“জ্যোতি বাহকগণ” জেলা অধিবেশনগুলিতে সাদর সম্ভাষণ
সৃষ্টির প্রথম দিনেই পৃথিবীতে জ্যোতি সৃষ্টি করা হয়। আমরা পড়ি যে যিহোবা ঈশ্বর বলেন: “জ্যোতি হউক।” এবং “তাহাতে জ্যোতি হইল।” (আদিপুস্তক ১:৩) ইহা প্রেরিত যোহন যা লেখেন তার সাথে সমতা রাখে: “ঈশ্বর জ্যোতি, এবং তাঁহার মধ্যে অন্ধকারের লেশমাত্র নাই।”—১ যোহন ১:৫.
যেহেতু ঈশ্বরের পুত্র তার পিতার সঙ্গে একতাবদ্ধ রয়েছেন, ইহা কোন আশ্চর্য্যের কারণ নয় যে যীশু একসময় বলেন: “আমি জগতের জ্যোতি রহিয়াছি।” (যোহন ৯:৫) আমরা অন্ধকারের মধ্যে থেকে বেরিয়ে জ্যোতিতে আসতে পারি যদি আমরা যিহোবা ঈশ্বর এবং তার পুত্রের ওপরে বিশ্বাস স্থাপন করি। যীশু আরও সাক্ষ্য দেন: “আমি জ্যোতিস্বরূপ হইয়া এই জগতে আসিয়োছি, যেন, যে কেহ আমাতে বিশ্বাস করে, সে অন্ধকারে না থাকে।” (যোহন ১২:৪৬) সঠিকভাবেই, তাই, যীশু খ্রীষ্ট তার সত্য অনুসরণকারীদের সম্বন্ধে বলেন: “তোমরা জগতের জ্যোতি; . . . তোমাদের জ্যোতি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।”—মথি ৫:১৪, ১৬, NW.
সত্য পাওয়া কত আশীর্বাদজনক, “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাসশ্রেণীর” দ্বারা ঈশ্বরের বাক্যের অর্থ পরিষ্কার করা হয়েছে! (মথি ২৪:৪৫-৪৭) আর আমরা ত্রিত্বে বিশ্বাসের দ্বারা হতবুদ্ধি হই না; কেন একজন সর্বশক্তিমান ও প্রেমময় ঈশ্বর দুষ্টতা এবং দৌরাত্ম থাকতে দিয়েছেন সেই সম্বন্ধেই আর আমরা বিস্মিত নই; মৃতদের অবস্থা সম্বন্ধে আর আমাদের কোন সন্দেহ নেই। জ্যোতি আমাদের আশা দিয়েছে, রাজ্যের আশা। ইহা আমাদের কাছে প্রকাশ করেছে সৃষ্টিকর্তা কত বিস্ময়কর ঈশ্বর। সত্যের জ্যোতি আমাদের জীবনে একটি উদ্দেশ্য দিয়েছে, যে উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য আমাদের প্রথমত সৃষ্টি করা হয়েছিল, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, যিহোবা ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করা। ইহা আমরা করি জ্যোতি বাহক হয়ে। জ্যোতি বাহক হওয়া একটি অতি সম্মাননীয় ও অনুগ্রহজনক, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার। এই অবশ্য করণীয় কাজের প্রতি সুবিচার করার জন্য, আমাদের উচিৎ যিহোবা যে সাহায্য দেন তার সমস্ত কিছু ব্যবহার করা। তাই কত উপযুক্ত যে আমাদের ১৯৯২ সালের জেলা অধিবেশনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে “জ্যোতি বাহকগণ” জেলা অধিবেশন!
জ্যোতি বাহক হিসাবে আমাদের দক্ষতা এবং আমাদের উপলব্ধি বৃদ্ধি করতে আমরা এইগুলির মধ্যে অন্তত একটিতে উপস্থিত থাকতে চেষ্টা করব, প্রারম্ভিক গান থেকে শেষ দিনের সমাপ্তির প্রার্থনা পর্যন্ত সেইখানে থাকতে চেষ্টা করব। আর বক্তৃতামঞ্চ থেকে যাই বলা হোক না কেন, তা বক্তৃতা, সাক্ষাৎকার, অভিজ্ঞতা, অথবা নাটক হোক, তার প্রতি একান্ত মনোযোগ দেব। নোট নেওয়া শুধুমাত্র পরে পুনর্বিবেচনা করার জন্য কিছু দেখার জন্য আমাদের সাহায্য করবে না, কিন্তু যা বলা হচ্ছে তার প্রতি মনোযোগ দিতেও অনেক সাহায্য করে। হ্যাঁ, অধিবেশন চলাকালীন সকলে চাইবে ‘আমরা কিরূপে শুনব’ তার প্রতি মনোযোগ দিতে।—লূক ৮:১৮.