প্রশ্ন বাক্স
▪ অন্যান্য দেশের অভাবী ভাইবোনদের উপকারের জন্য আর্থিক দান দেওয়ার সর্বোত্তম উপায়টা কী?
মাঝে মাঝে, আমরা অন্য দেশের ভাইবোনদের সম্বন্ধে শুনি যারা তাড়না, আকস্মিক দুর্যোগ অথবা অন্যান্য কঠিন পরিস্থিতির দরুন বস্তুগত বিষয়ের অভাব ভোগ করে। কিছু ভাইবোন সেই দেশগুলোর শাখা অফিসগুলোতে সরাসরি অর্থ পাঠাতে অনুপ্রাণিত হয়েছে এই অনুরোধ করে যে অর্থটা যেন নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে, নির্দিষ্ট মণ্ডলী অথবা কোনো নির্ধারিত নির্মাণ প্রকল্পে সাহায্য করার জন্য ব্যবহৃত হয়।—২ করি. ৮:১-৪.
যদিও সহবিশ্বাসীদের জন্য এই ধরনের প্রেমময় চিন্তা প্রশংসনীয় কিন্তু যে-ব্যক্তি দান করেছেন তার মনে যাদের কথা রয়েছে, প্রায়ই তাদের চেয়েও আরও বেশি জরুরি প্রয়োজনগুলো থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, দাতা যে-প্রয়োজনে দান করেছেন, সেটার ইতিমধ্যেই যত্ন নেওয়া হয়েছে। অবশ্যই, আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, শিক্ষামূলক কাজ, কিংডম হল তহবিল অথবা দুর্যোগ ত্রাণব্যবস্থার জন্য যখন স্থানীয় শাখা অফিসে দান পাঠানো হয়, তখন দানকৃত সেই অর্থ দাতার নির্দেশমতোই ব্যবহৃত হবে।
অপ্রত্যাশিত প্রয়োজনগুলোর প্রতি সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেওয়ার জন্য সমস্ত শাখার ভাইদেরকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রে, শাখা সেই বিষয়ে পরিচালক গোষ্ঠীকে জানিয়ে থাকে। যদি আরও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তা হলে পরিচালক গোষ্ঠী হয়তো সাহায্যের জন্য নিকটবর্তী শাখাগুলোকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে অথবা হয়তো প্রধান কার্যালয় থেকে সরাসরি অর্থ পাঠাতে পারে।—২ করি. ৮:১৪, ১৫.
তাই, শিক্ষামূলক কাজ, অন্যান্য দেশের বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্প অথবা দুর্যোগ ত্রাণব্যবস্থার উদ্দেশে দেওয়া সমস্ত দান, হয় মণ্ডলীর মাধ্যমে কিংবা সরাসরি, আপনি যে-দেশে বাস করেন সেই দেশের শাখা অফিসে পাঠানো উচিত। এইভাবে, “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্ দাস” পরিচালক গোষ্ঠীর দ্বারা স্থাপিত সাংগঠনিক ব্যবস্থাদির মাধ্যমে সুনিয়মিতভাবে পৃথিবীব্যাপী ভ্রাতৃসমাজের প্রয়োজনগুলোর যত্ন নিয়ে থাকে।—মথি ২৪:৪৫-৪৭; ১ করি. ১৪:৩৩, ৪০.