ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • বাইবেল আমাদের দিনের জরুরি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বাইবেল আমাদের দিনের জরুরি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কেন ঈশ্বর দুঃখকষ্ট ভোগ করতে দেন?
  • জীবনের উদ্দেশ্য কী?
  • ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে যা আশা করেন
  • আমাদের পথের নির্ভরযোগ্য আলো
  • জীবনের এক মহান উদ্দেশ্য আছে
    জীবনের উদ্দেশ্য কী? আপনি কিভাবে তা পেতে পারেন?
  • কেন ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
  • একজন ঈশ্বর কি আছেন যিনি যত্ন নেন?
    একজন ঈশ্বর কি আছেন যিনি যত্ন নেন?
  • যিহোবা উদ্দেশ্যময় ঈশ্বর
    ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭

বাইবেল আমাদের দিনের জরুরি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়

আজকে কি বাইবেল কোন কাজে লাগে? এর উত্তরকে যদি হ্যাঁ করতে হয়, তাহলে অবশ্যই এই পুরনো বইকে এর পাঠকদের সেইসমস্ত বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হবে যা আজকে কাজে লাগে ও লোকেদের আগ্রহ জাগায়। বাইবেল কি সেইসব বিষয়ে কোন উপকারী পরামর্শ দেয় যা আজকের জগতের জন্য আসলেই জরুরি?

আসুন এই সম্বন্ধে আজকের পৃথিবীতে ঘটে চলা দুটো বিষয় দেখা যাক। আর তা দেখার সময় আমরা পরীক্ষা করব যে এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

কেন ঈশ্বর দুঃখকষ্ট ভোগ করতে দেন?

আজকের জগতের অবস্থা দেখে অনেকেই এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেন: কেন ঈশ্বর নির্দোষ লোকেদেরকে দুঃখকষ্ট ভোগ করতে দেন? আর যেহেতু দিনের পর দিন আরও বেশি লোক হিংস্রতা, অপরাধ, দুর্নীতি, গণহত্যা, দুর্দশা এবং এরকম আরও অন্যান্য বিষয়ের মুখোমুখি হয়েছেন, তাই এই প্রশ্নটা খুব সহজেই মনে আসে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৯৮ সালের জুন মাসে উত্তর জার্মানির এক সেতুর ওপর একটা ট্রেন দুর্ঘটনায় একশ জনেরও বেশি যাত্রী মারা গিয়েছিল। অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং দমকল বাহিনীর কর্মীরা পর্যন্ত সেই দুর্ঘটনায় আহত ও মৃত লোকেদের দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন। ইভেঞ্জেলিক গির্জার এক বিশপ বলেছিলেন: “হে ঈশ্বর, কেন এরকম হয়?” সেই বিশপ তার প্রশ্নের কোন উত্তর পাননি।

অভিজ্ঞতা দেখায় যে নির্দোষ লোকেরা যখন তাদের দুর্দশার কোন কারণ খুঁজে না পান, তখন কখনও কখনও তারা বিরক্ত হয়ে পড়েন। এখানেই বাইবেল আমাদের সাহায্য করতে পারে কারণ এটা ব্যাখ্যা করে যে কেন নির্দোষ লোকেরা দুষ্টতা ও দুঃখকষ্ট ভোগ করছে।

যিহোবা ঈশ্বর যখন পৃথিবী এবং সমস্তকিছু সৃষ্টি করেছিলেন তখন তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না যে মানুষ দুষ্টতা ও দুঃখকষ্ট ভোগ করে। আমরা কীভাবে তা জানতে পারি? কারণ সমস্তকিছু সৃষ্টির পর, “ঈশ্বর আপনার নির্ম্মিত বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টি করিলেন, আর দেখ, সে সকলই অতি উত্তম।” (আদিপুস্তক ১:৩১) নিজেকে জিজ্ঞেস করুন ‘আমি যদি কোন কিছুতে দুষ্টতা দেখতে পাই, তাহলে আমি কি সেটাকে “অতি উত্তম” বলতে পারি?’ কখনই না! একইভাবে ঈশ্বর যখন বলেছিলেন যে সমস্তকিছু “অতি উত্তম” তখন পৃথিবীতে দুষ্টতার চিহ্ন মাত্র ছিল না। তাহলে কখন এবং কীভাবে দুষ্টতা শুরু হয়েছিল?

আমাদের প্রথম পিতামাতা আদম ও হবাকে সৃষ্টি করার কিছু পরেই এক শক্তিশালী আত্মিক প্রাণী হবার কাছে এসেছিল এবং যিহোবার সার্বভৌমত্বের ন্যায্যতা এবং বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। (আদিপুস্তক ৩:১-৫) এই প্রাণী, শয়তান দিয়াবল পরে অভিযোগ করেছিল যে দুর্দশার মধ্যে মানুষেরা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে না। (ইয়োব ২:১-৫) যিহোবা কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেনে? তিনি সময় দিয়েছিলেন যাতে করে এটা প্রমাণ হয়ে যায় যে ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে মানুষ কখনও সফলভাবে তাদের পাদবিক্ষেপ স্থির করতে পারে না। (যিরমিয় ১০:২৩) যখনই মানুষ ঈশ্বরের আইন এবং নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে, তারা পাপ করে যা দুঃখজনক অবস্থা নিয়ে আসে। (উপদেশক ৮:৯; ১ যোহন ৩:৪) কিন্তু যিহোবা জানেন যে এই মন্দ পরিস্থিতি সত্ত্বেও কিছু মানুষ তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে।

এদনের সেই শোচনীয় বিদ্রোহের পর প্রায় ৬,০০০ বছর কেটে গেছে। এটা কি অনেক বেশি সময়? যিহোবা কয়েকশ বছর আগেই শয়তান এবং তার সঙ্গীদের ধ্বংস করে দিতে পারতেন। কিন্তু যিহোবার সার্বভৌমত্বের ন্যায্যতা এবং তাঁর প্রতি মানুষের আনুগত্যের বিষয়ে সমস্ত সন্দেহ পুরোপুরি দূর হওয়া পর্যন্ত সময় দেওয়া কি ভাল হয়নি? আজকের বিচার ব্যবস্থাতেও কে ঠিক আর কে ভুল তা প্রমাণ করার জন্য আদালত কি বছরের পর বছর সময় নেয় না?

নিখিল বিশ্বের সার্বভৌমত্ব এবং মানবজাতির আনুগত্য নিয়ে যিহোবা এবং মানুষেরা যে গুরুত্বপূর্ণ বিচার্য বিষয়গুলোর মুখোমুখি হয়েছেন তার মীমাংসার জন্য ঈশ্বর যে সময় দিয়েছেন তা কতই না বিজ্ঞতার কাজ! এখন আমরা কত ভালভাবেই না দেখতে পাই যে মানুষেরা যখন ঈশ্বরের আইনের অবাধ্য হয় এবং তাদের নিজেদের ইচ্ছা মতো চলে তখন কী হয়। এর ফল হয় শুধুই দুষ্টতা। আর সেই কারণেই অনেক নির্দোষ লোকেরা আজকে দুঃখকষ্ট ভোগ করছে।

কিন্তু আনন্দের বিষয় হল, ঈশ্বরের বাক্য দেখায় যে দুষ্টতা চিরকালের জন্য থাকবে না। কারণ খুব শীঘ্রই যিহোবা দুষ্টতা এবং দুষ্টদের শেষ করে দেবেন। হিতোপদেশ ২:২২ পদ বলে “দুষ্টগণ দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইবে, বিশ্বাসঘাতকেরা তথা হইতে উন্মূলিত হইবে।” অন্যদিকে যারা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত তারা ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন যা খুবই কাছে যখন “মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪.

অতএব বাইবেল পরিষ্কার করে বলে যে কেন নির্দোষ লোকেরা দুঃখকষ্ট ভোগ করছে। এছাড়াও এটা আমাদের নিশ্চয়তা দেয় যে দুষ্টতা এবং দুঃখকষ্ট খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যেহেতু আমরা এখন কষ্ট ভোগ করছি তাই আমাদের আরেকটা জরুরি প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার।

জীবনের উদ্দেশ্য কী?

ইতিহাসের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে হয়তো এখন লোকেরা জীবনের উদ্দেশ্য আরও বেশি করে খুঁজছে। অনেকেই নিজেকে জিজ্ঞেস করেন ‘কেন আমি বেঁচে আছি? কীভাবে আমি আমার জীবনের মানে খুঁজে পেতে পারি? বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি তাদের মনে এই প্রশ্নগুলো এনে দেয়।

ব্যক্তিগত দুঃখ হয়তো কোন ব্যক্তির জীবনকে শেষ করে দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৯৮ সালে জার্মানির বেভারিয়ায় বারো বছরের একটা মেয়েকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল। এক বছর পর তার মা বলেছিলেন যে তিনি প্রতিদিন জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজেছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কিছু যুবক-যুবতীরা চিন্তা করে যে জীবনের মানে কী। তারা নিরাপত্তা, সার্থকতা, আন্তরিক সম্পর্ক খোঁজে কিন্তু শুধুই ভন্ডামি এবং দুর্নীতি দেখে হতাশ হয়। অন্যেরা তাদের জীবিকাকে ঘিরে জীবন গড়ে তোলেন কিন্তু কিছু সময় পরে তারাও দেখেন যে ক্ষমতা, খ্যাতি এবং সম্পদ তারা কেন বেঁচে আছেন তা জানার ইচ্ছাকে মেটাতে পারেনি।

যা কিছুই একজন ব্যক্তিকে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজতে বাধ্য করুক না কেন এই প্রশ্নের সঠিক এবং সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া দরকার। আবারও বাইবেল অনেক উপকারী হতে পারে। এটা দেখায় যে যিহোবা হলেন উদ্দেশ্যময় ঈশ্বর এবং তিনি যা কিছুই করেন তার সবকিছুর পিছনে উপযুক্ত কারণ রয়েছে। আমরা আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি, আপনি কি কোন কারণ ছাড়াই একটা বাড়ি তৈরি করবেন? হয়তো না, কারণ একটা বাড়ি তৈরি করতে অনেক টাকা লাগে এবং কয়েক মাস বা বছর লেগে যায়। আপনি একটা বাড়ি তৈরি করেন যেন আপনি অথবা অন্য কেউ সেখানে থাকতে পারেন। একই যুক্তি যিহোবার বেলায়ও খাটে। কোন কারণ বা উদ্দেশ্য ছাড়া তিনি কখনোই এই পৃথিবী এবং এর ভিতরে যে জীব জগৎ আছে সেগুলোকে সৃষ্টি করেননি। (ইব্রীয় ৩:৪ পদের সঙ্গে তুলনা করুন) তাহলে পৃথিবীর জন্য তাঁর উদ্দেশ্য কী?

যিশাইয়ের ভবিষ্যদ্বাণী দেখায় যে যিহোবা “স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্ম্মাণ করিয়াছেন।” সত্যিই তিনি “তাহা স্থাপন করিয়াছেন, ও অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া বাসস্থানার্থে নির্ম্মাণ করিয়াছেন।” (যিশাইয় ৪৫:১৮) হ্যাঁ, যখন পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছিল তখন থেকেই যিহোবার উদ্দেশ্য ছিল যে এখানে বসবাস করা হবে। গীতসংহিতা ১১৫:১৬ পদ বলে “স্বর্গ সদাপ্রভুরই স্বর্গ, কিন্তু তিনি পৃথিবী মনুষ্য-সন্তানদিগকে দিয়াছেন।” এভাবেই বাইবেল দেখায় যে যিহোবা বাধ্য মানুষদের বসবাসের জন্য পৃথিবী তৈরি করেছিলেন যারা এর যত্ন নেবেন।—আদিপুস্তক ১:২৭, ২৮.

আদম ও হবার বিদ্রোহ কি যিহোবার উদ্দেশ্যকে বদলে দিয়েছে? না দেয়নি। কিন্তু কীভাবে আমরা এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারি? এই বিষয়টা চিন্তা করুন: এদনের বিদ্রোহের কয়েক হাজার বছর পর বাইবেল লেখা হয়েছিল। ঈশ্বর যদি তাঁর আসল উদ্দেশ্য বদলে দিতেন, তাহলে কেন তিনি তা বাইবেলে লিখে দেবেন না? অতএব এটা পরিষ্কার যে পৃথিবী এবং মানবজাতির জন্য তাঁর উদ্দেশ্য একেবারেই বদলায়নি।

এছাড়াও যিহোবার উদ্দেশ্য কখনও নিষ্ফল হয় না। যিশাইয়কে দিয়ে ঈশ্বর জানিয়েছিলেন যে: “বাস্তবিক যেমন বৃষ্টি বা হিম আকাশ হইতে নামিয়া আইসে, আর সেখানে ফিরিয়া যায় না, কিন্তু ভূমিকে আর্দ্র করিয়া ফলবতী ও অঙ্কুরিত করে, এবং বপনকারীকে বীজ ও ভক্ষককে ভক্ষ্য দেয় আমার মুখনির্গত বাক্য তেমনি হইবে; তাহা নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা করি, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি, সে বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে।”—যিশাইয় ৫৫:১০, ১১.

ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে যা আশা করেন

তাই বাধ্য মানুষদের এই পৃথিবীতে চিরকাল বাস করার ব্যাপারে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য যে পূর্ণ হবেই সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারি। আমরা যদি তাদের মধ্যে হই যাদের পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকার সুযোগ রয়েছে, তাহলে আমরা অবশ্যই রাজা শলোমনের কথা মতো কাজ করব যিনি বলেছিলেন: “ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য।”—উপদেশক ১২:১৩; যোহন ১৭:৩.

মানবজাতির জন্য যিহোবার উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করার মানে হল সত্য ঈশ্বরকে জানা এবং বাইবেলে লেখা তাঁর নিয়মগুলো মেনে চলা। আমার যদি এখনই তা করি, তাহলে আমরা পরমদেশ পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকার আশা রাখতে পারব, যেখানে যিহোবা এবং তাঁর অপূর্ব সৃষ্টির বিষয়ে জানতে আমাদের কোন বাধা থাকবে না। (লূক ২৩:৪৩) কী এক রোমাঞ্চকর আশা!

অনেকেই যারা বাইবেলে জীবনের উদ্দেশ্য খোঁজেন তারা এখনই অনেক সুখী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুবক আলফ্রেড তার জীবনে কোন মানে খুঁজে পায়নি। ধর্ম যুদ্ধকে সমর্থন করায় সে ধর্মকে ঘৃণা করতে শুরু করে এবং রাজনীতির ভন্ডামি এবং দুর্নীতিতে সে হতাশ হয়ে পড়ে। জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য সে উত্তর আমেরিকার আদিবাসীদের কাছে যায় কিন্তু হতাশ হয়ে ইউরোপে ফিরে আসে। হতাশায় ডুবে গিয়ে সে নেশাকর দ্রব্য নিতে এবং নোংরা সংগীত শুনতে শুরু করে। কিন্তু পরে নিয়মিত এবং মন দিয়ে বাইবেল পরীক্ষা আলফ্রেডকে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে এবং তৃপ্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করেছিল।

আমাদের পথের নির্ভরযোগ্য আলো

বাইবেল সম্বন্ধে তাহলে এখন আমরা কি বলতে পারি? এটা কি আজকে কাজে লাগে? এটা সত্যিই কাজে লাগে কারণ এটা আজকের বিষয়গুলোর ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়। বাইবেল বলে যে দুষ্টতার জন্য ঈশ্বর দায়ী নন এবং জীবনের সন্তোষজনক উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে এটা আমাদের সাহায্য করে। এছাড়াও বাইবেল অন্যান্য বিষয়ে আমাদের আরও কিছু বলে যা আজকে খুবই আগ্রহের বিষয়। যেমন বিয়ে, ছেলেমেয়েদের মানুষ করা, মানুষের মধ্যে সম্পর্ক এবং মৃতদের জন্য আশা সম্বন্ধে বাইবেলে বলা আছে।

আপনি যদি এখনও তা না করে থাকেন তাহলে দেরি না করে বাইবেল পরীক্ষা করুন। একবার যদি আপনি বুঝতে পারেন যে জীবনের জন্য এর নির্দেশনাগুলোর মূল্য কতখানি তাহলে আপনিও হয়তো গীতরচকের মতো মনে করবেন, যিনি নির্দেশনার জন্য যিহোবার দিকে তাকিয়েছিলেন এবং গেয়েছিলেন: “তোমার বাক্য আমার চরণের প্রদীপ, আমার পথের আলোক।”—গীতসংহিতা ১১৯:১০৫.

[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি কি জানেন কেন ঈশ্বর নির্দোষ লোকেদের দুঃখকষ্ট ভোগ করতে দিয়েছেন?

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি এক উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবন উপভোগ করতে পারেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার