ঈশ্বরের বাক্য সত্য
১ “তোমার বাক্যের সমষ্টি সত্য,” গীতরচক লিখেছিলেন। (গীত. ১১৯:১৬০) যিহোবা তাঁর অনুপ্রাণিত বাক্যের মাধ্যমে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দেন। তিনি সেই ব্যক্তিদের সান্ত্বনা ও আশা দেন, যারা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। আর তিনি আমাদের দেখান যে, কীভাবে আমরা তাঁর নিকটবর্তী হতে পারি। “বাইবেল থেকে সত্য শেখা হল এক গভীর অন্ধকারময় ও অনুজ্জ্বল জায়গাকে পরিত্যাগ করে এক স্বচ্ছ, উজ্জ্বল ও মনোরম কক্ষে প্রবেশ করার মতো,” একজন কৃতজ্ঞ মহিলা বলেছিলেন। আপনি কি প্রতিটা সুযোগে ঈশ্বরের বাক্যের সত্য অন্যদের কাছে বলার জন্য চেষ্টা করেন?
২ পরিবর্তন করার ও সর্বজনীন আবেদনের ক্ষমতা: বাইবেলের সত্যের হৃদয়কে স্পর্শ করার ও জীবনকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে। (ইব্রীয় ৪:১২) রোজা নামে একজন যুবতী মহিলা বেশ্যাবৃত্তি এবং সেইসঙ্গে মদ খাওয়া ও মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। “একদিন আমি যখন প্রচণ্ডভাবে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম,” তিনি বলেন, “এক সাক্ষি দম্পতি আমাকে বলেছিল যে, কীভাবে বাইবেল আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানে সাহায্য করতে পারে। আমি ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিলাম, যা আমার কাছে খুবই চমৎকার মনে হয়েছিল। এক মাসের মধ্যে আমি এক শুদ্ধ, সতেজতামূলক জীবন শুরু করার শক্তি পেয়েছিলাম। এখন আমার জীবনে যেহেতু উদ্দেশ্য রয়েছে, তাই মদ বা মাদকদ্রব্যের ওপর নির্ভর করার আর কোনো প্রয়োজন আমার নেই। আর যেহেতু আমি যিহোবার বন্ধু হওয়ার জন্য খুবই ইচ্ছুক ছিলাম, তাই আমি তাঁর মানগুলোর সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করার সংকল্প নিয়েছিলাম। ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবসম্মত প্রজ্ঞা যদি না পেতাম, তা হলে আমি নিশ্চিত যে এত দিনে আমি হয়তো আত্মহত্যা করতাম।”—গীত. ১১৯:৯২.
৩ আজকে অনেক বইয়ের বিপরীতে, বাইবেল ‘প্রত্যেক জাতির, বংশের, প্রজাবৃন্দের ও ভাষার’ লোককে আকৃষ্ট করে। (প্রকা. ৭:৯) ঈশ্বরের ইচ্ছা হল “যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে।” (১ তীম. ২:৪) তাই, আমাদের কখনও ভেবে নেওয়া উচিত নয় যে, একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র তার পটভূমির কারণে সুসমাচারের প্রতি সাড়া দেবে না। এর পরিবর্তে, সকলের কাছে রাজ্যের বার্তা জানান ও যখনই সম্ভব সরাসরি বাইবেল ব্যবহার করে তা করুন।
৪ শাস্ত্রপদগুলোর ওপর জোর দিন: পরিচর্যায় বাইবেল ব্যবহার করার অনেক সুযোগ রয়েছে। পত্রিকাগুলো অর্পণ করার সময় প্রস্তাবিত উপস্থাপনায় দেওয়া শাস্ত্রপদটি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। মাসের সাহিত্য অর্পণ কাজে লাগানোর সময় কেউ কেউ তাদের ভূমিকায় সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করা একটা শাস্ত্রপদ পড়াকে কার্যকারী বলে মনে করে। পুনর্সাক্ষাৎ করার সময়, গৃহকর্তাকে ধীরে ধীরে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করার জন্য প্রতি বার একটা বা তারও বেশি শাস্ত্রপদ পড়ুন। বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করার সময়, মূল শাস্ত্রপদগুলোর ওপর আলোচনা কেন্দ্রীভূত রাখুন। যখন রীতিগত পরিচর্যা করছেন না, তখন হাতের কাছেই একটা বাইবেল রাখুন, যাতে রীতিবহির্ভূতভাবে সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ আসলেই সেটা ব্যবহার করতে পারেন।—২ তীম. ২:১৫.
৫ আমাদের পরিচর্যায় প্রতিটা উপযুক্ত সুযোগে বাইবেল ব্যবহার করে আমরা যেন ঈশ্বরের বাক্যের সত্যের প্রেরণাদায়ক শক্তির দ্বারা অন্যদের উপকৃত হতে সাহায্য করি।—১ থিষল. ২:১৩.
[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]
১. বাইবেলে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে?
২. বাইবেল কীভাবে লোকেদের জীবনকে উন্নত করে?
৩. অন্যদের কাছে বাইবেলের বার্তা জানানোর ক্ষেত্রে কেন আমাদের বিরত হওয়া উচিত নয়?
৪. সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কীভাবে আমরা বাইবেল ব্যবহার করতে পারি?
৫. আমাদের পরিচর্যায় বাইবেল ব্যবহার করার জন্য কেন আমাদের প্রচেষ্টা করা উচিত?