নতুন সীমা অধিবেশন কার্যক্রম
“যিহোবার দিনের আকাঙ্ক্ষা করা” হল দুইদিন ব্যাপী সীমা অধিবেশন কার্যক্রমের বিষয়বস্তু যেটি আগামী বছরের প্রথমদিক থেকেই শুরু হতে চলেছে। (২ পিতর ৩:১২) আমাদের তৎপরতার মনোভাবকে জাগিয়ে তোলার জন্য এটি পরিকল্পিত। শীঘ্রই পৃথিবীর অধিবাসীরা যিহোবার বিচারাজ্ঞা ভোগ করবে। ‘সর্ব্বশক্তিমান্ ঈশ্বরের সেই মহাদিনে’ কারা রক্ষা পাবে? কেবল তারাই যারা আধ্যাত্মিকভাবে সজাগ থাকে ও “পবিত্র আচার ব্যবহার ও ভক্তিতে” এক জীবনাদর্শ গড়ে তোলে।—প্রকা. ১৬:১৪; ২ পিতর ৩:১১.
যিহোবার দিনে রক্ষা পেতে একজনের জন্য বাপ্তিস্ম অপরিহার্য। (১ পিতর ৩:২১) প্রকাশকেরা যারা এই অধিবেশনে বাপ্তিস্ম নিতে ইচ্ছুক, তাদের উচিত পরিচালক অধ্যক্ষকে জানানো যিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি গ্রহণ করবেন।
“যে ধরনের লোক আমাদের হওয়া উচিত,” চার ভাগে বিভক্ত এই সিম্পোজিয়ামটি স্পষ্টভাবে দেখাবে যে যিহোবার দিনের আগমনের আকাঙ্ক্ষা করার সাথে কোন্ কাজগুলি জড়িত আছে। “যিহোবার দিন যতই নিকটবর্তী হচ্ছে বিজ্ঞতার সাথে কাজ করুন” শিরোনামযুক্ত জনসাধারণের বক্তৃতাটি ব্যাখ্যা করবে একজনের রক্ষার ক্ষেত্রে ‘সদাপ্রভুর অন্বেষণ, ধর্ম্মের অনুশীলন, নম্রতার অনুশীলন’ করার অর্থ কী।—সফ. ২:৩.
সীমা অধিবেশনটি ভ্রমণ অধ্যক্ষের দেওয়া দুটি প্রেরণাদায়ক বক্তৃতা দ্বারা শেষ হবে যেগুলির শিরোনাম হল: “আপনার জীবন কি সত্যে কেন্দ্রীভূত?” এবং “যিহোবার দিন স্মরণে রেখে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা।” এই বক্তৃতাগুলি আমাদের নিজেদের জীবন পরীক্ষা করতে ও প্রয়োজনীয় যে কোন সমন্বয় সাধন করতে পরিচালিত করবে। বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী ও জগতের ঘটনাবলী স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে যিহোবার দিন সন্নিকট। এই অধিবেশন কার্যক্রমটি ‘আমাদের প্রবুদ্ধ হতে ও জেগে থাকতে’ উৎসাহিত করবে। (১ পিতর ৫:৮) দুটি দিনই উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন।