ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr23 জুলাই পৃষ্ঠা ১-১১
  • “জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র” রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র” রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০২৩
  • উপশিরোনাম
  • জুলাই ৩-৯
  • জুলাই ১০-১৬
  • জুলাই ১৭-২৩
  • জুলাই ২৪-৩০
  • জুলাই ৩১–আগস্ট ৬
  • আগস্ট ৭-১৩
  • আগস্ট ১৪-২০
  • আগস্ট ২১-২৭
  • আগস্ট ২৮–সেপ্টেম্বর ৩
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০২৩
mwbr23 জুলাই পৃষ্ঠা ১-১১

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

© 2023 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania

জুলাই ৩-৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইষ্রা ৪–৬

“কাজে বাধা দিয়ো না”

প্রহরীদুর্গ ২২.০৩ ১৭ অনু. ১৩

সখরিয়ের দর্শন মনে রাখুন

১৩ সখরিয়ের দিনে যিহোবা মহাযাজক যিহোশূয় (যেশূয়) এবং রাজ্যপাল সরুব্বাবিলকে যিহুদিদের নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন। যদিও মন্দির নির্মাণের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তারপরও এই দু-জন নেতা “ঈশ্বরের গৃহ” পুনর্নির্মাণ “করিতে আরম্ভ করিলেন।” (ইষ্রা ৫:১, ২) মন্দির নির্মাণের কাজ লুকিয়ে করা যেত না। তাই, কিছু যিহুদির হয়তো মনে হয়েছিল, তারা ভুল কাজ করছে। তারা হয়তো ভেবেছিল, ‘এখন তো শত্রুরা দেখে ফেলবে আর তারা আমাদের আরও বিরোধিতা করবে।’ এইরকম পরিস্থিতিতে যিহোশূয় ও সরুব্বাবিলের উৎসাহের প্রয়োজন ছিল আর যিহোবা তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, তিনি তাদের সঙ্গে রয়েছেন। কীভাবে?

প্রহরীদুর্গ ০৬ ১/১৫ ১৭ অনু. ৪

ইষ্রা বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

পরের বছর ইস্রায়েলীয়রা যিহোবার গৃহের ভিত্তি স্থাপন করে। শত্রুরা পুনর্নির্মাণের কাজে বাধা দিতে থাকে এবং সেই কাজ থামানোর জন্য শেষ পর্যন্ত একটা রাজকীয় আদেশ লাভ করতে সফল হয়। ভাববাদী হগয় এবং সখরিয় লোকেদের উদ্বুদ্ধ করে, যাতে তারা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মন্দির নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু করে। মূলত কোরসের দ্বারা অনুমোদিত পারস্যের এক অপরিবর্তনীয় আদেশের বিরোধিতা করার ভয়, তাদের শত্রুদেরকে কাছে আসতে বাধা দেয়। এক সরকারি তদন্ত কার্যক্রম “ঈশ্বরের গৃহের বিষয়ে” কোরসের দেওয়া আদেশ খুঁজে পায়। (ইষ্রা ৬:৩) কাজ ভালভাবে এগিয়ে যায় এবং একসময় সমাপ্ত হয়।

প্রহরীদুর্গ ২২.০৩ ১৫ অনু. ৭

সখরিয়ের দর্শন মনে রাখুন

৭ কিছুসময় পর, পারস্যে একজন নতুন রাজা শাসন করতে শুরু করেন। তিনি ছিলেন দারিয়াবস ১ম। তার রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৫২০ সালে তিনি এমন কিছু করেন, যেটা কেউই আশা করেনি। তিনি জানতে পারেন যে, মন্দির নির্মাণের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা বেআইনি ছিল। তাই, তিনি সেই কাজ সমাপ্ত করার জন্য অনুমতি দেন। (ইষ্রা ৬:১-৩) এই খবর শুনে যিহুদিরা কতই-না স্বস্তি পেয়েছিল! অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি রাজা দারিয়াবস এও আদেশ দেন যে, আশেপাশের লোকেরা যেন যিহুদিদের জন্য আর সমস্যা সৃষ্টি না করে বরং তারা যেন তাদের টাকাপয়সা এবং অন্যান্য জিনিস দেয়। (ইষ্রা ৬:৭-১২) এই কারণে, যিহুদিরা পাঁচ বছরের মধ্যেই অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৫১৫ সালে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করেছিল।—ইষ্রা ৬:১৫.

প্রহরীদুর্গ ২২.০৩ ১৮ অনু. ১৬

সখরিয়ের দর্শন মনে রাখুন

১৬ যিহোবা আরেকটা উপায়ে আমাদের নির্দেশনা দেন আর তা হল, ‘বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাসের’ মাধ্যমে। (মথি ২৪:৪৫) এই দাস কখনো কখনো এমন কোনো নির্দেশনা দিতে পারে, যেগুলো আমাদের কাছে অযৌক্তিক কিংবা অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে। যেমন, তারা আমাদের বলতে পারে, কোনো দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের কোন কোন প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু, আমাদের মনে হতে পারে, এই দুর্যোগ আমাদের এলাকায় কি আদৌ আসবে? কিংবা কোনো অতিমারির সময় বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাসের কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশনাগুলো শুনে আমাদের মনে হতে পারে, তারা একটু বেশিই সতর্ক করছে। এইরকম ক্ষেত্রে আমাদের কী করা উচিত? আমাদের সখরিয়ের দিনের যিহুদিদের স্মরণ করা উচিত, যারা যিহোশূয় ও সরুব্বাবিলের কথা শুনেছিল এবং প্রচুর আশীর্বাদ লাভ করেছিল। বাইবেলে এইরকম অনেক ঘটনা রয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা চিন্তা করতে পারি। সেগুলো পড়লে আমরা বুঝতে পারব যে, কখনো কখনো যিহোবার লোকেরা এমন নির্দেশনা পেয়েছিল, যেগুলো তাদের কাছে অযৌক্তিক বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু, সেগুলো অনুসরণ করার ফলে তাদের জীবন রক্ষা পেয়েছিল।—বিচার. ৭:৭; ৮:১০.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৬ ১/১৫ ১৯ অনু. ৩

ইষ্রা বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৪:১-৩. বিশ্বস্ত অবশিষ্টাংশরা এমন এক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল, যা গ্রহণ করার অর্থ হতো মিথ্যা উপাসকদের সঙ্গে মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। (যাত্রাপুস্তক ২০:৫; ৩৪:১২) একইভাবে, বর্তমানেও যিহোবার উপাসকরা বিভিন্ন ধর্মের সঙ্গে জড়িত আন্দোলনে অংশ নেয় না।

জুলাই ১০-১৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইষ্রা ৭–৮

“ইষ্রার কাজ যিহোবার জন্য সম্মান নিয়ে এসেছিল”

প্রহরীদুর্গ ০০ ১০/১ ১৪ অনু. ৮

অধ্যয়ন—আনন্দ ও ভাল ফল নিয়ে আসে

৮ যিহোবার বাক্যকে আমাদের মন থেকে ভালবাসা দরকার আর মনই হল সমস্ত আবেগ-অনুভূতির কেন্দ্রস্থল। কোন একটা বিষয় আমাদেরকে সময় নিয়ে পড়তে হবে, যাতে আমরা তার থেকে আনন্দ পাই। বাইবেলের গভীর বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ধ্যান করতে হবে ও সেগুলোকে মনে গেঁথে নিতে হবে। আর এর জন্য গভীরভাবে চিন্তা করা ও প্রার্থনা করা দরকার। ইষ্রার মতো আমাদেরও ঈশ্বরের বাক্য পড়ার ও অধ্যয়ন করার জন্য মনকে তৈরি করা দরকার। তাঁর সম্বন্ধে বলা হয়েছে: “সদাপ্রভুর ব্যবস্থা অনুশীলন [অধ্যয়ন] ও পালন করিতে, এবং ইস্রায়েলে বিধি ও শাসন শিক্ষা দিতে ইষ্রা আপন অন্তঃকরণ সুস্থির [মন তৈরি] করিয়াছিলেন।” (ইষ্রা ৭:১০) ইষ্রা মোট তিনটে কারণে তার মনকে তৈরি করেছিলেন যেমন: ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করা, নিজের জীবনে তা কাজে লাগানো এবং অন্যদেরকে সেটা শিক্ষা দেওয়া। আমাদেরও ইষ্রার মতো করা উচিত।

প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি ৭৫ অনু. ৫, ইংরেজি

বাইবেলের বই নম্বর ১৩—১ বংশাবলি

৫ যিহোবার পবিত্র শক্তি ইষ্রার সঙ্গে ছিল। পারস্যের রাজা অর্তক্ষস্ত বুঝতে পেরেছিলেন, ইষ্রা ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রজ্ঞা লাভ করেছেন আর তাই রাজা তাকে যিহূদা প্রদেশে প্রচুর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। (ইষ্রা ৭:১২-২৬) এভাবে, ইষ্রা ঈশ্বর এবং সেই সময়ের বিশ্বশক্তি পারস্য উভয়ের কাছ থেকে ক্ষমতা পেয়েছিলেন।

প্রহরীদুর্গ ৯২ ৬/১ ৩০

কেন নম্রতা পরিধান করা উচিৎ?

যখন ইষ্রা বাবিলন থেকে ঈশ্বরের লোকেদের বার করে নিয়ে আসে যিরূশালেমে মন্দির সুসজ্জিত করার জন্য বহু সোনা এবং রূপা সমেত, তিনি একটি উপবাস ঘোষনা করেন যাতে তারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে নিজেদের নম্রচিত্ত করতে পারে। তার ফল? সেই বিপদজনক যাত্রার সময় যিহোবা তাদের শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। (ইষ্রা ৮:১-১৪, ২১-৩২) দানিয়েল এবং ইষ্রার মত, আসুন আমরা নম্রতা প্রদর্শন করি এবং ঈশ্বর-দত্ত কার্যভার পালন করার সময় আমাদের নিজেদের প্রজ্ঞা এবং ক্ষমতার ওপর নির্ভর না করে যিহোবার নির্দেশনার অন্বেষন করি।

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৬ ১/১৫ ১৯ অনু. ১০

ইষ্রা বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৭:২৮–৮:২০—কেন বাবিলের অনেক যিহুদি ইষ্রার সঙ্গে যিরূশালেমে যেতে অনিচ্ছুক ছিল? যদিও যিহুদিদের প্রথম দল তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার পর ৬০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছিল কিন্তু তখনও পর্যন্ত যিরূশালেমে ঘনবসতি গড়ে ওঠেনি। যিরূশালেমে ফিরে আসার অর্থ ছিল, কঠিন এবং বিপদজনক পরিস্থিতির মধ্যে এক নতুন জীবন শুরু করা। যে-যিহুদিরা হয়তো বাবিলে উন্নতি করছিল তাদের কাছে সেই সময়ের যিরূশালেম, কোনো আকর্ষণীয় বস্তুগত সমৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরেনি। এ ছাড়া, বিপদজনক যাত্রার বিষয়টাকেও উপেক্ষা করা যেত না। ফিরে আসা ব্যক্তিদের যিহোবার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, সত্য উপাসনার জন্য উদ্যোগ এবং যাত্রা করার জন্য সাহসের দরকার ছিল। এমনকি ইষ্রাও তার ওপরে যিহোবার হস্তের বা সাহায্যের মাধ্যমে নিজেকে সবল করেছিলেন। ইষ্রার উৎসাহে ১,৫০০ পরিবার—সম্ভবত ৬,০০০ জন লোক—সাড়া দিয়েছিল। ইষ্রা আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পর, ৩৮ জন লেবীয় এবং ২২০ জন নথীনীয় সাড়া দিয়েছিল।

জুলাই ১৭-২৩

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইষ্রা ৯–১০

“অবাধ্য হওয়ার কষ্টকর পরিণতি”

প্রহরীদুর্গ ০৬ ১/১৫ ২০ অনু. ১

ইষ্রা বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৯:১, ২—দেশ-নিবাসী জাতিগণের বা পরজাতীয়দের সঙ্গে বিয়ে করার বিপদ কতটা গুরুতর ছিল? পুনর্স্থাপিত জাতিকে মশীহ না আসা পর্যন্ত যিহোবার উপাসনা অক্ষুন্ন রাখতে হতো। অন্য জাতির অধিবাসীদের সঙ্গে বিয়ে করা সত্য উপাসনার জন্য প্রকৃতই এক হুমকিস্বরূপ ছিল। কেউ কেউ প্রতিমাপূজকদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে পুরো জাতিই হয়তো ধীরে ধীরে পৌত্তলিক জাতিগুলোর অংশ হয়ে যেত। বিশুদ্ধ উপাসনা পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারত। তা হলে, মশীহ কার বংশে আসতেন? তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই যে, যা ঘটেছিল তা দেখে ইষ্রা বাক্‌রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন!

