ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৭ ৭/৮ পৃষ্ঠা ১১-১৩
  • বিচক্ষণতার সাথে ওষুধ ব্যবহার করুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বিচক্ষণতার সাথে ওষুধ ব্যবহার করুন
  • ১৯৯৭ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • লাভ বনাম ঝুঁকি
  • জীবাণুনাশক ওষুধ—সক্ষমতা এবং অক্ষমতা সমূহ
  • ইন্‌জেক্‌শন্‌ কি ট্যাবলেটের চেয়ে ভাল?
  • নকল ওষুধসমূহ
  • দরিদ্রতার সমস্যা
  • আপনার কি প্রকৃতই ওষুধের প্রয়োজন?
  • আপনি কিভাবে উত্তম স্বাস্থ্য উপভোগ করতে পারেন?
    ১৯৯৮ সচেতন থাক!
  • এইডসকে কি থামানো যাবে? যদি যায়, তা হলে কীভাবে?
    ২০০৩ সচেতন থাক!
১৯৯৭ সচেতন থাক!
g৯৭ ৭/৮ পৃষ্ঠা ১১-১৩

বিচক্ষণতার সাথে ওষুধ ব্যবহার করুন

নাইজিরিয়ায় সচেতন থাক! সংবাদদাতা কর্তৃক

মহিলাটি জানালেন যে তার খুব মাথাব্যথা এবং পেটব্যথা করছে। চিকিৎসক তার সাথে সংক্ষেপে কথা বলেন। তারপর তিনি ম্যালেরিয়ার জন্য তিন-দিনের ইন্‌জেক্‌শন এবং মাথাব্যথা বন্ধ করার জন্য কিছু প্যারাসিটামল (এক্‌টামিনোফেন) দেন। দুই ধরনের ওষুধ যা হয়ত পেটের ক্ষত কমাতে পারে, সাথে মানসিক উদ্বেগ দূর করার জন্য ওষুধ দেন, এছাড়া আরও কিছু মাল্টি-ভাইটামিন গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিলেন। ওষুধের দাম বেশি ছিল কিন্তু মহিলাটি আপত্তি করেনি। ওষুধগুলি তার সমস্যার সমাধান আনবে, এই বিশ্বাস নিয়ে তিনি খুশি হয়ে চলে গেলেন।

পশ্চিম আফ্রিকাতে এইধরনের পরামর্শ অস্বাভাবিক নয়। সেখানকার একটি বৃহত্তর দেশের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে, জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির স্বাস্থ্য প্রতিরক্ষা কর্মীরা, প্রতি রোগী এবং প্রতি সাক্ষাতের জন্য গড়ে ৩.৮ রকমের ওষুধ গ্রহণে নির্দেশ দেন। বাস্তুতপক্ষে, অনেকের ধারণা যে, যিনি প্রচুর ওষুধ গ্রহণের নির্দেশ দেন, তিনিই ভাল চিকিৎসক।

সম্ভবত, পশ্চিম আফ্রিকার লোকেদের ওষুধের উপর বিশ্বাস বোধগম্য হয় যখন আপনি বিবেচনা করেন যে সেখানকার শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল। ৪০ বছর আগে, লেখক জন গান্‌থার পূর্বেকার সময় সম্পর্কে লিখেছিলেন: “এই স্লেভ কোস্ট শুধু . . . কৃষ্ণবর্ণের লোকেদের মৃত্যু আনেনি; শ্বেতবর্ণের লোকেদেরও মৃত্যু এনেছিল আর তা আফ্রিকার একটি অংশ যা পৌরাণিক কাহিনীতে ‘শ্বেত ব্যক্তিদের সমাধি’ হিসাবে পরিচিত। মশা, শতাব্দী ধরে গিনি কোস্টের অবিতর্কিত রাজা ছিল। পীতপ্তর, কালাজ্বর এবং ম্যালেরিয়া এই রাজার মনোনীত এবং সাংঘাতিক অস্ত্র ছিল। ওয়েস্ট কোস্ট জলবায়ুর সাংঘাতিক অবস্থাটি কোন প্রাচীনকালের কাহিনী নয়, বরং এটি একটি জীবন্ত স্মৃতি। একটি প্রিয় কাহিনী একজন রাষ্ট্রদূত সম্বন্ধে বর্ণনা করে যিনি অল্পদিন আগে নাইজিরিয়াতে কার্যভাররত ছিলেন এবং তার পেনশন সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিলেন। তার ঔপনিবেশিক অফিসের প্রধান উত্তর দিয়েছিলেন, ‘পেনশন?’ ‘শোন বন্ধু, নাইজিরিয়াতে কেউ একবার গেলে অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকে না।’”

দিন পাল্টে গিয়েছে। আজকে, কেবল মশার দ্বারা রোগ ছড়ানো রোগকেই নয় কিন্তু অন্যান্য বহু রোগকেও প্রতিরোধ করার ওষুধ সেখানে রয়েছে। হাম, হুফিং কাশি, ধনুষ্টংকার এবং ডিপথিরিয়া থেকে টীকা একাই মৃত্যু সংখ্যাকে নাটকীয়ভাবে হ্রাস করেছে। এই টীকার সাহায্যে বসন্ত-রোগ বিলুপ্ত হয়েছে। খুব শীঘ্র হয়ত পলিও রোগটিও অতীতের বিষয় হয়ে যাবে।

আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, বর্তমানে আফ্রিকায় অনেক লোকেদের ওষুধের মূল্যের প্রতি গভীর বিশ্বাস আছে। অবশ্যই, এইধরনের বিশ্বাস পশ্চিম আফ্রিকায় সীমিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রে, চিকিৎসকেরা প্রতি বছর ৫,৫০০ কোটিরও বেশি ওষুধের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। ফ্রান্সের লোকেরা প্রতি বছর, গড়ে ৫০ বাক্স বড়ি ক্রয় করে। আর জাপানে গড় প্রতি ব্যক্তি ওষুধে প্রতি বছর ৪০০ এর বেশি (মার্কিন ডলার) বেশি ব্যয় করে।

লাভ বনাম ঝুঁকি

আধুনিক ওষুধগুলি মানব সেবায় অনেক সাহায্য করেছে। যখন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তখন সুস্বাস্থ্য লাভ করা যায় অন্যথা শারীরিক বিপর্যয় হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে, ওষুধের বিপরীত প্রতিক্রিয়ায়, প্রতি বছর প্রায় ৩,০০,০০০ জন লোককে হাসপাতালে পাঠান হয়ে থাকে এবং ১৮,০০০ জন মারা যায়।

বিচক্ষণতার সাথে ওষুধ প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে, এটি মনে রাখা জরুরী যে তাতে সবসময় ঝুঁকির উপাদানও আছে। যে কোন ওষুধ, এমনকি এস্‌পিরিনও ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। আপনি যদি কয়েক ধরনের ওষুধ একই সাথে গ্রহণ করেন তাহলে বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আরও বেশি সম্ভাবনা আছে। আবার আপনার দেহে ওষুধ কিভাবে কাজ করে এবং কতটা তীব্র অথবা ম্লান এর প্রভাব হতে পারে, খাদ্য ও পানীয়ও তা প্রভাবিত করে।

এছাড়া আরও ঝুঁকি রয়েছে। আপনার হয়ত বিশেষ কোন ওষুধে এলার্জির প্রতিক্রিয়া আছে। আপনি যদি ওষুধের নির্দেশনা অনুসারে সঠিক সময় ধরে, সঠিক মাত্রায় ওষুধ গ্রহণ না করেন, তা খুব সম্ভবতঃ আপনার কোন উপকার করবে না বরং তা আপনার ক্ষতি করতে পারে। ঠিক একই ব্যাপার হয়ত ঘটতে পারে যদি আপনার চিকিৎসক ভুল ওষুধ অথবা অপ্রয়োজনীয় ওষুধের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। ওছাড়া আপনি যদি মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ওষুধ এবং নিম্নমানের অথবা নকল ওষুধ গ্রহণ করেন তাতে আরও ক্ষতিকর ঝুকি রয়েছে।

ঝুঁকি কমাতে চাইলে, যে কোন ওষুধ যা আপনি গ্রহণ করেন, সেই সম্পর্কে আপনার যতটা সম্ভব জানা উচিত। ওষুধের তথ্যটি জানার দ্বারা আপনি বৃহৎভাবে উপকৃত হতে পারেন।

জীবাণুনাশক ওষুধ—সক্ষমতা এবং অক্ষমতা সমূহ

প্রায় ৫০ বছর আগে, যখন থেকে জীবাণুনাশক ওষুধের উন্নতি ঘটতে থাকে, তখন থেকেই এইগুলি কোটি কোটি লোকের জীবন রক্ষা করে আসছে। মারাত্মক ধরনের রোগগুলি, যেমন কুষ্ঠ রোগ, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, লোহিত জ্বর এবং সিফিলিস রোগকে দমন করেছে। এইগুলি আবার অন্যান্য সংক্রামক রোগগুলি আরোগ্য করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখে।

যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভারসিটি মেডিক্যাল স্কুলের একজন চিকিৎসাবিদ্যার অধ্যাপক, ডাঃ স্টুয়ার্ট লেভি বলেছিলেন: “[জীবাণুনাশক ওষুধগুলি] আমুল পরিবর্তন সাধন করেছে। তারা হচ্ছে একক সক্রিয় শক্তি যেগুলি চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে সর্বাধিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।” অপর একজন চিকিৎসা শাস্ত্রের কর্তৃপক্ষ বলেন: “এইগুলি হচ্ছে ভিত্তি যার উপর আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্র প্রতিষ্ঠিত।”

কিন্তু, আপনি তাড়াহুড়ো করে চিকিৎসকের কাছে ওষুধ চাইবার আগে, তার নেতিবাচক দিকগুলি চিন্তা করুন। জীবাণুনাশক ওষুধগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগ না করলে, তা আপনার জন্য সুফল আনার চেয়ে আরও ক্ষতি আনতে পারে। এইরূপ হওয়ার কারণ হল, জীবাণুনাশক ওষুধ শরীরের জীবাণুকে আক্রমণ এবং ধ্বংস করার মাধ্যমে কাজ করে। কিন্তু তারা সব সময় সকল ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে না; কোন বিশেষ প্রজাতির জীবাণু এই আক্রমণকে প্রতিরোধ করে। এই প্রতিরোধক প্রজাতিগুলি শুধুমাত্র রক্ষাই পায় না বরং সংখ্যায় বৃদ্ধি হয়ে এক ব্যক্তি থেকে আর এক ব্যক্তিকে সংক্রামিত করে।

উদাহরণস্বরূপ, পেনিসিলিন একসময় সংক্রামক জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষেত্রে খুব কার্যকারী ছিল। এখন, ওষুধ কোম্পানিগুলি দ্বারা কয়েক শত বিভিন্ন রকমের পেনিসিলিন বাজারজাত করার একটি কারণ হচ্ছে প্রতিরোধক জীবাণুসমূহের বৃদ্ধি।

আপনি সমস্যাগুলি এড়াবার জন্য কী করতে পারেন? প্রকৃতপক্ষে আপনার যদি জীবাণুনাশক ওষুধের প্রয়োজন হয়, তবে নিশ্চিত হবেন যেন দক্ষ চিকিৎসক দ্বারা নির্দেশ করা হয় এবং তা যেন বৈধ উৎস থেকে গ্রহণ করা হয়। আপনার চিকিৎসককে তাড়াতাড়ি জীবাণুনাশক ওষুধ নির্দেশ করার জন্য চাপ দেবেন না—তিনি হয়ত আপনার ল্যাব পরীক্ষা করাতে চাইবে, যাতে তিনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনাকে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে তা আপনার রোগ নিরাময়ে উপযোগী কি না।

আপনার জন্য এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি সঠিক সময় ধরে সঠিক মাত্রায় তা গ্রহণ করেন। এমনকি মাত্রা শেষ হবার আগেই যদি আপনি সুস্থ বোধ করেন তাহলেও আপনার সম্পূর্ণমাত্রায় জীবাণুনাশক ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

ইন্‌জেক্‌শন্‌ কি ট্যাবলেটের চেয়ে ভাল?

“আমি ইন্‌জেক্‌শন্‌ চাই!” এই কথাগুলি উন্নতিশীল দেশগুলিতে অনেক স্বাস্থ্য কর্মীরা শুনে থাকেন। এইধরনের অনুরোধের কারণটি হচ্ছে, সরাসরি রক্ত প্রবাহের মধ্যে ইন্‌জেক্‌শন্‌ প্রয়োগ করলে তা ট্যাবলেট অথবা বড়ির চেয়ে আরও শক্তিশালী নিরাময় সাধন করে, এই বিশ্বাস। কিছু দেশে সাধারণতঃ দেখা যায় বাজারগুলিতে লাইসেন্সবিহীন ‘ইন্‌জেক্‌শন্‌ চিকিৎসক’ রয়েছে।

ইন্‌জেক্‌শনে ঝুকি রয়েছে যা বড়ি এবং ট্যাবলেটগুলিতে নেই। যদি সূঁচ বিশুদ্ধ না থাকে তবে রোগীকে হেপাটাইটিস্‌, টিটেনাস, এমনকি এইডস সংক্রামিত করতে পারে। দূষিত সূঁচের ফলে বেদনাপূর্ণ পূঁজাশয় হতে পারে। বিপদ গুরুতর হতে পারে যদি অযোগ্য ব্যক্তি দ্বারা ইন্‌জেক্‌শন্‌ দেওয়া হয়।

প্রকৃতপক্ষে আপনার যদি ইন্‌জেক্‌শনের প্রয়োজন হয়, তবে নিশ্চিত হবেন যে যিনি চিকিৎসার ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তি তার দ্বারা প্রদান করা হচ্ছে। আপনার প্রতিরক্ষার জন্য সব সময় নিশ্চিত হবেন যেন সিরিঞ্জ এবং সূঁচ উভয়ই জীবাণু মুক্ত থাকে।

নকল ওষুধসমূহ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবলুএইচও) অনুসারে, বিশ্ব ওষুধ ব্যবসা হচ্ছে বৃহৎ, যার থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৭,০০০ কোটি (মার্কিন ডলার) মুদ্রা আয় হয়। স্বীয় স্বার্থসাধনের চেষ্টায়, লোকেরা নীতিহীনভাবে নকল ওষুধ উৎপাদন করে থাকে। নকল ওষুধ দেখতে আসল ওষুধের মত মনে হয়—তাদের লেবেল এবং মোড়কগুলিও একই রকম—কিন্তু তা অকেজো।

নকল ওষুধ সর্বত্র বিরাজমান কিন্তু সেইগুলি উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বিশেষভাবে সাধারণ, এবং সেইগুলি দুঃখজনক পরিণাম বয়ে আনে। নাইজিরিয়াতে ১০৯ জন শিশু, কারখানার উৎপাদিত দ্রাবক মিশ্রিত পীড়া রোধ করার সিরাপ খেয়ে কিডনি অক্ষমতায় মারা গিয়েছে। মেক্সিকোতে কাঠের গুড়ো, কফি এবং মাটি থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহারের ফলে, কিছু ব্যক্তির পুড়ে যাওয়া ত্বকে মারাত্মক সংক্রামণ দেখা দেয়। বার্মাতে বহু গ্রামবাসীরা হয়ত নকল ওষুধ যা ম্যালেরিয়া জ্বরকে প্রতিরোধ করতে পারেনি তা গ্রহণ করার কারণে ম্যালেরিয়ায় মারা গিয়েছে। “অত্যধিক ঝুঁকিতে রয়েছে,” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে, “খুব দরিদ্রেরা, যারা মাঝে মাঝে চিন্তা করে ভাল লাভ হয় যখন তারা সুপরিচিত কেম্পানি দ্বারা উৎপাদিত কার্যকারী ওষুধ কেনে বলে মনে হয়ে থাকে।”

আপনি কিভাবে নকল ওষুধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন? আপনি যা কিনছেন তাতে নিশ্চিত হবেন যেন তা মানসম্পন্ন উৎস থেকে হয়, যেমন হাসপাতালের ওষুধের দোকান। রাস্তার ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে কিনবেন না। নাইজিরিয়ার বেনিন শহরের একজন ওষুধ বিক্রেতা পরামর্শ দেন: “রাস্তার ফেরিওয়ালাদের কাছে, ওষুধ বিক্রয় করা শুধুমাত্র একটা ব্যবসা। তারা ওষুধ বিতরণ করে এমনভাবে যেন সেইগুলি মিষ্টি অথবা বিস্কুটের মত। যারা ওষুধ বিক্রি করে তাদের বেশির ভাগ ওষুধ অত্যন্ত পুরনো অথবা নকল। এই লোকেরা ওষুধ সম্পর্কে কিছুই জানে না।”

দরিদ্রতার সমস্যা

একজন ব্যক্তি তার কাছে কত অর্থ আছে তার উপর নির্ভর করে বেশির ভাগই চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে। উন্নয়নশীল দেশের লোকেরা অর্থ এবং সময় বাঁচানোর জন্য চিকিৎসক দ্বারা আইনত প্রয়োজনীয় নির্দেশনাকে অতিক্রম করে সরাসরি ওষুধের দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে নেয়। কারণ তারা এইরকম ওষুধ আগে গ্রহণ করেছে অথবা তাদের বন্ধুরা তা গ্রহণে পরামর্শ দিয়েছে, তারা জানে যে তাদের অসুস্থতার জন্য কী দরকার। কিন্তু তারা যা চায় তা তাদের প্রয়োজনে হয়ত নাও লাগতে পারে।

লোকেরা অন্যভাবেও অর্থ বাঁচাতে চেষ্টা করে। একজন চিকিৎসক ল্যাব পরীক্ষা করিয়ে, বিশেষ ধরনের ওষুধের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। রোগী যখন নির্দেশনা নিয়ে ওষুধের দোকানে যায় তখন দেখে যে তার দাম অনেক বেশি। তাই অতিরিক্ত অর্থ যোগাড় করার পরিবর্তে, লোকেরা বেশির ভাগ সস্তা দামের ওষুধ কেনে অথবা নির্দেশনার মধ্য থেকে শুধুমাত্র কয়েকটি ওষুধ তারা কেনে।

আপনার কি প্রকৃতই ওষুধের প্রয়োজন?

আপনার যদি প্রকৃতই ওষুধের প্রয়োজন হয়, তবে খুঁজে বের করুন আপনি কী গ্রহণ করছেন। চিকিৎসক এবং বিক্রেতার কাছে নির্দেশিত ওষুধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা বোধ করবেন না। আপনার জানার অধিকার আছে। মোট কথা, দেহ যেহেতু আপনার, কষ্টও পেতে হবে আপনাকেই।

আপনি যদি আপনার ওষুধ সঠিকভাবে প্রয়োগ না করেন, তবে আপনি সুস্থ নাও হতে পারেন। আপনার জানা প্রয়োজন, কী পরিমাণে, কখন আর কতদিন ধরে ওষুধ গ্রহণ করবেন। আপনার আরও জানা প্রয়োজন ওষুধ গ্রহণের সময় কী কী খাবার, পানীয় এবং অন্যান্য ওষুধ অথবা কার্যসূচি আপনাকে পরিহার করতে হবে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনার প্রতিও আপনাকে সজাগ থাকতে হবে এবং যদি এইরূপ ঘটে তবে কী করা দরকার তা জানতে হবে।

আরও, মনে রাখবেন যে প্রত্যেক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ওষুধই সমাধান প্রদান করে না। আপনার হয়ত কোন ওষুধের প্রয়োজনই হবে না। ডবলুএইচও এর একটি প্রকাশনা বিশ্ব স্বাস্থ্য (ইংরাজি) পত্রিকাটি জানায়: “শুধুমাত্র প্রয়োজনেই ওষুধ প্রয়োগ করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম, ভাল খাবার এবং প্রচুর পানীয় গ্রহণে একজন ব্যক্তিকে সুস্থ থাকতে আরও বেশি সাহায্য করে।”

[১২ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

“হাজার অসুস্থতার জন্য হাজার নিরাময়ের প্রয়োজন,” প্রায় ২,০০০ বছর আগে একজন রোমীয় কবি লিখেছিলেন। বর্তমানে, সেই কবি হয়ত লিখতেন, ‘হাজার অসুস্থতার জন্য হাজার বড়ির প্রয়োজন!’ বাস্তবিকই, প্রায় প্রতিটি অসুস্থতার জন্য সত্য অথবা কাল্পনিক একটি বড়ি আছে। বিশ্ব ব্যাংক অনুসারে, দেখা যায় যে সারা বিশ্বে, প্রায় ১০০,০০০ রকমের ওষুধ রয়েছে, যেগুলি প্রায় ৫,০০০-র থেকেও বেশি রাসায়নিক পদার্থ থেকে তৈরি করা হয়েছে।

[১৩ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

বিবেচনার সাথে ওষুধের প্রয়োগ

১. খুব পুরনো ওষুধ গ্রহণ করবেন না।

২. সুপ্রতিষ্ঠিত উৎস থেকে ওষুধ কিনবেন। রাস্তার ফেরিওয়ালার কাছ থেকে নয়।

৩. আপনি নির্দেশনা বুঝতে পারছেন কি না এবং সেই অনুযায়ী চলছেন কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হবেন।

৪. অন্যকে দেওয়া ওষুধ আপনি গ্রহণ করবেন না।

৫. ইন্‌জেক্‌শন্‌ দিতে জোর করবেন না। অনেক সময় ওষুধ খেলে একই রকম কাজ করে।

৬. ওষুধ শীতল জায়গায়, শিশুদের নাগালের বাইরে রাখবেন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার