ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯২ ১০/১ পৃষ্ঠা ৩-৪
  • কেন এত হতাশা?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • কেন এত হতাশা?
  • ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • সর্বাধিক চরম পথাবলম্বন
  • আশা হতাশাকে জয় করে!
    ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • শীঘ্রিই হতাশা বিনা এক পৃথিবী
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আত্মহত্যা কি উত্তর?
    ১৯৯৪ সচেতন থাক!
  • হতাশ লোকের প্রার্থনা
    আনন্দের সঙ্গে যিহোবার উদ্দেশে গান করুন
আরও দেখুন
১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯২ ১০/১ পৃষ্ঠা ৩-৪

কেন এত হতাশা?

অধিক উত্তম জীবনের জন্য আশা—অবশেষে বাস্তবে পরিণত হয়েছে! নভেম্বর ১৯৮৯ সালে যখন বার্লিনের দেওয়াল ভেঙে পড়ে তখনকার পূর্ব জার্মানীতে বসবাসকারী বহু লোক এটি বিশ্বাস করেছিল। এক বছরের কিছু পরেই, যাইহোক, তারা অভিযোগ করে “বার্লিন দেওয়ালের দ্বারা সুরক্ষিত জীবনের থেকে ধনতন্ত্রবাদী গণতন্ত্রের কঠোর জগতের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আরও কঠিন।” এর ফল? স্বপ্নভঙ্গ এবং ক্রমবর্ধমান হতাশা।

পারিবারিক এবং সাম্প্রদায়িক হিংসাত্বক ঘটনাবলী হয়তো মানুষকে তাদের বাসস্থান ছেড়ে যেতে বাধ্য করে নিরাপত্তার সন্ধানে, কিন্তু অল্প লোকেই তা খুঁজে পায়। কিছু লোক হয়তো যে গৃহহীনরা শহরের রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে থাকে তাদের মধ্যে গিয়ে পড়ে। কিছু দেশে এদের মধ্যে অনেকে জটিল সরকারি নিয়মকানুনের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। চাকরি না থাকার জন্য একটি গৃহের সঙ্গতি তাদের থাকে না, আর গৃহের ঠিকানা না থাকার জন্য তারা চাকরিও পায় না। সরকারি হিতৈষী সংস্থানগুলি সাহায্য করতে চেষ্টা করে, কিন্তু সমস্যাগুলির সমাধান করতে সময় লাগে। তাই নৈরাশ্য আর হতাশা দেখা দেয়।

বহু স্ত্রীলোক হতাশার জন্য সত্যই বেপরোয়া পদক্ষেপের দিকে চালিত হয়। উইমেন অ্যাণ্ড ক্রাইম ইন দ্যা নাইন্‌টিন নাইন্টিজ্‌ সম্বন্ধে রিপোর্টে, আইন অধ্যাপিকা ডঃ সুজান এড্‌ওয়ার্ডস্‌ ব্যাখ্যা করেন: “অল্পবয়স্ক স্ত্রীলোকদের [বেশ্যাবৃত্তিতে] জড়িয়ে পড়া সরাসরিভাবে আর্থিক প্রয়োজনের ফলস্বরূপ, আত্ম-সংযমের অভাব অথবা পারিবারিক পটভূমিকার জন্য নয়।” একইভাবে, যে যুবকরা কাজের সন্ধানে ঘর ছেড়ে আসে প্রায়ই কিছু পায় না। তাদের মধ্যে কিছু, হতাশায়, ‘রেন্ট বয়েজ্‌’-এ পরিণত হয়, যারা খাদ্য এবং আশ্রয়ের বিনিময়ে তাদের দেহকে সমকামীদের হাতে তুলে দেয়, দুর্নীতিগ্রস্ত অপরাধী দলের হাতের পুতুল হয়ে পড়ে।

কঠোর রাজনৈতিক বাস্তবতা, হিংসাত্বক ঘটনা, আর্থিক দুরবস্থা, সব কিছুই বিভিন্ন মাত্রায় হতাশা জাগিয়ে তুলতে পারে। এমনকি বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিরাও স্বচ্ছল জীবনধারা বজায় রাখতে গিয়ে এবং ক্রমবর্ধমান আর্থিক সমস্যার সাথে মোকাবিলা করতে গিয়ে এর থেকে রেহাই পায়না। এর ফল? “উপদ্রব জ্ঞানবানকে ক্ষিপ্ত করে,” পূরাকালের রাজা শলোমন বলেছিলেন!a (উপদেশক ৭:৭) বাস্তবিকই, হতাশা আরও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে সর্বাধিক চরম পথাবলম্বন করতে পরিচালিত করছে—আত্মহত্যা।

সর্বাধিক চরম পথাবলম্বন

অল্পবয়স্কদের মধ্যে আত্মহত্যার বহু ঘটনা দেখায় যে এমনকি তারাও হতাশার মহামারী দ্বারা আক্রান্ত হয়। একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রের একজন বিভাগীয় লেখিকা জিজ্ঞাসা করেন: “আমাদের সময়ে কি আছে যা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এত হতাশার সৃষ্টি করে?” একটি সমীক্ষায়, ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে, যারা বিষ খেয়ে মরার চেষ্টা করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়, লণ্ডন ইন্স্‌টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির ডঃ এরিক্‌ টেলর রিপোর্ট করেন: “একটি লক্ষণীয় বিষয় ছেলেমেয়েদের মধ্যে কতজন হতাশ এবং পরিস্থিতি সম্বন্ধে নিরাশ।” প্রতি বছর ব্রিটেনে প্রায় ১,০০,০০০ মারাত্মক নয় কিন্তু বিষ খাওয়ার ইচ্ছাকৃত ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় যার অর্থ লোকে মরিয়া হয়ে তাদের সাহায্যের প্রয়োজন সম্বন্ধে জানাচ্ছে।

একটি ব্রিটিশ হিতৈষী সংস্থা হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তিদের কথা সহানুভূতিসহকারে শোনার অভিযান চালায়। এইভাবে সেখানকার উপদেষ্টারা “মৃত্যুর বিকল্পব্যবস্থা” করে দিয়েছে এই দাবি করে। তবুও, তারা স্বীকার করে যে সমস্যাগুলির জন্য লোকে হতাশাগ্রস্থ হয় তার সমাধান করতে তারা অক্ষম।

আত্মহত্যার হার “বিচ্ছিন্নতাবোধের মান ও সমাজে সামাজিক সুসঙ্গতির অভাব” প্রতিফলিত করে, দ্যা সানডে করেস্‌পণ্ডেন্ট সংবাদপত্র মন্তব্য করে। কেন আজ আত্মহত্যার হার এত বেশী? সংবাদপত্রটি কারণ হিসাবে “গৃহহীন অবস্থা, মদ্যপান, এইডস্‌-এর ভয় এবং মানসিক হাসপাতালগুলির বন্ধ হয়ে যাওয়া” উল্লেখ করে যা মানুষকে এমন হতাশায় পতিত করে যার জন্য নিজেদের জীবন নেওয়াকে তারা তাদের সমস্যার একমাত্র সমাধান হিসাবে দেখে।

হতাশা দূর করার জন্য কি কোন আশা আছে? হ্যাঁ! “তোমরা ঊর্দ্ধদৃষ্টি করিও, মাথা তুলিও” যীশুর উৎসাহজনক ধ্বনি! (লূক ২১:২৮) তিনি কি বোঝাতে চাইছিলেন? কি আশা আছে? (w92 7/1)

[পাদটীকাগুলো]

a হ্যারিস্‌, আর্চার, এবং ওয়াল্টকি কর্ত্তৃক সম্পাদিত থিওলজিকাল ওয়ার্ডবুক অফ দ্যা ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুযায়ী, যে শব্দ “উপদ্রব” হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে আদি ভাষায় তার সঙ্গে “অপেক্ষাকৃত নিচুস্তরের লোকেদের ভারাক্রান্ত, পদদলিত, ও নিষ্পেষিত হওয়ার” সংযোগ আছে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার