নতুন বিশেষ অধিবেশন দিন কার্যক্রম
নতুন পরিচর্যা বছরের বিশেষ অধিবেশন দিন কার্যক্রমের বিষয়বস্তুর এক দৃঢ় শাস্ত্রীয় ভিত্তি রয়েছে: “ঈশ্বরের বশীভূত হোন—দিয়াবলের প্রতিরোধ করুন।” (যাকোব ৪:৭) এই সংকটময় সময়ের জন্য এটা উপকারী নির্দেশনা! ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলো মেনে চলি বলে আমরা সরাসরি শয়তানের আক্রমণের মুখোমুখি হই। কার্যক্রম আমাদেরকে শেখাবে যে বিশ্বাস-নষ্ট করার জন্য দিয়াবলের মন্দ চাতুরীগুলোর বিরুদ্ধে আমরা কীভাবে অটল হতে পারি। এই অধিবেশনে আমরা যে আধ্যাত্মিক রত্নগুলো পাব তার কয়েকটা কী?
“পরিবারের সদস্য হিসেবে ঈশ্বরের প্রতি বশ্যতা দেখানো” কীভাবে জগতের চাপগুলোকে প্রতিরোধ করতে পরিবারগুলোকে শক্তিশালী করে, সীমা অধ্যক্ষ তা দেখাবেন। অতিথি বক্তার ওই দিনের প্রথম বক্তৃতা “দিয়াবলের প্রতিরোধ করা বলতে যা বোঝায়” ব্যাখ্যা করবে যে আমাদের আধ্যাত্মিকতাকে নষ্ট করার জন্য শয়তানের লক্ষ্যগুলোকে প্রতিরোধ করতে কেন এবং কীভাবে আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। দুটো বক্তৃতা বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যাদেরকে দিয়াবলের চাতুরীগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক অনেক খ্রীষ্টান যুবক বয়সে জগতের অভিলাষগুলোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তাদের কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শুনতে আমাদের ভাল লাগবে।
কর্তৃপক্ষের বশীভূত বলতে যাদেরকে নিয়ে মানব সমাজ গঠিত তাদের সকলের বশীভূত হওয়াকে বোঝায়। তাই, অতিথি বক্তার শেষ বক্তৃতা চারটে ক্ষেত্রের প্রতি আলোকপাত করবে, যেখানে আমাদেরকে ঈশ্বরের প্রতি বশ্যতা দেখাতে হবে: (১) সরকারের প্রতি, (২) মণ্ডলীতে, (৩) চাকরির জায়গায় এবং (৪) পারিবারিক গণ্ডির মধ্যে। কত ব্যবহারিক এক কার্যক্রম!
এই বিশেষ অধিবেশন দিনে যারা বাপ্তিস্ম নিতে চান, তাদের যত শীঘ্রি সম্ভব পরিচালক অধ্যক্ষকে তা জানানো দরকার। আমাদের সকলের এই কার্যক্রমের তারিখ ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখা এবং অধিবেশনের পুরো কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা করা উচিত। আমরা যদি চিরকাল যিহোবার বশীভূত থাকি, তাহলে আমাদের আশীর্বাদগুলোও অনন্তকালীন হবে।