ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৫ ২/১ পৃষ্ঠা ২৬-২৯
  • এটা কার দোষ?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • এটা কার দোষ?
  • ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • আর্থিক অনটন
  • শিশুসন্তানদের প্রতি হতাশা
  • আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে তুলতে ব্যর্থ হওয়া
  • শেষ অজুহাত
  • বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া
  • একজন ঈশ্বর কি আছেন যিনি যত্ন নেন?
    একজন ঈশ্বর কি আছেন যিনি যত্ন নেন?
  • যিহোবাকে দোষ দেওয়া যায় না
    ১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “এটি আমার দোষ নয়”
    ১৯৯৭ সচেতন থাক!
  • আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে শক্তিশালী পরিবার গড়ে তোলা
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৫ ২/১ পৃষ্ঠা ২৬-২৯

এটা কার দোষ?

প্রথম মানব আদম এই আদবকায়দা শুরু করেছিল। পাপ করার পর সে ঈশ্বরকে বলেছিল: “তুমি আমার সঙ্গিনী করিয়া যে স্ত্রী দিয়াছ, সে আমাকে ঐ বৃক্ষের ফল দিয়াছিল, তাই খাইয়াছি।” অর্থাৎ সে বলতে চাইছিল: “এটা আমার দোষ নয়!” প্রথম নারী হবা, সেই একই কাজ করেছিল যখন সে বলেছিল: “সর্প আমাকে ভুলাইয়াছিল, তাই খাইয়াছি।”—আদিপুস্তক ৩:১২, ১৩.

এইভাবে এদন উদ্যানের যে মঞ্চ তা এইভাবে সাজানো হয়েছিল যে মানুষ তার নিজের আচরণের ফলে, তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। আপনি কি কখনও এমন দোষ করেছেন? যখন সমস্যার মুখোমুখি হন, তখন কি আপনি তাড়াতাড়ি দোষটাকে অপরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন? অথবা আপনি কি পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করে দেখেন যে সত্য সত্য দোষী কে? দৈনন্দিন জীবনে, এটা খুবই সহজ যে নিজেদের ভুলের জন্য দোষ অপরের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বলা, “এটা তো আমার দোষ নয়!” আসুন আমরা কতকগুলি সাধারণ পরিস্থিতি বিবেচনা এবং লক্ষ্য করে দেখি যে কিছু লোকের প্রবণতা কী? আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, চিন্তা করে দেখা যে অনুরূপ পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন?

আর্থিক অনটন

“এটা আমার দোষ নয়—কিন্তু অর্থনৈতিক কাঠামোর, অসাধু ব্যবসায়ীদের ও জীবনধারনের জন্য যে উচ্চ মূল্য দিতে হয় তার জন্য,” অনেকে হয়ত এরকম বলতে পারে যখন একজন অত্যন্ত আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এই বিষয়গুলি কি সত্য সত্যই দায়ী? হয়তো অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিতর্কমূলক বা ফাট্‌কামূলক বাণিজ্য প্রকল্পতে লিপ্ত করতে পারে। কখনও কখনও লোভ একজনকে উদ্দেশ্য থেকে ভ্রষ্ট করতে পারে এবং লোকে নিজেদের অজানা ব্যবসাতে লিপ্ত হতে দেখতে পারে ও প্রতারকের কবলে পড়তে পারে। তারা এই প্রবাদবাক্যটি ভুলে যায়, “যদি কোনকিছুকে দেখে সত্যি সত্যিই ভাল মনে হয়, তাহলে তা ততোটা ভাল নাও হতে পারে যতটা মনে হয়।” তারা তাদের মনোমত উপদেশের অন্বেষণ করে বেড়ায়, কিন্তু যখন আর্থিক সঙ্কট দেখা দেয়, তখন তারা অন্য কার উপরে দোষ চাপাবে তার অন্বেষণ করে। দুর্ভাগ্যবশত, কখনও কখনও খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর মধ্যেও তা দেখা যায়।

এমনকি কেউ কেউ বোকার মত জাল বিনিয়োগ প্রকল্পতে জড়িয়ে পড়ে, যেমন একধরনের হীরে কেনা, যা আগে কেউ দেখেনি, টেলিভিশনের কোন জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করা, সরকারি প্রকল্পগুলিকে সহায়তা করা যেগুলি নিঃস্ব হয়ে গেছে। আর ধনসম্পদের জন্য অত্যধিক বাসনা হয়তো তাদের বাইবেলের উপদেশকে স্মরণ করতে ভুলিয়ে দিয়েছে: “যাহারা ধনী হইতে বাসনা করে, তাহারা পরীক্ষাতে ও ফাঁদে . . . পতিত হয়, . . . এবং অনেক যাতনারূপ কন্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।”—১ তীমথিয় ৬:৯, ১০.

অসংযতভাবে খরচ করেও একজন আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়তে পারে। কিছু লোকেরা মনে করে যে আধুনিক ফ্যাসনের পত্রিকায় চিত্রিত ব্যক্তিদের মত আধুনিক পোশাকে অপরকে দেখাতে হবে, ব্যয়বহুল ছুটি কাটাতে হবে, অভিনব রেষ্টুরেন্টে রাতের খাওয়া-দাওয়া করতে হবে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অত্যাধুনিক “খেলাধুলার সরজ্ঞাম” কিনতে হবে—আমোদপ্রমোদের জন্য যান, নৌকা, ক্যামেরা, স্টিরিও। অবশ্যই, কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে যথাসময়ে এগুলি পাওয়া সম্ভব, বিচক্ষণ পরিকল্পনা ও টাকা-পয়সা জমানোর দ্বারা। তবুও যারা এগুলি পাবার জন্য তাড়াহুড়ো করে, অবশেষে তারা দেখে যে তারা দারুনভাবে দেনায় জড়িয়ে পড়েছে। তারা যদি এসব করে, তাহলে সেটা কার দোষ? অবশ্যই, তারা হিতোপদেশ ১৩:১৮ পদের সুযুক্তিপূর্ণ উপদেশকে তুচ্ছ করেছে, “যে শাসন অমান্য করে, সে দরিদ্রতা ও লজ্জা পায়।”

শিশুসন্তানদের প্রতি হতাশা

“এটা প্রাচীনদের গাফিলতি, যার জন্য আমার ছেলে সত্য ছেড়ে চলে গেছে,” কিছু পিতামাতা হয়তো বলতে পারে। “তারা আমার শিশুসন্তানের প্রতি যথেষ্ট নজর দেয়নি।”

প্রাচীনদের দায়িত্ব আছে পালের যত্ন ও তত্ত্বাবধান করার, কিন্তু পিতামাতা সম্পর্কে কী বলা যেতে পারে? তারা কি অনুকরণীয়ভাবে তাদের সকল আচরণে ঈশ্বরের আত্মার ফল প্রদর্শন করে থাকে? নিয়মিতভাবে কি পারিবারিক বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করা হয়েছিল? পিতামাতারা কি যিহোবার সেবায় উদ্যোগ প্রদর্শন করেছিল ও তাদের সন্তানদের তা করতে সাহায্য করেছিল? তারা কি তাদের সন্তানদের সঙ্গীসাথী নির্বাচনের বিষয়ে সজাগ ছিল?

একইভাবে, একজন অভিভাবক হয়তো অনায়াসেই স্কুলের কাজকর্ম সম্পর্কে বলতে পারে: “এটা শিক্ষকের দোষ যে আমার ছেলে স্কুলে ভাল ফল করতে পারেনি। তারা আমার ছেলেকে পছন্দ করতো না। আর ওই স্কুলের গুণগত মান খুবই নিচু।” কিন্তু পিতা বা মাতা কি স্কুলের সঙ্গে ভালভাবে যোগাযোগ রেখেছিল? সেই পিতা বা মাতা কি তার শিশুসন্তানের পাঠ্যক্রম ও অধ্যয়নের বিষয়ে তাকে আগ্রহ যুগিয়েছিল? বাড়ির কাজের জন্য কি কোন তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল ও প্রয়োজনের সময়ে কি কোনরকম সহায়তা করা হয়েছিল? সমস্যাটি কি অভিভাবক অথবা সন্তানটির ব্যক্তিগত আচরণের জন্য, না তাদের অবহেলার ফল?

স্কুলের ব্যবস্থাকে দোষারোপ করার পরিবর্তে যদি অভিভাবকেরা সক্রিয় পদক্ষেপ নেয় সন্তানদের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে ও স্কুলে অধ্যয়নের যতটুকু ব্যবস্থা আছে, তার সদ্ব্যবহার করে, তাহলে সেটা আরও বেশি কার্যকারী হবে।

আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে তুলতে ব্যর্থ হওয়া

মাঝে মাঝে আমরা কাউকে বলতে শুনি: “আমার আরও আধ্যাত্মিকভাবে বলবান হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এটা আমার দোষ নয়। প্রাচীনেরা আমার প্রতি যথেষ্ট নজর দেয় না। আমার কোন বন্ধুবান্ধব নেই। এই মণ্ডলীর উপরে যিহোবার আত্মা আর কাজ করছে না।” ইতিমধ্যে এটা দেখা যায় যে মণ্ডলীতে অন্যদের বন্ধুবান্ধব রয়েছে, তারা সুখী এবং তারা দারুনভাবে আধ্যাত্মিক উন্নতি করছে; এবং মণ্ডলীতে যে আশীর্বাদ রয়েছে তা বোঝা যায় তার উন্নতি ও আত্মিক শ্রীবৃদ্ধি দেখে। তাহলে কেন কিছু ব্যক্তির সমস্যা থাকে?

অল্প কিছু ব্যক্তি আছে, যারা সেইসব ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হতে চায়, যারা নালিশ করে ও বিরুদ্ধ মনোভাব রাখে। তীক্ষ্ণ, আঘাতজনক কথাবার্তা ও বারংবার নালিশ সত্যই খুব নিরুৎসাহজনক হতে পারে। আধ্যাত্মিকভাবে নিমজ্জিত হতে চায় না বলে কেউ কেউ হয়তো এইসব ব্যক্তিদের সঙ্গে সামাজিক মেলামেশা সীমিত করে দিয়েছে। এমন ঘটনাকে মণ্ডলীর দোষ বলে ধরে নিয়ে একজন হয়তো এক মণ্ডলী হতে অন্য মণ্ডলীতে যায়, তারপর আবার অন্য এক মণ্ডলীতে ও এইভাবে পরিবর্তন করতে থাকে। আফ্রিকার সমভূমি অঞ্চলের ভ্রমণকারী পশুপালের ন্যায়, যারা সর্বদাই আরও ভাল পরিস্থিতির সুযোগ খুঁজে বেড়ায়, এইসব ভ্রমণকারী খ্রীষ্টানেরা সবসময়ে তাদের মনোমত মণ্ডলী খুঁজে বেড়ায়। কতই না সুখী হতে পারতো, যদি তারা অপরের মধ্যে ভাল গুণের অন্বেষণ না করে নিজেদের জীবনে ঈশ্বরের আত্মার ফলগুলি আরও ভালভাবে প্রদর্শন করার প্রয়াস করতো!—গালাতীয় ৫:২২, ২৩.

কিছু লোকেরা বিশেষ প্রচেষ্টার দ্বারা এমন করে থাকে, যেমন কিংডম হলের প্রতিটি সভাতে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে তাদের একটি ভাল গুণের জন্য আন্তরিকভাবে প্রশংসা করে। তা হতে পারে তার ছেলেমেয়েদের উত্তম আচরণ, খ্রীষ্টীয় সভাতে নিয়মানুবর্তিতা, প্রহরীদুর্গ অধ্যয়নে মার্জিত উত্তর, মণ্ডলীর বুকস্টাডি ও ক্ষেত্রের পরিচর্যার সভা এবং নিজের গৃহ ছেড়ে দেওয়ার জন্য এবং অন্যান্য কাজের জন্য। এটাই আপনার লক্ষ্য স্থাপন করুন যে, অসিদ্ধতারূপ মেঘে ঢেকে যাওয়ার অপরপ্রান্তে উকি মেরে তাকিয়ে আপনার খ্রীষ্টীয় ভাইবোনেদের মহৎ গুণগুলিকে দেখার চেষ্টা করলে আপনি অবশ্যই তাদের মহৎ আদর্শকে আবিষ্কার করতে পারবেন। এটাই আপনাকে তাদের কাছে প্রিয়তর করে তুলবে এবং আপনি দেখবেন যে আপনার আর বিশ্বস্ত বন্ধুর অভাব নেই।

শেষ অজুহাত

“এটাই ঈশ্বরের ইচ্ছা।” “দিয়াবলের উপরে দোষ চাপিয়ে দাও।” শেষ অজুহাত হিসাবে আমরা হয়ত ঈশ্বর অথবা দিয়াবলের উপরে আমাদের নিজেদের ব্যর্থতা চাপিয়ে দিই। এটা সত্য যে ঈশ্বর অথবা শয়তান হয়ত আমাদের জীবনের কিছু ঘটনাকে প্রভাবিত করতে পারে। যাইহোক, কিছু লোকের এটাই বিশ্বাস যে তাদের জীবনের প্রতিটি ঘটনাই, ভাল অথবা মন্দ, তাতে ঈশ্বর অথবা শয়তানের হস্তক্ষেপ আছে। এটা তারা কখনই মনে করে না যে কোন কিছুই তাদের নিজেদের ভুলের জন্য হয়েছে। “ঈশ্বর যদি চান যে এই নতুন গাড়িটা আমার হোক, তাহলে তিনি দেখবেন যে সেটা আমি পেয়েছি।”

এইধরনের ব্যক্তিরা তাদের জীবনকে যথেচ্ছভাবে অতিবাহিত করে, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ে এমনভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে মনে করে ঈশ্বর সর্বদা তাদের রক্ষা করবেন। যদি তাদের অবিচক্ষণতাপূর্ণ বিবেচনার জন্য বিপদ আসে, তা সে আর্থিক বা অন্য যাই হোক না কেন, তারা দিয়াবলকে দোষী করে। ‘মূল্যায়ণ’ না করে হঠাৎ কিছু করে ফেলা ও তারপরে সেই ভুলের জন্য দিয়াবলকে দোষী করা ও তার চেয়ে আরও জঘন্য হল যিহোবা তাতে হস্তক্ষেপ করবেন বলে আশা করা হল শুধুমাত্র ঝুঁকি নেওয়া নয়, সেটা শাস্ত্রবিরুদ্ধও।—লূক ১৪:২৮, ২৯.

শয়তান যীশুকে এইরকমভাবে চিন্তা করতে এবং তার কাজের ফলাফলের দায়িত্ব সম্পর্কে চিন্তা না করতে প্রলুব্ধ করেছিল। দ্বিতীয় প্রলোভনটি সম্পর্কে মথি ৪:৫-৭ জানায়: “দিয়াবল তাঁহাকে পবিত্র নগরে লইয়া গেল, এবং ধর্ম্মধামের চূড়ার উপরে দাঁড় করাইল, আর তাঁহাকে কহিল, ‘তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্ত্র হও, তবে নীচে ঝাঁপ দিয়া পড়, কেননা লেখা আছে, “তিনি আপন দূতগণকে তোমার বিষয়ে আজ্ঞা দিবেন, আর তাঁহারা তোমাকে হস্তে করিয়া তুলিয়া লইবেন, পাছে তোমার চরণে প্রস্তরের আঘাত লাগে।”’” যীশু বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি আশা করতে পারেন না যে যিহোবা তার এই বোকার মত সিদ্ধান্তে, অর্থাৎ আত্মহত্যার চেষ্টাতে হস্তক্ষেপ করবেন। সেইজন্য তিনি উত্তরে বলেছিলেন: “লেখা আছে, তুমি আপন ঈশ্বর প্রভুর পরীক্ষা করিও না।”

যারা তাদের নিজেদের আপত্তিজনক আচরণের জন্য দিয়াবল অথবা ঈশ্বরকে দোষী বানাবার প্রবণতা রাখে, তারা জ্যোতিষীর অনুগামীদের সমতুল্য, যারা নক্ষত্রগুলিকে ঈশ্বর অথবা দিয়াবলের পরিপূরকরূপে ব্যবহার করে। প্রায় সমস্তকিছুই যা ঘটে থাকে, তা তাদের আয়ত্তের বাইরে, এবিষয়ে দৃঢ়নিশ্চিত হওয়া সত্ত্বেও তারা গালাতীয় ৬:৭ পদের অতি সাধারণ নীতিটিকে উপেক্ষা করে: “মনুষ্য যাহা কিছু বুনে, তাহাই কাটিবে।”

বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া

কেউই সন্দেহ করে না যে আমরা এক অসিদ্ধ জগতে বাস করছি। এখানে যে সব সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি বাস্তব। লোকে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সুযোগ নেবে। কিছু নিয়োগকারীরা আমাদের প্রতি অসৎ আচরণ করবে। অল্পপরিচিত ব্যক্তিরা হয়তো আমাদের শিশুসন্তানদের ভুল কাজে প্রভাবিত করবে। কিছু স্কুল ও শিক্ষকদের উন্নতিসাধন করা প্রয়োজন। প্রাচীনেরা কখনও অতিরিক্ত প্রেমময় ও উদ্বিগও হতে পারেন। কিন্তু আমাদের অসিদ্ধতার প্রভাব সম্পর্কে স্বীকার করতে হবে ও তা যেমন বাইবেল দেখায়: “সমস্ত জগৎ সেই পাপাত্মার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে।” সুতরাং এটা আশা করা উপযুক্ত নয় যে আমাদের জীবনের পথ সকল সব সময়ের জন্য মসৃণ হবে।—১ যোহন ৫:১৯.

এছাড়াও, আমাদের নিজেদের অসিদ্ধতা ও সামর্থ সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে এবং উপলব্ধি করতে হবে যে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সমস্যাগুলির মূল কারণ হল আমাদের নিজেদের ভুলভ্রান্তি। পৌল রোমের খ্রীষ্টানদের উপদেশ দিয়েছিলেন: “আমি তোমাদের মধ্যবর্ত্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক।” (রোমীয় ১২:৩) এই উপদেশটি বর্তমান দিনের জন্যও একইভাবে প্রযোজ্য। যখন আমাদের জীবনে সবকিছু ঠিকভাবে যায় না, তখন আমরা তৎক্ষণাৎ আমাদের পূর্বপুরুষদের, আদম-হবার আচরণ অনুসরণ করবো না ও এও বলবো না: “এটা আমার দোষ নয়!” পরিবর্তে, আমরা নিজেদেরকে প্রশ্ন করবো: ‘আমি আর কিভাবে এটা করতে পারতাম, যাতে এমন খারাপ ফল হয়তো হতো না? আমি কি সঠিক সিদ্ধান্ত এবং কোন বুদ্ধিমানের পরামর্শ নিয়েছিলাম? আমি কি অপরকে সম্মান ও উপকারজনক কিছু বলেছিলাম?

আমরা যদি থ্রীষ্টীয় নীতি ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে আমাদের অনেক বন্ধু থাকবে ও সমস্যা হবে অল্প। আমাদের জীবনের অনেক অহেতুক সমস্যারই সুরাহা হয়ে যাবে। আমরা অপরের প্রতি আচরণে আনন্দ পাব এবং এই প্রশ্নের দ্বারা সংক্রামিত হবো না: “এটা কার দোষ?”

[Pictures on page 28]

পিতামাতারা তাদের শিশুসন্তানদের আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধিলাভে সাহায্য করার জন্য অনেক কিছুই করতে পারেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার