আসুন আমরা আমাদের কৃতজ্ঞতা দেখাই ১৭ এপ্রিলে স্মরণার্থ সভা উদ্যাপন করা হবে
১. স্মরণার্থ মরসুমে গীতরচকের কোন অনুভূতি বিশেষ করে উপযুক্ত?
১ যিহোবার করুণা এবং উদ্ধার সম্বন্ধীয় অনেক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত গীতরচক জিজ্ঞেস করেছিলেন: “আমি সদাপ্রভু হইতে যে সকল মঙ্গল পাইয়াছি, তাহার পরিবর্ত্তে তাঁহাকে কি ফিরাইয়া দিব?” (গীত. ১১৬:১২) আজকে, ঈশ্বরের দাসদের কৃতজ্ঞ হওয়ার এমনকী আরও কারণ রয়েছে। অনুপ্রাণিত এই কথাগুলো লেখার বহু শতাব্দী পর, যিহোবা মানবজাতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার—মুক্তির মূল্য—প্রদান করেছিলেন। ১৭ এপ্রিল খ্রিস্টের মৃত্যু উদ্যাপন করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়, আমাদের কৃতজ্ঞতা দেখানোর উত্তম কারণ রয়েছে।—কল. ৩:১৫.
২. মুক্তির মূল্যের জন্য আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়ার কয়েকটা কারণ কী?
২ মুক্তির মূল্যের আশীর্বাদগুলো: মুক্তির মূল্যের মাধ্যমে আমরা “পাপের মোচন” বা ক্ষমা লাভ করতে পারি। (কল. ১:১৩, ১৪) এটা আমাদেরকে এক শুদ্ধ বিবেক নিয়ে যিহোবাকে উপাসনা করতে সমর্থ করে। (ইব্রীয় ৯:১৩, ১৪) আমরা যখন প্রার্থনায় যিহোবার কাছে আসি, তখন আমরা তাঁর সঙ্গে সাহসপূর্বক বা নির্দ্বিধায় কথা বলা উপভোগ করতে পারি। (ইব্রীয় ৪:১৪-১৬) যারা মুক্তির মূল্যে বিশ্বাস করে, তাদের অনন্তজীবনের অপূর্ব আশা রয়েছে!—যোহন ৩:১৬.
৩. কীভাবে আমরা মুক্তির মূল্যের জন্য যিহোবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা দেখাতে পারি?
৩ কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করুন: আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করার একটা উপায় হল, প্রতিদিন স্মরণার্থের বাইবেল পাঠ বিবেচনা করা ও সেটা নিয়ে ধ্যান করা। এ ছাড়া, মুক্তির মূল্যকে আমরা যে কতখানি মূল্যবান বলে মনে করি, তা আমরা আন্তরিক প্রার্থনার মাধ্যমেও যিহোবাকে বলতে পারি। (১ থিষল. ৫:১৭, ১৮) যিশুর আদেশের বাধ্য হয়ে স্মরণার্থ সভায় আমাদের উপস্থিত থাকা দেখায় যে, আমরা কৃতজ্ঞ। (১ করি. ১১:২৪, ২৫) অধিকন্তু, আমরা যিহোবার অগাধ প্রেমকে অনুকরণ করতে এবং যত জনকে সম্ভব আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারি।—যিশা. ৫৫:১-৩.
৪. আমাদের দৃঢ়সংকল্প কী হওয়া উচিত?
৪ যিহোবার কৃতজ্ঞ দাসেরা স্মরণার্থ সভাকে শুধুমাত্র আরেকটা সভা বলেই গণ্য করবে না। এটা হল বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভা! স্মরণার্থ সভা এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দৃঢ়সংকল্প যেন গীতরচকের মতো হয়, যিনি লিখেছিলেন: “হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর, তাঁহার সকল উপকার ভুলিয়া যাইও না।”—গীত. ১০৩:২.