ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৬ ১/৮ পৃষ্ঠা ১৬-১৯
  • সমুদ্রের মধ্যে স্ফটিকের প্রাসাদগুলি

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সমুদ্রের মধ্যে স্ফটিকের প্রাসাদগুলি
  • ১৯৯৬ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • উৎপত্তি ও জীবন চক্র
  • তুষারস্তূপের অভিযান
  • কিভাবে তুষারস্তূপগুলি আমাদের জীবনকে স্পর্শ করে
  • যিহোবার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি
  • আইসক্রিমের ইতিহাস
    ১৯৯৪ সচেতন থাক!
  • সৃষ্টির বিস্ময়গুলো যিহোবাকে মহিমান্বিত করে
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৬ সচেতন থাক!
g৯৬ ১/৮ পৃষ্ঠা ১৬-১৯

সমুদ্রের মধ্যে স্ফটিকের প্রাসাদগুলি

কানাডার সচেতন থাক! প্রতিনিধি কর্তৃক

“ঠিক সামনেই তুষারস্তূপ!” উদ্বিগ্ন মুখগুলি চিৎকার করে ওঠে। জাহাজের উচ্চমঞ্চে অবস্থিত নাবিকদের দল সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেয়। সংঘর্ষ এড়াবার জন্য ইঞ্জিনকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। জাহাজের হালটি এক ধ্বংসাত্মক গতিতে সামনে গিয়ে ধাক্কা মারে।

তিন ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে, উত্তর অতলান্তিক সেই সময়কার পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে বিলাসবহুল সমুদ্রযানটিকে গিলে ফেলে। ১৫ই এপ্রিল, ১৯১২ সালে, মাত্র পাঁচ দিন আগে ইউরোপ থেকে উত্তর আমেরিকার পথে প্রথম যাত্রা করার পর টাইটানিক সমুদ্রের তলায়, চার কিলোমিটার নিচে ডুবে যায়। প্রায় ১,৫০০ জন যাত্রী ও নাবিক দলের সেই সমুদ্রে মৃত্যু ঘটে।

আর সেই বিশাল তুষারস্তূপের কী হয়? সেটি প্রায় অক্ষত অবস্থাতেই থেকে যায়। টাইটানিকের সাথে কেবলমাত্র এর প্রান্তিক অংশটির ধাক্কা লাগে। পরের দিন গবেষকেরা দেখেন যে এটি দক্ষিণ দিকে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ জলের উপর দিয়ে ভেসে চলেছে, যেন কিছুই হয়নি। এই তুষারস্তূপের বিলুপ্তি, ক্রমাগতভাবে বিশাল সমুদ্রে এর গলে যাওয়া, খুব শীঘ্রই বিস্মৃত হয়ে যাবে। কিন্তু টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার বিষয়টি আজও এক ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক বিপর্যয় হিসাবে স্মরণীয় থেকে গেছে।

তুষারস্তূপ! এগুলি কতই না আকর্ষণীয় ও বিশাল, তবুও কতই না অটল। আপনি কি কখনও এগুলিকে কাছ থেকে দেখেছেন এবং উপলব্ধি করেছেন যে মানুষ ও প্রকৃতির উপর এর কতখানি প্রভাব আছে? আপনি কি জানতে চান যে কেন ও কিভাবে এগুলি অস্তিত্বে এসেছে? আর এই তুষারস্তূপের সম্ভাব্য বিপদ থেকে সমুদ্রযাত্রীদের রক্ষা করার জন্য কী করা হয়? (“আন্তর্জাতিক তুষার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা” বাক্সটি দেখুন।)

উৎপত্তি ও জীবন চক্র

তুষারস্তূপগুলি হল স্বচ্ছজলের এক বিশাল বরফের চাঁইয়ের তুল্য। এগুলি উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ মেরুদেশের হিমবাহ ও বরফের পাতখণ্ড থেকে আসে। আপনি কি জানেন যে দক্ষিণ মেরুদেশের তুষার আবরণ পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশ তুষারস্তূপের সৃষ্টি করে? এছাড়াও এটি সবচাইতে বিশাল তুষারস্তূপগুলিরও সৃষ্টিকারক। এগুলি জলের পৃষ্ঠদেশ থেকে ১০০ মিটার উঁচু এবং এগুলির পরিমাপ ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৯০ কিলোমিটার প্রস্থ হয়ে থাকে। একটি বড় তুষারস্তূপের ওজন ২০ লক্ষ থেকে চার কোটি টনের মধ্যে হতে পারে। তুষার কণার মত, দুটি তুষারস্তূপ কখনও এক দেখতে হয় না। কয়েকটি ফলকাকার অথবা উপরের অংশটি সমতল হয়। কয়েকটি আবার কীলকাকার, চূড়াকার অথবা গম্বুজ আকৃতির হয়ে থাকে।

সাধারণত জলের উপরে তুষারস্তূপের কেবলমাত্র সাত ভাগের এক ভাগ থেকে দশ ভাগের এক ভাগ অংশ দেখা যায়। এটা বিশেষভাবে প্রযোজ্য উপরাংশ-সমতল বিশিষ্ট তুষারস্তূপের ক্ষেত্রে। এটি ঠিক সেই রকম দেখতে লাগে যখন আপনি একটি জল ভরতি কাঁচের গেলাসে বরফের টুকরো ভাসতে দেখেন। কিন্তু তুষারস্তূপের গঠনের উপর নির্ভর করে দৃশ্যমান ও ডুবে থাকা বরফের যে অংশ তার পরিমাপটি।

দক্ষিণ মেরুদেশের তুষারস্তূপগুলির উপরাংশ সাধারণত সমতল এবং এর ধারগুলি হয় ফলকাকৃতি, কিন্তু সুমেরুদেশের তুষারস্তূপগুলি প্রায়ই অসমতল ও চূড়ার মত হয়ে থাকে। এগুলির মধ্যে দ্বিতীয়টি, যার অধিকাংশ আসে বিশাল তুষারাবরণ যা গ্রীনল্যাণ্ডকে ঢেকে রাখে, মানুষের পক্ষে সবচাইতে বিপজ্জনক, যেহেতু এগুলি অতলান্তিকের যে জাহাজের পথ সেই দিকে ভেসে যেতে পারে।

কিভাবে এই তুষারস্তূপগুলি তৈরি হয়? পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে, জমে থাকা বরফ ও তুষার বৃষ্টি প্রায়ই গলে যাওয়া ও বাষ্পাইত হওয়া বরফের চাইতে অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। এটাই মাটির উপর জমে থাকা বরফের স্তূপগুলিকে হিমবাহতে পরিণত করে। বছরের পর বছর, যত বেশি তুষার ও বৃষ্টিপাত হয়, ক্রমাগতভাবে জমার পরিমাপ বাড়তে থাকে। এটাই গ্রীনল্যাণ্ডের মত বিরাট অঞ্চলে বিশাল তুষার ক্ষেত্রের সৃষ্টি করে। পরিশেষে, এই বরফ এমন ঘন ও কঠিন হয়ে ওঠে যে আসতে আসতে এটি ভারী হিমবাহকে উচ্চস্থান থেকে ধীরগতিতে নিম্নস্থ উপত্যকায় এবং শেষ পর্যন্ত সমুদ্রের মধ্যে ঠেলে দেয়। এই অভিযান সম্বন্ধে বর্ণনা দিতে গিয়ে, বার্নার্ড স্টোনহাউস উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু (ইংরাজি) নামক তার বইয়ে জানান: “শক্ত বরফ হল ইলাস্টিকের মত, কিন্তু সহজেই এর আকার পরিবর্তিত হয়; চাপে পড়ে এর ষড়ভুজাকার স্ফটিকগুলি শ্রেণীবদ্ধ হয়ে পড়ে, আর এরপর একটির উপরে আরেকটি গড়িয়ে যায় যাতে করে আকস্মিক প্রবাহের সৃষ্টি হতে পারে যা আমরা প্রায়ই হিমবাহের সাথে সম্পর্কযুক্ত করে থাকি।”

কল্পনা করুন বরফের একটি নদী অসমতল ভূমির উপর দিয়ে ধীর গতিতে শীতল মধুর মত বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই এক গভীর উল্লম্ব ফাটল নিয়ে, এই বিশাল বরফের চাঁইটি উপকূলে পৌঁছানোর আগেই এক বিরাট আকৃতি ধারণ করবে। জোয়ারভাটা, নমনীয় তরঙ্গ এবং নিম্নস্থ জলের ক্ষয়করণের সংমিশ্রনে স্বচ্ছজল বিশিষ্ট একটি বিশাল বরফের টুকরো যা প্রায় সমুদ্রের উপর ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে, সেটি তীব্র বেগে হিমবাহ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে। আর এইভাবে তুষারস্তূপের জন্ম হয়! একজন প্রত্যক্ষদর্শী এটিকে এক “ভাসমান স্ফটিকের প্রাসাদ” বলে বর্ণনা করেন।

মেরুদেশে, বাৎসরিক হারে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ তুষারস্তূপের সৃষ্টি হয়। কিন্তু, তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে খুব কমই নিউফাউন্ডল্যাণ্ডের উপকূলস্থ দক্ষিণাঞ্চলের জলে গিয়ে উপস্থিত হয়। যেগুলি সেখানে গিয়ে পৌঁছায় সেগুলির কী হয়?

তুষারস্তূপের অভিযান

তুষারস্তূপগুলির সৃষ্টি হওয়ার পর সমুদ্রের বেগ এটিকে পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে অনেক দূরে ভাসিয়ে নিয়ে যায় এবং পরিশেষে এটিকে ল্যাব্রাডর সমুদ্রে এনে উপস্থিত করে, যাকে বলা হয় তুষারস্তূপের সরু গলি। যেসমস্ত তুষারস্তূপ তাদের জন্মস্থান থেকে উন্মুক্ত অতলান্তিকের ল্যাব্রাডরে ও নিউফাউন্ডল্যাণ্ডে প্রায় দুবছর ধরে ভেসে আসতে পারে তাদের জীবন পরিধি খুবই সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। অপেক্ষাকৃত উষ্ণ জলে ভাসার ফলে, গলন, ক্ষয় ও অধিক বিচ্ছিন্নকরণের দ্বারা এগুলির ব্যাপকহারে অবনতি ঘটতে থাকে।

সাধারণভাবে, দিনের বেলায় বরফ গলতে থাকে ও ফাটলের মধ্যে জল জমা হতে থাকে। রাত্রিবেলায় জলগুলি জমে যায় ও ফাটলগুলি প্রসারিত হয়ে পড়ে আর এর ফলে টুকরো টুকরো অংশ ভেঙে যায়। এটি তুষারস্তূপের যে কাঠামো তার এক আকস্মিক পরিবর্তন আনে আর এর মাধ্যাকর্ষণের রদবদল ঘটায়। বরফের চাক আসতে আসতে জলের উপর গড়িয়ে পড়ে আর এক সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বরফের মূর্তি সৃষ্টি করে।

এই চক্র ক্রমাগতভাবে চলতে থাকার ফলে বরফের প্রাসাদগুলি বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিশালতা হ্রাস পেতে শুরু করে আর তারা নিজস্ব তুষারস্তূপগুলির সৃষ্টি করে যেগুলিকে বলা হয় “স্তূপাকৃত টুকরো,” যার পরিমাপ একটি সাধারণ বাড়ির মত এবং “গর্জনকারী,” যেটি একটি ছোট ঘরের তুল্য—ঢেউয়ের উপর ভাসার সময় আওয়াজ করার জন্য দ্বিতীয়টিকে এই নাম দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ছোট গর্জনকারী এমনকি উপকূলস্থ ও উপসাগরের অগভীর জলের মধ্যেও ভাসতে পারে।

