ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w14 ১০/১ পৃষ্ঠা ১৩
  • ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছে?
  • ২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • সৃষ্টিকর্তা আপনার জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারেন
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য চিন্তা করেন!
    ১৯৯৯ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • আমরা চিরকাল বেঁচে থাকতে পারি!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
  • অনন্তকালীন রাজার প্রশংসা করুন!
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w14 ১০/১ পৃষ্ঠা ১৩
নিখিলবিবর একটা ছাটা অংশে নক্ষত্রসমূহ

আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের জিজ্ঞাস্য . . .

ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছে?

কল্পনা করুন, একজন বাবা তার সাত বছর বয়সি ছেলের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি বলেন, “অনেক অনেক বছর আগে ঈশ্বর পৃথিবী এবং এর মধ্যে যা-কিছু রয়েছে, সবই সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া, তিনি সূর্য, চাঁদ এবং তারা সৃষ্টি করেছেন।” সেই ছেলে অল্প কিছু সময়ের জন্য বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে এবং তারপর বলে, “বাবা, ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছে?”

বাবা উত্তর দেন, “ঈশ্বরকে কেউই সৃষ্টি করেনি। তিনি সবসময় অস্তিত্বে রয়েছেন।” আপাতত এই সহজসরল কথা শুনেই ছেলে সন্তুষ্ট থাকে। কিন্তু, বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রশ্নটা তার মনে বার বার জাগে। সে বুঝে উঠতে পারে না, কীভাবে কোনো ব্যক্তির শুরু থাকতে পারে না। এমনকী এই পৃথিবীরও শুরু রয়েছে। সে ভাবে, ‘ঈশ্বর কোথা থেকে এসেছেন?’

বাইবেল কীভাবে উত্তর দেয়? আসলে, ওপরে উল্লেখিত উদাহরণে বাবা যেভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, বাইবেলও ঠিক সেইভাবে উত্তর দেয়। মোশি লিখেছিলেন: “হে সদাপ্রভু, . . . পর্ব্বতগণের জন্ম হইবার পূর্ব্বে, তুমি পৃথিবী ও জগৎকে জন্ম দিবার পূর্ব্বে, এমন কি, অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল তুমিই ঈশ্বর।” (গীতসংহিতা ৯০:১, ২) একইভাবে, ভাববাদী যিশাইয় উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছিলেন: “তুমি কি জ্ঞাত হও নাই? তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্ত্তা”! (যিশাইয় ৪০:২৮) আর এমনকী যিহূদার চিঠিও ঈশ্বর সম্বন্ধে বলে যে, তিনি “সকল যুগের পূর্ব্বাবধি” অস্তিত্বে রয়েছেন।—যিহূদা ২৫.

এই শাস্ত্রপদগুলো দেখায় যে, ঈশ্বর হলেন “যুগপর্য্যায়ের রাজা,” যেমনটা প্রেরিত পৌল তাঁর সম্বন্ধে বর্ণনা করেছেন। (১ তীমথিয় ১:১৭) এর অর্থ হল, ঈশ্বর অতীতে সবসময় অস্তিত্বে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও সবসময় থাকবেন। (প্রকাশিত বাক্য ১:৮) তাই, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অনন্ত অস্তিত্ব হল তাঁর একটা মৌলিক বৈশিষ্ট্য।

কেন এই ধারণা বোঝা আমাদের পক্ষে কঠিন বলে মনে হয়? এর কারণ হল, আমাদের জীবনকাল সীমিত হওয়ার ফলে সময় সম্বন্ধে আমাদের যে-দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে, তা যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একেবারে আলাদা। যেহেতু ঈশ্বর হলেন অনন্ত, তাই তাঁর কাছে হাজার বছর এক দিনের সমান। (২ পিতর ৩:৮) উদাহরণ স্বরূপ: একটা পূর্ণবয়স্ক ফড়িং, যা কিনা মাত্র ৫০ দিন বাঁচে, সেটা কি আমাদের ৭০ অথবা ৮০ বছরের জীবনকাল সম্বন্ধে বুঝতে পারবে? কখনোই না! অথচ, বাইবেল বলে যে, আমরা আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তার তুলনায় ঠিক একটা ফড়িঙের মতো। এমনকী তাঁর তুলনায় আমাদের যুক্তি করার ক্ষমতাও অনেক সীমিত। (যিশাইয় ৪০:২২; ৫৫:৮, ৯) তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ঈশ্বরের ব্যক্তিত্বের এমন কিছু দিক রয়েছে, যেগুলো সম্বন্ধে মানুষ পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারে না।

ঈশ্বর যে-অনন্তকাল ধরে রয়েছেন, তা বোঝা হয়তো কঠিন হতে পারে, তবুও এই ধারণাটা অবাস্তব নয়। অন্য কেউ যদি ঈশ্বরকে সৃষ্টি করত, তাহলে সে সৃষ্টিকর্তা হয়ে যেত। কিন্তু বাইবেল জানায়, যিহোবাই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ‘সকলের সৃষ্টি করিয়াছেন।’ (প্রকাশিত বাক্য ৪:১১) এ ছাড়া, আমরা জানি যে, এক সময় নিখিলবিশ্বের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। (আদিপুস্তক ১:১, ২) এটা কোথা থেকে এসেছে? এটার সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই অনেক আগে থেকে অস্তিত্বে ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি অন্যান্য বুদ্ধিবিশিষ্ট প্রাণীদের, যেমন তাঁর একজাত পুত্র এবং স্বর্গদূতেদের আগেও অস্তিত্বে ছিলেন। (ইয়োব ৩৮:৪, ৭; কলসীয় ১:১৫) স্পষ্টতই, তিনি একা প্রথম থেকে অস্তিত্বে রয়েছেন। তাঁকে সৃষ্টি করা যেতে পারে না; এমন কোনো কিছুই অস্তিত্বে ছিল না, যা তাঁকে সৃষ্টি করতে পারত।

আমাদের নিজেদের ও সেইসঙ্গে নিখিলবিশ্বের অস্তিত্ব প্রমাণ দেয় যে, একজন অনন্ত ঈশ্বর রয়েছেন। যিনি আমাদের নিখিলবিশ্বকে সচল রেখেছেন এবং এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন নিয়ম স্থির করেছেন, তিনি নিশ্চয়ই চিরকাল ধরে অস্তিত্বে রয়েছেন। একমাত্র তিনিই সমস্তকিছুকে জীবন দিতে পারেন।—ইয়োব ৩৩:৪. ▪ (w১৪-E ০৮/০১)

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার