কিংডম হল নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে
১ যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮৩ সালে “রাজ্যের একতা” জেলা সম্মেলনগুলোতে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা জুড়ে কিংডম হলগুলোর নির্মাণ এবং পুনর্গঠনে সমর্থন করার জন্য একটা বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে। সেই সময় তারা সামান্যই উপলব্ধি করতে পেরেছিল যে, এই ক্ষুদ্র আরম্ভ থেকে কত আশীর্বাদ লাভ করা যাবে। তারা গীতসংহিতা ৯২:৪ পদের কথাগুলো পূর্ণরূপে উপভোগ করতে শুরু করেছিল, যা বলে: “কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমি আপন কার্য্য দ্বারা আমাকে আহ্লাদিত করিয়াছ; আমি তোমার হস্তকৃত কার্য্য সকলে জয়ধ্বনি করিব।” পরে আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপের আর্থিক চাপের মধ্যে থাকা দেশগুলোর ভাইবোনদের সহায়তা করার জন্য এই তহবিল ব্যবহারের কার্যক্রম প্রসারিত করা হয়েছিল।
২ যা সম্পন্ন করা হচ্ছে, সেটার জন্য এখন আমরা সকলেই অত্যন্ত আনন্দিত হতে পারি। আজকে বিশ্বব্যাপী এক দ্রুত কিংডম হল নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু, কীভাবে আমরা যারা ভারতে আছি, আমাদের এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার বিশেষ সুযোগ আছে? আমরা আমাদের নিজ দেশের কিংডম হল নির্মাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করার মাধ্যমে তা করতে পারি, যা এখন স্থানীয় মণ্ডলীগুলোতে বড় বা ছোট আর্থিক দানের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া অনেক ভাইয়েরা তাদের সময়, শক্তি এবং এই প্রকল্পগুলোর সঙ্গে যুক্ত তাদের দক্ষতা স্বেচ্ছায় ব্যবহার করতে পারে। আমরা যতটুকুই দিই না কেন, আমরা উপলব্ধি করি যে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর যিহোবার পরিচালনা, সমর্থন এবং প্রচুর আশীর্বাদের কারণে এই পুরো আয়োজন সফল হয়।—গীতসংহিতা ১২৭:১.
৩ সারা দেশে কিংডম হলগুলোতে একটা বাক্স রয়েছে, যেখানে প্রকাশকরা কিংডম হল তহবিলের জন্য তাদের দান রাখে। এ ছাড়া, অনেক মণ্ডলী তাদের মণ্ডলীর তহবিল থেকে আলাদাভাবে একটা মাসিক দান পাঠানোর সংকল্প নিয়েছে। নির্দিষ্ট মেয়াদি আমানতে টাকাপয়সা সঞ্চয় করার পরিবর্তে অন্য মণ্ডলীগুলো তাদের সঞ্চয় কিংডম হল তহবিলে পাঠিয়ে দিয়েছে, এই আস্থা নিয়ে যে, যখন তাদের একটা বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প হবে, তখন তারা কেবল তাদের নিজেদের সঞ্চয় থেকেই নয় বরং অন্য মণ্ডলীগুলোর দ্বারাও উপকৃত হবে, যাদের বর্তমানে একটা কিংডম হলের দরকার নেই।
৪ এই বিষয়ে কতটা সাড়া পাওয়া গিয়েছে? গত বছরের মার্চ মাস থেকে, যখন প্রকাশকরা প্রথমে এই নতুন ব্যবস্থা সম্বন্ধে জেনেছে, দুটো নতুন কিংডম হল তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ইতিমধ্যেই জমা হয়ে গিয়েছে। এটা দেখা উৎসাহজনক যে, এমনকি যারা ইতিমধ্যেই সেই তহবিল থেকে উপকৃত হয়েছে এবং উপযুক্ত কিংডম হলগুলো তৈরি করেছে, তারা এখনও নিয়মিত দান করে চলেছে, যাতে তাদের মতো অন্য মণ্ডলীগুলো উপকৃত হতে পারে। যারা এখন তাদের নিজস্ব কিংডম হল তৈরি করার মতো অবস্থানে নেই, তারা তাদের মাসিক দান পাঠাতে শুরু করেছে। তাদের এটা জানার আনন্দ রয়েছে যে, এই তহবিল দেশের কোথাও শীঘ্রই কিংডম হল তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে আর পরে যথাসময়ে একই দান থেকে তারাও উপকৃত হবে, যা তাদের নিজেদের প্রকল্পগুলোতে আর্থিক সংস্থানে ব্যবহৃত হতে পারে।
৫ এই কার্যক্রমের ওপর যিহোবার আশীর্বাদের প্রমাণ অন্য দেশগুলোতেও দেখা যেতে পারে, যখন আপনি যে-কিংডম হলগুলো তৈরি করা হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটা ছবি এখানে দেখেন। এই ধরনের নির্মাণ সেই দেশগুলোতে যিহোবার সাক্ষিদের কাজের ওপর যে-প্রভাব ফেলেছে, সেই সম্বন্ধে কল্পনা করুন। এটা তিনটে স্বতন্ত্র ক্ষেত্রে সত্য—বিশ্বব্যাপী আমাদের ভ্রাতৃসমাজের একতা, স্থানীয় সমাজের ওপর এর প্রভাব এবং মণ্ডলীর সভাগুলোতে উপস্থিতি বৃদ্ধি। এই ইনসার্টে যদিও আফ্রিকায় কিংডম হল তৈরির বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে, আমরা আশা করি আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা-র ভবিষ্যৎ সংখ্যাগুলোতে ভারতেই কিংডম হল নির্মাণ কার্যক্রম কীভাবে এগিয়ে চলেছে, সেই বিষয়ে তুলে ধরা হবে। আপনাদের মণ্ডলী কি এই কার্যক্রমের দ্বারা উপকৃত হবে? এই কার্যক্রমে যথাসম্ভব পুরোপুরিভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আপনার প্রচেষ্টাকে যিহোবা যেন আশীর্বাদ করেন।
[Pictures on page 5]
বিম্বো, বাংগি
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র
বিগুয়া, বাংগি
[Pictures on page 6]
উকংগা, তানজানিয়া
সালালা, লাইবেরিয়া
পিমি, টোগো
সোকোডে, টোগো
কেরোই, জিম্বাবোয়ে