নতুন সীমা অধিবেশন কার্যক্রম
আমরা জানি যে যিহোবা ঈশ্বর আমাদের ভালবাসা ও একাগ্র ভক্তি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু জগৎ আমাদেরকে বিপথে নিয়ে যাওয়ার, ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের কাছের সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা করে। (যোহন ১৭:১৪) তাই ২০০১ সালের নতুন সীমা অধিবেশন কার্যক্রমের বিষয়বস্তু হল “ঈশ্বরকে প্রেম করুন—জগতের বিষয়গুলোকে নয়।” এই অধিবেশনের কার্যক্রম আমাদের জগতের বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলতে যা ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে দুর্বল করে ও ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালবাসাকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।—১ যোহন ২:১৫-১৭.
যিহোবার প্রতি গভীর ভালবাসা আমাদেরকে তাঁর বিষয় সাক্ষ্য দিতে অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু তবুও অনেকের জন্য প্রচার করা সহজ হয় না। “ঈশ্বরের প্রতি প্রেম আমাদেরকে প্রচার করতে প্রেরণা দেয়” নামক বক্তৃতায় জানুন যে পুরোপুরিভাবে প্রচার কাজে অংশ নেওয়ার জন্য কীভাবে অনেকেই লাজুক স্বভাব ও অন্যান্য বাধাগুলোকে কাটিয়ে ওঠেছেন।
জগতের মান যা দিনের পর দিন নেমে যাচ্ছে তা আমাদের ওপর কতখানি প্রভাব ফেলে? যে কাজগুলোকে এক সময় খারাপ বলে মনে করা হতো এখন তা সাধারণ কাজ বলে ধরা হয়। “যারা যিহোবাকে প্রেম করেন তারা খারাপ বিষয়গুলোকে ঘৃণা করেন” নামক বক্তৃতা এবং “জগতের বিষয়গুলোকে আমরা কীভাবে দেখি?” এই সিম্পোজিয়াম বক্তৃতা আমাদেরকে মন্দ ইচ্ছাগুলোকে না বলতে শক্তি যোগাবে।
ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় ও পরিচর্যা সভার একটা নমুনা আর সেই সঙ্গে সেই সপ্তার প্রহরীদুর্গ পাঠের সারাংশও এই কার্যক্রমে থাকবে। “প্রেম ও বিশ্বাস দিয়ে যেভাবে জগৎকে জয় করা যায়” জনসাধারণের এই বক্তৃতা আমাদেরকে জগতের চাপগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করে যীশুকে অনুকরণ করতে উৎসাহ দেবে। (যোহন ১৬:৩৩) এই অধিবেশনে আপনার বাইবেল ছাত্রদের আসার জন্য বলতে ভুলবেন না। এই অধিবেশনে যারা বাপ্তিস্মিত হতে ইচ্ছুক, তাদের যত শীঘ্রি সম্ভব পরিচালক অধ্যক্ষকে জানানো উচিত যাতে এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
যিহোবার অফুরন্ত আশীর্বাদ পেতে হলে আমাদের কাকে প্রেম দেখানো দরকার এই অধিবেশনে তা আলোচনা করা হবে। তাই সব বক্তৃতাতেই উপস্থিত থাকুন, কোনটাই বাদ দেবেন না!