যে কোন পরিস্থিতিই হোক না কেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় জলের তাপমাত্রা তুষারস্তূপকে দ্রুতগতিতে ছোট ছোট স্বচ্ছজলের বরফে পরিণত করে এবং পরিশেষে এটি বিশাল সমুদ্রের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যতক্ষণ না তা ঘটছে, তুষারস্তূপকে সতর্কতার সাথে দেখা উচিত।

কিভাবে তুষারস্তূপগুলি আমাদের জীবনকে স্পর্শ করে

জেলেরা, যাদের জীবিকা সমুদ্রের উপর নির্ভর করে তারা এই তুষারস্তূপগুলিকে একটা উপদ্রব ও বাধাস্বরূপ বলে মনে করে। একজন জেলে মন্তব্য করে: “ভ্রমণকারীদের কাছে তুষারস্তূপ হয়ত একটা আগ্রহের বস্তু হতে পারে, কিন্তু জেলেদের কাছে এটা একটা ভয়াবহ বিপদ।” জেলেরা যখন তাদের শিকার ধরে আনার জন্য ফিরে যায়, তখন তারা দেখতে পায় যে জোয়ারভাটার প্রবাহে তুষারস্তূপটি তাদের মূল্যবান জাল ও শিকারগুলিকে নষ্ট করে দিয়েছে।

তুষারস্তূপগুলি সম্মানের যোগ্য। “আপনি আপনার দূরত্ব বজায় রাখতে চাইবেন,” একজন পালতোলা নৌকার নাবিক বলে। “তুষারস্তূপগুলিকে বোঝা ভীষণ কঠিন! উচ্চচূড়া থেকে একটা অংশ হয়ত ভেঙে পড়তে পারে অথবা নিচে ধাক্কা লাগলে বড় অংশ ভেঙে গিয়ে হয়ত আপনার দিকে ছিটকে আসতে পারে। এছাড়াও, তুষারস্তূপ ঘুরতে ও গড়াতে পারে এবং তা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে যদি কেউ তার কাছাকাছি থাকে!”

সমুদ্রের তলায় পরিক্রমণরত তুষারস্তূপগুলি হল চিন্তা করার আরেকটি বিষয়। একজন পর্যবেক্ষকের কথা অনুসারে “যদি তুষারস্তূপের গভীরতা জলের গভীরতার তুল্য হয়, তাহলে এর সমতলভূমিতে দীর্ঘ ও গভীর সুড়ঙ্গ খনন করা যেতে পারে। তেল প্রধান অঞ্চলে এইধরনের পরীক্ষা সমুদ্রের সমতলস্থানে তেলকূপের উপর কোন কিছু নির্মাণের ক্ষেত্রে খুবই ধ্বংসাত্মক প্রভাব আনতে পারে।”

এখন হয়ত আপনি ভাবতে পারেন যে তুষারস্তূপগুলি না থাকাই আমাদের পক্ষে ভাল ছিল। কিন্তু তুষারস্তূপের এই তথ্যগুলির সবকিছুই নেতিবাচক নয়। নিউফাউন্ডল্যাণ্ডের একজন অধিবাসী মন্তব্য করেন: “বেশ কিছু বছর আগে হিমায়ন পদ্ধতি প্রচলিত হওয়ার পূর্বে, উপকূলস্থ কয়েকটি ছোট গ্রামে লোকেরা তুষারস্তূপের কয়েকটি ছোট টুকরো কূপের মধ্যে ফেলে দিত যাতে করে জলকে হিমশীতল রাখা যায়। আরেকটি জিনিস যা করা হত তা হল স্তূপের থেকে নেওয়া কিছু বরফের টুকরো করাত দিয়ে কাটার কাঠের গুঁড়ার একটি পাত্রে রাখা হত যাতে করে ঘরে তৈরি আইসক্রিম বনানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করা যেতে পারে।”

ভ্রমণকারীরা বিশেষকরে ভাসমান হিমবাহের এই বিশাল পর্বতটির প্রতি আকৃষ্ট হয়। নিউফাউন্ডল্যাণ্ডের অমসৃন উপকূলে তারা এমন একটি স্থান খোঁজার চেষ্টা করে যাতে করে সেখান থেকে তারা অতলান্তিকের এক দৃশ্য দেখতে পায় এবং এই বিশাল সমুদ্র দৈত্যকে উপভোগ করে। ক্যামেরা এই দৃশ্যটিকে ফিল্মের মধ্যে ধরে রাখে।

এছাড়াও অপর্যাপ্ত পরিমাণে স্বচ্ছ পানীয় জল সরবরাহ করার ক্ষমতা এই তুষারস্তূপগুলির আছে। তুষারস্তূপের জলকে শোধিত করে বোতলের মধ্যে ভরে রাখা এই জল দূষণের যুগে এক উত্তম পদক্ষেপ নেওয়ার তুল্য। বৃহদাকারে, এই বিশাল “বরফের চাঁই” খুঁজে বার করে এটিকে ক্রমাগ্রসরণের জন্য বন্দরে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হয়ত সহজ বিষয় বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে এটি একটি চ্যালেঞ্জ যা এখন পর্যন্ত ভয়াবহ প্রমাণিত হয়েছে।

যিহোবার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি

পৃথিবী ও স্বর্গের সৃষ্টিকর্তা জিজ্ঞাসা করেন: “নীহার কাহার গর্ব্ভ হইতে নির্গত হইয়াছে?” (ইয়োব ৩৮:২৯) ইলীহূ জানতেন, কারণ তার আগে তিনি বলেছিলেন: “ঈশ্বরের নিঃশ্বাস হইতে নীহার জন্মে।”—ইয়োব ৩৭:১০.

সুতরাং, যখন আমরা সমুদ্রের এই উচ্চ, উজ্জ্বল বিস্ময়কর বস্তুটি দেখি, তখন আমাদের চিন্তা আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি ধাবিত হয়, যিনি এগুলিকে সেই স্থানে স্থাপিত করেছেন। গীতরচকের মত আমরা বলি: “হে সদাপ্রভু, তোমার নির্ম্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সে সমস্ত নির্ম্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন: “তোমার কর্ম্ম সকল আশ্চর্য্য।”—গীতসংহিতা ১০৪:২৪; ১৩৯:১৪.

অবশ্যই, যিহোবা এক বিস্ময়কারী সৃষ্টিকর্তা। তাঁকে আমরা কতই না আরও ভালভাবে জানতে চাই! তাঁর বাক্যের প্রতি কর্ণপাত করার দ্বারা আমরা তা করতে পারি।—রোমীয় ১১:৩৩.

[১৮ পৃষ্ঠার বাক্স]

আন্তর্জাতিক তুষার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা

টাইটানিক সমুদ্রযানটির দুর্ঘটনা ঘটার পর, ১৯১৪ সালে আন্তর্জাতিক তুষার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার (আইআইপি) প্রতিষ্ঠা করা হয়, যাতে করে সমুদ্র ও বাতাসের বেগের উপর ভিত্তি করে তুষারস্তূপগুলিকে শনাক্ত করা যেতে পারে এবং এরপর জনসাধারণের কাছে তুষার সম্বন্ধীয় সতর্কবাণী পাঠানো যায়। সমুদ্রের এই স্ফটিকরূপ দৈত্যের হাত থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে বরফের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জ্ঞান নেওয়ার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। যে প্রযুক্তিগুলি এখানে ব্যবহৃত হয়েছে তার অন্তর্ভুক্ত হল বিমানপোতের দৃশ্যত দিকনির্ণয় প্রণালীর ব্যবহার, বাণিজ্যিক জাহাজের তুষার-শনাক্তিকরণ রিপোর্ট, স্যাটেলাইট ফোটোগ্রাফি এবং সামুদ্রিকবিদ্যা সম্বন্ধীয় বিশ্লেষণ ও অনুমান।

[১৬, ১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

চূড়াকার

গম্বুজাকৃতি

উপরাংশ-সমতল বিশিষ্ট

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার