এক ধন দেওয়া হয়েছে
১ প্রেরিত পৌল প্রচার করার ব্যাপারে তার ঈশ্বরদত্ত কার্যভারকে মূল্যবান বলে গণ্য করেছিলেন এবং এটাকে এক “ধন” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। (২ করি. ৪:৭) তিনি এই কার্যভার পালন করতে গিয়ে অনেক কষ্ট ও তাড়না সহ্য করেছিলেন। তার সঙ্গে দেখা হতো এমন যেকোনো ব্যক্তির কাছে তিনি অক্লান্তভাবে প্রচার করেছিলেন। তিনি স্থলে এবং সমুদ্রে অনেক কঠিন ও বিপদজনক পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। কীভাবে আমরা পৌলকে অনুকরণ করতে পারি এবং দেখাতে পারি যে আমরা আমাদের পরিচর্যাকে মূল্যবান বলে গণ্য করি? (রোমীয় ১১:১৩) কোন বিষয়টা আমাদের পরিচর্যাকে এক অতুলনীয় ধন করে তোলে?
২ এক শ্রেষ্ঠ ধন: পার্থিব ধনসম্পদ প্রায়ই অনেক মনোদুঃখ নিয়ে আসে আর এর উপকারগুলো সীমিত বা ক্ষণস্থায়ী। অন্যদিকে, আমাদের পরিচর্যা নিজেদের এবং অন্যদের জন্য চিরস্থায়ী উপকার নিয়ে আসে। (১ তীম. ৪:১৬) এটা আন্তরিক লোকেদের যিহোবাকে জানতে, তাদের জীবনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে এবং অনন্তজীবনের এক প্রকৃত আশা লাভ করতে সাহায্য করে। (রোমীয় ১০:১৩-১৫, NW) আমাদের পরিচর্যাকে উচ্চমূল্য দেওয়ার দ্বারা আমরা জীবনের এক সন্তোষজনক উদ্দেশ্য, সম্পাদনের এক স্থায়ী অনুভূতি এবং ভবিষ্যতের জন্য এক প্রেরণাদায়ক আশা লাভ করি।—১ করি. ১৫:৫৮.
৩ দেখান যে, আপনি আপনার ধনকে মূল্যবান বলে গণ্য করেন: কোনো একটা বিষয়কে মূল্যবান বলে গণ্য করা, সেটার জন্য আমরা কতখানি ত্যাগস্বীকার করতে ইচ্ছুক আছি, তার দ্বারা প্রকাশ পায়। যিহোবার প্রশংসায় আমাদের সময় ও শক্তিকে বিলিয়ে দেওয়া কী এক বিশেষ সুযোগ! (ইফি. ৫:১৬, ১৭) আমরা যেভাবে আমাদের সময়কে ব্যবহার করি তা দেখানো উচিত যে, আমরা বস্তুগত লক্ষ্যগুলোর চেয়ে আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোকে বেশি মূল্য দিচ্ছি। যেহেতু আমাদের কাছে ভাগ করে নেওয়ার মতো অত্যন্ত মূল্যবান কিছু রয়েছে, তাই আমরা উদ্যমের সঙ্গে প্রচার করতে চাইব এবং প্রতিটা সুযোগে সুসমাচার বলার জন্য তৎপর হব।
৪ অমূল্য ধনগুলো সাধারণত গুপ্ত রাখা হয় না, বরং অন্যেরা যাতে সেগুলো দেখতে পায় এমনভাবে প্রদর্শন করা হয়। আমরা যদি আমাদের পরিচর্যাকে এক ধন হিসেবে দেখি, তা হলে এটা আমাদের জীবনের এক লক্ষণীয় অংশ হয়ে উঠবে। (মথি ৫:১৪-১৬) আসুন, আমরা যেন কৃতজ্ঞতাপূর্ণ হৃদয়ে সবসময় প্রেরিত পৌলকে অনুকরণ করি আর আমরা যে সত্যিই আমাদের পরিচর্যাকে মূল্যবান এবং এক ধন বলে গণ্য করি, তা দেখানোর প্রতিটা সুযোগের সদ্ব্যবহার করি।