আমাদের ‘সুখী ঈশ্বর’ যিহোবাকে অনুকরণ করুন
১ যিহোবা সত্যিই চান যেন লোকেরা সুখী হয়। তাঁর বাক্য আমাদের মধ্যে, মানবজাতির জন্য সঞ্চিত সমস্ত চমৎকার আশীর্বাদের জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে। (যিশা. ৬৫:২১-২৫) অন্যদের কাছে এটা প্রতীয়মান হওয়া উচিত যে, আমরা তাদেরকে ‘পরম ধন্য [“সুখী,” NW] ঈশ্বরের গৌরবের সুসমাচার’ জানিয়ে আনন্দ পাই। (১ তীম. ১:১১) আমরা যেভাবে রাজ্যের বার্তা বলে থাকি সেটার দ্বারা, সত্যের প্রতি আমাদের ভালবাসা এবং যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলি সেই লোকেদের প্রতি আমাদের অকৃত্রিম আগ্রহ প্রতিফলিত হওয়া উচিত।—রোমীয় ১:১৪-১৬.
২ এটা সত্য যে, কখনো কখনো এক প্রফুল্ল মনোভাব বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। কিছু কিছু এলাকায়, আমরা রাজ্যের বার্তার প্রতি অনুকূলভাবে সাড়া দেয় এমন লোক খুব অল্পই খুঁজে পাই। এমন সময়ও আসতে পারে, যখন আমরা নিজেদের কঠিন পরিস্থিতিগুলো মোকাবিলা করে থাকি। এক প্রফুল্ল মনোভাব বজায় রাখার জন্য আমাদের চিন্তা করা উচিত যে, আমরা যে-রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করছি, তা আমাদের এলাকার লোকেদের জন্য শোনা ও বোঝা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (রোমীয় ১০:১৩, ১৪, ১৭) এই বিষয় নিয়ে ধ্যান করা আমাদেরকে, পরিত্রাণের জন্য যিহোবার করুণাপূর্ণ ব্যবস্থা সম্বন্ধে আনন্দের সঙ্গে জানিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
৩ ইতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন: আমরা যা বলি, সেটার প্রতিও আমাদের মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। লোকেরা জানে এমন একটা সমস্যা অথবা খবরের উল্লেখ করে যদিও আমরা আলোচনা শুরু করতে পারি কিন্তু আমাদের অযথা সেই নেতিবাচক বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে “মঙ্গলের সুসমাচার” প্রচার করা। (যিশা. ৫২:৭; রোমীয় ১০:১৫) এই সুসমাচার হল এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার ওপর ভিত্তি করে এক বার্তা। (২ পিতর ৩:১৩) এই বিষয়টা মনে রেখে, ‘ভগ্নান্তঃকরণ লোকদের ক্ষত বাঁধিয়া দেওয়ার’ জন্য শাস্ত্র ব্যবহার করুন। (যিশা. ৬১:১, ২) এটা আমাদের প্রত্যেককে এক প্রফুল্ল ও ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
৪ আমরা যখন প্রচার কাজে অংশ নিই, তখন লোকেরা নিশ্চয়ই আমাদের প্রফুল্ল মনোভাব লক্ষ করবে। তাই, আসুন আমাদের এলাকায় লোকেদের কাছে রাজ্যের সুসমাচার জানানোর সময় সর্বদাই আমরা যেন আমাদের ‘সুখী ঈশ্বর’ যিহোবার মনোভাবকে প্রতিফলিত করি।