প্রহরীদুর্গ ১০ ৭/১ ১৬ অনু. ৬

যিহোবা আমাদের কাছ থেকে কী চান?

স্বেচ্ছায় আমাদের বাধ্য হওয়া বিভিন্ন আশীর্বাদ নিয়ে আসবে। মোশি লেখেন: “অদ্য আমি তোমার মঙ্গলার্থে . . . যে যে আজ্ঞা দিতেছি, সেই সকল যেন পালন কর।” (১৩ পদ) হ্যাঁ, যিহোবার সমস্ত আজ্ঞা—তিনি আমাদের কাছ থেকে যা চান, সেগুলোর সমস্তই—আমাদের মঙ্গলের জন্য। কীভাবেই বা এর বিপরীতটা হতে পারে? বাইবেল বলে, “ঈশ্বর প্রেম।” (১ যোহন ৪:৮) তাই, তিনি আমাদের কেবল সেই আজ্ঞাগুলোই দিয়েছেন, যেগুলো আমাদের স্থায়ী মঙ্গল সাধন করবে। (যিশাইয় ৪৮:১৭) যিহোবা আমাদের কাছ থেকে যা চান, সেই সমস্তকিছু করা আমাদেরকে এখনই বিভিন্ন হতাশা থেকে রেহাই দেবে এবং তাঁর রাজ্য শাসনের অধীনে অফুরন্ত ভবিষ্যৎ আশীর্বাদগুলোর দিকে পরিচালিত করবে।

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৬ ১/১৫ ২০ অনু. ২

ইষ্রা বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

১০:৩, ৪৩, ৪৪—কেন স্ত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে সন্তানদেরও ত্যাগ করা হয়েছিল? যদি সন্তানরা থেকে যেত, তা হলে তাদের কারণে পরিত্যক্ত স্ত্রীদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকত। অধিকন্তু, ছোট সন্তানদের জন্য সাধারণত তাদের মায়েদের যত্ন প্রয়োজন।

জুলাই ২৪-৩০

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | নহিমিয় ১–২

‘আমি তখনই প্রার্থনা করলাম’

প্রহরীদুর্গ ০৮ ২/১৫ ৩ অনু. ৫

যিহোবাকে নিয়ত আপনার সম্মুখে রাখুন

৫ মাঝে মাঝে আমাদের হয়তো ঈশ্বরের সাহায্যের জন্য দ্রুত প্রার্থনা করার প্রয়োজন হতে পারে। একবার, পারস্যরাজ অর্তক্ষস্ত লক্ষ করেন যে, তার পানপাত্রবাহক নহিমিয় বিষণ্ণ হয়ে আছেন। “তুমি কি ভিক্ষা চাও?” রাজা জিজ্ঞেস করেন। ‘তাহাতে নহিমিয় স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিলেন।’ স্পষ্টতই, নহিমিয়ের সেই নীরব প্রার্থনাকে সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, ঈশ্বর সেই প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন কারণ যিরূশালেমের প্রাচীর পুনর্নিমাণ করার জন্য নহিমিয়কে রাজা সাহায্য করেছিলেন। (পড়ুন, নহিমিয় ২:১-৮.) হ্যাঁ, এমনকি এক সংক্ষিপ্ত, নীরব প্রার্থনাও কার্যকারী হতে পারে।

পরিচর্যা বিদ্যালয় ১৭৭ অনু. ৪, ইংরেজি

বার বার নোট না দেখে কথা বলা

আপনাকে যখন হঠাৎ করে আপনার বিশ্বাস সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়, তখন কী আপনাকে এমনভাবে উত্তর দিতে সাহায্য করবে, যা শ্রোতাদের কাছে উপযুক্ত বলে মনে হবে? এক্ষেত্রে, নহিমিয়কে অনুকরণ করুন। রাজা অর্তক্ষস্ত যখন তাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন, তখন তিনি উত্তর দেওয়ার আগে নীরবে প্রার্থনা করেছিলেন। (নহি. ২:৪) এরপর, দ্রুত মনে মনে একটা আউটলাইন তৈরি করুন। বিষয়গুলো এভাবে সাজাতে পারেন: (১) যা বলতে চান, সেখানে একটা অথবা দুটো বিষয় যুক্ত করুন (আপনি হয়তো শাস্ত্র থেকে যুক্তি করা, ইংরেজি বই থেকে বিষয়গুলো বাছাই করতে পারেন)। (২) সেই বিষয়গুলোর পক্ষে কোন শাস্ত্রপদগুলো ব্যবহার করবেন, তা ঠিক করুন। (৩) কীভাবে কৌশলতার সঙ্গে কথা শুরু করবেন, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করুন। এতে, যিনি প্রশ্ন করেছেন, তিনি শুনতে আগ্রহী হবেন। এরপর কথা শুরু করুন।

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ১৩ ১১/১৫ ৫-৬ অনু. ১২-১৩

“প্রার্থনার নিমিত্ত প্রবুদ্ধ থাক”

১২ নহিমিয়ের কথা বিবেচনা করুন, যিনি পঞ্চম খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারস্যরাজ অর্তক্ষস্তের পানপাত্রবাহক হিসেবে কাজ করতেন। নহিমিয় ঐকান্তিকভাবে প্রার্থনা করার এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেন। যিরূশালেমে বসবাসরত যিহুদিদের অবস্থা সম্বন্ধে জানার পর, তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে ‘ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপবাস ও প্রার্থনা’ করেছিলেন। (নহি. ১:৪) অর্তক্ষস্ত যখন তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, তার মুখ বিষণ্ণ কেন এবং তিনি তার জন্য কী করতে পারেন, তখন সঙ্গেসঙ্গে ‘নহিমিয় স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিয়াছিলেন।’ (নহি. ২:২-৪) এর ফল কী হয়েছিল? যিহোবা তার প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন এবং বিষয়গুলোকে এমনভাবে পরিচালিত করেছিলেন, যেন তাঁর লোকেরা উপকৃত হয়। (নহি. ২:৫, ৬) এটা নহিমিয়ের বিশ্বাসকে নিশ্চয়ই কত শক্তিশালীই না করেছিল!

১৩ নহিমিয়ের মতো ক্রমাগতভাবে প্রার্থনা করা আমাদেরকে দৃঢ়বিশ্বাস বজায় রাখতে সাহায্য করে। শয়তান খুবই নিষ্ঠুর এবং আমরা যখন দুর্বল থাকি, তখন প্রায়ই আমাদের আক্রমণ করে। আমরা যদি অসুস্থতার সঙ্গে মোকাবিলা করে থাকি অথবা বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করি, তাহলে আমরা হয়তো এইরকমটা মনে করতে শুরু করি যে, প্রতি মাসে পরিচর্যায় আমরা যে-সময় ব্যয় করি, সেটাকে ঈশ্বর মূল্যবান বলে গণ্য করেন না। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো অতীতের নানা অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করে দুঃখিত হয়ে পড়ে। শয়তান আমাদের এইরকম মনে করতে পরিচালিত করে যে, আমরা অযোগ্য। সে প্রায়ই এমনভাবে আক্রমণ নিয়ে আসে, যাতে সে আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করতে আর এভাবে আমাদের বিশ্বাসকে দুর্বল করে দিতে পারে। কিন্তু, “প্রার্থনার নিমিত্ত প্রবুদ্ধ” থাকার মাধ্যমে আমরা আমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী রাখতে পারি। প্রকৃতপক্ষে, ‘বিশ্বাসের ঢাল দ্বারা আমরা সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ নির্ব্বাণ করিতে পারিব।’—ইফি. ৬:১৬.

জুলাই ৩১–আগস্ট ৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | নহিমিয় ৩–৪

“আপনি কি শারীরিক পরিশ্রম করাকে ছোটো বলে মনে করেন?”

প্রহরীদুর্গ ০৬ ২/১ ১০ অনু. ১

নহিমিয়ের পুস্তকের প্রধান বিষয়গুলো

৩:৫, ২৭. তকোয়ীয় “প্রধানবর্গ” যেমনটা মনে করেছিল, সত্য উপাসনার জন্য করা কায়িকশ্রমকে আমাদের মর্যাদাহানিকর বলে মনে করা উচিত নয়। পরিবর্তে, আমরা সাধারণ তকোয়ীয়দের অনুকরণ করতে পারি, যারা স্বেচ্ছায় নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছিল।

প্রহরীদুর্গ ১৯.১০ ২৩ অনু. ১১

যেভাবে যিহোবা আপনাকে ব্যবহার করবেন

১১ এর শত শত বছর পর, যিহোবা যিরূশালেমের প্রাচীর মেরামত করার জন্য যে-ব্যক্তিদের ব্যবহার করেছিলেন, তাদের মধ্যে শল্লুমের মেয়েরাও ছিলেন। (নহি. ২:২০; ৩:১২) যদিও তাদের বাবা একজন অধ্যক্ষ ছিলেন কিন্তু তারা সেই কঠিন ও বিপদজনক কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলেন। (নহি. ৪:১৫-১৮) তারা তকোয়ীয়ের প্রধানবর্গ বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতো ছিলেন না, যারা সেই কাজে ‘ঘাড় পাতে নাই!’ (নহি. ৩:৫) কল্পনা করুন, প্রাচীর মেরামতের কাজ যখন কেবলমাত্র ৫২ দিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল, তখন শল্লুমের মেয়েরা কতটা আনন্দিত হয়েছিলেন! (নহি. ৬:১৫) আমাদের দিনে ইচ্ছুক বোনেরা আনন্দের সঙ্গে এক বিশেষ ধরনের পবিত্র সেবায় অর্থাৎ যিহোবার জন্য উৎসর্গীকৃত ভবনগুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে অংশ নিয়ে থাকে। এই কাজ সফল করে তোলার জন্য আমাদের এই দক্ষ, উদ্যমী ও অনুগত বোনদের প্রয়োজন রয়েছে।

প্রহরীদুর্গ ৪ ৮/১ ১৮ অনু. ১৬

শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে খ্রিস্টতুল্য দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করুন

১৬ যুবক ও বৃদ্ধ সমস্ত খ্রিস্টানের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে খ্রিস্টতুল্য দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করা উচিত। মণ্ডলীতে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। যে-কাজকে নিচু বলে মনে হয় সেটা করতে বললে কখনও বিরক্ত হবেন না। (১ শমূয়েল ২৫:৪১; ২ রাজাবলি ৩:১১) বাবামারা আপনারা কি আপনাদের ছেলেমেয়ে এবং কিশোর-কিশোরীদের যেকোনো কাজই তাদের দেওয়া হোক না কেন, তা আনন্দের সঙ্গে করতে উৎসাহিত করেন, তা সেটা কিংডম হল অথবা সম্মেলনের জায়গাগুলো যেখানেই হোক না কেন? তারা কি দেখে যে আপনি নিচু কাজগুলো করছেন? একজন ভাই, যিনি এখন যিহোবার সাক্ষিদের প্রধান কার্যালয়ে সেবা করছেন, তিনি তার বাবামার উদাহরণ স্পষ্টভাবে স্মরণ করেন। তিনি বলেছিলেন: “কিংডম হল অথবা সম্মেলন কেন্দ্র পরিষ্কার করার কাজকে তারা যেভাবে দেখত, তা আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছিল যে তারা এটাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে। তারা প্রায়ই স্বেচ্ছায় এমন কাজ করত, যা মণ্ডলীর অথবা ভাইবোনদের জন্য উপকারী, তা সেটা যত ছোট বলেই মনে হতো না কেন। এই মনোভাব আমাকে বেথেলে যেকোনো কার্যভার স্বেচ্ছায় গ্রহণ করতে সাহায্য করেছে।”

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৬ ২/১ ৯ অনু. ১

নহিমিয়ের পুস্তকের প্রধান বিষয়গুলো

৪:১৭, ১৮—কীভাবে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র এক হাতে পুনর্নির্মাণের কাজ করতে পেরেছিলেন? ভার বহনকারীদের জন্য এটা তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। একবার যখন মাথা বা ঘাড়ের ওপরে বোঝা চাপানো হতো, তখন তারা ‘অন্য হস্তে অস্ত্র ধরিয়া’ এক হাত দিয়ে সহজেই ভারসাম্য রক্ষা করতে পারত। আর যে-গাঁথকদের দুই হাতই তাদের কাজের জন্য দরকার হতো, তারা “প্রত্যেক জন কটিদেশে খড়্গ বাঁধিয়া গাঁথিত।” তারা শত্রুদের যেকোনো আক্রমণের মুখে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।

আগস্ট ৭-১৩

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | নহিমিয় ৫–৭

“নহিমিয় সেবা পেতে নয়, বরং সেবা করতে চেয়েছিলেন”

প্রহরীদুর্গ ০২ ১১/১ ২৭ অনু. ৪

সত্য উপাসনার সমর্থনকারীরা

নহিমিয় তার সময় এবং সংগঠিত দক্ষতা ছাড়াও আরও বেশি কিছু দান করেছিলেন। সত্য উপাসনাকে সমর্থন করার জন্য তিনি তার বস্তুগত সম্পদও কাজে লাগিয়েছিলেন। তার যিহুদি ভাইদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য তিনি নিজের অর্থ ব্যয় করেছিলেন। কোন সুদ ছাড়াই তিনি টাকা ধার দিয়েছিলেন। দেশাধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কোন অর্থ দাবি করে যিহুদিদের “ভারগ্রস্ত” করেননি, যা পাওয়ার অধিকার তার ছিল। পরিবর্তে, তিনি তার ঘরকে উন্মুক্ত রেখেছিলেন, যাতে “আমাদের চতুর্দ্দিক্‌স্থিত জাতিগণের মধ্য হইতে যাহারা আমাদের নিকটে আসিত, তাহাদের . . . এক শত পঞ্চাশ জন” খাওয়াদাওয়া করতে পারে। প্রতিদিন তার অতিথিদের জন্য তিনি “একটা বলদ ও ছয়টা উত্তম মেষ; কতকগুলি পক্ষীও” দিতেন। এ ছাড়া, দশ দিন অন্তর অন্তর তিনি তাদের জন্য “সর্ব্বপ্রকার দ্রাক্ষারস” পরিবেশন করতেন—এগুলো সমস্তই তার নিজের খরচে।—নহিমিয় ৫:৮, ১০, ১৪-১৮.

প্রহরীদুর্গ ১৬.০৯ ৬ অনু. ১৬

“তোমার হস্ত শিথিল না হউক”

১৬ যিহোবার সাহায্যে, নহিমিয় ও যিহুদিরা নিজেদের হস্ত সবল করেছিল। তারা মাত্র ৫২ দিনে যিরূশালেমের প্রাচীর নির্মাণ সমাপ্ত করেছিল! (নহি. ২:১৮; ৬:১৫, ১৬) অন্যেরা কাজ করার সময় নহিমিয় কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে তা দেখেননি, বরং তিনি নিজেও যিরূশালেমের প্রাচীর পুনর্নির্মাণে সাহায্য করেছিলেন। (নহি. ৫:১৬) একইভাবে, অনেক প্রাচীন নির্মাণ প্রকল্পে অথবা কিংডম হল পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করার সময় নহিমিয়কে অনুকরণ করে থাকেন। এ ছাড়া, এই প্রেমময় ব্যক্তিরা, “চপলচিত্তদিগকে” বা উদ্‌বিগ্নতার মধ্যে রয়েছে এমন ভাই-বোনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মাধ্যমে এবং পরিচর্যায় তাদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে তাদের শক্তিশালী করে থাকেন।—পড়ুন, যিশাইয় ৩৫:৩, ৪.

প্রহরীদুর্গ ০০ ২/১ ৩২

যিহোবা কীভাবে আপনাকে স্মরণ করবেন?

এইরকমই বাইবেলে প্রায়ই দেখা যায় যে ঈশ্বরের জন্য “স্মরণ” করার মানে হল যাকে তিনি স্মরণ করেন তার জন্য ভাল কিছু করা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জল্পাবনের পর ১৫০ দিন ধরে পৃথিবী যখন জলে ডুবে ছিল তখন “ঈশ্বর নোহকে . . . স্মরণ করিলেন, ঈশ্বর পৃথিবীতে বায়ু বহাইলেন, তাহাতে জল থামিল।” (আদিপুস্তক ৮:১) কয়েকশ বছর পর, শিম্‌শোন যখন অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং পলেষ্টীয়রা তাকে বন্দি করে রেখেছিল তখন তিনি বিনতি করেছিলেন: “হে প্রভু সদাপ্রভু, অনুগ্রহ করিয়া আমাকে স্মরণ করুন; হে ঈশ্বর, অনুগ্রহ করিয়া কেবল এই একটী বার আমাকে বলবান করুন।” যিহোবা তাকে স্মরণ করেছিলেন আর তাকে অনেক শক্তি দিয়েছিলেন যেন তিনি ঈশ্বরের শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারেন। (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৬:২৮-৩০) যিহোবা নহিমিয়ের চেষ্টাকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং যিরূশালেমে সত্য উপাসনা আবার শুরু হয়েছিল।

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৭ ৭/১ ৩০ অনু. ১৫

“উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাজয় কর”

১৫ তৃতীয়ত, নহিমিয়ের শত্রুরা একজন বিশ্বাসঘাতক ইস্রায়েলীয় শময়িয়কে ব্যবহার করেছিল, নহিমিয়কে দিয়ে ঈশ্বরের ব্যবস্থা লঙ্ঘন করানোর চেষ্টা করেছিল। শময়িয় নহিমিয়কে বলেছিলেন: “আইস, আমরা ঈশ্বরের গৃহে, মন্দিরের ভিতরে, একত্র হই, ও মন্দিরের দ্বার সকল রুদ্ধ করি, কেননা লোকে তোমাকে বধ করিতে আসিবে।” শময়িয় বলেছিলেন যে, নহিমিয়কে গোপনে হত্যা করার ঝুঁকি আছে, তবে তিনি মন্দিরে লুকিয়ে থাকার মাধ্যমে তার জীবনকে রক্ষা করতে পারেন। কিন্তু, নহিমিয় একজন যাজক ছিলেন না। তাই, ঈশ্বরের গৃহে লুকানোর মাধ্যমে তিনি পাপ করতেন। তার জীবন রক্ষা করার প্রচেষ্টায় তিনি কি ঈশ্বরের ব্যবস্থা লঙ্ঘন করবেন? নহিমিয় উত্তর দিয়েছিলেন: “আমার মত কোন লোকটী প্রাণ বাঁচাইবার জন্য মন্দিরে আশ্রয় লইবে? আমি সেখানে প্রবেশ করিব না।” কেন নহিমিয় সেই ফাঁদে পা দেননি, যা তার জন্য পাতা হয়েছিল? কারণ তিনি জানতেন যে, যদিও শময়িয় একজন সহইস্রায়েলীয় ছিলেন কিন্তু “ঈশ্বর তাহাকে পাঠান নাই।” বস্তুতপক্ষে, একজন সত্য ভাববাদী কখনো তাকে ঈশ্বরের ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার উপদেশ দেবেন না। আবারও নহিমিয় মন্দ বিরোধীদের দ্বারা নিজেকে পরাজিত হতে দেননি। এর কিছু পরেই তিনি জানাতে পেরেছিলেন: “ইলূল মাসের পঞ্চবিংশ দিনে, বাহান্ন দিনের মধ্যে প্রাচীর সমাপ্ত হইল।”—নহিমিয় ৬:১০-১৫; গণনাপুস্তক ১:৫১; ১৮:৭.

আগস্ট ১৪-২০

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | নহিমিয় ৮–৯

“যিহোবা তোমাদের যে-আনন্দ দেন, সেটাই তোমাদের শক্তিশালী করে“

প্রহরীদুর্গ ১৩ ১০/১৫ ২১ অনু. ২

উত্তমভাবে প্রস্তুতকৃত এক প্রার্থনা থেকে শিক্ষা

২ ওপরে উল্লেখিত সমাবেশের এক মাস আগে, যিহুদিরা যিরূশালেমের প্রাচীর পুনর্নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করেছিল। (নহি. ৬:১৫) ঈশ্বরের লোকেরা মাত্র ৫২ দিনের মধ্যে কাজটা শেষ করেছিল এবং এরপর তারা তাদের আধ্যাত্মিক প্রয়োজনগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিল। তাই, নতুন মাস অর্থাৎ তিসরি মাসের প্রথম দিনে তারা চকে একত্রিত হয়েছিল, যেন ইষ্রা ও অন্যান্য লেবীয় যখন ঈশ্বরের ব্যবস্থা জোরে জোরে পাঠ করে ও ব্যাখ্যা করে, তখন তা শুনতে পারে। (১ নম্বর ছবি) পুরো পরিবার এবং “শুনিয়া বুঝিতে পারে” এমন সকলে “প্রাতঃকাল হইতে মধ্যাহ্ন পর্য্যন্ত” দাঁড়িয়ে শুনেছিল। আমাদের জন্য এটা কতই-না চমৎকার এক উদাহরণ, যারা আজকে আরামদায়ক কিংডম হলের সভাগুলোতে যোগ দিই! তা সত্ত্বেও, এইরকম সমাবেশের সময় আপনি কি মাঝে মাঝে লক্ষ করেন যে, আপনার মন বিক্ষিপ্ত হয়ে আরও কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করেছে? যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে আবারও সেই প্রাচীন ইস্রায়েলীয়দের উদাহরণ বিবেচনা করুন, যারা কেবল মনোযোগ দিয়ে শোনেনি কিন্তু যা শুনেছিল, সেটার দ্বারা এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল যে, একটা জাতি হিসেবে ঈশ্বরের ব্যবস্থা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলে তারা কাঁদতে শুরু করেছিল।—নহি. ৮:১-৯.

প্রহরীদুর্গ ০৭ ৭/১৫ ২২ অনু. ৯-১০

আপনি কি ‘আত্মার বশে চলিবেন’?

৯ আনন্দ হল মহাসুখের এক অবস্থা। যিহোবা হলেন, ‘পরম ধন্য [“সুখী,” NW] ঈশ্বর।’ (১ তীমথিয় ১:১১; গীতসংহিতা ১০৪:৩১) পুত্র তাঁর পিতার ইচ্ছা পালন করে প্রীত বা আনন্দিত। (গীতসংহিতা ৪০:৮; ইব্রীয় ১০:৭-৯) আর “সদাপ্রভুতে যে আনন্দ, তাহাই [আমাদের] শক্তি।”—নহিমিয় ৮:১০.

১০ ঈশ্বরদত্ত আনন্দ আমাদের জন্য গভীর পরিতৃপ্তি নিয়ে আসে, যখন আমরা এমনকি কষ্ট, দুঃখ অথবা তাড়নার সময়েও ঐশিক ইচ্ছা পালন করি। “ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান” আমাদের জন্য কত সুখই না নিয়ে আসে! (হিতোপদেশ ২:১-৫) ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের আনন্দপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে সঠিক জ্ঞান এবং তাঁর ওপর ও সেইসঙ্গে যিশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের ওপর বিশ্বাস। (১ যোহন ২:১, ২) একমাত্র প্রকৃত আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃসমাজের অংশ হওয়াও আনন্দের আরেকটা উৎস। (সফনিয় ৩:৯; হগয় ২:৭) আমাদের রাজ্যের আশা এবং সুসমাচার ঘোষণা করার মহান সুযোগ আমাদের আনন্দিত করে। (মথি ৬:৯, ১০; ২৪:১৪) একইভাবে, অনন্তজীবনের প্রত্যাশাও আমাদের আনন্দিত করে। (যোহন ১৭:৩) যেহেতু আমাদের এই মহান আশা রয়েছে, তাই আমাদের “সম্পূর্ণরূপে আনন্দিত” হওয়া উচিত।—দ্বিতীয় বিবরণ ১৬:১৫.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ৯৬ ৫/১৫ ১৬ অনু. ২

ঈশ্বরের বাক্য পড়ুন ও সত্যে তাঁর সেবা করুন

২ সা.শ.পূ. ৪৫৫ সালে যিরূশালেমের প্রাচীর পুনর্নির্মাণ হওয়ার পর অধ্যাপক ইষ্রা ও অন্যান্যেরা ঈশ্বরের ব্যবস্থা যিহূদীদের কাছে পাঠ করেন। এটি অনুসৃত হয়েছিল আনন্দপূর্ণ কুটীরপর্ব পালন, পাপ স্বীকার দ্বারা ও সমাপ্ত হয়েছিল এক “নিশ্চিত নিয়ম” দিয়ে। (নহিমিয় ৮:১–৯:৩৮) আমরা পড়ি: “তাহারা স্পষ্ট উচ্চারণপূর্ব্বক সেই পুস্তক, ঈশ্বরের ব্যবস্থা, পাঠ করিল, এবং তাহার অর্থ করিয়া লোকদিগকে পাঠ বুঝাইয়া দিল।” (নহিমিয় ৮:৮) কিছুজন প্রস্তাব করেন যে যিহূদীরা ইব্রীয় ভালভাবে বুঝত না এবং তাই অরামিক ভাষায় শব্দান্তরিত করা হত। কিন্তু এটি কেবলমাত্র ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষার সরলীকরণ ছিল না। ইষ্রা ও অন্যান্যেরা ব্যবস্থার অর্থপ্রকাশ করতেন যেন লোকেরা এর নীতিগুলি আয়ত্ত করতে ও সেগুলি কাজে লাগাতে পারে। খ্রীষ্টীয় প্রকাশনা ও সভাগুলিও ঈশ্বরের বাক্যের ‘অর্থ’ প্রকাশ করার ভূমিকা পালন করে। নিযুক্ত প্রাচীনেরাও তা করেন যারা “শিক্ষাদানে নিপুণ।”—১ তীমথিয় ৩:১, ২; ২ তীমথিয় ২:২৪.

আগস্ট ২১-২৭

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | নহিমিয় ১০–১১

“তারা যিহোবার জন্য ত্যাগস্বীকার করেছিল”

প্রহরীদুর্গ ৯৮ ১০/১৫ ২২ অনু. ১৩

যিরূশালেম যেটি এর নামের উপযুক্ত

১৩ নহিমিয়ের দিনে মুদ্রাঙ্কিত সেই “নিশ্চিত নিয়ম” ঈশ্বরের প্রাচীনকালের লোকেদের যিরূশালেমের প্রাচীরের প্রতিষ্ঠা দিনের জন্য প্রস্তুত করেছিল। কিন্তু আর একটি জরুরি বিষয়ের প্রতিও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। ১২টি দরজা সমেত বিশাল প্রাচীর দিয়ে ঘেরা যিরূশালেমে বসবাসের জন্য এখন অনেক লোকের প্রয়োজন। যদিও কিছু ইস্রায়েলীয় সেখানে বাস করত তবুও “নগর বৃহৎ ও বিস্তারিত, কিন্তু তন্মধ্যে লোক অল্প ছিল।” (নহিমিয় ৭:৪) এই সমস্যা সমাধানের জন্য লোকেরা “পবিত্র নগর যিরূশালেমে বাস করণার্থে প্রতি দশ জনের মধ্যে এক জনকে সেখানে আনিবার ও নয় জনকে অন্যান্য নগরে বাস করাইবার জন্য গুলিবাঁট করিল।” তাদের এই ব্যবস্থার প্রতি স্বেচ্ছায় সাড়া দেওয়ার জন্য লোকেরা “যে সকল লোক ইচ্ছাপূর্ব্বক যিরূশালেমে বাস করিতে চাহিল,” তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছিল। (নহিমিয় ১১:১, ২) আজকে সত্য খ্রীষ্টানদের জন্য এটি কতই না ভাল উদাহরণ, যাদের পরিস্থিতি অনুমতি দেয়, যেখানে পরিপক্ব খ্রীষ্টানদের বেশি প্রয়োজন সেখানে গিয়ে সাহায্য করা!

প্রহরীদুর্গ ৮৬ ২/১৫ ২৬, ইংরেজি

সত্য উপাসনা বিজয় লাভ করে

পৈত্রিক সহায়সম্পদ ছেড়ে জেরুসালেমে যেতে হলে কিছু খরচের প্রয়োজন এবং কিছু সমস্যারও মুখোমুখি হতে হবে। যারা সেই নগরে বাস করছিল, তাদেরও হয়তো বিভিন্ন বিপদের ভয় ছিল। যারা স্বেচ্ছায় সেখানে গিয়েছিল, অন্যেরা তাদের প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেছিল। আর নিশ্চয়ই অন্যেরা যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিল, যাতে তিনি তাদের আশীর্বাদ করেন, যারা এইসমস্ত ত্যাগস্বীকার করেছিল।

প্রহরীদুর্গ ১৬.০৪ ৮ অনু. ১৫

বিশ্বস্ত থাকার মাধ্যমে ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করা যায়

১৫ আমরা যখন যিহোবার উদ্দেশে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলাম, তখন আমরা এই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যা-ই ঘটুক না কেন, আমরা তাঁর ইচ্ছা পালন করব। আমরা জানতাম, এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করা সবসময় সহজ হবে না। কিন্তু, আমাদের যদি এমন কিছু করতে বলা হয়, যা আমরা পছন্দ করি না, তা হলে আমরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাই? আমাদের পছন্দ না হলেও আমরা যদি তা করি এবং ঈশ্বরের বাধ্য হতে ইচ্ছুক থাকি, তা হলে আমরা এটা প্রমাণ করি, আমরা বিশ্বস্ততার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করছি। আমাদের ত্যাগস্বীকার কষ্টদায়ক হতে পারে, কিন্তু সেই কষ্টের তুলনায় যিহোবার আশীর্বাদ সবসময়ই প্রচুর। (মালাখি ৩:১০) কিন্তু, যিপ্তহের মেয়ের বিষয়ে কী বলা যায়? তার বাবার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার বিষয়ে সে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল?

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৬ ২/১ ১১ অনু. ১

নহিমিয়ের পুস্তকের প্রধান বিষয়গুলো

১০:৩৪—কেন লোকেদের কাঠ সরবরাহ করতে বলা হয়েছিল? মোশির ব্যবস্থায় কাঠ উৎসর্গ করার আদেশ দেওয়া হয়নি। এই চাহিদা মূলত প্রয়োজনের সময়ে উদ্ভূত হয়েছিল। বেদিতে বলি পোড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ কাঠ প্রয়োজন ছিল। স্পষ্টতই, মন্দিরে ন-ইস্রায়েলীয় দাস হিসেবে সেবারত যথেষ্ট নথীনীয় ছিল না। তাই, সবসময় কাঠ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য গুলিবাঁট করা হয়েছিল।

আগস্ট ২৮–সেপ্টেম্বর ৩

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | নহিমিয় ১২–১৩

“বন্ধু বাছাই করার সময় যিহোবার প্রতি অনুগত থাকুন”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৯৫ অনু. ৫, ইংরেজি

অম্মোনীয়েরা

মন্দিরের কক্ষ থেকে টোবিয়ের সমস্ত জিনিস বের করে ফেলে দেওয়ার পর দ্বিতীয় বিবরণ ২৩:৩-৬ পদে বলা ঈশ্বরের ব্যবস্থা পড়া হয়েছিল এবং তা কাজে লাগানো হয়েছিল। সেখানে যিহোবা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, অম্মোনীয়েরা ও মোয়াবীয়েরা ইজরায়েলের মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে না। (নহি ১৩:১-৩) এই আইন প্রায় ১,০০০ বছর আগে জারি করা হয়েছিল। কারণ আগে ইজরায়েলীয়েরা যখন প্রতিজ্ঞাত দেশের কাছাকাছি এসেছিল, তখন তারা অম্মোনীয় ও মোয়াবীয়দের কাছে সাহায্য চেয়েছিল, কিন্তু তারা সাহায্য করেনি। মূলত এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ ছিল, এই লোকেরা পূর্ণরূপে ইজরায়েল জাতির বৈধ সদস্য হতে পারবে না এবং সেই সদস্যেরা যে-সমস্ত অধিকার ও সুযোগসুবিধা লাভ করতে পারত, সেগুলো লাভ করতে পারবে না। এর উদাহরণ হল, দায়ূদের প্রধান যোদ্ধাদের মধ্যে একজন, যার নাম ছিল সেলক আর আরেকজন হলেন মোয়াবীয় রূৎ।—রূৎ ১:৪, ১৬-১৮.

প্রহরীদুর্গ ১৩ ৮/১৫ ৪ অনু. ৫-৬

আপনারা পবিত্রীকৃত হয়েছেন

৫ নহিমিয় ১৩:৪-৯ পদ পড়ুন। আমাদের চারপাশে যেহেতু অশুচি প্রভাব রয়েছে, তাই আমাদের পক্ষে পবিত্র থাকা সহজ নয়। ইলিয়াশীব এবং টোবিয়ের কথা বিবেচনা করুন। ইলিয়াশীব ছিলেন মহাযাজক এবং টোবিয় ছিলেন একজন অম্মোনীয় ব্যক্তি ও সম্ভবত যিহূদিয়ায় বিদ্যমান পারস্য প্রশাসনের একজন নিম্নপদস্থ কর্মচারী। যিরূশালেমের প্রাচীর পুনর্নির্মাণ করার জন্য নহিমিয়ের প্রচেষ্টায় টোবিয় ও তার সঙ্গীরা বাধা দিয়েছিল। (নহি. ২:১০) অম্মোনীয়রা মন্দিরের এলাকায় প্রবেশ করতে পারত না। (দ্বিতীয়. ২৩:৩) তাহলে, টোবিয়ের মতো একজন ব্যক্তিকে কেন মহাযাজক মন্দিরের একটা কুঠুরিতে থাকার জায়গা দিয়েছিলেন?

৬ টোবিয় ইলিয়াশীবের একজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন। টোবিয় ও তার ছেলে যিহোহানন যিহুদি নারীদের বিয়ে করেছিল আর অনেক যিহুদি টোবিয়ের প্রশংসা করত। (নহি. ৬:১৭-১৯) ইলিয়াশীবের একজন নাতি শমরিয়ার দেশাধ্যক্ষ সন্‌বল্লটের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন আর এই সন্‌বল্লট টোবিয়ের একজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন। (নহি. ১৩:২৮) এই সম্পর্ক হয়তো ব্যাখ্যা করে যে, কেন মহাযাজক ইলিয়াশীব একজন অবিশ্বাসী ও বিরোধীর মাধ্যমে নিজেকে প্রভাবিত হতে দিয়েছিলেন। কিন্তু নহিমিয় টোবিয়ের সমস্ত গৃহসামগ্রী কুঠুরির বাইরে ফেলে দেওয়ার মাধ্যমে যিহোবার প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছিলেন।

প্রহরীদুর্গ ৯৬ ৩/১৫ ১৬ অনু. ৬

নিষ্ঠার চ্যালেঞ্জের সাথে মোকাবিলা করা

৬ আমরা যদি যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠাবান্‌ হই তাহলে যারা তাঁর শত্রু তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা আমরা এড়িয়ে চলব। তাই জন্য শিষ্য যাকোব লিখেছিলেন: “হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।” (যাকোব ৪:৪) আমাদের রাজা দায়ূদের মত নিষ্ঠা থাকা উচিত যখন তিনি বলেছিলেন: “হে সদাপ্রভু যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, আমি কি তাহাদিগকে দ্বেষ করি না? যাহারা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাহাদের প্রতি কি বিরক্ত হই না? আমি যার পর নাই দ্বেষে তাহাদিগকে দ্বেষ করি; তাহাদিগকে আমারই শত্রু মনে করি।” (গীতসংহিতা ১৩৯:২১, ২২) আমরা স্বেচ্ছাচারী পাপীদের সাথে মেলামেশা করতে চাই না, কারণ তাদের সাথে আমাদের কোন মিল নেই। ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠা কি আমাদের যিহোবার শত্রুদের সাথে ব্যক্তিগতরূপে অথবা টেলিভিশনের মাধ্যমে মেলামেশা করতে বিরত করবে না?

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৪৫২ অনু. ৯, ইংরেজি

সংগীত

গান গাওয়া মন্দিরে এক গুরুত্বপূর্ণ কার্যভার ছিল। গায়কদের সম্বন্ধে শাস্ত্রে বলা অনেক তথ্য থেকে বিষয়টা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। এ ছাড়া, অন্য লেবীয়দের সাধারণত যে-দায়িত্বগুলো পালন করতে হত, সেগুলো থেকে গায়কদের “মুক্তি দেওয়া হয়েছিল,” যাতে তারা পুরোপুরিভাবে গান গাওয়ার প্রতি মনোযোগ দিতে পারে। (১বংশা ৯:৩৩) ব্যাবিলন থেকে ফিরে আসার পরও তাদের একটা পৃথক দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় আর এটা প্রমাণ দেয় যে, লেবীয়দের মধ্যে তারা এক বিশেষ দল ছিল। (ইষ্রা ২:৪০, ৪১) এমনকী পারস্যের রাজা অর্তক্ষস্ত গায়কদের আর সেইসঙ্গে অন্য বিশেষ দলের ‘কারো কাছ থেকেই কর’ নিতেন না। (ইষ্রা ৭:২৪) পরে রাজা আদেশ দিয়েছিলেন, “গায়কদের . . . যেন প্রতিদিনের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারদাবার দেওয়া হয়।” খুব সম্ভবত ইষ্রা রাজা অর্তক্ষস্তের কাছ থেকে পাওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করে এই আদেশ জারি করেছিলেন। (নহি ১১:২৩; ইষ্রা ৭:১৮-২৬) তাই, বোঝা যায় যে, যদিও গায়কদের মধ্যে সবাই লেবীয় ছিল, কিন্তু বাইবেলে তাদের এক বিশেষ দল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের ‘গায়ক ও লেবীয়’ হিসেবে পৃথক করা হয়েছে।—নহি ৭:১; ১৩:১০.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার