ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯১ ১২/১ পৃষ্ঠা ২১-২৪
  • বৈৎলেহম ও বড়দিন সম্বন্ধে সত্যটি কি?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বৈৎলেহম ও বড়দিন সম্বন্ধে সত্যটি কি?
  • ১৯৯১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন?
  • কোন স্থানে?
  • পরম্পরা মাত্র
  • যীশুর জন্ম সত্য কাহিনী
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যীশুর জন্ম—কোথায় এবং কখন?
    সর্বমহান পুরুষ যিনি কখনও জীবিত ছিলেন
  • যীশুর জন্মের নথি থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলো
    ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিশু কি ডিসেম্বর মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
আরও দেখুন
১৯৯১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯১ ১২/১ পৃষ্ঠা ২১-২৪

বৈৎলেহম ও বড়দিন সম্বন্ধে সত্যটি কি?

“বৈথলেহম . . . অশেষ প্রেমের প্রমাণ, নম্রতা সম্পর্কে ইহা এক শিক্ষা।”—মারিয়া টেরেসা পেট্রজি, বেথলেহেম নামক বইটির লেখিকা।

আপনার কাছে কি বৈৎলেহম ঐ প্রকৃতির অর্থ রাখে? হয়তো রাখে, যেহেতু পৃথিবীর শত শত লক্ষ লক্ষ আন্তরিক, শান্তি-প্রিয় ব্যক্তিরা বৈৎলেহমকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে, বিশেষ করে বড়দিনের সময়ে। তারা মনে করে মধ্য প্রাচ্যের এই ছোট শহরটি “শান্তিরাজ” যীশু খ্রীষ্টের জন্মস্থান। বহু শতাব্দী ধরে তীর্থ যাত্রীরা এখানে একত্রিত হয়ে খ্রীষ্টিয় জগতের পবিত্রতম স্থান দর্শন করতে এবং সম্ভবত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে। ইহা, যীশু খ্রীষ্টের গ্রোটো অফ নেটিভিটি, পরম্পরাগত প্রথানুযায়ী তার জন্মস্থান। চার্চ অফ দ্যা নেটিভিটি নামক ঐতিহাসিক বৃহৎ অট্টালিকার মধ্যে ইহা অবস্থিত।—যিশাইয় ৯:৬; মথি ২:⁠১.

যীশুর জন্মের পরিস্থিতি সম্পর্কে সত্য বিষয় কি? উদাহরণস্বরূপ, তিনি কখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন? তিনি কি প্রকৃতই এখন যাকে নেটিভিটি গ্রোটো বলা হয় সেখানে জন্মেছিলেন? আপনার অথবা অন্য কারো তার জন্মস্থানটির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা কি উচিৎ?

“যখন আমরা বৈৎলেহমের রহস্য সম্বন্ধে চিন্তা করি আমাদের মনের প্রশ্ন ও সন্দেহকে আমরা রোধ করতে পারি না”—বেৎলেহেম, মারিয়া টেরেসা পেট্রজি দ্বারা লিখিত।

‘কেন প্রশ্ন ও সন্দেহ?’ আপনি হয়তো জিজ্ঞাসা করবেন। যাইহোক, বড়দিন সম্বন্ধে বিভিন্ন বিশ্বাস এবং এই বিশ্বাসের সঙ্গে সংযুক্ত স্থানগুলি হল তথ্যের উপর ভিত্তি করে। অথবা তাই কি?

কখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন?

যীশুর জন্মের তারিখ সম্পর্কে, মারিয়া টেরেসা পেট্রজি জিজ্ঞাসা করেন: “সঠিক কখন পরিত্রাতা জন্মগ্রহণ করেন? আমরা শুধুমাত্র বৎসর নয় কিন্তু মাস, দিন, ঘন্টা জানতে চাই। গণিতের দিক থেকে নির্দিষ্টরূপে তাহা আমাদের জ্ঞাত হয় নাই।” নিউ ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া ইহা সমর্থন করে বলে: “যীশু খ্রীষ্টের জন্মের তারিখ কেবলমাত্র গণনা করা যেতে পারে মোটামুটি ভাবে।” খ্রীষ্টের জন্মের প্রতি আরোপিত তারিখ সম্বন্ধে ইহা বলে: “২৫শে ডিসেম্বর তারিখটি খ্রীষ্টের জন্মের সাথে মিল রেখে নয় কিন্তু নাটালিস্‌ সলিস্‌ ইনভিক্টি উৎসবের তারিখ, যা সলস্‌টিসের সময়ে রোমীয় সূর্য্য উৎসব।”

তাই আপনি হয়তো জিজ্ঞাসা করবেন, ‘যদি যীশু ২৫শে ডিসেম্বরে জন্মগ্রহণ করেননি, কখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন?’ মথি ২৬ ও ২৭ অধ্যায় থেকে, আমরা জানতে পারি যে যীশু যিহূদী নিস্তারপর্বের সময় মৃত্যুবরণ করেন, যা ১লা এপ্রিল, ৩৩ খ্রীষ্টাব্দে আরম্ভ হয়। অধিকন্তু, লূক ৩:২১-২৩ আমাদের জানায় যে যীশু যখন ৩০ বৎসর বয়স্ক ছিলেন তখন তিনি তার পরিচর্য্যা আরম্ভ করেন। যেহেতু তার পার্থিব পরিচর্য্যা সাড়ে তিন বৎসরের ছিল, তার মৃত্যুর সময় তিনি প্রায় ৩৩ ১/২ বৎসর বয়সের ছিলেন। ছয় মাস পরে খ্রীষ্ট সম্পূর্ণ ৩৪ বৎসরের হতেন যা প্রায় অক্টোবরের ১লা তারিখ আসত। যীশু কখন জন্মেছিলেন তা গণনা করতে আমরা যদি পিছনে ফিরে যাই, আমরা ডিসেম্বর ২৫শে অথবা ৬ই জানুয়ারীতে এসে পৌঁছাই না, কিন্তু ২ খ্রীষ্টপূর্বের প্রায় ১লা অক্টোবরে এসে পৌঁছাই।

ইহাও উল্লেখযোগ্য বিষয় যে, ডিসেম্বর মাসে, বৈৎলেহম ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শীতকালের ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকে, শীতল বৃষ্টিপাত, ও অনেক সময় হিমপাত হয়। সেই সময় রাত্রিবেলা মেষপালকদের মেষদের নিয়ে বাইরে দেখতে পাওয়া যায় না। ইহা আবহাওয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নয়। শাস্ত্র এই বিবরণ দেয় যে যিহূদী রাজা যিহোয়াকীম “নবম মাসে শীতকাল যাপনের গৃহে বসিয়াছিলেন [চিস্‌লেভ, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের অনুরূপ] এবং তাহার সম্মুখে জ্বলন্ত আগুনের আঙটা ছিল।” (যিরমিয় ৩৬:২২) উষ্ণ থাকতে তার উত্তাপের প্রয়োজন ছিল। অধিকন্তু, ইষ্রা ১০: ৯, ১৩ পদে আমরা স্পষ্ট প্রমাণ পাই যে চিস্‌লেভ মাস “ভারী বর্ষার সময়, বাহিরে দাঁড়াইয়া থাকিতে শক্তি নাই।” এই সকলই দেখায় যে বৈৎলেহমে ডিসেম্বর মাসের আবহাওয়ার পরিস্থিতি বাইবেল বর্ণিত যীশু খ্রীষ্টের জন্মের সাথে সম্বন্ধযুক্ত ঘটনার সঙ্গে খাপ খায় না।—লূক ২:৮-১১.

কোন স্থানে?

ক্রিমেয়ান যুদ্ধের (১৮৫৩-৫৬) প্ররোচনার জন্য দায়ী স্থানটি সম্পর্কে উপযুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি কি, যে ‘রক্তাক্ত সৎঘর্ষ’ একশত সহস্র ফরাসী সৈন্যদের জীবন নাশ করে? ঐ স্থানটি কি প্রকৃতই যীশুর জন্মস্থান?

প্রথমে বলা যেতে পারে, বাইবেল যীশুর জন্মের নির্দ্দিষ্ট স্থানটি সম্পর্কে উল্লেখ করে নি। মথি ও লূক অনুমোদন করেন যে যীশুর জন্ম মীখা ৫:২ পদের মশীহ সম্পর্কিত ভাববানীটির পরিপূর্ণতা এনেছিল, যা ভবিষ্যদ্বানী করে যে “ইস্রায়েলের মধ্যে কর্ত্তা হইবার জন্য এক ব্যক্তি উৎপন্ন হইবেন, প্রাক্কাল হইতে তাহার উৎপত্তি” বৈৎলেহম থেকে আসবেন। (মথি ২:১, ৫; লূক ২:৪) উভয় সুসমাচারের বিবরণ কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি উল্লেখ করে, যেমন, যীশু বৈৎলেহমে জন্মগ্রহণ করেন, ও লূকের বিবরণ অনুসারে, শিশুটিকে কাপড়ে জড়ানো হয়েছিল ও যাবপাত্রে শোয়ানো হয়েছিল।—লূক ২:⁠৭.

কেন সুসমাচারের লেখকগণ বিশদ বিবরণ দেননি? মারিয়া টেরেসা পেট্রজি মন্তব্য করেন: “সুসমাচারের প্রচারকগণ এই বিশদ বর্ণনাগুলি উপেক্ষা করেন, কারণ স্পষ্টতই তারা ঐগুলিকে অর্থহীন মনে করেছিলেন।” বস্তুতঃ, ইহা প্রতীয়মান যে যীশু স্বয়ং তার জন্মের বিশদ বিবরণকে বিশেষ অর্থপূর্ণরূপে বিবেচনা করেন নি, কারণ তিনি কখনও তার জন্মের তারিখ ও জন্মের নির্দ্দিষ্ট স্থানটি উল্লেখ করে বলেননি। এমন কি বৈৎলেহমে জন্মগ্রহণ করলেও, যীশু সেই স্থানটি তার গৃহ বলে মনে করেন নি, কিন্তু গালীলকে তার “স্বদেশ” এলাকা বলে উদ্ধৃত করা হয়।—মার্ক ৬:১, ৩, ৪; মথি ২:৪, ৫; ১৩:৫৪.

যোহন ৭:৪০-৪২ পদ পড়লে জানতে পারা যায় যে সাধারণভাবে লোকেদের কাছে তার জন্মস্থান অজ্ঞাত ছিল, তিনি গালীলে জন্মগ্রহণ করেছেন মনে করে “কেহ বলিল: ‘খ্রীষ্ট কি গালীল হইতে আসিবেন?’” যোহন ৭:৪১ পদের বিবরণটির প্রতি ভিত্তি করে, দ্যা চার্চ অফ দ্যা নেটিভিটি, বেথলেহেম উপসংহারে বলে: “ঐ ধরনের আলোচনাটি উত্থিত হওয়াতে যীশু বৈৎলেহমে জন্মগ্রহণ করেন তা খণ্ডন হয় না; কিন্তু তা অন্ততঃ দেখায় যে তার বহু সঙ্গীরা এই বিষয়ে অজ্ঞাত ছিল।”

ইহা সুস্পষ্ট যে যীশুর নিজের পার্থিব জীবন কালে, তিনি নিজের জন্মের বিশদ বিবরণ ঘোষনা করেননি। তার জন্মের স্থান সম্পর্কে কোন জোর দেওয়া হয়নি। তাহলে, নেটিভিটি গ্রোটো সেই স্থান যেখানে যোষেফ মরিয়মকে নিয়ে আসেন জন্মদান করতে তা বিশ্বাস করার ভিত্তিটি কি?

পেট্রজি অকপটরূপে স্বীকার করেন: “নিশ্চয়তার সাথে ইহা জানা সম্ভব নয় সেই গ্রোটো বৈৎলেহমের আশেপাশের এলাকার প্রাকৃতিক গুহাগুলির মধ্যে একটি, অথবা গভীর গিরিগুহায় এক পান্থশালাকে গোয়ালঘররূপে ব্যবহার করা হয় কিনা। যাইহোক, ইহা সুস্পষ্ট পরম্পরাগতরূপে ২য় শতাব্দীর প্রথম অর্ধাংশ থেকে যার সূত্রপাত, উহা নকল গুহার গোয়ালঘর।”—ইটালিক্স আমাদের দেওয়া।

পরম্পরা মাত্র

মারিয়া টেরেসা পেট্রজি এবং আর. ডবল্ড. হ্যামিল্টন, বৈৎলেহমের ইতিহাসের আরও অন্যান্য ছাত্রদের সাথে মিলিত হয়ে, ইঙ্গিত করেন যে ২য় শতাব্দীর, জাস্টিন মার্টিয়ার, প্রথম যিনি দাবি করেন যে যীশু গুহাতে জন্মগ্রহণ করেন, নির্দ্দিষ্ট কোন গুহাতে জ্ঞাত না করে। জাস্টিন মার্টিয়ারের বক্তব্য সম্বন্ধে হ্যামিল্টন সিদ্ধান্ত করেন: “এটি এক বিগত স্বল্পকালীন উল্লেখ, এবং অনুমান করে নেওয়া যে সেন্ট জাস্টিনের মনে একটি নির্দিষ্ট গুহার কথা ছিল, এরও উর্ধ্বে তিনি বর্তমানের নেটিভিটির গুহাকে উল্লেখ করছিলেন, ভেবে নেওয়ার অর্থ হবে একটিমাত্র শব্দের সাক্ষ্যের প্রতি অধিক জোর প্রদান।”

একটি টীকায় হ্যামিল্টন লেখেন: “নেটিভিটির এক বিবরণ যা অপামাণিক রচণাবলী ‘বুক অফ জেমস্‌’ অথবা ‘প্রটিভ্যানজেলিয়াম’-এ আছে, যা প্রায় একই সময়ে লিখিত হয়, উহাও এক গুহা সম্বন্ধে বর্ণনা করে, কিন্তু বলে যে সেইটি বৈৎলেহমের মাঝ-রাস্তায় অবস্থিত। বর্ণনা অনুযায়ী যদি কোন ঐতিহাসিক মূল্য থাকে তাহলেও পরম্পরাগত রূপে কোন নির্দিষ্ট স্থানের সাথে, নিশ্চিতরূপে যীশুর জন্মস্থানের গুহাটির সাথে উহা সম্পর্কযুক্ত নয়।”

তৃতীয় শতাব্দীর ধর্ম্মীয় লেখকগণ অরিজেন ও ইউসেবিয়াস পরম্পরাগত বিষয়টিকে তৎকালের পরিচিত এক নির্দিষ্ট স্থানের সাথে সংযুক্ত করেন। হ্যামিল্টন যুক্তি সহকারে বলেন: “একটি নির্দিষ্ট গুহার সাথে গল্পটি একবার সংযুক্ত হয়ে যাওয়ার পর ইহা সম্ভবত বদল হয়নি; ২০০ খ্রীষ্টাব্দের অল্পকাল পরেই দর্শকদের যে গুহাটি দেখান হয় উহা বর্তমানের নেটিভিটির গুহা ইহা অনুমান করা নিরাপদ।”

ডবল্ড. এইচ্‌. বার্টলেট, তার ওয়াকস্‌ এবাউট দ্যা সিটি অ্যাণ্ড এনভয়ার্নস্‌ অফ যেরূশালেম (১৮৪২), বইটিতে এই গুহা সম্বন্ধে অনুমান করে বলেন: “পরম্পরাগত রূপে ইহা যদিও আমাদের পরিত্রাতার জন্মস্থান, ও যদিও তা এক খ্যাতিমান প্রাচীণ নিদর্শন, সেন্ট যেরোমের দ্বারা উল্লিখিত হওয়ার জন্য, যিনি পার্শ্ববর্তী কক্ষে জীবনযাপন করতেন ও মারা যান, স্থানটি সম্ভাবনার সহিত বিবাদমান, কেননা প্যালেস্টাইনে গিরি-গুহাগুলি যদিও মাঝেমধ্যে গোয়ালঘর রূপে ব্যবহার করা হয়, ইহা মাটির তলার গভীর গুহা হওয়ায় ঐ রূপে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য সুবিধাজনক নয়; তাছাড়া, আমরা যখন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শাস্ত্রীয় ঘটনার দৃশ্য নকল গুহাতে সংযুক্ত করতে মঠবাসীদের প্রবণনা বিবেচনা করি, সম্ভবত ঐ স্থানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, স্থানটির বিরুদ্ধে অনুমান প্রায় চূড়ান্ত প্রতীয়মান হয়।”

আমাদের কাছে যে ঐতিহাসিক প্রমাণ আছে তার থেকে ও বিশেষ করে যীশু অথবা তার শিষ্যগণ, তার জন্মস্থান সম্পর্কে কোন বিশেষত্য আরোপ করেননি, সেই প্রকার শাস্ত্রীয় তথ্য থেকে আমরা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারি? ইহা স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান যে যখন রাণী হেলেনা, পরাক্রমশালী কন্সট্যানটাইনের মাতা, ৩২৬ খ্রীষ্টাব্দে চার্চ অফ দ্যা নেটিভিটির স্থানটি স্থির করেন, হ্যামিল্টনের দ্বারা উদ্ধৃত যার ভিত্তি ‘দীর্ঘকালের পরম্পরাগত বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত।’ তা ঐতিহাসিক অথবা বাইবেলের কোন প্রমাণের উপর ভিত্তি করে নয়।

ইহা আমাদের অপর সিদ্ধান্তে নিয়ে যায় যে খ্রীষ্টের প্রকৃত জন্মস্থান অজ্ঞাত। সুতরাং, ইহা কি যুক্তিযুক্ত, যে বিশ্বাসীরা ঐরকম স্থানে তীর্থে যাবেন যেমন গ্রোটো অফ নেটিভিটি এবং সেইগুলির আরাধনা করবেন? যদি, বাস্তবিকই, খ্রীষ্টিয়ানদের তা আবশ্যক হত, তাহলে যীশু নিজেই কি সেই বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে তার শিষ্যদের বলতেন না অথবা এমনকি তার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন না? ঈশ্বরের বাক্য, বাইবেলে, কি তা লিখিত থাকত না জগতের লোকেদের পড়বার জন্য? পবিত্র শাস্ত্র থেকে এই প্রমাণগুলি বিশিষ্টরূপে অনুপস্থিত থাকাতে, আমাদের অনুসন্ধান করা উচিৎ যে যীশু কোন বিষয়টি উদযাপনের জন্য যোগ্য বিবেচনা করেন।

আমরা যদি অনুসন্ধান করি, একমাত্র উপলক্ষ সম্বন্ধে আমরা পাই যা যীশুর শিষ্যদের বংশ পরম্পরায় উদযাপন করতে হবে, তা তার বলিরূপ মৃত্যুবরণ। তিনি মারা যান বসন্তকালে, তার শিষ্যদের সাথে শেষ নিস্তারপর্বের ভোজ পালন করার কিছু পরে। সেই উপলক্ষে তিনি তার বিশ্বস্ত শিষ্যদের ম্যাটযথের মত, তাড়ীশূন্য রুটি, ও লাল দ্রাক্ষারস ব্যবহার করে এক প্রতীক ভোজের পরিচালনা দেন। এই সাধারণ উদযাপন সম্পর্কে, যা ১লা এপ্রিল, ৩৩ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম উদ্‌যাপিত হয়, তিনি আজ্ঞা দেন: “ইহা আমার স্মরণার্থে করিও।”—লূক ২২:১৯, ২০.

স্বয়ং যীশুর কাছ থেকে আগত এই শাস্ত্রীয় আজ্ঞার প্রতি বাধ্য হয়ে, সারা জগতব্যাপী যিহোবার সাক্ষীরা খ্রীষ্টের বলিরূপ মৃত্যুর স্মৃতি বছরে একবার পালন করে। তারা এই খ্রীষ্টিয় সমাবেশটি বিশেষ স্থানে যিরূশালেমের এক উপরের কুঠুরীতে করে না, কারণ যীশু সেইটি নির্দিষ্ট করে দেননি। কিন্তু সারা জগতব্যাপী, তারা তাদের কিংডম হল ও তাদের এলাকায় উপযুক্ত মিলিত হওয়ার স্থানগুলিতে সমবেত হয়। পরবর্তী উদ্‌যাপন ১৭ই এপ্রিল, ১৯৯২ সালে, সূর্য্যাস্তের পরে হবে। আপনার গৃহের নিকটবর্তী যিহোবার সাক্ষীদের কিংডম হলে আপনি উপস্থিত হতে আমন্ত্রিত।

যীশুর আজ্ঞানুসারে এই বিশেষ উদ্‌যাপনটিতে উপস্থিত হতে, আপনাকে যিরূশালেমে অথবা বৈৎলেহমে যাত্রা করতে হবে না। যীশু বা তার শিষ্যরা খ্রীষ্টিয় উপাসনার মুখ্য বিষয়রূপে স্থানকে গুরুত্ব দেননি। বিপরীতে, যীশু এক শমরিয়া স্ত্রীলোককে বলেন, যার আরাধনা গরিষীমকে কেন্দ্র করে ছিল, যা শমরিয়ার এক পর্বত, যিরূশালেমের উত্তরে অবস্থিত: “হে নারি, আমার কথায় বিশ্বাস কর, এমন সময় আসিতেছে, যখন তোমরা না এই পর্ব্বতে, না যিরূশালেমে পিতার ভজনা করিবে। কিন্তু আত্মায় ও সত্যে ভজনা করিবে, কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদের অন্বেষণ করেন।”—যোহন ৪:২১, ২৩.

যারা পিতাকে আত্মায় ও সত্যে আরাধনা করে, কোন বিশেষ স্থান, যেমন বৈথলেহম, অথবা কোন বস্তু, যেমন মূর্ত্তির প্রতি নির্ভর করেন না। প্রেরিত পৌল বলেন: “যতদিন এই দেহে নিবাস করিতেছি, ততদিন প্রভু হইতে দূরে প্রবাস করিতেছি; কেননা আমরা বিশ্বাস দ্বারা চলি, বাহ্য দৃশ্য দ্বারা নয়।”—২ করিন্থীয় ৫:৬, ৭.

যাইহোক, আপনি হয়তো এখনও চিন্তা করবেন, একজন কিরূপে ঈশ্বরের গ্রহণযোগ্য রূপে আরাধনা করতে পারে? এর পরে যিহোবার সাক্ষীদের একজন আপনার দরজায় এলে, তাকে দয়া করে আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন।(W90 12/15)

[Pictures on page 22]

শীতকালে, বৈৎলেহমের কাছে ভূমি তুষারে আবৃত করতে পারে। মেষপালকেরা কি মেষসহ বাইরে ঘুমাবে?

[Pictures on page 23]

বৈৎলেহমের নেটিভিটির গীর্জ্জা এবং ইহার মাটির নিচের গুহা

[২২ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

Pictorial Archive (Near Eastern History) Est.

[সজন্যে]

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

Pictorial Archive (Near Eastern History) Est.

[সজন্যে]

Garo Nalbandian

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার