যাদের বিশ্বাস নেই তাদের সাহায্য করুন
১ আজকের দিনে এবং এই যুগে, শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত হওয়া খুবই প্রচলিত। মানবিক দর্শন ও অবাস্তব মতবাদেগুলিকে উচ্চান্বিত আর আধ্যাত্মিক মানগুলিকে উপেক্ষিত করা হয়। সহৃদয় ব্যক্তিরা যারা সরল তথ্য এবং বোধগম্য সত্যগুলির প্রতি আগ্রহী তারা অবশ্যই জীবন—কিভাবে তা এখানে এসেছে? ক্রমবিবর্তন অথবা সৃষ্টির মধ্যমে? নামক এই বইটি পরীক্ষা করার সুযোগকে গ্রহণ করবে। যাদের বিশ্বাসের অভাব রয়েছে এই বইটি তাদের সাহায্য করতে পারে। (রোমীয় ১:১৯, ২০) যারা উৎসাহ দেখিয়েছে তাদের সকলের সাথে পুনর্সাক্ষাৎ অবশ্যই করবেন।
২ আপনি হয়ত আপনার আলোচনা এইভাবে শুরু করতে পারেন:
◼ “আমি নিশ্চিত যে আপনি জানেন যে অনেক শিক্ষিত লোকেরা এই বিশ্বাসের প্রতি সমর্থন জানায় যে মানব পরিবার এখানে ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে। এটি শিক্ষা দেয় যে সমস্ত কিছু আকস্মিতভাবে এসেছে। আপনি এই সম্বন্ধে কী মনে করেন? [উত্তর দেওয়ার সময় দিন।] এই ধারণাটিকে এখনও মতবাদ হিসাবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। মতবাদ হল ‘একটা অনুমান’ অথবা ‘একটি অপ্রমাণিত ধারণা।’ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে যে পৃথিবী হল সমতল; কিন্তু এখন আমরা জানি যে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণার উপর গড়ে উঠেছিল, কোন প্রামাণিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে নয়। ক্রমবিবর্তনবাদের ক্ষেত্রেও কি এটা সত্য হতে পারে?” ৪ পৃষ্ঠায়, দেওয়া ভূমিকাটি পড়ুন এবং তারপর যিশাইয় ৪২:৫ পদটি আলোচনা করুন।
৩ অথবা পুনরায় ফিরে যাওয়ার সময় আপনি হয়ত এই উপস্থাপনাটি গ্রহণ করতে পারেন:
◼ “আজকাল প্রায়ই সেইসব লোকেদের সাথে দেখা হয় যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে না। বেশ কিছু বছর আগে এটা ছিল বিরল। কেন আপনি মনে করেন যে অনেকে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে? [উত্তর দেওয়ার সময় দিন।] অনেকে তাদের বিশ্বাসের যে অভাব তার কারণ হিসাবে আমাদের এই জগতের ক্রমবর্ধমান দৌরাত্ম্য এবং দুঃখদুর্দশাকে দায়ী করে। তারা এই যুক্তি দেখায় যে যদি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর থেকে থাকেন তাহলে কেন তিনি এই যন্ত্রণার শেষ আনছেন না? ওই প্রশ্নের যারা সন্তুষ্টজনক উত্তর খুঁজে পায় না তারা প্রায়ই নাস্তিক হয়ে পড়ে। কিন্তু অনেক অভূতপূর্ব প্রমাণ আছে যা দেখায় যে দেখায় যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে এবং তিনি খুব শীঘ্রই এই পৃথিবীকে সুখ ও শান্তির স্থান করে তুলবেন।” ১৯৬ পৃষ্ঠায় ১৯ অনুচ্ছেদে যে শাস্ত্রীয় বিষয়গুলি দেওয়া আছে তার সাহায্যে আলোচনা চালিয়ে যান।
৪ যেখানে উপযুক্ত, সেখানে হয়ত আপনি বাইবেল হাতে নিয়ে আপনার আলোচনা শুরু করতে পারেন এই বলে:
◼ “আমরা আবার আপনার কাছে এটা বলতে এসেছি যে কেন আমাদের দিনে বাইবেল অধ্যয়ন করা বাস্তবধর্মী অনেক লোকের কাছে বাইবেল আছে, কিন্তু খুব অল্প সংখ্যকই এটি পড়ার জন্য সময় করে নেয়। কিছু ব্যক্তি স্পষ্টভাবে আমাদের জানায় যে তাদের আর ধর্মের উপর আস্থা নেই। এই সম্বন্ধে আপনার কী ধারণা? [উত্তরের সময় দিন।] একটি জিনিস যা আমাদের বাইবেল যে ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য সেই সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দিয়েছে তা হল এর ভাববানীগুলির পরিপূর্ণতা।” ২৩৪ পৃষ্ঠায় ৬ অনুচ্ছেদে দেওয়া শাস্ত্রীয় বিষয়টির উল্লেখ করুন।
৫ এই চিন্তাধারাটি হয়ত উত্তম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে:
◼ “এই পৃথিবীতে আমাদের চারিপাশে জিনিসগুলির মধ্যে সৌন্দর্য ও প্রজ্ঞার অপূর্ব নিদর্শন আমরা দেখতে পাই। সূর্যাস্তের এই অপূর্ব দৃশ্যটি এর এক যথার্থ উদাহরণ।” পৃষ্ঠা ১২ এবং ১৩-র ছবিটি দেখান। “চিন্তার কিছু বষয়,” এই অংশটির থেকে কিছু বিষয় উল্লেখ করুন এবং ব্যাখ্যা করুন যে কিভাবে এই বইটি আমাদের জগৎ সম্বন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সন্তুষ্টজনক উত্তর দেয়।
৬ এই বইটি ব্যবহার করার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাদের বিশ্বাসের দৃঢ় ভিত্তিকে খুঁজে পেতে সাহায্য করার দ্বারা আমরা অপরের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ হতে পারি।