আপনার মণ্ডলীর কি এক বড় এলাকা রয়েছে?
১ যিহূদিয়ার শহরগুলো থেকে শুরু করে গালীলের সমস্ত গ্রাম পর্যন্ত, প্রাচীন ইস্রায়েলের বিরাট এলাকা জুড়ে যীশু ব্যাপক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। (মার্ক ১:৩৮, ৩৯; লূক ২৩:৫) আমাদেরও সুসমাচার নিয়ে যত জনের কাছে সম্ভব পৌঁছাতে হবে। (মার্ক ১৩:১০) কিন্তু, ভারতের এলাকার কেবল একটা ছোট্ট ভাগ মণ্ডলীগুলোকে দেওয়া হয়েছে আর সবসময় রিপোর্ট দেখায় যে, এমনকি এই এলাকাগুলোতেও এখনও ব্যাপক ও নিয়মমাফিক কাজ করার দরকার আছে। আরও লোকেদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা কী করতে পারি?
২ মনোযোগপূর্বক পরিকল্পনা করুন: পরিচর্যা অধ্যক্ষ এবং টেরিটেরি পরিচারক এ বিষয়ে নিশ্চিত হবেন যে, মণ্ডলীর এলাকাকে যেন মানচিত্রের মাধ্যমে ভাগ করা হয় আর একেকটা ভাগে যেন ২০০ থেকে ৩০০টার বেশি বাড়ি না পড়ে। এ ছাড়া, তারা এ বিষয়েও নিশ্চিত হবেন যে, এক বছরে তারা যতটা এলাকা পুরোপুরি শেষ করতে পারবেন, এর বেশি এলাকা যেন ধরে না রাখেন। তারা যদি জানেন যে, কিছু এলাকায় গোঁড়া ব্যক্তিরা আমাদের সাক্ষ্য দেওয়ার কাজে বিরোধিতা করেই চলেন, তা হলে সেই এলাকা বাদ দিয়ে অনির্ধারিত এলাকায় কাজ করা যেতে পারে, যেখানকার লোকেরা হয়তো শুনে খুশি হবে। (লূক ৯:৫, ৬ পদের সঙ্গে তুলনা করুন) তবুও, তাদেরকে বিচক্ষণ হতে হবে, মাঝেমাঝে হয়তো কোন এলাকায় কেবল একজন ব্যক্তি বিরোধিতা করতে পারেন আর সেই ক্ষেত্রে তার বাড়ি বা রাস্তাকে মানচিত্রে “যাবেন না” বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে ও এলাকার বাকি বাড়িগুলোতে নির্বিঘ্নে কাজ করা যেতে পারে।
৩ ঘরে-ঘরে পরিচর্যায় বেশি সময় ধরে কাজ করার জন্য পুরো মণ্ডলীকে উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। ক্ষেত্রের পরিচর্যা সভার জন্য তৈরি হতে ও সেখানে উপস্থিত থাকতে প্রায়ই বেশ সময় লেগে যায়। তাই, এটা কতই না দুঃখের বিষয় যদি এরকম প্রচেষ্টা করার পর আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমরা মাত্র এক ঘন্টা অথবা তারও কম সময় ব্যয় করি। আমাদের হয়তো কয়েকটা বাইবেল অধ্যয়ন অথবা পুনর্সাক্ষাৎ থাকতে পারে কিন্তু সেগুলো আমাদের নির্ধারিত এলাকায় দুই অথবা এমনকি তিন ঘন্টা কাজ করার পর করা যেতে পারে। নোংরা ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে হাজার হাজার লোকেরা ঘরে এবং তাদের বাড়ির চারপাশে থাকে। এই এলাকাগুলো যদি নিরাপদ হয়, তা হলে এখানে নিজের মতো কাজ করা আমাদের জন্য কি উপকারজনক হবে না? আমাদের সহ সাক্ষিদের চোখের আড়াল না হওয়া সহজ কিন্তু একই সময় একলা একলা কাজ করা বোঝাবে যে, আমরা যতটা এলাকা শেষ করি তার দ্বিগুণ করতে পারব এবং প্রত্যেকটা বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষ্যদানে অংশ নিতে পারব।
৪ এ ছাড়া সঠিক পরিকল্পনা করা মানে এও বোঝাবে যে, আমাদের কাছে ঠিক ঠিক ভাষার সাহিত্য আছে। হয়তো মহানগরী এলাকাগুলোতে প্রত্যেকটা মানচিত্র কার্ডে দরকারি ভাষাগুলোকে চিহ্নিত করে রাখার প্রয়োজন হতে পারে, যাতে বুকস্টাডি অধ্যক্ষরা নিশ্চিত হতে পারেন যে, তাদের দলগুলো সুসজ্জিত।
৫ পুরোপুরি সহযোগিতা করুন: একটা বড় এলাকায় কাজ করার জন্য মণ্ডলীর সকলের সহযোগিতার দরকার। কথা বলতে ইচ্ছুক এমন গৃহকর্তাদের পেলে, আপনাকে সঠিক বিচক্ষণতা দেখাতে হবে। এলাকার প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে সচেতন থাকুন এবং আপনার ক্ষেত্রের পরিচর্যা দলে যারা অপেক্ষা করছেন তাদের প্রতি বিবেচনা দেখান। একজন আগ্রহী ব্যক্তির সঙ্গে আপনি যদি অনেকক্ষণ আলোচনা চালিয়ে যেতে চান, তা হলে এমন ব্যবস্থা কি করা যেতে পারে যাতে দলের বাকি লোকেরা প্রচার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন?
৬ যারা আগ্রহ দেখিয়েছেন তাদের সকলের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করুন। ঠিকানা ছাড়াও, আগ্রহী ব্যক্তির ফোন নম্বর নেওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে টেলিফোনে যোগাযোগ করে আপনি আরও সাক্ষ্য দিতে পারেন। যদি রাস্তার নাম অথবা বাড়ির নম্বর না থাকে, তা হলে ভাল করে সেই জায়গার একটা মানচিত্র আঁকুন অথবা পুনর্সাক্ষাৎ করার সময় সেই আগ্রহী ব্যক্তিকে কীভাবে খুঁজে পাবেন, সেই বিষয়ে কিছু বিবরণ লিখে রাখুন।
৭ যীশুর এই নির্দেশনা মেনে চলা আমাদের জন্য কত বড় এক সুযোগ: “তোমরা যে নগরে কি গ্রামে প্রবেশ করিবে, তথাকার কোন্ ব্যক্তি যোগ্য, তাহা অনুসন্ধান করিও!” (মথি ১০:১১) সবচেয়ে পরিতৃপ্তিদায়ক এই কাজে স্বেচ্ছায় নিজেকে বিলিয়ে দিলে যিহোবা নিশ্চয়ই আপনার প্রচেষ্টাকে আশীর্বাদ করবেন!