ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • km ৯/০০ পৃষ্ঠা ৫
  • ঈশ্বরের বচনকলাপ মন দিয়ে শুনুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ঈশ্বরের বচনকলাপ মন দিয়ে শুনুন
  • ২০০০ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • ‘শুনুন ও শিক্ষায় বৃদ্ধি পান’
    ২০০১ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • শুনুন ও শিখুন
    ২০১৩ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • ১৯৯৪ সালের “ঈশ্বরীয় ভয়” জেলা সম্মেলন
    ১৯৯৪ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • ১৯৯৭ সালের “ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস” জেলা সম্মেলন
    ১৯৯৭ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
আরও দেখুন
২০০০ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
km ৯/০০ পৃষ্ঠা ৫

ঈশ্বরের বচনকলাপ মন দিয়ে শুনুন

১ মানুষ যা কিছু বলে তার সবই যে মন দিয়ে শুনতে হবে তা নয়। কিন্তু যিহোবা যখন কিছু বলেন তখন তা মন দিয়ে শোনার কারণ আছে। (দ্বি.বি. ২৮:​১, ২) তাই ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার সাহায্যে কিছু লোকেরা আমাদের ভালোর জন্য ‘ঈশ্বরের বচনকলাপকে’ লিখে রেখেছেন। (রোমীয় ৩:⁠২) এই বছরের জেলা সম্মেলনে আমরা ঈশ্বরের বচনকলাপকে শোনার ভাল সুযোগ পাব যখন সম্মেলনে তা পড়া ও আলোচনা করা হবে। কী করে আপনি সম্মেলনে মন দিয়ে শুনতে পারেন?

২ সকালে তাড়াতাড়ি আসুন: একটু কল্পনা করুন যে যখন যিহোবা ইস্রায়েলীয়দের ব্যবস্থা শোনার জন্য সীনয় পর্বতে আসতে বলেছিলেন তখন তারা কতই না খুশি ও উৎসাহিত হয়েছিল! (যাত্রা. ১৯:​১০, ১১, ১৬-১৯) ইস্রায়েলীয়দের মতো আপনারও যদি জেলা সম্মেলনে যিহোবার বচনকলাপ শোনার জন্য উৎসাহ থাকে, তাহলে প্রত্যেকদিন সেখানে তাড়াতাড়ি পৌঁছাবার জন্য আপনি চেষ্টা করবেন। দেরি করে এলে আমরা পুরো কার্যক্রম শুনতে পারব না আর আসন খুঁজতে গিয়ে অন্যেদের বিরক্তও করব। সম্মেলন হলের দরজা সকাল ৮টার সময় খুলে দেওয়া হবে আর প্রত্যেকদিন কার্যক্রম সকাল ৯:৩০ মিনিটে শুরু হবে।

৩ অনেক সময় দেখা যায় যে সকালে তাড়াতাড়ি এসেও অনেক ভাইবোনেরা সম্মেলন শুরু হওয়ার সময় নিজেদের আসনে বসেন না। কিন্তু কেন? কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত না সভাপতি শুরুর গানের কথা বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু ভাইবোনেরা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। আর গান শুরু হলে পর তারা নিজের নিজের আসনে যান। আমরা নিশ্চয়ই দেখেছি যে প্রত্যেকদিন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছু সময় আগেই সভাপতি মঞ্চে এসে বসেন আর রাজ্যের গানের যন্ত্রসংগীত বাজানো হয়। এটা বোঝায় যে এখন সবার নিজের নিজের আসনে এসে বসে পড়ার সময় হয়ে গেছে! এরপর যখন শুরুর গানের কথা বলা হবে তখন আমরা নিজেদের জায়গায় দাঁড়িয়ে গান গাওয়ার জন্য একেবারে তৈরি।

৪ পরিবারের সকলে একসঙ্গে বসে শুনুন: যখন ঈশ্বরের বচনকলাপ ইস্রায়েলীয় পরিবারগুলোকে শোনানো হত তখন তাদের ‘বালক-বালিকারাও’ তাদের সঙ্গে এসে শুনতো আর শিখত। (দ্বি.বি. ৩১:১২) তাই আমাদের সম্মেলনেও ছোট বাচ্চাদের “অশাসিত” থাকা উচিত নয়। (হিতো. ২৯:১৫) বাবামারা আপনারা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে পুরো পরিবার একসঙ্গে বসুন। কোন কোন বাবামা যখন গান শুরু হয় তখন বাচ্চাদের বাথরুমে নিয়ে যান। কিন্তু এমন করলে বাবামারা কখনই ছেলেমেয়েদের শেখাতে পারবেন না যে গান ও প্রার্থনা আমাদের উপাসনার কত বড় ভাগ। কতই না ভাল হয়, যদি তারা ছেলেমেয়েদের সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই বাথরুমে নিয়ে যান!

৫ আমরা মন দিয়ে শুনতে পারব যদি প্রতিদিন রাতে আমরা ভাল করে ঘুমাই ও দিনের বেলা ভারি খাবার না খাই। এছাড়া বক্তা যা বলেন তা আমাদের মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করা দরকার। আমরা যেন অন্যমনস্ক না হয়ে পড়ি বরং বাইবেলের পদগুলো যখন পড়া হয় তখন যেন আমরা সেগুলো খুলে মিলিয়ে নিই। নোট নিন। প্রত্যেকটা বক্তৃতা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে চিন্তা করুন যে বক্তা কী বলেছেন আর আপনি সেই বিষয়টা কীভাবে নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারেন। দিনের শেষে পুরো কার্যক্রম নিয়ে পরিবারের সকলে একসঙ্গে মিলে আলোচনা করুন। জিজ্ঞেস করুন যে পরিবারের কার কোন্‌ বিষয়টা ভাল লেগেছে? বিষয়টা তারা কীভাবে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারে?

৬ ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি সম্মান দেখান: সম্মেলনে আমরা আমাদের ভাইবোন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলে একে অন্যকে উৎসাহিত করি ও আনন্দ পাই। আমরা যদি তাড়াতাড়ি আসি, তাহলে সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় পাব। সম্মেলন শুরু হওয়ার পরেও কেউ কেউ ফিসফিস করে কথা বলেন আর ভাবেন যে এত বড় হলে অন্যদের এতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। কিন্তু এমন ভাবা ঠিক নয়। কিংডম হলে যেমন আমরা সভাগুলো মন দিয়ে শুনি তেমনিই সম্মেলনেও আমাদের মন দিয়ে শোনা উচিত কারণ সম্মেলনও আমাদের সভা, তফাৎ শুধু এই যে তা বড় আকারে হয়। তাই সম্মেলন চলাকালে সেলুলার ফোন, পেজার, ভিডিওক্যাসেট ক্যামেরা বা ক্যামেরা ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এগুলোতে অন্যদের অসুবিধা হতে পারে।

৭ যিহোবা যখন মোশিকে ব্যবস্থা দিচ্ছিলেন তখন মোশি ‘অন্ন ভোজন ও জল পান করেননি।’ (যাত্রা. ৩৪:২৮) ঠিক সেইরকমই সম্মেলন চলাকালে আমাদেরও কোন খাবার বা পানীয় খাওয়া উচিত নয়। একমাত্র আপনার যদি কোন অসুখ থাকে, তা না হলে খাওয়ার ‘সময়’ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।​—⁠উপ. ৩:⁠১.

৮ কিছু কিছু সম্মেলনে আরেক ধরনের সমস্যা দেখা যায় আর তা হল সম্মেলন চলাকালীন অনেক ভাইবোনেরা ও এমনকি ছোট বাচ্চারাও বারান্দায় ঘুরে বেড়ায় ও কথাবার্তা বলতে থাকে। তাই পরিচারকদের বলে দেওয়া হবে যে তারা যেন এই ভাইবোনদের ভিতরে গিয়ে নিজেদের আসনে বসতে বলেন। বিভিন্ন বিভাগগুলোতে যে ভাইবোনেরা কাজ করছেন তারা নিজেদের কাজ শেষ হওয়া মাত্রই হলে এসে বসবেন। সম্মেলন চলাকালীন কোন বিশেষ কাজ করার না থাকলে, সবার নিজের নিজের আসনে বসে কার্যক্রম শোনা উচিত। সম্মেলন চলাকালীন একে অন্যের সঙ্গে দেখা করার জন্য তারা যেন এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে ঘুরে না বেড়ান।

৯ ঈশ্বরের বাক্য শোনার সময় আমরা যেন কখনও “শ্রবণে শিথিল” না হয়ে পড়ি। (ইব্রীয় ৫:১১) তাই আসুন আমরা এখনই ঠিক করি যে আগামী জেলা সম্মেলনে আমরা যিহোবা ঈশ্বরের দেওয়া বচনকলাপ যা সম্মেলনে আলোচনা করা হবে তা মন দিয়ে শুনে ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি সম্মান দেখাব।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার