নতুন বিশেষ সম্মেলন দিন কার্যক্রম
চোখ হল এক বিস্ময়কর নকশা। (গীত. ১৩৯:১৪) তা সত্ত্বেও প্রত্যেকবার এটা কেবল একটা জিনিসের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারে। আক্ষরিক এবং রূপক উভয় অর্থেই তা সত্য। আমাদের আধ্যাত্মিক দৃষ্টি যাতে স্পষ্ট থাকে, সেইজন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার ওপর আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রাখতে হবে। শয়তানের জগতের দিন দিন বেড়ে চলা বিক্ষেপগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে এটা কত উপযুক্ত যে, ২০০৬ সালের পরিচর্যা বছরের বিশেষ সম্মেলন দিন কার্যক্রম এই মূলভাব তুলে ধরবে, “আপনার চোখকে সরল রাখুন”!—মথি ৬:২২.
যিহোবার কাছ থেকে আশীর্বাদ লাভ করার জন্য আমরা কী করতে পারি? (হিতো. ১০:২২) এই প্রশ্নটা “এক সরল চোখ বজায় রাখার ফলে আশীর্বাদ লাভ করুন” নামের অংশে বিবেচনা করা হবে। সাক্ষাৎকারগুলো তুলে ধরবে যে, শাস্ত্রীয় নীতিগুলো কাজে লাগানোর মাধ্যমে কীভাবে আমরা উপকৃত হতে পারি। অতিথি বক্তার প্রথম বক্তৃতা “দুষ্ট জগতে এক সরল চোখ বজায় রাখা” আমাদের সেই বিষয়গুলো সম্বন্ধে সাবধান করবে, যেগুলো আমাদের জীবনকে জটিল করে তুলতে এবং ধীরে ধীরে আমাদের আধ্যাত্মিকতাকে চেপে রাখতে পারে। এ ছাড়া, “উত্তম অংশটী” মনোনীত করার সঙ্গে কী জড়িত, আমরা তা-ও শিখব।—লূক ১০:৪২.
কীভাবে বাবামা এবং অন্যেরা খ্রিস্টান তরুণ-তরুণীদের আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো অনুধাবনের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রাখার জন্য সাহায্য করতে পারে? “যে-বাবামারা তাদের তিরগুলোকে সঠিক লক্ষ্যে ছোঁড়ে” এবং “যে-তরুণ-তরুণীরা আধ্যাত্মিক লক্ষ্যগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে” নামক বক্তৃতাগুলোতে বাবামা এবং ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া হবে। (গীত. ১২৭:৪) অতিথি বক্তার শেষ বক্তৃতায় বিবেচনা করা হবে যে, কীভাবে আমরা আলাদা আলাদা ব্যক্তি হিসেবে, পরিবারগতভাবে এবং মণ্ডলীগতভাবে যিহোবার সংগঠনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি।
আমরা সম্প্রতি সত্য জেনেছি অথবা কয়েক দশক ধরে যিহোবার সেবা করে আসছি, যা-ই হোক না কেন, আমাদের ‘চক্ষু সরল’ রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ সম্মেলন দিন আমাদেরকে ঠিক তা-ই করতে সাহায্য করবে।