ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g০৩ ১/৮ পৃষ্ঠা ৮-১১
  • এইডসকে কি থামানো যাবে? যদি যায়, তা হলে কীভাবে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • এইডসকে কি থামানো যাবে? যদি যায়, তা হলে কীভাবে?
  • ২০০৩ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • চিকিৎসার প্রগতি
  • চিকিৎসাগত বাধাগুলো
  • এইডসের পরাজয়
  • এইডস—কিভাবে এর সঙ্গে লড়াই করবেন
    ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • বিচক্ষণতার সাথে ওষুধ ব্যবহার করুন
    ১৯৯৭ সচেতন থাক!
  • আফ্রিকায় এইডস ছড়িয়ে পড়ছে
    ২০০৩ সচেতন থাক!
২০০৩ সচেতন থাক!
g০৩ ১/৮ পৃষ্ঠা ৮-১১

এইডসকে কি থামানো যাবে? যদি যায়, তা হলে কীভাবে?

বেশ কিছু সময় ধরে আফ্রিকার অনেক দেশে এইডস মহামারীর অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে কিছু লোক আলোচনা করতে চাইত না। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের এই বিষয়ে শিক্ষা দিতে এবং খোলাখুলিভাবে আলোচনা করার জন্য উৎসাহ দিতে প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টার সফলতা ছিল খুবই সীমিত। মানুষের জীবনধারা ও রীতিনীতি দৃঢ়ভাবে স্থাপিত আর তাই পরিবর্তন আনা খুবই মুশকিল।

চিকিৎসার প্রগতি

চিকিৎসার ক্ষেত্রে এইচআইভি সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা অনেক কিছু জানতে পেরেছে এবং এমন ওষুধপত্র আবিষ্কার করেছে, যা অনেকের আয়ুকে খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্ততপক্ষে তিনটি রিট্রোভাইরাস নিবারক ওষুধ, যেগুলোকে অত্যন্ত সক্রিয় রিট্রোভাইরাস নিবারক চিকিৎসা হিসেবে দেখা হয়, খুবই কার্যকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

যদিও এটা রোগকে সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলে না কিন্তু বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এইচআইভির দ্বারা যারা ভুগছে, এই ওষুধগুলো তাদের মৃত্যুর হারকে কমাতে সফল হয়েছে। অনেক লোক অনুন্নত দেশগুলোতে এই ওষুধ সরবরাহ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। এই ওষুধগুলো খুবই দামি আর তা কেনা এই দেশগুলোর অধিকাংশ লোকের সামর্থ্যের বাইরে।

এটা এই প্রশ্ন উত্থাপন করে: আর্থিক লাভ কি মানুষের জীবনের চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ? এইচআইভি/এইডস এর ওপর ব্রাজিলের কর্মসূচির ডিরেক্টর ডা. পাউলু টেসেরা এই পরিস্থিতি স্বীকার করে বলেন যে, “সাধারণ উপার্জনের চেয়ে অনেক বেশি লাভ করার আশায় আমরা হাজার হাজার লোককে বেঁচে থাকার ওষুধের অভাবের মধ্যে ছেড়ে দিতে পারি না।” তিনি আরও বলেন: “এই বিষয়ে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, ব্যবসায়িক মুনাফাকে কখনও নৈতিক ও মানবিক বিবেচনার আগে রাখা উচিত নয়।”

কয়েকটা দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বড় বড় ওষুধ কোম্পানির কিছু কৃতিস্বত্বকে অগ্রাহ্য করে অনেক কম খরচে কিছু জেনেরিক ওষুধ নিজেরাই উৎপাদন করবে বা বিদেশ থেকে আনাবে।a একটা গবেষণা অনুসারে, “[জেনেরিক ওষুধের] সবচেয়ে ন্যুনতম দাম যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত দামের চেয়ে ৮২ শতাংশ কম,” দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকা জানায়।

চিকিৎসাগত বাধাগুলো

বেশ কিছুদিন পর, বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রয়োজন আছে এমন অনুন্নত দেশগুলোতে কম দামে এইডসের ওষুধ সরবরাহ করার প্রস্তাব রাখতে শুরু করে। আশা করা হয়েছিল যে, এভাবে আরও অনেক লোক এই ওষুধগুলো ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু, অনুন্নত দেশগুলোতে এই ওষুধ সরবরাহ করার পক্ষে বড় প্রতিবন্ধকতাগুলো থেকে গেছে। এর মধ্যে একটা হল ওষুধের দাম। এমনকি এই ওষুধগুলোর দাম যদি ব্যাপকভাবে হ্রাস করাও হয় তবুও অধিকাংশ লোক, যাদের এটা প্রয়োজন রয়েছে তাদের জন্য এটা খুবই দামি।

