স্মরণার্থক সভা—মহান গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা!
১ ২৩শে মার্চ, রবিবার, সূর্যাস্তের পর, আমরা খ্রীষ্টের মৃত্যুর স্মরণার্থক সভা উদ্যাপন করব। (লূক ২২:১৯) সত্যই এটি মহান গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা! মৃত্যু পর্যন্ত যিহোবার প্রতি তাঁর বিশ্বস্ততা বজায় রাখার দ্বারা, যীশু প্রমাণ করেছিলেন যে, এমনকি নিদারুণ চাপের মধ্যেও একজন মনুষ্যের পক্ষে নিঁখুত ঈশ্বরীয় ভক্তি বজায় রাখা সম্ভব আর এইভাবে তিনি যিহোবার সার্বভৌমত্বের যথার্থতাকে উচ্চীকৃত করেছিলেন। (ইব্রীয় ৫:৮) এছাড়াও, খ্রীষ্টের মৃত্যু মানবজাতির মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধ মনুষ্য বলিদান সরবরাহ করেছিল এটি সম্ভব করে যে, যারা বিশ্বাস অনুশীলন করে তারা অনন্তকালীনভাবে বেঁচে থাকবে! (যোহন ৩:১৬) স্মরণার্থক সভায় উপস্থিত হয়ে, আমরা যিহোবার প্রেম এবং আমাদের জন্য যীশুর বলিদান, উভয়ের প্রতি আমাদের আন্তরিক উপলব্ধি প্রদর্শন করতে পারি।
২ আমাদের সকলকে বাইবেল-পাঠ কার্যক্রমটি যেটি মার্চ ১৮-২৩-এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে, যেমন যিহোবার সাক্ষীদের ১৯৯৭ সালের ক্যালেন্ডার-এ উল্লেখিত হয়েছে। এছাড়াও, সর্বমহান পুরুষ যিনি কখনও জীবিত ছিলেন বইটির ১১২-১৬ অধ্যায়ের উপর এক পারিবারিক আলোচনা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহটির উপর আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করবে।
৩ ক্ষেত্র পরিচর্যায় যে সময় আপনি ব্যয় করেন, স্মরণার্থক মরশুমে তা কি আপনি বৃদ্ধি করতে পারেন? সহায়ক অগ্রগামী হিসাবে কাজ করে অনেক প্রকাশকই মার্চ মাসে পাঁচটি সপ্তাহ শেষের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করবেন। তাদের মধ্যে একজন হোন না কেন? স্মরণার্থক সভায় যোগদানের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই পূর্ণ অংশ থাকতে পারে। যেহেতু এটি রবিবারে পড়ছে, তাই অনেকের পক্ষে তাতে যোগদান করা সহজতর হবে। আমাদের সাথে যোগ দিতে সকল বাইবেল ছাত্রদের এবং অন্যান্য আগ্রহী ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাতে নিশ্চিত হোন। বছরের সেই একটি দিন যেটি বিশেষভাবে উদ্যাপিত হয়ে থাকে, সেই সম্বন্ধে জ্ঞান বইয়ের পৃষ্ঠা ১২৭, অনুচ্ছেদ ১৮-এ যা বলা হয়েছে সেটি তাদের সাথে ভাগ করে নিন।
৪ যীশুর মৃত্যু আমাদের জন্য যে অর্থ রাখে তার প্রতি গভীর উপলব্ধিসহ ১৯৯৭ সালের এই সর্বমহান ঘটনাটির সমীপবর্তী হোন। ২৩শে মার্চের সন্ধ্যায় উপস্থিত হোন, যখন সর্বত্র সত্য খ্রীষ্টানেরা বিশ্বস্ততার সাথে স্মরণার্থক সভা উদ্যাপন করে।