যিহোবা হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা
১ লক্ষ লক্ষ লোক বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর জীবন সৃষ্টি করেছেন। অনেক আবার ক্রমবিবর্তনে বিশ্বাস করে। এছাড়াও, আরও কিছু ব্যক্তি আছে যারা নিশ্চিত নয় যে তারা কিসে বিশ্বাস করবে। জীবন—কিভাবে তা এখানে এসেছে? ক্রমবিবর্তন অথবা সৃষ্টির মাধ্যমে? (ইংরাজি) এই বইটি ওই ধরনের সমস্ত লোকেদের জন্য লিখিত। জীবন কিভাবে অসল এবং আমাদের ভবিষ্যতে জন্য কী অর্থ রাখে এই বিষয়ের উপর প্রকাশনটি এক পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণামূলক ব্যাখ্যা দেয়। জুন মাসে যেকানে সম্ভব আমরা এই বইটি প্রদর্শন করব। যেক্ষেত্রে গৃহকর্ত ইংরাজি জানে না সেখানে সাম্প্রতিক প্রকাশিত ১৯২-পৃষ্ঠার নতুন বইগুলি অর্পণ করা হবে।
২ এমনকি বিজ্ঞানের জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই বইটির যুক্তিকে স্বীকার করেছে। নেদারল্যাণ্ডসের এক বিজ্ঞান গবেষক লেখেন: “এই বইটি প্রকৃতই সমস্ত আশাকে অতিক্রম করেছে। যেভাবে যুক্তিসহকারে অধ্যায়গুলিকে আলোচনা করা হয়েছে এবং চিত্রগুলি এতই বিজ্ঞান-ভিত্তিক যে কেবল মাত্র একজন অন্ধ ব্যক্তিই শুধু এগুলির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে পারে।” একজন আইনজীবী জানান: “আমি চারবার এই বইটি পড়ি এবং এর প্রকাশনের পিছনে অধ্যয়ন, পন্ডিত্যপূর্ণ গবেষণা এবং তথ্যসন্নিবেশের যে গভীরতা আছে তা দেখে আমি বারবার অভিভূত হয়ে পড়েছি।” অতএব আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে আরও অনেকে এই বইটিকে উপলব্ধি করবে।
৩ আপনি হয়ত এই ধরনের সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনাটি প্রদর্শন করতে পছন্দ করবেন:
◼ পৃষ্ঠাটি ৬ খুলুন এবং বলুন: “অনেক লোকেরা মনে করে যে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী ও জীবন আকস্মিকভাবে এসেছে। এই সমস্ত কিছু কিভাবে এসেছে এবিষয়ের উপর কোন্টিকে আপনি যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা বলে মনে করেন? [উত্তর দেওয়ার সময় দিন।] সৃষ্টিকর্তা যিনি অত্যন্ত শক্তিশালী অথচ যিনি আমাদের খুব ভালও বাসেন করেন তাঁর সম্বন্ধে বাইবেলের যে বিবরণতা তা অনেক তথ্যের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। বাইবেল জানায় যে তাঁর নাম হল যিহোবা।” গীতসংহিতা ৮৩:১৮ পড়ুন আর সমগ্র পৃথিবীকে পরমদেশে পরিণত করা যে তাঁর উদ্দেশ্য সংক্ষেপে তা ব্যাখ্যা করুন।
৪ আপনি যদি সরাসরি আসল বিষয়টির উপর কথা বলতে চান, তাহলে আপনি হয়ত বলতে পারেন:
◼ “আপনি কি এই প্রশ্ন সম্বন্ধে কখনও চিন্তা করেছেন?” তারপর বইটিক শিরোনামটির প্রতি দৃষ্টি আরোপ করান, ৭ পৃষ্ঠাটি খুলুন, ২য় অনুচ্ছেদের উপর যে প্রশ্নগুলি আছে তা পড়ুন এবং ব্যাখ্যা করুন যে এই বইটিতে বাইবেল থেকে নেওয়া সন্তুষ্টজনক উত্তরগুলি পাওয়া যায়া।
৫ অথবা আপনি হয়ত এটা করে দেখতে পারেন:
◼ “আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে পৃথিবী কিভাবে অস্তিত্বে এসেছে? অনেকে বলে যে এটা হল এক বিশাল মহাজাগতিক রশ্মির যে বিস্ফোরণ তার ফল। আপনি কী মনে করেন? [উত্তরের সময় দিন।] বাইবেল শিক্ষা দেয় যে ঈশ্বর পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন আমাদের অনন্তকালস্থায়ী গৃহ হিসাবে। আমাদের সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহগুলি থেকে এটি আলাদা। যতদূর আমরা জানতে পেরেছি তা হল, এই ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে এটিই একমাত্র গ্রহ যার মধ্যে জীবন সংরক্ষণ করার জন্য সমস্ত জটিল ব্যবস্থাগুলি রয়েছে।” ১৩০ পৃষ্ঠার, ৫ম অনুচ্ছেদটি খুলুন এবং ব্যাখ্যা করুন যে কেন এই পৃথিবী এক মহান শিল্পীর কর্ম।
৬ প্রায় একই ধরনের আরেকটি উপস্থাপনা এরকম হতে পারে:
◼ “কিছু লোক মনে করে যে আমরা বন-মানুষের থেকে ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে এসেছি। তারা দাবি জানায় যে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এদের মত দেখতে ছিলেন। [৮৯ পৃষ্ঠার ছবিটি দেখান।] এই সম্বন্ধে আপনি কী মনে করেন?” উত্তর দেওয়ার সময় দিন। ২০ অনুচ্ছেদে যা বলা আছে তা দেখান এবং তারপর প্রেরিত ৪:২৪ পদটি পড়ুন, যা আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও জীবনদাতা হিসাবে যিহোবাকে শনাক্ত করে। “এই বইটি, বাইবেলে যা বলা আছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র ক্রমবিবর্তনের মতবাদটি পরীক্ষা করেছে।” ৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া সূচিপত্রটির কথা উল্লেখ করুন এবং কয়েকটি শিরোনামের প্রতি দৃষ্টি আরোপ করান, যেমন অধ্যায় ১, ৭ ,১৫ এবং ১৯.
৭ এই বইটি সেইসব সহৃদয় ব্যক্তিদের পক্ষে আশীর্বাদস্বরূপ হতে পারে যারা তাদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে যাদের যিহোবা অথবা তাঁর বাক্যের প্রতি কোন বিশ্বাস নেই। সৃষ্টি বইয়ের মধ্যে যে বাস্তবধর্মী তথ্যগুলি রয়েছে তা সেইসব ব্যক্তিদের যারা আমাদের সৃষ্টিকর্তা, যিনি আমাদের কথা প্রেমের সাথে চিন্তা করেন, তাঁর প্রতি উপলব্ধিবোধ জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।