আরেকটা সমস্যা হল যে, এই ওষুধগুলোর প্রয়োগ খুব একটা সহজ নয়। অনেকগুলো পিল প্রতিদিন এবং নির্দিষ্ট সময়ে নিতে হবে। এগুলো যদি সঠিকভাবে না নেওয়া হয় অথবা এই রুটিন যদি কোনোভাবে ব্যাহত হয়, তা হলে এটা এইচআইভির বিরুদ্ধে কাজ করবে না। আফ্রিকার পরিবেশে, যেখানে হয়তো অত্যন্ত কম খাদ্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহ সীমিত এবং খুব কমই চিকিৎসাগত সুবিধা রয়েছে, সেখানে সঠিক পরিমাণে ওষুধ খাওয়া কঠিন।

এ ছাড়া, যারা ওষুধ খাচ্ছে তাদের ওপর নজর রাখাও খুব প্রয়োজন। যদি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তা হলে ওষুধের সংমিশ্রণকে পালটে দিতে হবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চিকিৎসা কর্মীদের প্রয়োজন এবং পরীক্ষার ব্যাপারটাও খুবই খরচ সাপেক্ষ। এ ছাড়া, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে এবং ক্রমশই ভাইরাসের ওষুধ প্রতিরোধকের ওপর চাপ বেড়ে যায়।

২০০১ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এইডসের ওপর বিশেষ সভায় অনুন্নত দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য তহবিলের একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অনুমান করা হয়েছিল যে, এর জন্য ৭০০ থেকে ১,০০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রয়োজন। যে-পরিমাণ অর্থ এখন অবধি দান করা হয়েছে, তা প্রয়োজনীয় অর্থের তুলনায় খুবই কম।

বিজ্ঞানীদের মধ্যে ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করার প্রবল আশা রয়েছে এবং বিভিন্ন দেশের লোকেদের ওপর তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এমনকি এই প্রচেষ্টা যদি সফলও হয় তবুও এই ভ্যাক্সিন পুরোপুরি আবিষ্কার করতে, পরীক্ষা করতে এবং সাধারণের ওপর ব্যবহারের মধ্যে যে কোনো বিপদ নেই, তা প্রমাণ করতে অনেক বছর লেগে যাবে।

কয়েকটা দেশ যেমন উগান্ডা, থাইল্যান্ড ও ব্রাজিল চিকিৎসা কর্মসূচি দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে সফল হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ওষুধ ব্যবহার করে ব্রাজিল এইডস জনিত মৃত্যুর হারকে অনেকটাই কমাতে পেরেছে। বটসোয়ানার মতো ছোট দেশ, যে-দেশের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, রিট্রোভাইরাস নিবারক ওষুধ দেশের মধ্যে যাদের দরকার রয়েছে তাদের সরবরাহ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং উপযুক্ত স্বাস্থ্যগত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

এইডসের পরাজয়

একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এইডস অন্যান্য মহামারীর চেয়ে স্বতন্ত্র: এটাকে রোধ করা যায়। ব্যক্তিবিশেষেরা যদি বাইবেলের মূল নীতিগুলো মেনে চলতে প্রস্তুত থাকে, তা হলে সব ক্ষেত্রে না হলেও অন্তত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা সংক্রমণকে এড়িয়ে চলতে পারবে।

বাইবেলের নৈতিক মানগুলো স্পষ্ট। যারা বিবাহিত নয় তারা যেন যৌনসঙ্গম থেকে দূরে থাকে। (১ করিন্থীয় ৬:১৮) বিবাহিত ব্যক্তিরা যেন তাদের সঙ্গীদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে এবং তারা যেন ব্যভিচার না করে। (ইব্রীয় ১৩:৪) রক্ত থেকে পৃথক থাকা সম্বন্ধে বাইবেলের পরামর্শ মেনে চলাও একজনকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।—প্রেরিত ১৫:২৮, ২৯.

যারা ইতিমধ্যেই সংক্রামিত হয়েছে তারা নিকট ভবিষ্যতের জন্য ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এমন এক রোগমুক্ত জগৎ সম্বন্ধে শিক্ষা নিয়ে এবং তারপর ঈশ্বরের চাহিদাগুলোকে মেনে চলে প্রচুর আনন্দ ও সান্ত্বনা পেতে পারে।

বাইবেল আমাদের নিশ্চয়তা দেয় যে, অবশেষে মানবজাতির সমস্ত দুঃখের, এমন কি রোগেরও অবসান ঘটবে। এই প্রতিজ্ঞা প্রকাশিত বাক্যে করা হয়েছে: “আমি সিংহাসন হইতে এই উচ্চ বাণী শুনিলাম, দেখ মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন। আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.

এই নিশ্চয়তা শুধু তাদের জন্যই নয়, যাদের দামি ওষুধ কেনার ক্ষমতা আছে। প্রকাশিত বাক্য ২১ অধ্যায়ের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক প্রতিজ্ঞা যিশাইয় ৩৩:২৪ পদের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়: “নগরবাসী কেহ বলিবে না, আমি পীড়িত।” সেই সময় পৃথিবীতে বসবাসকারী সকলে ঈশ্বরের নিয়ম মেনে চলবে এবং নিখুঁত স্বাস্থ্য উপভোগ করবে। আর এভাবে এইডস ও অন্যান্য রোগের মৃত্যুজনক অভিযানকে চিরকালের জন্য থামানো যাবে। (g০২ ১১/০৮)

[পাদটীকা]

a জেনেরিক ওষুধ হল সেইসব ওষুধেরই অনুরূপ যেগুলোর জন্য অন্যান্য ওষুধ কোম্পানির কৃতিস্বত্ব রয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো জরুরি অবস্থায় ওষুধ তৈরির কৃতিস্বত্বকে লঙ্ঘন করতে পারে।

[৯, ১০ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]

এটাই ছিল সেই প্রকৃত আরোগ্য যেটার অপেক্ষায় আমি ছিলাম

আমি আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তে বাস করি আর আমার বয়স ২৩ বছর। আমার সেই দিনটার কথা মনে আছে, যেদিন আমি জানতে পারি যে আমার দেহে এইচআইভি পজিটিভ রয়েছে।

আমি আমার মায়ের সঙ্গে ডাক্তারের রুমে ছিলাম যখন তিনি এই খবরটা আমাদের জানান। সেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক খবর। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম যে হয়তো ল্যাবরেটরিতে কোনো ভুল হয়েছে। আমি বুঝতে পারিনি যে আমি কী করব বা কী বলব। আমার কাঁদতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু আমার চোখে কোনো জল ছিল না। ডাক্তার আমার মায়ের সঙ্গে রিট্রোভাইরাস নিবারক ওষুধ নিয়ে আলোচনা করছিলেন কিন্তু আমি এতই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে আমার মাথায় কিছুই ঢুকছিল না।

আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে আমি পড়াশুনা করেছি সেখানে কারোর দ্বারা সংক্রামিত হয়েছি। আমি এমন কারোর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম যে আমার পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করতে পারবে কিন্তু আমি তেমন কাউকেই পাইনি। আমি নিজেকে মূল্যহীন ও ব্যর্থ ভাবতে আরম্ভ করেছিলাম। যদিও আমার পরিবার আমাকে সাহায্য করেছিল তবুও, আমি আশাহীন ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। যেকোনো যুবক-যুবতীর মতো আমারও অনেক স্বপ্ন ছিল। বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার জন্য আমার মাত্র দুবছর বাকি ছিল কিন্তু সেই আশা ভেঙেচুরে শেষ হয়ে গিয়েছিল।

আমি নির্দেশিত রিট্রোভাইরাস নিবারক ওষুধগুলো খেতে আরম্ভ করি এবং এইডস বিষয়ক পরামর্শদাতাদের কাছে যাই তবুও আমি হতাশায় ভুগতে থাকি। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম, যাতে মৃত্যুর আগে আমি সত্য খ্রিস্টধর্ম সম্বন্ধে জানতে পারি। আমি পেন্টিকস্টাল গির্জার একজন সদস্য ছিলাম কিন্তু সেখান থেকে কেউই আমাকে দেখতে পর্যন্ত আসেনি। মৃত্যুর পরে আমি কোথায় যাব সেই সম্বন্ধে সত্য জানতে চেয়েছিলাম।

১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসের প্রথমদিকে এক সকালে, যিহোবার সাক্ষিদের দুজন আমার ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে। সেইদিন আমি খুব অসুস্থ ছিলাম তবুও আমি বসার ঘরে বসতে পেরেছিলাম। মহিলা দুজন তাদের পরিচয় দেয় এবং বলে যে তারা লোকেদের বাইবেল অধ্যয়ন করতে সাহায্য করছে। অবশেষে আমার প্রার্থনার উত্তর পেয়ে আমি কতই না স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময় আমি এতই দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম যে, আমি পড়তে পারছিলাম না অথবা কোনো বিষয়ের ওপর বেশিক্ষণ মনোযোগ দিতে পারছিলাম না।

তবুও, আমি তাদের বলেছিলাম যে আমি বাইবেল অধ্যয়ন করতে চাই আর তারা আমার সঙ্গে একটা দিন ঠিক করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, সেই সময়ের আগেই হতাশার কারণে আমাকে মনোচিকিৎসা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন সপ্তাহ পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয় আর এটা জানতে পেরে আমার খুব ভাল লাগে যে, সাক্ষিরা আমাকে ভুলে যায়নি। আমার মনে আছে যে, এদের মধ্যে একজন আমার খবরাখবর নিতেন। আমার শরীরের অবস্থা কিছুটা ভাল হয়ে ওঠে এবং সেই বছরের শেষের দিকে বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করি। যদিও তা করা আমার পক্ষে সহজ ছিল না কারণ আমার অবস্থা প্রায়ই খারাপ হয়ে যেত। কিন্তু যিনি আমার সঙ্গে অধ্যয়ন করছিলেন তিনি আমার অবস্থা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন এবং ধৈর্য দেখিয়েছিলেন।

বাইবেল থেকে যিহোবা ও তাঁর গুণগুলো আর সেইসঙ্গে তাঁকে জানার ও অনন্তজীবনের জন্য প্রতীক্ষা করার প্রকৃত অর্থ আসলে কী, তা অধ্যয়ন করে আমি অনেক প্রভাবিত হয়েছিলাম। এই প্রথমবার, আমি মানুষের দুঃখকষ্টের কারণ সম্বন্ধেও বুঝতে পেরেছিলাম। আমি যখন জানতে পেরেছিলাম যে, ঈশ্বরের রাজ্য শীঘ্রই মনুষ্য সরকারগুলোকে সরিয়ে দেবে, তখন তা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছিল। এটা আমাকে আমার জীবনধারা পুরোপুরি পালটাতে প্রেরণা দিয়েছিল।

এটাই ছিল সেই প্রকৃত আরোগ্য, যেটার অপেক্ষায় আমি ছিলাম। এটা জানা কতই না সান্ত্বনাদায়ক যে যিহোবা এখনও আমাকে ভালবাসেন ও আমার জন্য চিন্তা করেন! আগে আমি ভাবতাম যে, ঈশ্বর আমাকে ঘৃণা করেন আর তাই আমি এধরনের রোগের দ্বারা সংক্রামিত হয়েছি। কিন্তু এখন আমি জানতে পেরেছি যে, যিহোবা প্রেমের সঙ্গে যিশু খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের ভিত্তিতে পাপ ক্ষমা করার ব্যবস্থা করেছেন। আমি তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে, ঈশ্বর আমাদের জন্য চিন্তা করেন যেমন ১ পিতর ৫:৭ পদ বলে: “তোমাদের সমস্ত ভাবনার ভার তাঁহার উপরে ফেলিয়া দেও; কেননা তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।”

প্রতিদিন বাইবেল অধ্যয়ন করে এবং কিংডম হলের সভাগুলোতে যোগ দিয়ে আমি যতটা সম্ভব যিহোবার কাছে আসার চেষ্টা করছি। যদিও এটা সবসময় সহজ নয় তবুও আমি প্রার্থনায় আমার সমস্ত চিন্তা যিহোবার ওপরে ঢেলে দিই এবং তাঁর কাছে শক্তি ও সান্ত্বনা চাই। মণ্ডলীর সদস্যরাও আমার সঙ্গে আছে আর তাই আমি খুবই খুশি।

আমি স্থানীয় মণ্ডলীর সঙ্গে নিয়মিত সুসমাচার প্রচারের কাজে অংশ নিয়ে থাকি। আমি অন্যান্যদেরও আধ্যাত্মিকভাবে সাহায্য করতে চাই, বিশেষ করে যারা আমার মতো পরিস্থিতিতে আছে। আমি ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাপ্তিস্ম নিই।

[চিত্র]

ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে জানা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছিল

[৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

বটসোয়ানাতে এইডস সংক্রান্ত উপদেষ্টা দল

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

পরমদেশ পৃথিবীতে সকলে নিখুঁত স্বাস্থ্য উপভোগ করবে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার