা নিরাশ করে দেয় তাহলে সে এই চাপের জন্যই তাকে ধর্ষণ করতে পারে।
নারীর প্রতি এইরূপ হিংস্র ও আক্রমণমূলক মনোভাব ধর্ষণ-প্রবণ সমাজে খুবই স্বাভাবিক বলে মনে করেন গবেষিকা লিন্ডা লিডরে। তিনি বলেন “বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণকারী সমাজের ব্যাপক প্ররোচনার জন্যই এই কাজটি করে।” চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সেই বিনাশমূলক সমাজ প্ররোচনাকে ইন্ধন যোগায়। অশ্লীল সাহিত্যাদিতে ধর্ষণ হল সাধারণ বিষয়বস্তু, কিন্তু অশ্লীল সাহিত্যাদি শুধুমাত্র দোষী নয়। সমীক্ষা প্রদর্শন করে, যে চলচ্চিত্রে প্রচুর পরিমাণে যৌন বিষয় থাকে কিন্তু কোন দৌরাত্ম্যের বিষয় থাকে না সেই চলচ্চিত্রের থেকেও দৌরাত্ম্যমূলক চলচ্চিত্র যেখানে কোন যৌন বিষয় নেই সেটিই নারীর প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাবের সৃষ্টি করে। দূরদর্শনও বেশ ভালভাবে জড়িত আছে যখন তা “সব জায়গায় যে সবচেয়ে উদ্দেব্যসাধনমূলক যৌনসম্ভোগ দেখানো হয় তার কিছুটা প্রদর্শন করে,” পাওয়েল বলেন। সংবাদ মাধ্যমের বার্তা? “ক্রুদ্ধ হলে কারুর ক্ষতি করুন।”
বেদনাদায়ক ফলাফলসহ প্রতি দিনের সম্বন্ধে এই বার্তাটি প্রতিফলিত হচ্ছে। অধিকমাত্রায় অনুমোদনকারী জগতে পুরুষেরা মনে করে, নারীরা তাদের যৌন কামনা মিটাতে বাধ্য, বিশেষকরে যখন পুরুষেরা নারীর জন্য অর্থ ব্যয় করে থাকে বা যৌনসম্ভোগের জন্য পুরুষের আমন্ত্রণে প্রথমদিকে নারী যদি সাড়া দিয়ে থাকে।
“যৌন সংসর্গের ক্ষেত্রে বেশীরভাগ সময় ‘না’ বলাটি অর্থহীন হয়, যখন তা এক নারী বলে,” সাংবাদিক রবিন ওয়ারশ বলেন। এবং অনেক ক্ষেত্রেই এর পরিণতি হয় ধর্ষণ।
“দ্বিতীয় ধর্ষণটি”
ক্যাথি যখন ১৫ বছরের ছিল তখন সে তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হকি দলের তিনটি সদস্যের দ্বারা ধর্ষিতা হয়। যখন তার পরিবার কোর্টে এই সম্বন্ধে অভিযোগ করে, তার বন্ধুরা, প্রতিবাসীরা এবং অপরিচিতরাও তাকে বিদ্রূপ ও হয়রান করে। “ছেলেরা তো ছেলেদের মতই ব্যবহার করবে,” পরিবারকে বলা হয়। স্কুলেতে ক্যাথিকে অশ্লীল নামে ডাকা হয় ও ভয় দেখানো চিঠি তার আলমারীতে রাখা হয়। নৈতিক পরীক্ষাকাল ও সমাজ সেবার শাস্তি দিয়ে তার ধর্ষণকারীদের শাস্তি দেওয়া হয় এবং তারা স্কুলের ক্রীড়াজগতে নায়ক হয়ে যায়। ক্যাথিকে মাসের পর মাস হয়রানির শাস্তি সহ্য করতে হয়। অবশেষে সে আত্মহত্যা করে।
ক্যাথির অভিজ্ঞতাটি হল এক শোচনীয় উদাহরণ যে, ধর্ষণের শিকার কিভাবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্রথমে ধর্ষকের দ্বারা দৈহিকভাবে ও পরে অপরের দ্বারা মানসিকভাবে আক্রান্ত হয়। বহু নারীরা লক্ষ্য করেছেন যে ধর্ষণ সম্পর্কে মনোভাব ও ভুল ধারণার জন্য ধর্ষণের শিকাররাই অপরাধের জন্য দোষী হয়। বন্ধুবান্ধব, পরিবার, পুলিশ, ডাক্তার, বিচারক এবং জুরিরা—যাদের আক্রান্তদের সাহায্য করা দরকার—তাদেরও হয়ত সেই ভুল ধারণা থাকতে পারে এবং ধর্ষকের মতই তারাও তাদের গভীরভাবে আঘাত করতে পারে। দোষারোপ করা এত প্রবল হয় যে কিছু ব্যক্তি একে “দ্বিতীয় ধর্ষণ” বলে আখ্যা দেয়।
ধর্ষণ সম্পর্কে ভুল ধারণা একটি মিথ্যা সুরক্ষার মনোভাব গড়ে তোলে। অর্থাৎ, যদি আপনি ধর্ষিতার ব্যবহারে কোন ত্রুটি পান—সে আঁটসাঁট জামাকাপড় পরেছিল বা রাতে সে একা বাইরে গিয়েছিল অথবা সে প্রকৃতই যৌনসংসর্গ পেতে চেয়েছিল—যদি এই প্রকৃতির আচরণ এড়িয়ে চলা যায় তাহলে আপনি ও আপনার প্রিয়জন সুরক্ষিত থাকবেন; ফলে আপনি কখনই ধর্ষিতা হবেন না। বিকল্প, যে ধর্ষণ হল এক বুদ্ধিহীন হিংস্রাচার যা যে কোন ব্যক্তির প্রতি হতে পারে সে যেভাবেই জামাকাপড় পরুক না কেন, এবং তা মেনে নেওয়া অত্যন্ত আতঙ্কজনক।
এক নারী, যাকে সে ভাবত এক “ভাল, ভদ্র ব্যক্তি,” তার দ্বারা ধর্ষিতা হয় মিনতি করেন: “আপনার ক্ষেত্রে তা কখনই ঘটবে না ভাবাটাই হবে আপনার সবথেকে বড় ভুল।”
ধর্ষণের ভুলধারণা ও বাস্তব ঘটনা
নিম্নে লিখিত বিষয়গুলি হল ধর্ষণ সম্পর্কে বহু দিনের কিছু পুরনো ভুলধারণাগুলি যা আক্রান্তদের দোষারোপ করতে ও সেই মনোভাবগুলি ধরে রাখতে সাহায্য করে যা অপরাধকারীদের অপরাধ করে যেতে উৎসাহ যোগায়:
ভুলধারণা: কোন নারী একমাত্র অপরিচিতদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েই ধর্ষিতা হয়।
বাস্তব: ধর্ষিতাদের মধ্যে বেশীরভাগ নারী পরিচিত ও যাদের সে বিশ্বাস করে তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। একটি সমীক্ষা দেখায় যে ধর্ষিতাদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ আক্রমণকারীদের পরিচিত ছিল এবং ৫৭ শতাংশ ধর্ষণ যুবক-যুবতীদের একাকী মেলামেশার সময় ঘটে। বিবাহিতা ৭ জন স্ত্রীর মধ্যে ১ জন তার নিজের স্বামীর দ্বারা ধর্ষিতা হয়।b আক্রমণকারী অপরিচিত, বিবাহসঙ্গী বা সঙ্গী যেই হোক, ধর্ষণ হল হিংস্রপ্রকৃতির ও মানসিকরূপে আঘাত দেয়।
b বিবাহে ধর্ষণ তখনই হয় যখন স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি শক্তি এবং সহবাস সম্পর্কে তার উপর জোর প্রদর্শন করে। অনেক স্বামী হয়ত ভাবতে পারে স্ত্রীর দেহের উপর স্বামীর যে “কর্ত্তৃত্ব” যা প্রেরিত পৌল বলেন তা হল সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব। কিন্তু, পৌল আরও বলেন যে “স্বামীরা আপন আপন স্ত্রীকে আপন আপন দেহ বলিয়া প্রেম করিতে বাধ্য।” প্রেরিত পিতর বলেন যেন স্বামীরা স্ত্রীদের “অপেক্ষাকৃত দুর্ব্বল পাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্ব্বক বাস” করে। সেই জন্য হিংস্রতা প্রদর্শন করার বা জোর করে সহবাস করার কোন প্রশ্নই নেই।—১ করিন্থীয় ৭:৩-৫; ইফিষীয় ৫:২৫, ২৮, ২৯; ১ পিতর ৩:৭; কলসীয় ৩:৫, ৬; ১ থিষনীকীয় ৪:৩-৭.
ভুলধারণা: সেটি তখনই ধর্ষণ বলে প্রতিপন্ন হবে যখন এক নারী ঘটনার পর প্রতিরোধের চিহ্ন, যেমন কাটাছেঁড়ার দাগ দেখায়।
বাস্তব: তারা দৈহিকভাবে প্রতিরোধ করুক বা নাই করুক, খুব কম নারীরা দৃব্যতঃ প্রমাণ দেখায়, যেমন কাটাছেঁড়ার দাগ।
ভুলধারণা: ধর্ষণের শিকার সক্রিয়রূপে প্রতিরোধ না করলে সে অপরাধের দোষে কিছুটা দোষী হয়।
বাস্তব: ব্যাখ্যা অনুসারে ধর্ষণ তখনই ঘটে, যখন কোন ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে বা শক্তি প্রয়োগ করার ভয় দেখিয়ে যৌনসংসর্গ লাভ করা হয়, তা সে যেকোন প্রকারেরই হোক। অনিচ্ছুক শিকারের প্রতি ধর্ষকের শক্তি প্রয়োগ তাকে ধর্ষণকারীতে পরিণত করে। ফলে ধর্ষণের যে শিকার হয়েছে সে ব্যভিচারের দোষে দোষী হবে না। যেমন অজাচারের শিকারের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, অন্য কোন ব্যক্তির আক্রান্তের প্রতি ক্ষমতার অধিকারের জন্য তাকে সেই কাজ করতে বাধ্য করান হয় যা সে করতে চায় না। যদি কোন নারী সন্ত্রাসের জন্য বা মন্দ পরিস্থিতিতে পড়ে ধর্ষকের কাছে বলি হয় তাহলে এর অর্থ এই নয়, সে তা করতে সম্মত ছিল। সম্মতি মনোনয়নের উপর নির্ভর করে যা কোন ভীতির প্রভাব ছাড়াই এবং তা সক্রিয়, নিষ্ক্রিয় নয়।
ভুল ধারণা: ধর্ষণ হল কামেচ্ছার এক অভিব্যক্তি।
বাস্তব: ধর্ষণ হল এক হিংস্র আচরণ। একমাত্র যৌন কামনার জন্য পুরুষেরা ধর্ষণ করে তা নয়, কিন্তু অপর ব্যক্তির প্রতি তার শক্তি আছে তা প্রদর্শন করতে।c
c “অপরাধটি হল ‘যৌন ক্রিয়া’ নয় কিন্তু পরিবর্তে, যৌনকর্মটি হল একটি উপায় যা সাধনকারী এই হিংস্র অপরাধটি করতে ব্যবহার করে।”—ওয়ান্ডা কিইস্-রবিনসন্, ডিভিশন চীফ্, সেক্সুয়াল অফেন্স ইউনিট, বাল্টিমোর সিটি, মেরিল্যান্ড।
ভুলধারণা: এক নারী পুরুষকে উদ্দীপ্ত বা পরিচালিত করতে পারে এমন এক পর্যায়ে যেখানে পুরুষ তার কামেচ্ছাকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না।
বাস্তব: যে পুরুষেরা ধর্ষণ করে তাদের অন্য পুরুষদের থেকে আরও বেশী কামেচ্ছা থাকে তা নয়। পরিবর্তে, এক তৃতীয়াংশ ধর্ষণকারীরা যৌনকর্ম সম্পন্ন করতে সমর্থ হয় না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণ হল পরিকল্পিত কার্য, স্বাভাবিক আবেগ পরিচালিত নয়। অপরিচিত ও পরিচিত ধর্ষক উভয়েই সাধারণত তাদের শিকারকে তার ছকে ফেলে নেয়—অপরিচিত তার শিকারের কাছে অলক্ষ্যে থাকে যতক্ষণ না সে তাকে একা পায়, আর পরিচিত ব্যক্তি এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে যেখানে সে তাকে একাকী পায়।
ভুল ধারণা: পুরুষের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বা যৌনসংসর্গের জন্য দোষী বোধ করাতে ধর্ষণ সম্বন্ধে নারীরা মিথ্যে কথা বলে।
বাস্তব: যে কোন অন্য হিংস্র অপরাধের মতই ধর্ষণ সম্বন্ধে মিথ্যা রিপোর্ট করা হয়: ২ শতাংশ। অপরপক্ষে, গবেষকগণ একমত হন যে ধর্ষণ সম্বন্ধে খুব কমই রিপোর্ট করা হয়।
ভুল ধারণা: কোন নারী উত্তেজক জামাকাপড় পরে, মদ্য পান করে, একাকী মেলামেশার সময় পুরুষকে সব খরচা করতে দিয়ে বা তার ঘরে গিয়ে ধর্ষণ করার জন্য “সুযোগ” দিতে পারে।
বাস্তব: ঠিকভাবে বিচার না করতে পারলে, সাদাসিধে বা জীবনে অনভিজ্ঞ হলেই যে সেই নারী ধর্ষিতা হওয়ার যোগ্য তা নয়। ধর্ষণের জন্য ধর্ষকই সম্পূর্ণ দায়ী। (g93 3/8)
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৪ জন নারীর মধ্যে ১ জন ধর্ষণের শিকার হয় বা তার উপর ধর্ষণের
চেষ্টা করা হয়।
যে সমাজ হিংস্রতা এবং নারীজাতির উপর অন্যায় নিয়ন্ত্রণ সহ্য করে সে সমাজে ধর্ষণ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়