আপনার আধ্যাত্মিক চাহিদাকে মেটান
১ আমাদের আসন্ন “উদ্যোগী রাজ্য ঘোষণাকারীরা” জেলা সম্মেলন, আধ্যাত্মিক চাহিদা মেটানোর জন্য এক অপূর্ব সুযোগ দেয়। স্বাস্থ্যকর এক ভোজনের মতো, এই কার্যক্রম আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে ‘বিশ্বাসের বাক্য’ দ্বারা পুষ্টিবিধান করার প্রতিজ্ঞা করে। (১ তীম. ৪:৬) এটা আমাদের যিহোবার আরও নিকটবর্তী হতে সাহায্য করবে। আর আমাদের জীবনের পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করার জন্য আমরা পরামর্শ ও উৎসাহ পাওয়ার আশা করতে পারি। যিহোবা আমাদের আশ্বাস দেন: “আমি তোমাকে বুদ্ধি দিব, ও তোমার গন্তব্য পথ দেখাইব, তোমার উপরে দৃষ্টি রাখিয়া তোমাকে পরামর্শ দিব।” (গীত. ৩২:৮) আমাদের জীবনে তাঁর প্রেমময় নির্দেশনা থাকায় আমরা কতই না আশীর্বাদপ্রাপ্ত! সম্মেলনের কার্যক্রম থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে আমরা যে-ব্যবহারিক পদক্ষেপগুলো নিতে পারি, সেগুলো বিবেচনা করুন।
২ আমাদের হৃদয়কে প্রস্তুত করা দরকার: আমাদের প্রত্যেকের নিজের রূপক হৃদয়কে রক্ষা করার দায়িত্ব রয়েছে। (হিতো. ৪:২৩) এর জন্য আমাদের আত্ম-শাসনের এবং নিজেদের কাছে আমাদের সৎ থাকা দরকার। সম্মেলন হল যিহোবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিষয় ধ্যান করার সময়, ‘হেঁট হইয়া স্বাধীনতার সিদ্ধ ব্যবস্থায় দৃষ্টিপাত করিবার’ সময়। ‘রোপিত বাক্য গ্রহণ করিতে’ আমাদের হৃদয় প্রস্তুত করার জন্য আমাদের হৃদয়কে পরীক্ষা করতে, সংশোধন করার দরকার এমন যেকোন “দুষ্টতার পথ” আমাদের মধ্যে আছে কি না তা খুঁজে বের করতে এবং “সনাতন পথে” আমাদের গমন করাতে যিহোবার কাছে আমাদের আন্তরিকভাবে অনুরোধ করা উচিত।—যাকোব ১:২১, ২৫; গীত. ১৩৯:২৩, ২৪.
৩ শুনুন ও ধ্যান করুন: যীশুর কথায় গভীর মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি এই বলে মরিয়মের প্রশংসা করেছিলেন: “মরিয়ম সেই উত্তম অংশটী মনোনীত করিয়াছে, যাহা তাহার নিকট হইতে লওয়া যাইবে না।” (লূক ১০:৩৯, ৪২) আমাদেরও যদি সেই একই মনোভাব থাকে, তা হলে আমরা ছোটখাটো বিষয়গুলোকে আমাদের অন্যমনস্ক হওয়ার সুযোগ দেব না। আমরা এই বিষয়টাকে নিশ্চিত করব যে, আমরা পুরো কার্যক্রমে বসে আছি এবং মন দিয়ে কার্যক্রম শুনছি। আমরা অপ্রয়োজনীয়ভাবে কথা বলা অথবা চলাফেরা করা এড়িয়ে চলব এবং সেলুলার ফোন, পেজার, ক্যামেরা এবং ক্যামকোরডার দ্বারা অন্যদের মনোযোগ বিঘ্নিত না করার ব্যাপারে সতর্ক থাকব।
৪ আমরা যখন বক্তৃতাগুলো শুনি, তখন সংক্ষেপে নোট নেওয়া ভাল কারণ সেটা আমাদের বিষয়বস্তু কীভাবে আলোচনা করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে। আমরা যা শুনি এবং ইতিমধ্যেই আমরা যা জানি তার মধ্যে আমাদের সম্পর্কযুক্ত করা উচিত। এটা আমাদের বিষয়বস্তুকে বুঝতে ও মনে রাখতে সাহায্য করবে। আমাদের নোটগুলো পুনরালোচনা করার সময়, কীভাবে বিষয়বস্তুকে কাজে লাগানো যায় সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের তা করা উচিত। আমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞেস করতে পারি: ‘এটা কীভাবে যিহোবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করে? আমার জীবনে কী কী রদবদল করার দরকার আছে? অন্যদের সঙ্গে আমাদের আচারব্যবহারের ক্ষেত্রে এই তথ্যকে কীভাবে আমি কাজে লাগাতে পারি? আমার পরিচর্যায় কীভাবে আমি এটাকে ব্যবহার করতে পারি?’ যে-বিষয়গুলো আমরা বিশেষভাবে উপলব্ধি করি, অন্যদের সঙ্গে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। এগুলো করা আমাদের যিহোবার কথাগুলোকে ‘আমাদের হৃদয়মধ্যে রাখিতে’ সাহায্য করবে।—হিতো. ৪:২০, ২১.
৫ আমরা যা শিখি, আসুন সেটাকে কাজে লাগাই: একটা জেলা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর, একজন প্রতিনিধি বলেছিলেন: “কার্যক্রমটা একেবারে নিজের মতো ছিল, একজনকে তার হৃদয়ের অবস্থা এবং তার পরিবারের সদস্যদের হৃদয় পরীক্ষা করে দেখতে প্রেরণা দিয়েছিল এবং প্রয়োজনীয় প্রেমময় শাস্ত্রীয় সাহায্য দান করেছিল। এটা আমাকে আমার দায়িত্বের বিষয়ে আরও বেশি সচেতন করেছিল, মণ্ডলীর কাজে আরও বেশি করে সাহায্য দান করতে প্রেরণা দিয়েছিল।” সম্ভবত আমাদের অনেকেই একইরকম মনে করেছে। কিন্তু সম্মেলন থেকে উৎসাহ পেয়ে এবং সতেজ হয়ে ফিরে যাওয়াই আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়। যীশু বলেছিলেন: “এ সকল যখন তোমরা জান, ধন্য তোমরা, যদি এ সকল পালন কর।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (যোহন ১৩:১৭) ব্যক্তিগতভাবে যে-বিষয়গুলো আমাদের প্রতি প্রযোজ্য সেগুলো অধ্যবসায়ের সঙ্গে আমাদের অভ্যাস করতে হবে। (ফিলি. ৪:৯) আমাদের আধ্যাত্মিক চাহিদাকে পুরোপুরিভাবে মেটানোর এটাই হল চাবি।
[৫ পৃষ্ঠার বাক্স]
আপনি যা শোনেন তা নিয়ে ধ্যান করুন:
■ যিহোবার সঙ্গে আমার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা কেমন প্রভাব ফেলে?
■ অন্যদের সঙ্গে আমার আচারব্যবহারের ক্ষেত্রে এটা কেমন প্রভাব ফেলে?
■ কীভাবে এটাকে আমি আমার জীবনে এবং এবং আমার পরিচর্যায় কাজে লাগাতে পারি?