পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল
কিছু যিহোবার সাক্ষীদের কাছে ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত বিল্ডিং বা বিষয় সম্পত্তির সঙ্গে যুক্ত কাজের প্রস্তাব এসে থাকে। এইরকম চাকরি সম্বন্ধে শাস্ত্র কী বলে?
এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ত সেই খ্রীষ্টানরা হয়ে থাকেন যারা মনেপ্রাণে ১ তীমথিয় ৫:৮ পদ তাদের জীবনে মেনে চলতে চান। এই পদ পরিবারের ভরণপোষণ করার প্রয়োজনীয়তাকে জোর দেয়। কিন্তু এই পরামর্শ তাদের কিছু বিচার বিবেচনা না করে যে কোন চাকরি করার ছাড়পত্র দেয় না। খ্রীষ্টানরা ঈশ্বরের ইচ্ছার অন্য দিকগুলোও ভেবে দেখার প্রয়োজনীয়তাকে বোঝেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন ব্যক্তি তার পরিবারের ভরণপোষণ করতে চান বলেই যে তিনি অনৈতিকতা কিংবা হত্যা করার বিষয়ে বাইবেলের নীতিকে অমান্য করতে পারেন তা নয়। (আদিপুস্তক ৩৯:৪-৯; যিশাইয় ২:৪ ও যোহন ১৭:১৪, ১৬ পদগুলোর সঙ্গে তুলনা করুন।) এছাড়াও খ্রীষ্টানদের সেই আদেশের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করা উচিত যা মিথ্যা ধর্মের বিশ্ব সাম্রাজ্য, মহতী বাবিল থেকে বেরিয়ে আসতে বলে।—প্রকাশিত বাক্য ১৮:৪, ৫.
সারা পৃথিবীতে ঈশ্বরের দাসেদের চাকরির ব্যাপারে নানা রকমের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আর সব সমস্যার তালিকা বানিয়ে তার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মও দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় ও তা করার অধিকারও আমাদের নেই। (২ করিন্থীয় ১:২৪) তাই আসুন এখন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলা যাক যা চাকরির ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খ্রীষ্টানদের চিন্তা করা উচিত। এই বিষয়গুলো সংক্ষেপে ১৯৮২ সালের ১৫ই জুলাই প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি) পত্রিকার একটা প্রবন্ধে দেওয়া আছে। সেখানে ঈশ্বরের দেওয়া বিবেক থেকে উপকার পাওয়া সম্বন্ধে বলা হয়েছে। এই প্রবন্ধের বাক্সে দুটো মুখ্য প্রশ্ন করা হয়েছে আর পরে অন্য সাহায্যকারী বিষয়গুলো বলা হয়েছে।
প্রথম মুখ্য প্রশ্ন হল: বাইবেল কি চাকরি করাকে নিষেধ করে? উত্তরে প্রহরীদুর্গ বলেছিল যে বাইবেল চুরি, রক্তের অপব্যবহার ও মূর্তিপূজাকে নিষেধ করে। তাই ঈশ্বর পছন্দ করেন না এমন কাজগুলো চাকরির নামে করা একজন খ্রীষ্টানদের উচিত নয়।
দ্বিতীয় প্রশ্ন হল: যেখানে নিষিদ্ধ কাজগুলো হয় সেরকম জায়গায় চাকরি করলে কি একজন দোষী হবেন? যদি একজন ব্যক্তি জুয়ার আড্ডা, গর্ভপাত করানোর ক্লিনিকে বা পতিতালয়ে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই তিনি অশাস্ত্রীয় কাজে সাহায্য করছেন। এমনকি যদি তিনি শুধু ঝাট দেওয়া বা টেলিফোন ধরার কাজও করেন, তবুও তিনি ঈশ্বরের বাক্য নিষেধ করে এমন কাজে অংশ নিচ্ছেন।
চাকরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অনেক খ্রীষ্টান এই দুটো প্রশ্ন খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে অনেক সাহায্য পেয়েছেন আর তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এই দুটো প্রশ্ন থেকে একজন ব্যক্তি বুঝতে পারবেন যে কেন একজন সত্য উপাসক মিথ্যা ধর্মীয় সংস্থা বা গির্জায় কাজ করতে পারেন না। প্রকাশিত বাক্য ১৮:৪ পদ এই আদেশ দেয়: “হে আমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস, যেন উহার পাপ সকলের সহভাগী না হও।” একজন ব্যক্তি তখনই মহতী বাবিলের কাজ ও পাপের সহভাগী হন যখন তিনি এমন একটা ধর্মের জন্য নিয়মিত কাজ করেন যেটা মিথ্যা উপাসনা শেখায়। আর সে কাজ মালির, দারোয়ানের, মেরামতের কিংবা হিসাব রাখার যাই হোক না কেন, তার কাজ সেই উপাসনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে যার সঙ্গে সত্য ধর্মের বিরোধ আছে। এছাড়াও, যখন লোকেরা দেখবেন যে তিনি গির্জায় কাজ করছেন, গির্জার সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন বা মেরামত করছেন তখন তারা ধরে নেবেন যে এই ব্যক্তি এই ধর্মেরই লোক।
কিন্তু সেই লোকেদের সম্বন্ধে কী বলা যায় যারা গির্জা বা ধর্মীয় সংস্থার নিয়মিত কর্মচারী নন? হয়ত শুধু জরুরি প্রয়োজনে তাদের ডাকা হচ্ছে যেমন হয়ত গির্জার ভাঙ্গা জলের পাইপ সারানোর জন্য। এটা কি কোন কাজে চুক্তিবদ্ধ হতে বলার থেকে আলাদা নয়, যেমন গির্জার ছাদকে কাঠের তক্তা দিয়ে ঢাকার কাজ?
আবারও একবার অনেক পরিস্থিতি আছে যেগুলো নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তাই আসুন আমরা প্রহরীদুর্গ-এ দেওয়া সেই পাঁচটা বিষয়কে পুনরালোচনা করি:
১. কাজটা কি শুধুই সামাজিক কাজ যে বিষয়ে শাস্ত্র কোন বাধা দেয় না? একজন ডাকপিয়নের কথাই ধরুন। তিনি যে এলাকায় চিঠি বিলি করেন সেই এলাকায় যদি একটা গির্জা কিংবা গর্ভপাত করানোর ক্লিনিক থাকে তবে তা বোঝাবে না যে তিনি নিষিদ্ধ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছেন। ঈশ্বর সূর্যের আলো দেন যা সব বিল্ডিংয়ের জানলা দিয়ে ভিতরে যায় তা সে গির্জাই হোক বা ক্লিনিক। (প্রেরিত ১৪:১৬, ১৭) একজন খ্রীষ্টান ডাকপিয়ন হয়ত এই সিদ্ধান্তে আসতে পারেন যে তিনি প্রতিদিন সবার জন্য জনসেবা করছেন। এটা হয়ত সেই ভাইয়ের জন্যও একই হতে পারে যিনি জরুরি কোন প্রয়োজনে কাজ করতে যান যেমন যখন পাইপ ফেটে গির্জার জলে ভরে যাওয়াকে রোধ করার জন্য একজন মেরামতকারীকে ডাকা হয় কিংবা একজন এম্বুলেন্স কর্মীকে ডাকা হয় যাতে তিনি গির্জার কাজ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পারেন। তিনি হয়ত এটাকে এইভাবে দেখতে পারেন যে এই কাজ কখনও সখনও আসে আর মানবিকতার খাতিরে তা করা যেতে পারে।
২. এক ব্যক্তির যতটা অধিকার আছে তা অনুযায়ী তিনি কী করতে পারেন? একজন খ্রীষ্টানের যদি দোকান থাকে, তাহলে তিনি কিছুতেই মূর্তি, প্রেতচর্চার সঙ্গে জড়িত জিনিসপত্র, সিগারেট কিংবা রক্ত দিয়ে তৈরি সসেজ বিক্রি করতে চাইবেন না। মালিক হওয়ায় তার অধীনেই সবকিছু আছে। লোকেরা হয়ত তাকে সিগারেট কিংবা মূর্তি বিক্রি করে লাভ করার পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু তিনি তার শাস্ত্রীয় বিশ্বাসের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করবেন। অন্যদিকে, একজন খ্রীষ্টান কর্মচারী হয়ত একটা বড় খাবারের দোকানে ক্যাশ দেখাশোনা করার, মেঝে ধোয়ামোছা করার কিংবা হিসাবরক্ষকের কাজ করতে পারেন। কিন্তু কী বিক্রি করা হচ্ছে বা কিসের অর্ডার দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। এগুলোর মধ্যে এমন কিছু জিনিসও থাকতে পারে যেগুলো আপত্তিজনক যেমন সিগারেট বা ধর্মীয় পর্বে লাগে এমন জিনিসপাতি।a (লূক ৭:৮ ও ১৭:৭, ৮ পদগুলোর সঙ্গে তুলনা করুন।) এইরকম পরিস্থিতি নিয়েই পরের বিষয়টা আলোচনা করা হয়েছে।
৩. ব্যক্তি কতখানি জড়িত? আসুন আমরা দোকানের উদাহরণে ফিরে যাই। একজন কর্মচারীকে হয়ত ক্যাশ দেখাশোনা করার কিংবা দোকানে জিনিসপত্র সাজানোর কাজ দেওয়া হয়েছে ফলে তাকে হয়ত কখনও কখনও সিগারেট কিংবা ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত জিনিসপাতি নাড়াচাড়া করতে হয় আর এটা হয়ত তার মূল কাজের একটা ছোট অংশ। অন্যদিকে, সেই একই দোকানে তামাকের কাউন্টারে যিনি কাজ করেন তার পরিস্থিতি কতই না আলাদা! দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার সব কাজই খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসের বিপরীত। (২ করিন্থীয় ৭:১) এটা দেখায় যে চাকরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কাজে কতখানি জড়িত হতে হবে কিংবা কাজের সঙ্গে কতখানি সম্পর্ক থাকবে তা নিয়ে চিন্তা করাও কত দরকারী।
৪. মাইনের টাকার উৎস কী বা কাজের জায়গার পরিবেশ কেমন? দুটো পরিস্থিতির কথা চিন্তা করুন। লোকেদের চোখে আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য গর্ভপাত করানোর ক্লিনিক হয়ত আশেপাশের রাস্তা পরিষ্কার করতে একজন লোক রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তাকে যদিও সেই ক্লিনিক থেকেই পয়সা দেওয়া হবে কিন্তু তিনি সেখানে কাজ করেন না বা কেউ তাকে সারাদিন ক্লিনিকে দেখেনও না। বরং লোকেরা তাকে জনসেবামূলক কাজ করতে দেখেন আর যেহেতু শাস্ত্র তা করতে নিষেধ করে না, তাই মাইনের টাকা কে দিচ্ছে তাতে কিছু আসে যায় না। এখন অন্য আরেকটা পরিস্থিতি দেখুন। যে দেশে পতিতাবৃত্তি বৈধ সেখানে গণ স্বাস্থ্য সেবা পতিতালয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কাজের জন্য নার্সদের বেতন দেন যাতে যৌন সংক্রামক রোগ ছড়ানোকে কম করা যায়। যদিও গণ স্বাস্থ্য সেবা তাকে বেতন দিয়ে থাকে কিন্তু তাকে পুরোপুরি পতিতালয়ে থেকে কাজ করতে হয় যার মানে দাঁড়ায় অনৈতিকতাকে নিরাপদ ও আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করে তোলা। এই উদাহরণগুলো বলে যে বেতনের উৎস ও কাজের জায়গার পরিবেশ কেমন তা কেন ভেবে দেখা দরকার।
৫. একটা কাজের কতখানি প্রভাব আছে; এটা কি তার নিজের বিবেককে দংশায় বা অন্যদের বিঘ্ন জন্মায়? আমাদের ও অন্যদের বিবেকের কথাটাও ভেবে দেখা দরকার। কোন একটা কাজ (কাজের জায়গার পরিবেশ ও বেতনের উৎস নিয়ে) বেশিরভাগ খ্রীষ্টানদের নজরে করা যেতে পারে বলে মনে হলেও, একজন ব্যক্তি হয়ত ভাবতে পারেন যে এটা তার বিবেককে দংশন করবে। এই ব্যাপারে প্রেরিত পৌল এক সুন্দর উদাহরণ রেখেছিলেন ও বলেছিলেন: “আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের সৎসংবেদ আছে, সর্ব্ববিষয়ে সদাচরণ করিতে বাঞ্ছা করিতেছি।” (ইব্রীয় ১৩:১৮) যে কাজ আমাদের নিজেদের বিবেককে দংশন করে তা আমাদের না করা উচিত; আর আমাদের সেই ব্যক্তিদের সমালোচনা করা ঠিক হবে না যাদের বিবেক আমাদের চেয়ে আলাদা। একজন খ্রীষ্টান হয়ত নির্দিষ্ট একটা কাজ করার ব্যাপারে বাইবেলের কোন বাধাই দেখতে পান না কিন্তু তিনি এও বোঝেন যে এটাকে মণ্ডলীর বা পাড়া-প্রতিবেশীদের অনেকেই খারাপ চোখে দেখতে পারেন। পৌল তার কথায় ঠিক মনোভাবই দেখিয়েছিলেন: “আমরা কোন বিষয়ে কোন ব্যাঘাত জন্মাই না, যেন সেই পরিচর্য্যা-পদ কলঙ্কিত না হয়; কিন্তু ঈশ্বরের পরিচারক বলিয়া সর্ব্ববিষয়ে আপনাদিগকে যোগ্যপাত্র দেখাইতেছি।”—২ করিন্থীয় ৬:৩, ৪.
এখন আসুন আবার গির্জার বিল্ডিংয়ে কাজ করার মূল প্রশ্নে ফিরে আসা যাক যেমন নতুন জানলা বসানো, কারপেট পরিষ্কার করা কিংবা ঘর গরম রাখার চিমনি মেরামত করা। উপরের বিষয়গুলোকে কিভাবে জড়িত করা যেতে পারে?
আবারও অধিকারের বিষয়টা ভেবে দেখার কথা ওঠে। মালিক কিংবা ব্যবস্থাপক কি খ্রীষ্টান যিনি গির্জায় এইরকম কাজ করবেন কিনা তা ঠিক করতে পারেন? একজন খ্রীষ্টানের কি অধিকার আছে যে তাদের হয়ে কাজ করে সে মহতী বাবিলের সঙ্গী হয় বা মিথ্যা উপাসনাকে এগিয়ে নিয়ে যায়? একজনের নিজের দোকানে সিগারেট বা মূর্তি বিক্রি করা কি একই বিষয় নয়?—২ করিন্থীয় ৬:১৪-১৬.
একজন খ্রীষ্টান যদি কোন্ কাজ করা যেতে পারে তা চিন্তা না করেই কাজ শুরু করেন, তাহলে এখন অন্যান্য বিষয়গুলোর কথা চিন্তা করা যেতে পারে যেমন, কাজের জায়গার পরিবেশে আর কাজে কতখানি জড়িত হতে হবে? কর্মচারীকে কি শুধুই কোন অনুষ্ঠানের জন্য নতুন চেয়ারগুলো পৌঁছে দিতে বা সাজিয়ে দিতে বলা হয় বা জনসেবামূলক কাজ করার জন্য বলা হয়, যেমন একজন দমকলকর্মীকে গির্জায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলতে বলা হয়? অনেকেই এটাকে সেই কর্মীর কাজ থেকে আলাদা চোখে দেখবেন যিনি তার কাজ হিসাবে অনেক সময় ধরে গির্জা রং করেন বা বাগানের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য সবসময় গির্জার বাগানে কাজ করেন। এইরকম নিয়মিত কিংবা বেশি সময় ধরে কাজ করলে অনেকে হয়ত খ্রীষ্টানদের সেই ধর্মের লোক বলে মনে করতে পারেন যেটাকে তিনি সমর্থন করেন না আর এটা হয়ত তাদের বিঘ্নও জন্মাতে পারে।—মথি ১৩:৪১; ১৮:৬, ৭.
চাকরির সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু জরুরি বিষয় আমরা আলোচনা করেছি। আর এটা মিথ্যা ধর্মের সঙ্গে জড়িত কিছু প্রশ্ন আলোচনা করে করা হয়েছে। তবুও, অন্যান্য কাজের ব্যাপারেও এগুলো এইভাবেই চিন্তা করা যেতে পারে। প্রত্যেকটা কাজের ব্যাপারেই প্রার্থনা করে খুঁটিয়ে দেখা উচিত আর পরিস্থিতির নির্দিষ্ট আর হয়ত বিশেষ দিকগুলো চিন্তা করা দরকার। যে বিষয়গুলো উপরে দেওয়া হয়েছে সেগুলো ইতিমধ্যেই অনেক আন্তরিক খ্রীষ্টানদের তাদের বিবেকের কথা মেনে এমন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে যা দেখায় যে তারা সরল পথে চলতে ও যিহোবার সামনে ধার্মিক থাকতে ইচ্ছুক।—হিতোপদেশ ৩:৫, ৬; যিশাইয় ২:৩; ইব্রীয় ১২:১২-১৪.
[পাদটীকাগুলো]
a হাসপাতালে কাজ করেন এমন খ্রীষ্টানদেরও অধিকারের বিষয়টা চিন্তা করা দরকার। একজন চিকিৎসকের হয়ত রোগীর জন্য ওষুধপত্র বা কিধরনের চিকিৎসা করা হবে তা ঠিক করার অধিকার থাকতে পারে। আর এমনকি একজন রোগীর ইচ্ছা থাকলেও কিভাবে একজন খ্রীষ্টান ডাক্তার অধিকার আছে বলেই রক্ত নেওয়ার কিংবা গর্ভপাত করার কথা বলতে পারেন? কারণ তিনি জানেন যে বাইবেল এই বিষয়ে কী বলে। অন্যদিকে, হাসপাতালের নার্সদের হয়ত এইরকম অধিকার নেই। তিনি তার প্রতিদিনের কাজ করার সময়, একজন ডাক্তার হয়ত তাকে এমন একজন রোগীর রক্ত পরীক্ষা করার বা দেখাশোনা করতে বলেন যিনি গর্ভপাত করানোর জন্য এসেছেন। ২ রাজাবলি ৫:১৭-১৯ পদে দেওয়া উদাহরণের সঙ্গে মিল রেখে তিনি হয়ত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন যে আমি সেই ব্যক্তি নই যার হাতে রক্ত দেওয়ার কিংবা গর্ভপাত করানোর কথা বলার অধিকার আছে। আমি শুধু জনসেবা হিসাবে রোগীর সেবা করছি। অবশ্য, তাকে তার বিবেকের কথা মনে রাখতে হবে যাতে ‘সৎসংবেদে ঈশ্বরের প্রজারূপে আচরণ করিতে পারেন।’—প্রেরিত ২৩:১.