ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৫ ৯/১৫ পৃষ্ঠা ২৬-২৮
  • ভুল চিন্তাভাবনা প্রতিরোধ করুন!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ভুল চিন্তাভাবনা প্রতিরোধ করুন!
  • ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “তিনি আপন দাসগণকেও বিশ্বাস করেন না”
  • “মনুষ্য কি ঈশ্বরের উপকারী হইতে পারে?”
  • যেভাবে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা প্রতিরোধ করা যায়
  • মিথ্যা অভিযোগকারী নিজেই দোষী সাব্যস্ত হয়
  • যখন ভুল চিন্তাভাবনা আর থাকবে না
  • ইলীফসের মতো অন্যদের নিরুৎসাহিত করবেন না
    আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা ২০২৩
  • ইয়োবের আনুগত্য পুরস্কৃত হয়
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ইয়োব সহ্য করেছিলেন—আমরাও তা করতে পারি!
    ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অন্যদের জন্য প্রার্থনা করলে যিহোবা খুশি হন
    আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা ২০১৬
আরও দেখুন
২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৫ ৯/১৫ পৃষ্ঠা ২৬-২৮

ভুল চিন্তাভাবনা প্রতিরোধ করুন!

কুলপতি ইয়োব যখন দুর্দশা ভোগ করছিলেন, তখন তার তিন বন্ধু ইলীফস, বিল্‌দদ ও সোফর তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। তারা তার সঙ্গে শোক করতে বা সমবেদনা জানাতে ও তাকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিল। (ইয়োব ২:১১) এই তিন জনের মধ্যে ইলীফস সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং সম্ভবত বয়সে সবচেয়ে বড় ছিলেন। তিনিই প্রথমে কথা বলতে শুরু করেছিলেন এবং বেশির ভাগ কথা তিনিই বলেছিলেন। ইলীফস তার তিনটে বক্তৃতায় কোন ধরনের চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত করেছিলেন?

কোনো এক সময়ের একটা অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতার বিষয় স্মরণ করে ইলীফস বলেছিলেন: “আমার সম্মুখ দিয়া একটা বাতাস [“আত্মা,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] চলিয়া গেল, আমার শরীর রোমাঞ্চিত হইল। তাহা দাঁড়াইয়া থাকিল, কিন্তু আমি তাহার আকৃতি নির্ণয় করিতে পারিলাম না; একটী মূর্ত্তি আমার চক্ষুর্গোচর হইল, আমি মৃদু স্বর ও এই বাণী শুনিলাম।” (ইয়োব ৪:১৫, ১৬) কোন ধরনের আত্মা ইলীফসের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছিল? পরের পদে তার সমালোচনামূলক কথাবার্তার ধরন দেখায় যে, সেই আত্মা নিশ্চিতভাবেই ঈশ্বরের ধার্মিক দূতেদের মধ্যে একজন ছিল না। (ইয়োব ৪:১৭, ১৮) এটা একটা দুষ্ট আত্মিক প্রাণী ছিল। তা না হলে, কেন যিহোবা ইলীফস ও তার দুজন সহযোগীকে তাদের মিথ্যা কথাগুলোর জন্য তিরস্কার করবেন? (ইয়োব ৪২:৭) হ্যাঁ, ইলীফস মন্দ দূতের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তার মন্তব্যগুলো অধার্মিক চিন্তাভাবনাকে প্রতিফলিত করেছিল।

ইলীফসের বিবরণ থেকে কোন ধারণাগুলো শনাক্ত করা যেতে পারে? কেন আমাদের ভুল চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ? আর সেটা প্রতিরোধ করতে আমরা কোন পদক্ষেপগুলো নিতে পারি?

“তিনি আপন দাসগণকেও বিশ্বাস করেন না”

ইলীফস তার তিনটে বক্তৃতাতেই এই ধারণা তুলে ধরেছিলেন যে, ঈশ্বর এতটাই কঠোর যে তাঁর দাসেরা যা-ই করুক না কেন, কোনোকিছুই তাঁকে সতুষ্ট করতে পারে না। “দেখ, তিনি আপন দাসগণকেও বিশ্বাস করেন না,” ইলীফস ইয়োবকে বলেছিলেন, “আপন দূতগণেতেও ত্রুটির দোষারোপ করেন।” (ইয়োব ৪:১৮) ইলীফস পরে ঈশ্বর সম্বন্ধে বলেছিলেন: “তিনি আপনার পবিত্রগণেও বিশ্বাস করেন না, তাঁহার দৃষ্টিতে আকাশও নির্ম্মল নহে।” (ইয়োব ১৫:১৫) এ ছাড়া, তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন: “তুমি ধার্ম্মিক হইলে কি সর্ব্বশক্তিমানের আমোদ হয়?” (ইয়োব ২২:৩) বিল্‌দদ এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন কারণ তিনি বলেছিলেন: “[ঈশ্বরের] দৃষ্টিতে চন্দ্রও নিস্তেজ, তারাগণও নির্ম্মল নহে।”—ইয়োব ২৫:৫.

আমাদের অবশ্যই এই ধরনের চিন্তাভাবনার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। এটা আমাদের এইরকম মনে করার দিকে পরিচালিত করতে পারে যে, ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাবি করেন। এই ধারণা ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ওপর আঘাত করে। অধিকন্তু, আমরা যদি এই ধরনের যুক্তির কাছে নতি স্বীকার করি, তা হলে আমাদের যখন প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয় তখন আমরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাব? নম্রভাবে সংশোধন মেনে নেওয়ার পরিবর্তে আমাদের হৃদয় হয়তো “সদাপ্রভুর উপরে রুষ্ট” হতে পারে এবং আমরা হয়তো তাঁর প্রতি বিরক্তি পোষণ করতে পারি। (হিতোপদেশ ১৯:৩) সেটা আধ্যাত্মিকভাবে কত ধ্বংসাত্মকই না হবে!

“মনুষ্য কি ঈশ্বরের উপকারী হইতে পারে?”

ঈশ্বর অত্যন্ত কঠোর এই ধারণাটা, তিনি মানুষকে উপকারী বলে গণ্য করেন না এই ধারণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইলীফসের তৃতীয় বক্তৃতায় এই প্রশ্ন রয়েছে: “মনুষ্য কি ঈশ্বরের উপকারী হইতে পারে? বরং বিবেচক আপনারই উপকারী হয়।” (ইয়োব ২২:২) ইলীফস ইঙ্গিত করছিলেন যে, মানুষ ঈশ্বরের উপকার করতে পারে না। একইভাবে, বিল্‌দদ যুক্তি দেখিয়েছিলেন: “ঈশ্বরের কাছে মর্ত্ত্য কেমন করিয়া ধার্ম্মিক হইবে? অবলার সন্তান কেমন করিয়া বিশুদ্ধ হইবে?” (ইয়োব ২৫:৪) সেই যুক্তির ধারা অনুসারে, ইয়োবের মতো সামান্য মরণশীল একজন মানুষ কীভাবে ঈশ্বরের সামনে এক ধার্মিক মান বজায় রাখার মতো দুঃসাহস দেখাতে পারে?

বর্তমানে কিছু ব্যক্তি নিজেদের সম্বন্ধে নেতিবাচক অনুভূতির দ্বারা জর্জরিত। পারিবারিক পটভূমি, জীবনের চাপগুলোর মুখোমুখি হওয়া অথবা জাতি বা উপজাতিগত ঘৃণার শিকার হওয়ার মতো বিষয়গুলো এই ক্ষেত্রে কারণ হতে পারে। কিন্তু শয়তান ও তার মন্দ দূতেরা একজন ব্যক্তির মনোবল চূর্ণ করেও আনন্দ পায়। যদি তারা একজন ব্যক্তিকে এইরকম মনে করার জন্য প্রভাবিত করতে পারে যে, তিনি যা কিছু করেন তার কোনোকিছুই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে না, তা হলে সেই ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবেই হতাশার দ্বারা আরও বেশি জর্জরিত হবেন। এক সময়ে, এই ধরনের একজন ব্যক্তি ভেসে চলে যেতে, এমনকি জীবন্ত ঈশ্বরের কাছ থেকে সরে পড়তে পারেন।—ইব্রীয় ২:১; ৩:১২.

বার্ধক্য ও শারীরিক সমস্যাগুলো আমাদের সীমাবদ্ধ করে ফেলতে পারে। আমাদের বয়স যখন আরও কম ছিল, আমাদের স্বাস্থ্য যখন আরও ভাল ছিল ও আমাদের আরও বেশি শক্তি ছিল, সেই তুলনায় রাজ্যের সেবায় বর্তমানে আমাদের অংশকে একেবারেই ক্ষুদ্র বলে মনে হতে পারে। এই বিষয়টা বুঝতে পারা কতই না গুরুত্বপূর্ণ যে, শয়তান ও তার মন্দ দূতেরা আমাদের মনে করাতে চায় যে আমরা যা করি, তা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে না! এই ধরনের চিন্তাভাবনাকে আমাদের অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে।

যেভাবে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা প্রতিরোধ করা যায়

শয়তান দিয়াবল ইয়োবের ওপর দুঃখকষ্ট আনা সত্ত্বেও তিনি বলেছিলেন: “প্রাণ থাকিতে আমি আপন সিদ্ধতা [“নীতিনিষ্ঠা,” NW] ত্যাগ করিব না।” (ইয়োব ২৭:৫) ঈশ্বরের প্রতি প্রেমের কারণে ইয়োব তার জীবনে যা-ই ঘটুক না কেন, তার নীতিনিষ্ঠা বজায় রাখতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন এবং কোনোকিছুকেই তিনি সেটাকে পরিবর্তন করতে দেননি। এখানেই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা প্রতিরোধ করার এক চাবিকাঠি নিহিত রয়েছে। আমাদেরকে ঈশ্বরের প্রেম সম্বন্ধে এক সঠিক বোধগম্যতা অর্জন করতে হবে এবং সেটার প্রতি আন্তরিক উপলব্ধিবোধ গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া, তাঁর প্রতি আমাদের প্রেমকে আরও গভীর করতে হবে। ঈশ্বরের বাক্য নিয়মিত অধ্যয়ন এবং আমরা যা যা শিখি সেগুলো নিয়ে প্রার্থনাপূর্বক ধ্যান করার মাধ্যমে তা অর্জন করা যায়।

উদাহরণস্বরূপ, যোহন ৩:১৬ পদ বলে: “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্ত্রকে দান করিলেন।” মানবজাতির জগতের জন্য যিহোবার গভীর প্রেম রয়েছে এবং অনেক সময় ধরে মানুষের সঙ্গে তাঁর আচরণ সেই প্রেমকে প্রদর্শন করে। অতীতের উদাহরণগুলো নিয়ে ধ্যান করা যিহোবার প্রতি আমাদের উপলব্ধিবোধ গড়ে তোলা এবং তাঁর জন্য আমাদের প্রেমকে আরও গভীর করা উচিত, ফলে তা আমাদের ভুল অথবা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

সদোম ও ঘমোরার আসন্ন ধ্বংসের সময়ে যিহোবা অব্রাহামের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেছিলেন তা বিবেচনা করুন। যিহোবার বিচারের বিষয়ে অব্রাহাম আট বার তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু, একবারও যিহোবা বিরক্তি বা হতাশা প্রকাশ করেননি। পরিবর্তে, তাঁর উত্তরগুলো অব্রাহামকে আশ্বাস ও সান্ত্বনা জুগিয়েছিল। (আদিপুস্তক ১৮:২২-৩৩) পরে ঈশ্বর যখন সদোম থেকে লোট ও তার পরিবারকে রক্ষা করেছিলেন, তখন লোট পর্বতের পরিবর্তে নিকটবর্তী এক নগরে পালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। যিহোবা উত্তর দিয়েছিলেন: “ভাল, আমি এ বিষয়েও তোমার প্রতি অনুগ্রহ করিয়া, ঐ যে নগরের কথা কহিলে, উহা উৎপাটন করিব না।” (আদিপুস্তক ১৯:১৮-২২) এই ঘটনাগুলো কি যিহোবাকে একজন কঠোর, প্রেমহীন ও কর্তৃত্বপরায়ণ শাসক হিসেবে তুলে ধরে? না। সেগুলো তাঁকে প্রকৃতপক্ষে তিনি যে-ধরনের ব্যক্তি অর্থাৎ একজন প্রেমময়, সদয়, করুণাময় ও বিবেচক শাসক হিসেবে তুলে ধরে।

ঈশ্বর দোষ খুঁজে বেড়ান এবং কেউই তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারে না এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করার উদাহরণগুলো হচ্ছে প্রাচীন ইস্রায়েলের হারোণ, দায়ূদ ও মনঃশি। হারোণ তিনটে গুরুতর ভুলের জন্য দোষী ছিলেন। তিনি সোনার গোবৎস নির্মাণ করেছিলেন, মোশির সমালোচনায় মরিয়মের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং মরীবায় ঈশ্বরকে পবিত্র করতে ও সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও, যিহোবা তার মধ্যে ভাল গুণগুলো দেখেছিলেন এবং তাকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মহাযাজক হিসেবে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন।—যাত্রাপুস্তক ৩২:৩, ৪; গণনাপুস্তক ১২:১, ২; ২০:৯-১৩.

রাজা দায়ূদ তার রাজত্বকালে কয়েকটা গুরুতর পাপ করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল ব্যভিচার, একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং এক অবৈধভাবে লোকগণনা করা। কিন্তু, যিহোবা দায়ূদের অনুতাপ লক্ষ করেছিলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে রাজা হিসেবে সেবা করার অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে অনুগতভাবে রাজ্য চুক্তিকে অক্ষুণ্ণ রেখেছিলেন।—২ শমূয়েল ১২:৯; ১ বংশাবলি ২১:১-৭.

যিহূদার রাজা মনঃশি বাল দেবতার উদ্দেশে যজ্ঞবেদি নির্মাণ করেছিলেন, নিজের সন্তানদের অগ্নির মধ্য দিয়ে গমন করিয়েছিলেন, প্রেতচর্চাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং মন্দিরের প্রাঙ্গণগুলোতে মিথ্যা ধর্মীয় যজ্ঞবেদি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি যখন আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়েছিলেন, তখন যিহোবা তাকে ক্ষমা করেছিলেন, বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং তার রাজপদ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। (২ বংশাবলি ৩৩:১-১৩) এগুলো কি এমন একজন ঈশ্বরের কাজ, যাঁকে কেউই সন্তুষ্ট করতে পারে না? কখনোই না!

মিথ্যা অভিযোগকারী নিজেই দোষী সাব্যস্ত হয়

আমাদের এতে অবাক হওয়া উচিত নয় যে, যে-বৈশিষ্ট্যগুলো যিহোবার রয়েছে বলে শয়তান অভিযোগ করে আসলে সে নিজেই সেগুলোর মূর্ত প্রতীক। শয়তান নিষ্ঠুর এবং কঠোর। অতীতে মিথ্যা উপাসনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শিশুবলির অভ্যাস থেকে এটা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ধর্মভ্রষ্ট ইস্রায়েলীয়রা তাদের পুত্রকন্যাদের আগুনে পুড়িয়েছিল—এমন এক বিষয় যা যিহোবার মনে এমনকি কখনো উদয়ও হয়নি।—যিরমিয় ৭:৩১.

যিহোবা নন কিন্তু শয়তানই দোষ খুঁজে বেড়ায়। প্রকাশিত বাক্য ১২:১০ পদ শয়তানকে “আমাদের ভ্রাতৃগণের উপরে দোষারোপকারী, যে দিবারাত্র আমাদের ঈশ্বরের সম্মুখে তাহাদের দোষারোপ করে” বলে উল্লেখ করে। অন্যদিকে, যিহোবার সম্বন্ধে গীতরচক গেয়েছিলেন: “হে সদাপ্রভু, তুমি যদি অপরাধ সকল ধর, তবে, হে প্রভু [“যিহোবা,” NW], কে দাঁড়াইতে পারিবে?”—গীতসংহিতা ১৩০:৩, ৪.

যখন ভুল চিন্তাভাবনা আর থাকবে না

শয়তান দিয়াবল ও তার মন্দ দূতদের যখন স্বর্গ থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তখন আত্মিক প্রাণী অর্থাৎ স্বর্গদূতেরা নিশ্চয় কত স্বস্তিই না বোধ করেছিল! (প্রকাশিত বাক্য ১২:৭-৯) তারপর থেকে এই দুষ্ট আত্মারা, স্বর্গে যিহোবার স্বর্গদূত পরিবারের কাজের ওপর আর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।—দানিয়েল ১০:১৩.

পৃথিবীর অধিবাসীরা নিকট ভবিষ্যতে আনন্দ করবে। শীঘ্রই, একজন স্বর্গদূত অগাধলোকের চাবি ও এক বড় শৃঙ্খল হাতে নিয়ে স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন এবং শয়তান ও তার মন্দ দূতদের বদ্ধ করে নিষ্ক্রিয়তার অগাধলোকে নিক্ষেপ করবেন। (প্রকাশিত বাক্য ২০:১-৩) সেটা যখন ঘটবে, তখন আমরা কত স্বস্তিই না উপভোগ করব!

ইতিমধ্যে, আমাদের অবশ্যই ভুল চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। যখনই আমরা বুঝতে পারি যে, ভুল বা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আমাদের মনের মধ্যে চুপিসারে প্রবেশ করছে, তখনই আমাদের মন যিহোবার প্রেমের প্রতি কেন্দ্রীভূত করার দ্বারা আমাদের সেগুলো প্রতিরোধ করতে হবে। তা হলেই ‘সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি তাহা আমাদের হৃদয় ও মন রক্ষা করিবে।’—ফিলিপীয় ৪:৬, ৭.

[২৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

ইয়োব নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে প্রতিরোধ করেছিলেন

[২৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

লোট বুঝতে পেরেছিলেন যে, যিহোবা একজন বিবেচক শাসক

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার