ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g ৭/১৪ পৃষ্ঠা ১২-১৩
  • মাঢ়ীর রোগ—আপনি কি এর শিকার হতে পারেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • মাঢ়ীর রোগ—আপনি কি এর শিকার হতে পারেন?
  • ২০১৪ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • মাঢ়ীর রোগ সংক্রান্ত কিছু তথ্য
  • মাঢ়ীর রোগের কারণ ও পরিণতি
  • মাঢ়ীর রোগনির্ণয় এবং চিকিৎসা
  • দাঁতের ডাক্তারের কাছে কেন যাবেন?
    ২০০৭ সচেতন থাক!
  • আপনার কি বাঁধানো দাঁতের প্রয়োজন আছে?
    ১৯৯৩ সচেতন থাক!
  • নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সম্বন্ধে আপনি কী করতে পারেন?
    ১৯৯৫ সচেতন থাক!
  • অর্থোডনটিকস—এর সাথে কী জড়িত?
    ১৯৯৮ সচেতন থাক!
২০১৪ সচেতন থাক!
g ৭/১৪ পৃষ্ঠা ১২-১৩
একজন বাবা আর তার ছাটা ছলে বাশ করছ

মাঢ়ীর রোগ আপনি কি এর শিকার হতে পারেন?

পৃথিবীজুড়ে বেশিরভাগ লোকই এই ধরনের মুখের রোগে ভোগেন। প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো এই রোগের কোনো লক্ষণ ধরা পড়ে না। বিপদজনকভাবে লুকিয়ে থাকাই হল এই রোগের বৈশিষ্ট্য। ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল জার্নাল মুখের রোগের তালিকায় মাঢ়ীর রোগকে অন্তর্ভুক্ত করে আর বলে যে এটা “এক গুরুগম্ভীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা, যা প্রায় সবাইকে আক্রমণ করে।” পত্রিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘মুখের রোগ প্রচণ্ড ব্যাথা ও যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। এর ফলে, একজন ব্যক্তি তৃপ্তি করে খাবার খেতে পারে না আর সেইজন্য জীবনকে উপভোগ করতে পারে না।’ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে থাকা এই রোগ সম্বন্ধে আলোচনা আপনাকে মাঢ়ীর রোগের শিকার হওয়া থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে পারে।

মাঢ়ীর রোগ সংক্রান্ত কিছু তথ্য

মাঢ়ীর রোগের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এটাকে বলা হয় জিন্‌জিভাইটিস্‌ বা মাঢ়ী প্রদাহ আর এই রোগে মাঢ়ী লাল হয়ে ফুলে যায়। এই পর্যায়ে কখনো কখনো মাঢ়ী থেকে রক্ত পড়তে পারে। দাঁত ব্রাশ করার এবং ফ্লস করার (বিশেষ ধরনের সুতো দিয়ে দাঁতের ফাঁকগুলো পরিষ্কার করার) সময় অথবা কোনো কারণ ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ ছাড়া, মাঢ়ী পরীক্ষা করার সময় মাঢ়ী থেকে রক্তক্ষরণ হলে, সেটা জিন্‌জিভাইটিসের ইঙ্গিত দিতে পারে।

এর পরবর্তী পর্যায় হল পীরিওডন্‌টাইটিস্‌ বা পায়োরিয়া। এই পর্যায়ে, যে-হাড় ও মাঢ়ীর তন্তুগুলো আপনার দাঁতকে ধরে রাখে, সেগুলো ক্ষয় পেতে শুরু করে। চরম পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত এই ধরনের মাঢ়ীর রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। পীরিওডন্‌টাইটিসের কয়েকটা লক্ষণ হতে পারে মাঢ়ী ফুলে গিয়ে ফোকর তৈরি হওয়া; দাঁতের গোড়া আলগা হয়ে যাওয়া; দাঁত ফাঁক হয়ে যাওয়া; মুখ থেকে দুর্গন্ধ বার হওয়া; মাঢ়ী আলগা হয়ে যাওয়া অর্থাৎ দাঁত মাঢ়ী থেকে বেরিয়ে আসার ফলে দাঁতের আকার অপেক্ষাকৃত বড়ো দেখানো আর মাঢ়ী থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া।

মাঢ়ীর রোগের কারণ ও পরিণতি

বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো মাঢ়ীর রোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। ডেন্টাল প্লাক হল নিয়মিতভাবে দাঁতের ফাঁকে জমতে থাকা ব্যাকটিরিয়ার সুক্ষ্ম আস্তরণ আর সাধারণত এই কারণেই মাঢ়ীর রোগ হয়ে থাকে। প্লাক যদি তুলে ফেলা না হয়, তাহলে ব্যাকটিরিয়ার প্রকোপে মাঢ়ী ফুলে উঠতে পারে। এটা বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে চলে যায়, যখন মাঢ়ী আলগা হয়ে মাঢ়ীর ভিতরের অংশে প্লাক সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়া জমতে শুরু করে। ব্যাকটিরিয়া যখন মাঢ়ীর ভিতরে প্রবেশ করে, তখন মাঢ়ী ফুলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের হাড় ও তন্তুকেও ক্ষয় করতে শুরু করে। মাঢ়ীর ওপরের অংশে অথবা নীচের অংশে ডেন্টাল প্লাক জমা হয়ে শক্ত পাথরে পরিণত হয়, সাধারণত যেটাকে টার্টার বলা হয়। দাঁতের পাথরের ওপরও ব্যাকটিরিয়া জমতে থাকে আর এটা এত শক্ত হয়ে দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে যে, এটাকে প্লাকের মতো সহজে তুলে ফেলা যায় না। আর তাই, ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণে মাঢ়ী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।

অন্যান্য কারণেও আপনি মাঢ়ীর রোগের শিকার হতে পারেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঠিকমতো দাঁতের যত্ন না নেওয়া, এমন ওষুধ খাওয়া যা আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ভাইরাল সংক্রমণ, মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার আর সন্তান ধারণের সময় হরমোনের তারতম্য।

মাঢ়ীর রোগ অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। দাঁতে ব্যাথা হলে অথবা দাঁত পড়ে গেলে আপনি কোনো খাবার তৃপ্তি করে চিবিয়ে খেতে পারবেন না। আপনার কথাবার্তা এবং চেহারার ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়া, গবেষণা দেখায় যে, মাঢ়ী ও দাঁতে সমস্যা দেখা দিলে তার প্রভাব সম্পূর্ণ শরীরে পড়ে।

মাঢ়ীর রোগনির্ণয় এবং চিকিৎসা

আপনি কীভাবে বুঝতে পারবেন যে, আপনার মাঢ়ীর রোগ হয়েছে? আপনি হয়তো লক্ষ করেছেন যে, আপনার মাঢ়ীতে একইরকম লক্ষণ দেখা দিয়েছে, যেগুলো সম্বন্ধে এই প্রবন্ধে ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে দাঁতের একজন দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আপনার পক্ষে ভালো হবে, যিনি আপনার মাঢ়ীর চিকিৎসা করতে পারেন।

চিকিৎসা করে কি মাঢ়ীর রোগ সারানো যায়? প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে, এই রোগ হয়তো ভালো হতে পারে। মাঢ়ীর রোগ যদি পীরিওডন্‌টাইটিস্‌ বা পায়োরিয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়, তাহলে আশেপাশের দাঁতের হাড় ও তন্তুর যাতে ক্ষতি না হয়, সেই প্রচেষ্টা করা উচিত। দাঁতের চিকিৎসকরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে মাঢ়ীর ওপরের ও নীচের অংশের প্লাক ও পাথর বের করতে পারেন।

আপনার এলাকায় যদি কোনো দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র না-ও থাকে, তবুও আপনি যদি আগে থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেন, তাহলে লুকিয়ে থাকা অথচ মারাত্মক এই রোগের শিকার হওয়া থেকে আপনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেন। সঠিকভাবে নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেওয়া মাঢ়ীর রোগের শিকার হওয়ার হাত থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড়ো প্রতিরোধক। ◼ (g১৪-E ০৬)

দাঁতের যত্ন

একজন মহিলা বাশ করছন

দিনে অন্তত দু-বার ব্রাশ করুন। মাঢ়ীর রোগের শিকার হওয়া থেকে বাঁচার জন্য কাউকে কাউকে হয়তো আরও অনেক বার ব্রাশ করতে হতে পারে, সম্ভবত প্রত্যেক বার খাবারের পর

নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন আর সেটা দিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করুন

একজন মহিলা তার তের ফাঁক পরিকার করছন

দাঁতের ফাঁকগুলো পরিষ্কার করার জন্য ডেন্টাল ফ্লস অথবা প্রয়োজনে বিশেষ ধরনের ব্রাশ ও টুথপিক ব্যবহার করে প্রতিদিন ধীরে ধীরে ফ্লস করুন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার