ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w08 ১০/১ পৃষ্ঠা ৩-৪
  • পৃথিবী গ্রহের সময় কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • পৃথিবী গ্রহের সময় কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?
  • ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বিপন্ন এক গ্রহ
  • আশাবাদের এক কারণ
  • ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেন আমাদের পৃথিবী রক্ষা পাবে
    ২০২৩ সজাগ হোন!
  • আশাবাদী হওয়া কি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে?
    ২০০৭ সচেতন থাক!
  • নতুন সহস্রাব্দ—আপনার জন্য কী আনবে?
    নতুন সহস্রাব্দ—আপনার জন্য কী আনবে?
  • পৃথিবী ক্রমাগত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে–এই সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?
    অন্যান্য বিষয়
আরও দেখুন
২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w08 ১০/১ পৃষ্ঠা ৩-৪

পৃথিবী গ্রহের সময় কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

নীচের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নটির উত্তর আপনি কীভাবে দেবেন?

নিকট ভবিষ্যতে, পৃথিবীর অবস্থা কি

(ক) উন্নত হবে?

(খ) একইরকম থাকবে?

(গ) আরও খারাপ হবে?

আপনি কি ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে এক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার চেষ্টা করেন? তা করার অনেক উপকার রয়েছে। গবেষণা দেখিয়েছে যে, আশাবাদী মনোভাবসম্পন্ন লোকেরা শিক্ষাগত ও শারীরিক, উভয় ক্ষেত্রেই আরও ভাল কাজ সম্পাদন করে থাকে। একটা দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় এমনকি দেখা গিয়েছিল যে, জীবন সম্বন্ধে নিরাশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এমন ব্যক্তিদের চেয়ে আশাবাদী ব্যক্তিদের হৃদরোগে ভোগার সম্ভাবনা অনেক কম ছিল। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এই তথ্যগুলো, বহু শতাব্দী আগে বাইবেলে করা এক বিবৃতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ: “উৎফুল্ল হৃদয় উত্তম ঔষধ; ভগ্ন আত্মা হাড় শুষ্ক করে।”—হিতোপদেশ (প্রবচনমালা) ১৭:২২, বাংলা জুবিলী বাইবেল।

কিন্তু, পৃথিবী গ্রহের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞরা যা ভবিষ্যদ্বাণী করছে, সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকের জন্য আনন্দিত ও আশাবাদী থাকা কঠিন বলে মনে হতে পারে। শুধুমাত্র কয়েকটা ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণীর কথা বিবেচনা করুন, যেগুলো সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠছে।

বিপন্ন এক গ্রহ

২০০২ সালে, স্বনামধন্য স্টকহোম এনভায়রনমেন্ট ইনস্টিটিউট সাবধান করেছিল যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গতানুগতিক পন্থা সম্ভবত এমন “ঘটনাগুলোর” সূত্রপাত করতে পারে, “যেগুলো গ্রহের জলবায়ু ও বাস্তুসংস্থানে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে।” সেই রিপোর্টটা আরও বলেছিল যে, বিশ্বব্যাপী দরিদ্রতা, চলমান অসমতা এবং পরিবেশগত সম্পদগুলো ক্রমান্বয়ে ধ্বংস করা সমাজকে “একটার পর একটা পরিবেশগত, সামাজিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংকটের” দিকে ঠেলে দিতে পারে।

২০০৫ সালে, মিলেনিয়াম ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট সিনথেসিস রিপোর্ট নামে রাষ্ট্রসংঘ একটা রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। এটা ছিল পৃথিবীর পরিবেশের ওপর চার বছর ধরে বিশ্বব্যাপী করা এক গবেষণার ফলাফল, যেটাতে ৯৫টা দেশের ১,৩৬০ জন বিশেষজ্ঞ জড়িত ছিল। সেই রিপোর্ট-এ এক ভয়াবহ সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে: “মানুষের কর্মকাণ্ড পৃথিবীর স্বাভাবিক কার্যকলাপের ওপর এতখানি চাপ ফেলছে যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই গ্রহের বাস্তুসংস্থানগুলোর ক্ষমতাকে আর হালকাভাবে নেওয়া যেতে পারবে না।” দুর্যোগ প্রতিরোধ করার জন্য “কর্মপন্থা, প্রতিষ্ঠান ও প্রচলিত অভ্যাসের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের” প্রয়োজন হবে, “তবে সেই পরিবর্তনগুলো এখনও শুরু হয়নি,” সেই রিপোর্ট বলে।

রাষ্ট্রসংঘের মানব উপনিবেশ কার্যক্রম-এর নির্বাহী পরিচালক আনা তিবাইয়ুকা, গবেষকদের মধ্যে দিন দিন ঐকমত্য গড়ে ওঠার বিষয়টা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন: “যদি আমরা গতানুগতিকভাবেই চলতে থাকি, তাহলে এক ভয়ানক ভবিষ্যৎ ডেকে আনব।”

আশাবাদের এক কারণ

এই পত্রিকার প্রকাশক যিহোবার সাক্ষিরাও বিশ্বাস করে যে, নাটকীয় ও পৃথিবীকে পরিবর্তনকারী ঘটনাগুলো আসন্ন। কিন্তু, তারা দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, এক সর্বনাশা ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার বদলে এই ঘটনাগুলো বিশ্বের জন্য সবচেয়ে চমৎকার পরিবেশের পথ করে দেবে, যা এই বিশ্ব এ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেনি। কেন তাদের এইরকম আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে? কারণ তারা ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলে বলা প্রতিজ্ঞাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এইরকম একটা প্রতিজ্ঞা লক্ষ করুন: “ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই, তুমি তাহার স্থান তত্ত্ব করিবে, কিন্তু সে আর নাই। কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১.

এই ধরনের আশা কি নিছক স্বপ্নচারিতা? সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে, এই দাবি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন: কয়েক হাজার বছর আগে, বাইবেল বড় বড় অনেক সমস্যার বিষয়ে একেবারে সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, যেগুলো বর্তমানে পৃথিবী ও মানবজাতিকে জর্জরিত করছে বলে আমরা দেখতে পাই। দয়া করে, পরের প্রবন্ধে উল্লেখিত শাস্ত্রপদগুলো পড়ুন আর সেগুলো যা বলে, সেটার সঙ্গে বর্তমানে বিশ্বে যা হচ্ছে বলে আপনি দেখতে পাচ্ছেন, সেগুলোর তুলনা করুন। আপনি যখন তা করেন, তখন ভাবী ঘটনাগুলো সম্বন্ধে বাইবেল যে সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করে, সেই বিষয়ে আপনার নির্ভরতা বাড়বে। (w০৮ ৮/১)

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার